Hare to Whatsapp
সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার ফলে কৃষকদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছেঃ মুখ্যমন্ত্রী
By Our Correspondent
আগরতলা, ডিসেম্বর ২০, : সরকারের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার ফলে গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশের পাশাপাশি কষকদের মধ্যেও আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছে। কৃষিক্ষেত্রে চিরাচরিত চাষাবাদের বদলে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ ও উদ্ভাবনী অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানোর উপর সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে। ১৯ ডিসেম্বর আগরতলা টাউন হলে ত্রিপুরা রাজ্য কৃষি স্নাতক সমিতির ১০ম দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। অনুষ্ঠানে সমিতির স্মরণিকার আবরণও উন্মোচন করেন মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য অতিথিগণ। সংগঠনের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ৫১ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়। সমিতির ১০ম দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে উপস্থিত কৃষি আধিকারিকদের সাথেও রাজ্যে কৃষিক্ষেত্রের সাফল্য, অগ্রগতি ও বিভিন্ন বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মতবিনিময় করেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষক কল্যাণে নিযুক্ত আধিকারিক ও অন্যান্য ব্যক্তিগণ রাজ্যের প্রাথমিক ক্ষেত্রের ভিতকে সুদৃঢ় করার অন্যতম কারিগর। রাজ্যের কৃষি আধিকারিক ও কৃষি বিজ্ঞানীদের আত্মসন্তুষ্টির উল্পে উঠে প্রাথমিক ক্ষেত্রের বিকাশকে ত্বরান্বিত করতে মনোনিবেশ করতে হবে। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা গতানুগতিক চাষ পদ্ধতির বদলে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারিক প্রয়োগ বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব দিতে হবে। কৃষিক্ষেত্রের বিকাশে গবেষণা সহ সফল কৃষকদের সাথে নিয়মিত আলোচনার মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধির নয়া কৌশল নিরূপণ করা দরকার। মুখ্যমন্ত্রী স্থির করা নির্ধারিত লক্ষ কতটা সাফল্য আসছে তা নিরূপণ ও নিবিড় পর্যবেক্ষণের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকারের সঠিক ব্যবস্থাপনার ফলে ধানের প্রতি কেজি সহায়কমূল্যে হতে চলেছে ১৯ টাকা ৪০ পয়সা। প্রতি মাসে কৃষকদের আয় ৬, ৫৮০ টাকা থেকে বেড়ে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ১১,০৯৩ টাকা। কৃষক কল্যাণে বর্তমানে গুচ্ছ প্রকল্পের সুফল হিসেবে এখন আর জমি পতিত থাকছে না। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে স্বপমেয়াদি অর্থকরী ফসল চাষের ফলে লাভের মুখ দেখছেন অন্নদাতাগণ। আনারস, সুগন্ধি লেবু, কাঁঠাল, পান, তেঁতুল সহ অন্যান্য কৃষিজ সম্পদকে কাজে লাগিয়ে আত্মনির্ভরতার পথ খুঁজে পেয়েছেন কৃষকগণ।