Hare to Whatsapp
শ্রমিকদের কাছে বিভিন্ন প্রকল্পের সহায়তা পৌছে দিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেবে ই-শ্ৰম পোর্টাল : মুখ্যমন্ত্রী
By Our Correspondent
আগরতলা, ডিসেম্বর ২২, : শ্রমিকদের আর্থসামাজিক মান উন্নয়নে সরকার অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ করছে। শ্রমিকদের কাছে বিভিন্ন প্রকল্পের সহায়তা পৌছে দিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেবে ই-শ্রম পোর্টাল। ২১ ডিসেম্বর অসংগটিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের ই-শ্রম পোর্টালে নিবন্ধীকরণের জন্য বিশেষ অভিযানের উদ্বোধন করে এ কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। শ্রমদপ্তরের উদ্যোগে রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের ১নং হলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ দিন বোতাম টিপে টিবি এন্ড ওসিডব্লিউডব্লিউ বোর্ড ও ত্রিপুরা ইএসআই সোসাইটির ওয়েবসাইটের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর ই-শ্রম পোর্টালে নিবন্ধনে উল্লখযোগ্য সাফল্যের জন্য ভিএলই ও জেলা গুলিকে সম্মানিত করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন প্রকল্পের সহায়তায় শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে রাজ্য সরকার। এই ক্ষেত্রে মেয়ে বিয়ের আর্থিক সহায়তা ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ হাজার টাকা করা সহ শ্রমিক কল্যাণে একাধিক ইতিবাচক পরিকল্পনা রূপায়িত হচ্ছে। সমস্ত অংশের শ্রমিকদের কাছে সরকারী বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পৌছে দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের সরকারিভাবে তালিকাভুক্তিকরণ আবশ্যক। বিগত দিনে শ্রমিকদের সার্বিক কল্যাণ সহ এই ক্ষেত্রটিতে আন্তরিকতার ঘাটতি ছিল। বর্তমানে এই পোর্টালের সহায়তায় নির্ধারিত ডাটাবেস অনুসারে সমস্ত সংকীর্ণতার উর্ধে উঠে স্বচ্ছতার সঙ্গে সমস্ত তালিকাভুক্ত শ্রমিকদের বিভিন্ন সুযোগ প্রদান করার ক্ষেত্রে সহায়তা হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিগত দিনে সমস্ত শ্রমিকদের সরকারী তালিকা না থাকায় কোভিড অতিমারীর বিরুপ পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে নির্মাণ শ্রমিক সহ অন্যান্য শ্রমিকদের কাছে সহায়তা পৌছে দিতে অন্তরায় তৈরী হয়। যার ফলে এর সুফল গ্রহণ থেকে নির্মাণ শ্রমিকদের একটা অংশকে বঞ্চিত হতে হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এই পোর্টালের মাধ্যমে সিএসসি সেন্টার বা ঘরে বসেই অনলাইনে শ্রমিকরা তাদের এই নথিভুক্তির পুণর্নবীকরণ করার সুযোগ পাওয়ার জন্য আর দপ্তরে গিয়ে শ্রমিকদের ঐদিনের উপার্জন বা আর্থিক লোকসানের সম্মুখীন হতে হবে না। বর্তমানে সিএসসি সেন্টারের মাধ্যমে প্রায় ১৪১টি পরিষেবা গ্রহণ করার সুযোগ রয়েছে। অতিসম্প্রতি জমিসংক্রান্ত মালিকানা এবং অন্যান্য বিষয়ও এর সঙ্গে যুক্ত হতে চলেছে। যার ফলে জমিসংক্রান্ত এবং দুর্নীতি প্রশমন করা সম্ভবপর হবে। এর ফলে একদিকে যেমন শ্রমিকরা লাভবান হচ্ছেন তার পাশাপাশি সিএসসি সেন্টারের সাথে যুক্ত রাজ্যের প্রায় ১২০০ পরিবারের ভালসংখ্যায় রোজগার সুনিশ্চিত হচ্ছে। অনলাইনের মাধ্যমে এই ডাটাবেস তৈরী হওয়ার ফলে পরিষেবা প্রদানে থাকবে স্বচ্ছতা। আগামী দিনে জমির পরিমাণ এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ড্রোন টেকনোলজি সহ অত্যাধুনিক প্রযুক্তি যুক্ত করতে চলেছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী প্রজন্মের উপযোগী সমৃদ্ধ ভবিষ্যত গড়ার লক্ষ্যে নিরন্তর কাজ করে চলেছে রাজ্য সরকার। এই প্রজনের সুস্থ দেহ ও সুস্থ মননের লক্ষ্যে অভিভাবকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ড্রাগস এর মত অশুভ শক্তি থেকে যুব সম্প্রদায়কে সুরক্ষিত রাখতে অভিভাবকদের বিশেষ করে মায়েদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।