Hare to Whatsapp
পুণ্যভূমি ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দিরকে ধর্মীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার উদ্যোগ নিয়েছেঃ মুখ্যমন্ত্রী
By Our Correspondent
আগরতলা, নভেম্বর ৬, : পুণ্যভূমি ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দিরকে অন্যতম ধর্মীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দির আগামীদিনে রাজ্যের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠবে। ৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় মাতাবাড়ির ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে দুদিনব্যাপী দীপাবলি উৎসবের উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। মুখ্যমন্ত্রী প্রথমেই ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির দর্শন শেষে কল্যাণ সাগরপাড়ে মঙ্গল আরতিতে অংশগ্রহণ করেন ও কলাণ সাগর প্রদক্ষিণ করেন। কল্যাণ সাগরে কয়েকটি ছোট ছোট কচ্ছপ ছাড়েন। এদিনের অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক, পর্যটনমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায়, সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী সান্তনা চাকমা, কারামন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল, ত্রিপুরা স্বশাসিত জেলা পরিষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী সদস্য পূর্ণচন্দ্র জমাতিয়া, গোমতী জিলা পরিষদের সভাধিপতি স্বপন অধিকারী, বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া, বিধায়ক সুভাষ চন্দ্র দাস, বিধায়ক বিপ্লব কুমার ঘোষ, পূর্বোদয়া সামাজিক সংস্থার সম্পাদিকা নীতি দেব, গোমতী জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার প্রমুখ।
গতকাল সকালে ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির প্রাঙ্গণে কেদারনাথ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণ সগকাল সকালে ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির প্রাঙ্গনে কেদারনাথ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণ সরাসরি সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানেও অংগ্রহন করেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব এই অনুষ্ঠানে কয়েকজন সাধুসন্তদের সন্মাননা জ্ঞাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, ভারতীয় সংস্কৃতি আমাদের একসূত্রে বেঁধে রেখেছে প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আধুনিক ভারতের সাথে আমাদের গৌরবময় সংস্কৃতিকে প্রাত্যহিক জীবন ও সমাজ ব্যবস্থায় সম্পৃক্তকরণ সম্ভবপর হয়েছে। মাতৃতান্ত্রিক এই ভূমিতে আমাদের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির বিকাশের ফলে সামাজিক অবক্ষয় ও অপসংস্কৃতির অবসান ঘটছে। এরফলে রাজ্যে মহিলা নিপীড়ন হ্রাস পেয়েছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরও পরিদর্শন করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পর্যটনমন্ত্রী প্রানজিৎ সিংহ রায়, বিধায়ক বিপ্লব কুমার ঘোষ, বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া, গোমতী জিলা পরিষদের সভাধিপতি স্বপন অধিকারী প্রমুখ।