Share Whatsapp

রাজ্যে আরক্ষা দপ্তরে ৫০০ জন মহিলা নিয়োগের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছেঃ মুখ্যমন্ত্রী

By Our Correspondent

আগরতলা, ৩ , : রাজ্যের গর্বের পুলিশ বাহিনীর কর্মদক্ষতার ফলেই বর্তমানে উল্লেখযোগ্যভাবে বিভিন্ন অপরাধের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। জিরানীয়া পুলিশ স্টেশন কমপ্লেক্সে আয়োজিত শ্যামা মায়ের আরাধনা, মেগা রক্তদান ও সিভিক অ্যাকসন কর্মসূচির সূচনা করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য আরক্ষা দপ্তরে ৫০০ জন মহিলা নিয়োগের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মহিলা সংক্রান্ত অপরাধ নিয়ন্ত্রণে অনবদ্য অবদান রাখার জন্য নির্ভয়া ফান্ড ফেমওয়ার্কের অধীনে কর্মরত ১১ জন মহিলা পুলিশ ভলেন্টিয়ারকে এই অনুষ্ঠানে সম্মাননা জ্ঞাপন করেন। এরপর মুখ্যমন্ত্রী রক্তদান কর্মসূচি পরিদর্শন করেন ও দুঃস্থদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। তার আগে জিরানীয়া পুলিশ স্টেশন প্রাঙ্গণে শ্যামা মায়ের দর্শন ও কৃপা প্রার্থনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, আর্থিক স্বয়ম্ভরতার পাশাপাশি মহিলা সম্পত্তিকরণ ও সমাজে মহিলাদের অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে একাধিক পরিকল্পনা সফলভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। পূর্ব নির্ধারিত ৫০০ জন পুলিশ কর্মী নিয়োগে আনুপাতিক হারে

সুযোগ থাকবে মহিলা প্রার্থীদেরও। তার পাশাপাশি রাজ্য আরক্ষা দপ্তরে ৫০০ জন মহিলা নিয়োগের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ত্রিপুরার গর্বের পুলিশ বাহিনী রাজ্যের শান্তি সম্প্রীতি এবং সুস্থিতি বজায় রাখতে বীরত্বের সঙ্গে কাজ করে চলেছে। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ধর্মীয় বিদ্বেষ তৈরি করে ত্রিপুরাকে বদনাম করার প্রয়াসকে প্রতিহত করে শান্তি ও শৃঙ্খলা সুনিশ্চিত করেছে। ইতিবাচকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে সাজা প্রাপ্তির হার৷ এর ফলশ্রুতিতে হ্রাস পেয়েছে বিভিন্ন অপরাধের সংখ্যা। একটা অংশ শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রীকে খাট করতে পুলিশের সাফল্যের অবমাননা করছেন। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে ২০১৯ এর সাথে ২০২০ সালের তুলনামূলক পরিসংখ্যান তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী জানান, সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস পেয়েছে ২৮.০৮ শতাংশ, ধর্ষন হ্রাস পেয়েছে ১৫.৪ শতাংশ, ডাকাতি কমেছে ৬২.৫ শতাংশ, ছিনতাইয়ের সংখ্যা নেমে এসেছে ৮১.৮ শতাংশ, মহিলা সংক্রান্ত অপরাধ কমেছে ১৫.৪ শতাংশ, বধূ নির্যাতনের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে ২৯.৪ শতাংশ, শ্লীলতাহানি কমেছে ২১.৪ শতাংশ, মহিলা অপহরণ কমেছে ২০.৩ শতাংশ, গার্হস্থ্য হিংসা হ্রাস পেয়েছে ২১.২ শতাংশ, মাোট মহিলা সংক্রান্ত অপরাধ হ্রাস পেয়েছে ১৯.৬ শতাংশ। পাশাপাশি বৃদ্ধি পেয়েছে সাজা প্রাপ্তির হার। ২০১৮ তুলনায় ২০২০ সালে আইপিসি মামলার অধীনে সাজা প্রাপ্তির হার বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ১০ শতাংশ। বিশেষ ও স্থানীয় আইনে সাজা প্রাপ্তির হার ৩৭ শতাংশ থেকে ৫৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। মামলার তদন্ত প্রক্রিয়ায় এসেছে উর্ধগতি।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান প্রজন্মকে এইচআইভি ও ড্রাগের মত অশুভ শক্তি থেকে সুরক্ষিত রাখতে প্রতিটি ঘর থেকে মহিলাদের অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে। ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে। এর থেকে পরিত্রাণের জন্য প্রয়োজন সম্মিলিত প্রয়াস। নারী শক্তিই পারেন স্নেহের মাতৃরূপের পাশাপাশি প্রয়োজনে রুদ্র রূপ ধারণ করতে।


You can post your comments below  
নিচে আপনি আপনার মন্তব্য বাংলাতেও লিখতে পারেন।  
বিঃ দ্রঃ
আপনার মন্তব্য বা কমেন্ট ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই লিখতে পারেন। বাংলায় কোন মন্তব্য লিখতে হলে কোন ইউনিকোড বাংলা ফন্টেই লিখতে হবে যেমন আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড (Avro Keyboard)। আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ডের সাহায্যে মাক্রোসফট্ ওয়ার্ডে (Microsoft Word) টাইপ করে সেখান থেকে কপি করে কমেন্ট বা মন্তব্য বক্সে পেস্ট করতে পারেন। আপনার কম্পিউটারে আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড বাংলা সফ্টওয়ার না থাকলে নিম্নে দেয়া লিঙ্কে (Link) ক্লিক করে ফ্রিতে ডাওনলোড করে নিতে পারেন।
 
Free Download Avro Keyboard  
Name *  
Email *  
Address  
Comments *  
 
 
Posted comments
Till now no approved comments is available.