Hare to Whatsapp
রাজ্যের বিকাশে পুরাতন চিন্তা ভাবনাকে পাল্টে ত্রিপুরা এখন অগ্রগতির দিকে এগিয়ে চলছেঃ প্রধানমন্ত্রী
By Our Correspondent
আগরতলা, নভেম্বর ১৫, : রাজ্যের বিকাশে পুরাতন চিন্তা ভাবনাকে পাল্টে ত্রিপুরা এখন অগ্রগতির দিকে এগিয়ে চলছে। বর্তমানে ত্রিপুরায় ডাবল ইঞ্জিন সরকার পূর্ণশক্তি এবং আন্তরিকতার সাথে ত্রিপুরা সহ দেশের সর্বাত্মক উন্নয়নে নিয়োজিত। আগরতলা ও দিল্লী এখন একসাথে উন্নয়নের দিশায় ত্রিপুরার বিকাশের জন্য নীতি প্রনয়ণ করছে যাতে ত্রিপুরাকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যাওয়া যায়। আজ দুপুরে এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা-গ্রামীণ প্রকল্পে আওতাভুক্ত রাজ্যের সুবিধাভোগীদের মধ্যে ঘর নির্মাণের জন্য প্রথম কিস্তির টাকা প্রদান করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একথা বলেন। উল্লেখ্য, আজ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা-গ্রামীণ প্রকল্পের আওতাভুক্ত ত্রিপুরার ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৮০৫ জন সুবিধাভোগীকে প্রথম কিস্তির টাকা প্রদান করা হয়েছে। এই প্রকল্পে পাকা ঘর নির্মাণে প্রথম কিস্তির ৪৮ হাজার টাকা করে সুবিধাভোগীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি দেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার ত্রিপুরার অগ্রগতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে দায়বদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা-গ্রামীণ প্রকল্পের অধীনে দেওয়া প্রথম কিস্তি আজ ত্রিপুরার স্বপ্নকে নতুন গতি দিয়েছে। তিনি বলেন, এক সময় উত্তরপূর্ব রাজ্যগুলি বিভিন্ন কারনে উপেক্ষিত ছিল। কিন্তু বর্তমানে দেশের সার্বিক বিকাশের ক্ষেত্রে এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারতের ভাবনা প্রতিফলিত হচ্ছে। উন্নয়নকে এখন দেশের ঐক্য অখন্ডতার সমার্থক বলে মনে করা হয়। প্রধানমন্ত্রী ভারতের আত্মবিশ্বাসী নারীদের দেশের উন্নয়নে ভূমিকা ও অবদানের কথাও তুলে ধরেন। মহিলা অসহায়ক গোষ্ঠীগুলিকে জনধন অ্যাকাউন্টের সাথে সংযুক্ত করা হয়েছে। এই ধরনের স্ব-সহায়ক গোষ্ঠীদের জন্য উপলদ্ধ জামানতমুক্ত ঋণ দ্বিগুন করা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রায় ৪ হাজার মহিলা স্ব-সহায়ক গোষ্ঠী রাজ্যে ছিল। ২০১৮ সালের পর রাজ্যে আগের চেয়ে অনেক বেশি সংখ্যায় নতুন স্ব-সহায়ক গোষ্ঠী গঠিত হয়েছে। মহিলা সহায়ক দলে যুক্ত মহিলারা কৃষি, বাঁশ বেত নির্ভর বিভিন্ন শিল্প সামগ্রী তৈরির সাথে যুক্ত হচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ ডাইরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফারের মাধ্যমে সরাসরি সুবিধাভোগীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাচ্ছে।