Hare to Whatsapp
পুর ও নগর ভোট নিয়ে চারটি মামলাতেই জোর ধাক্কা খেলো পুলিশ ও নির্বাচন কমিশন, ভোট শান্তি পূর্ব ভাবে অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে হাইকোর্টের নির্দেশ
By Our Correspondent
আগরতলা, নভেম্বর ২৩, : আগরতলা পুর নিগম, ১৩টি পুর পরিষদ ও ৬টি নগর নিগম ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ব ভাবে অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা করতে পুলিশ ও নির্বাচন কমিশনকে গতকাল কড়া নির্দেশ দিলো ত্রিপুরা হাইকোর্ট। পুলিশ ও নির্বাচন কমিশনকে যথাযথ ভাবে সাংবাধানিক দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছে ত্রিপুরা হিগকোর্টের মহামান্য বিচারপতি সুভাশিষ তলাপাত্র ও এস জি চট্টোপাধ্যায়।
পুর ও নগর নিগম ভোট বিষয়ে ত্রিপুরা হাইকোর্ট গতকাল মোট চারটি মামলায় সরকার পক্ষকে যথাযত আইন ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছেন।
হাইকোটের স্পষ্ট বক্তব্য গণতন্ত্র বিপন্ন হলে আদালত চুপ করে বসে থাকতে পারে না।
জানাগেছে, চারটি মামলার মধ্যে দুটি মামলা ছিল সমর চক্রবর্তী ও রাকেশ দাস নামে দুই সি পি এম প্রাথীর উপর বার বার বিজেপি দুষ্কৃতীদের হামলা নিয়ে। সমর চক্রবর্তীর বাড়িতে এখন পর্যন্ত আট বার হামলা করেছে বিজেপি দুষ্কৃতীরা। একজনকেও পুলিশ গ্রেপ্তার করেনি। একই রকম ভাবে পুর নিগমের ৩নং ওয়ার্ডের প্রার্থীর উপর একাধিকবার হামলা হয়েছে। পুলিশকে বলার পরেও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। এই অবস্থায় হাইকোর্টের তরফে দুই প্রার্থীকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। অবশ্য সমর চক্রবর্তীকে কোর্টের নির্দেশের আগেই নিরাপত্তা দিয়ে দেয় পুলিশ।
এছাড়া, নিকুঞ্জ দেবনাথ নামে ধর্মনগর পুরপরিষদের এক সি পি এম প্রার্থীর মনোনয়ন জোর করে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এনিয়েও হাইকোর্ট কঠোর পদক্ষেপ নিতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেয়। ওই প্রার্থীর ভোটে লড়াই করার আবেদন আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে নিস্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
জানাগেছে , আজ সুপ্রিম কোর্টেও ত্রিপুরার পুর ভোটে বিজেপি, পুলিশ, নির্বাচন কমিশনের অনৈতিক কাজ কর্ম, অবাধ ভোট সন্ত্রাস ও কোর্টের আদেশ না মানা নিয়ে একটি মামলার শুনানি রয়েছে। গতকাল ত্রিপুরা হাইকোর্টের মহামান্য বিচারপতি সুভাশিষ তলাপাত্র , বিচারপতি সত্যগোপাল চট্টোপাধ্যায়ের কোর্টে ওই চার মামলার শুনানি হয়। আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবীরা হলেন, পুরুষোত্তম রায় বর্মন, সমরজিৎ ভট্টাচার্য , কৌশিক নাথ, শিশির চক্রবর্তী, হরিবল দেবনাথ। সরকার পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট জেনারেল এস এস দে ও গভঃ অ্যাডভোকেট দেবালয় ভট্টাচার্য। আবেদকারীদের পক্ষের আইনজীবীরা এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, পুর ও নগর নিগমের বাতিলের দাবী নিয়ে সিপিএম হাইকোর্টে কোনো মামলা করে নি। একটি শাসক দলের সমর্থক টিভি চ্যানেল এনিয়ে মিথ্যা প্রচার করেছে, তারা আরো জানান , আমরা শুধু ভোট শান্তিপূর্ব ভাবে যাতে হয় সে লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশণ ও পুলিশ কে নিরপেক্ষ ও কঠোর পদক্ষেপের আর্জি নিয়ে আদালতে গেছে। আমরা আদালতে ভোট তদারকিতে সি সি ক্যামেরার বেবহার ও চেয়েছি। সরকার পক্ষের আইনজীবীরা বলেছেন, এতো কম সময়ে সি সি ক্যামেরা লাগানো যাবে না।