Share Whatsapp

রাজ্যের গ্রামীণ এলাকার ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৮০৫ জন সুবিধাভোগীকে গৃহ নির্মাণের প্রথম কিস্তির টাকা প্রদান করবেন প্রধানমন্ত্রী : উপমুখ্যমন্ত্রী

By Our Correspondent

আগরতলা, ১৪ , : প্রধানমন্ত্রী নরেন্য মোদি আজ (১৪ নভেম্বর, ২০২১) প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা-গ্রামীণ প্রকল্পে রাজ্যের গ্রামীণ এলাকায় ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৮০৫ জন সুবিধাভোগীকে একই সঙ্গে গৃহ নির্মাণের জন্য প্রথম কিস্তির টাকা প্রদান করবেন। আজ দুপুর একটায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথম কিস্তির ৪৮ হাজার টাকা সরাসরি সুবিধাভোগীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রদান করবেন। এটা রাজ্যের জন্য এক ঐতিহাসিক মাইলস্টোন বলে অভিহিত করেন উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা। আজ সন্ধ্যায় সচিবালয়ের প্রেস কনফারেন্স হলে সাংবাদিক সম্মেলনে উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ) রাজ্যে রূপায়ণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। সাংবাদিক সম্মেলনে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী এবং গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব টি কে দেবনাথ উপস্থিত ছিলেন। উপমুখ্যমন্ত্রী শ্রী দেববর্মা রাজ্যের ইতিহাসে গ্রামীণ আবাস যোজনায় এধরণের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীকে রাজ্যের জনগণের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, বর্তমান রাজ্য সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলেই ত্রিপুরা ও আসামের ক্ষেত্রে এই যোজনায় গ্রামীণ ঘর নির্মাণের সংজ্ঞা পরিবর্তন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তিনি জানান, আমীকাল রাজ্যের ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৮০৫ জনের অ্যাকাউন্টে একসঙ্গে মোট ৭০৯ কোটি ৪৬ হাজার টাকা ঢুকে যাবে। এর ফলে ঘর নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত রাজমিস্ত্রী, কাঠমিস্ত্রী সহ অনেকেই আর্থিকভাবে উপকৃত হবেন। পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকার অর্থনৈতিক ব্যবস্থাও স্বচ্ছল হবে বলে উপমুখ্যমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।

উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের গ্রামীণ এলাকায় মোট ৬ লক্ষ ৯৭ হাজার পরিবার রয়েছে। ২০১১ সালের এস ই সি সি সার্ভে অনুযায়ী রাজ্যের ২ লক্ষ ৮ হাজার পরিবার ঘর নির্মাণের নীতি নির্দেশিকার কারণে বাদ পড়ে যায়। বর্তমান রাজ্য সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় ঘর নির্মাণের নীতি নির্দেশিকার পরিবর্তন করেছে। কেন্দ্ৰীয় সরকার এবং একসঙ্গে ১ লক্ষ ৫৯ হাজার ঘরের মঞ্জুরী দিয়েছে। রাজ্য সরকার এছাড়াও অতিরিক্ত ২২ হাজার ৭৫৯ ঘরের জন্য কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের নিকট প্রস্তাব পাঠিয়েছে। উপমুখ্যমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (গ্রামীণ) ঘর প্রদানের কাজটি রাজ্য সরকার মিশন মুডে রূপায়ণ করছে। গত ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ তারিখ এক দিনেই ১ লক্ষ ৫৯ হাজার সুবিধাভোগীকে ঘর প্রদানের প্রশাসনিক অনুমোদন দিয়েছে। জিও ট্যাগিং ও অনলাইন রেজিস্ট্রেশনও মিশন মুডে সম্পন্ন করা হয়েছে। সুবিধাভোগীদের সচেতন করার লক্ষ্যে কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। সুবিধাভোগীদের কি ডিজাইনের ঘর বানালে টেকসই হবে তার জন্য ডিজাইন অপশনও দেওয়া হয়েছে।

উপমুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যের ১ লক্ষ ৫৯ হাজার ঘর নির্মাণের জন্য প্রায় ২২০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। ফলে রাজ্যের গ্রামীণ এলাকায় অর্থনৈতিক ব্যবস্থারও উন্নতি ঘটবে বলে উপমুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলনে অভিমত ব্যক্ত করেন। সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভূয়ো সংবাদ ও ভুয়ো ভিডিও প্রকাশ করে একাংশ লোক সংকীর্ণ রাজনীতি করছে। রাজ্য সরকার তা বরদাস্ত করবে না। তিনি বলেন, ত্রিপুরার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও গরিমাকে কালিমালিপ্ত করার প্রয়াস চলছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। উস্কানি ও মদত দিয়ে ত্রিপুরাকে দেশের মধ্যে হেয় করার চেষ্টা চলছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। রাজ্য সরকার কিছুতেই রাজ্যকে বদনাম করতে দেবেননা বলে উপমুখ্যমন্ত্রী দৃঢ় অভিমত ব্যক্ত করেন।


You can post your comments below  
নিচে আপনি আপনার মন্তব্য বাংলাতেও লিখতে পারেন।  
বিঃ দ্রঃ
আপনার মন্তব্য বা কমেন্ট ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই লিখতে পারেন। বাংলায় কোন মন্তব্য লিখতে হলে কোন ইউনিকোড বাংলা ফন্টেই লিখতে হবে যেমন আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড (Avro Keyboard)। আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ডের সাহায্যে মাক্রোসফট্ ওয়ার্ডে (Microsoft Word) টাইপ করে সেখান থেকে কপি করে কমেন্ট বা মন্তব্য বক্সে পেস্ট করতে পারেন। আপনার কম্পিউটারে আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড বাংলা সফ্টওয়ার না থাকলে নিম্নে দেয়া লিঙ্কে (Link) ক্লিক করে ফ্রিতে ডাওনলোড করে নিতে পারেন।
 
Free Download Avro Keyboard  
Name *  
Email *  
Address  
Comments *  
 
 
Posted comments
Till now no approved comments is available.