ভয়ংকর বিপদ ডেকে আনতে পারে ওপারের সমাবেশ
প্রদীপ চক্রবর্তী
ব্রাক্ষনবাড়িয়ার লক্ষাধিক লোকের অবৈধ সমাবেশ ত্রিপুরার পক্ষে বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সমাবেশ রাজ্যের উপর বিষাক্ত নিঃশ্বাস ফেলছে। এই সমাবেশের খবরে রাজ্যে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। কখন কি হয় তা এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনিতে নিজামউদ্দিন এর সমাবেশ দেশ জুড়ে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বিস্তার করেছে।
ব্রাক্ষনবাড়িয়া আগরতলার একেবারেই লাগোয়া। আখাউড়া থেকে যেতে আসতে ৪০ মিনিট সময় নেয়। তাছাড়া ওখানকার সাথে আগরতলার আত্নিক সম্পর্ক রয়েছে।ব্রাক্ষনবাড়িয়ার লোকজন যেমন দিনে এসে দিনে ফিরে যায়,তেমনি আগরতলার লোকজনের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা।
গোটা বিশ্বের মানব সভ্যতা এখন প্রচন্ড সংকটে। করোনা মহামারী একের পর এক প্রান ছিনিয়ে নিচ্ছে। এখন জীবনের জয়গান প্রায় স্তব্দ। কখন যে কোথায় যাবে তা অনিশ্চিত। এক ভয়ংকর ও অভাবিত পরিস্থিতি। এই অবস্থায় এই সমাবেশ নুতন প্রশ্ন জন্ম দিয়েছে। বাংলাদেশের করোনা জনিত পরিস্থিতি ও উদ্বেগজনক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ওদেশের সরকার হিমশিম খাচ্ছে। আরোপিত নানা বিধি নিষেধ। সে দেশেও চলছে লকডাউন। এই অবস্থায় কি ভাবে লাখো লোকের সমাবেশ হল, এবং এই পরিস্থিতিতে তা বিষ্ময়কর, শুধু না করোনা সংক্রমনের ক্ষেত্রে বিপজ্জনক। সেখানে থানা আছে, আছে পুলিশ, আছে প্রশাসন এই অবস্থায় এই মুহুর্তে কিভাবে লাখো লোকের সমাবেশ ঘটল? পুলিশের এই নীরব ভূমিকা কেন? যদিও পরবর্তীতে পুলিশ বলেছে তাদের কিছু করার ছিলনা। তাজ্জব ব্যাপার। ওঁদের কিছু করার না থাকলে তো ওরা আধা সামরিক বাহিনীর বা RAB এর সাহায্য নিতে পারত। কিন্তু ওরা তো তা করেই নি। এই না করার মধ্য দিয়ে এই সমাবেশ বাংলাদেশের করোনা জনিত পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে দিয়েছে। অবধারিতভাবে আশপাশ এলাকায় করোনা সংক্রামিত হবেই। নিশ্চিত ভাবেই বাংলাদেশ সরকার বিস্তার রোধে যুদ্ধকালীন তৎপরতা শুরু করেছে।
ত্রিপুরা প্রায় তিন দিক দিয়েই বাংলাদেশ পরিবেষ্টিত। সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া থেকে ও অনুপ্রবেশ অব্যাহত। যদিও পুলিশ, বিএসএফ সতর্কিত। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বারবারই অনুপ্রবেশ সম্পর্কে সতর্ক ও সজাগ থাকতে সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী ও বিএসএফ কে সতর্ক করেই চলেছেন।
এখন তো সতর্কতা আরো বাড়াতেই হবে, নজরদারি জোড়ালো করতেই হবে। রাতের সীমান্ত প্রহড়া নিবিড় ও সংহতি করতেই হবে। এক্ষেত্রে সামান্য হেলাফেলা রাজ্যের পক্ষে ভয়ংকর বিপদ হয়ে উঠতে পারে।