Hare to Whatsapp
কৃষকদের আয় দ্বিগুন হলেই গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালী হবে : তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী
By Our Correspondent
আগরতলা, ডিসেম্বর ১৬, : আত্মনির্ভর ত্রিপুরা গড়ে তোলার প্রয়াস নিয়েছে সরকার। একটি রাজ্য আত্মনির্ভর তখনই হবে যখন রাজ্যের জনগণ আত্মনির্ভর হবেন। ১৬ ডিসেম্বর জিরানীয়া ব্লক প্রাঙ্গণে জিরানীয়া পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে সেলাই মেশিন, ই-শ্রম কার্ড ও বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ অনুষ্ঠানে একথা বলেন তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। অনুষ্ঠানে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্য সরকার আত্মনির্ভর ত্রিপুরা গড়ে তুলতে বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েছে। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এসমস্ত পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে। রাজ্যের সমস্ত অংশের মানুষের কাছে সরকারি সুযোগ সুবিধা পৌছে দেওয়া হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী বলেন, আজ এখানে মা-বোনদের সেলাই মেশিন ও কৃষকদের বিভিন্ন কৃষি সহায়ক যন্ত্রসামগ্রী দেওয়া হচ্ছে। রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে সকল সুবিধাভোগীদের কাছে এই সহায়তা পৌছে দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, এখন সরকার কৃষকদের কাছ থেকে বছরে দুইবার সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় করছে। রাজ্য সরকার প্রতিটি কৃষি মহকুমায় ফার্ম মেশিনারি ব্যাংকের মাধ্যমে সহায়তা দিচ্ছে। এই ফার্ম মেশিনারি ব্যাংকের মাধ্যমে বিভিন্ন কৃষি সহায়ক যন্ত্রপাতি দেওয়া হয়। কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্যেই এসমস্ত কর্মসূচি রূপায়িত হচ্ছে। তিনি বলেন, কৃষকদের আয় দ্বিগুণ হলেই গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালী হবে।
অনুষ্ঠানে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্র সুশান্ত চৌধুরী ৩৫ জন অসংঘঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিককে ই-শ্রম কার্ড তুলে দেন। অনুষ্ঠানে ৪০টি সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়। তাছাড়া কৃষ্ণনগর নবদিগন্ত ফেডারেশনকে ফার্ম মেশিনারি ব্যাঙ্গের মাধ্যমে ২টি পাওয়ার টিলার, ১টি পেডি রিপার, ২টি ইলেকট্রিক থ্রেসার, ২টি পাওয়ার উহডার, ৫টি পাপ সেট, ৪টি ব্যাটারি প্লেয়ার, ১টি ব্রাশ কাটার ও ১ সেট হটি টুল দেওয়া হয়েছে। তাছাড়াও রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনায় ৮ জন সুবিধাভোগীকে পেডি স্টেচার কাম উইনোয়িং ফ্যানও দেওয়া হয়েছে।