Hare to Whatsapp
বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্পে রাজ্যের গ্রামীণ এবং শহর এলাকার মোট ১০০টি বিদ্যালয় সিবিএসই-তে রূপান্তরিত করা হবেঃ শিক্ষামন্ত্রী
By Our Correspondent
আগরতলা, ডিসেম্বর ১১, : বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্পে রাজ্যের গ্রামীণ এবং শহর এলাকা মিলিয়ে মোট ১০০টি বিদ্যালয়কে সিবিএসই-তে রূপান্তরিত করা হবে। ইতিমধ্যেই ৫২টি বিদ্যালয়ের সিবিএসই অনুমোদন পাওয়া গেছে। বাকিগুলি আগামী কিছুদিনের মধ্যেই পাওয়া যাবে। আজ সচিবালয়ের কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক সাংবাদিক সন্মেলনে এই সংবাদ জানান শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ। তিনি জানান, বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্পে ১০০টি স্কুলের পরিচালনার জন্য আগামীতে মোট ১৪০০ জন শিক্ষক ও কর্মী নিয়োগ করা হবে। তিনি জানান, বিভিন্ন স্তরের কর্মীদের মধ্যে থাকবে একাডেমিক কাউন্সিলার, স্পেশাল এডুকেটার, ফিজিক্যাল এডুকেশন টিচার, স্টাফ নার্স, মনোবিজ্ঞান, সমাজ বিজ্ঞান, ভূগোল, অর্থনীতি, লাইব্রেরিয়ান ইত্যাদি। এসব ক্ষেত্রের জন্য শিক্ষক, কর্মী নিয়োগ করা হবে। তিনি জানান, বর্তমানে এই ১০০টি বিদ্যালয়ের মধ্যে রয়েছে ৯২ হাজার ৭৩৩ জন ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছেন ২৯৬৭ জন। তিনি জানান, বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্পে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের লক্ষ্যে গ্রামীণ এলাকার ৫৮টি বিদ্যালয়ের জন্য ১৪৬ কোটি টাকা এবং শহর এলাকায় ৪২টি বিদ্যালয়ের জন্য ১০৫ কোটি ৯ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়েছে। তিনি জানান, এই বিদ্যালয়গুলি হবে স্পেশাল ক্যাটাগরির কুল। রাজ্যের যেকোন প্রান্ত থেকে ছাত্রছাত্রী এগুলিতে ভর্তি হতে পারবে। স্কুলগুলি হবে সিঙ্গেল সিফটেডা। বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্পের অধীনে ১০০টি বিদ্যালয়ের জন্য পি আই-র ব্যবস্থা করার জন্য শিক্ষা দপ্তরকে জানানো হয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি বিদ্যালয়ে থাকবে চিকিৎসকের সুবিধা। এই স্কুলগুলির নার্সারির ক্ষেত্রে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদেরও রাখা হবে। মন্ত্রী জানান, প্রতিটি স্কুলে কলা-সংস্কৃতির চর্চার জন্যও শিক্ষক বা শিক্ষিকা থাকবেন। তিনি জানান, শহরের ২০টি স্কুল হবে স্পেশাল এক্সপার্টাইস স্কুল। দুই বা তিনটি স্কুল মিলিয়ে থাকবে একটি কমন হোস্টেলের সুবিধা। থাকবে মাদার অন ক্যাম্পাস এর সুবিধা। তিনি জানান, ষষ্ঠ এবং ষষ্ঠ শ্রেনীর উপরের শ্রেনীতে ছাত্র বা ছাত্রী ভর্তি হতে গেলে স্ক্রিনিং টেস্ট দিতে হবে। স্কুলগুলিতে পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতে বিদেশি ভাষা নিয়ে পড়ার সংস্থান রাখা থাকবে। জনজাতিদের ভাষায় পড়ার বিকল্প ব্যবস্থা থাকবে। তিনি জানান, স্কুলগুলিতে শিক্ষক নিয়োগ হবে সিবিএসই নিয়ম অনুসারে। শিক্ষক এবং কর্মী নিয়োগ করা হবে যথাযথ টি আর বি টি এবং জে আর বি টি-র মাধ্যমে।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, রাজ্যের মোট ১০০টি সরকারি বিদ্যালয়কে সিবিএসই-তে রূপান্তরিত করার জন্য অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। এই ১০০টি স্কুলের মধ্যে পশ্চিম জেলার মধ্যে রয়েছে ২৩টি, ঊনকোটিতে রয়েছে ১০টি, দক্ষিণ ত্রিপুরায় ১১টি, সিপাহীজলায় ১১টি, উত্তর ত্রিপুরায় ১২টি, খোয়াই জেলায় ১১টি, গোমতী জেলায় ১১টি এবং ধলাই জেলায় রয়েছে ১১টি।
তিনি জানান, এই স্কুলগুলি পরিচালনার জন্য যে ১৪০০টি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে তার জন্য রাজ্য সরকারের বছরে অতিরিক্ত ব্যয় হবে তা ৩৪ কোটি ১০ লক্ষ ১০ হাজার টাকা।