জুবিন গর্গ : উত্তরপূর্ব ভারতের বিদ্রোহী আইকন

শঙ্খশুভ্র দেববর্মণ

September 26, 2025

জুবিন গর্গ প্রয়াত। ২০২৫ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর, ৫২ বছর বয়সে, সিঙ্গাপুরের সমুদ্রে ডুবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর কারণ যদিও নিশ্চিত নয়; তবে বিভিন্ন রিপোর্ট সূত্রে ধারণা করা হচ্ছে যে মৃগী ব্যাধির কারণেই ঘটেছে এই দুঃখজনক ঘটনা। জুবিন সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিতব্য নর্থ ইস্ট ইন্ডিয়া ফেস্টিভালে গান গাইতে গিয়েছিলেন। ১৯৯০-এর দশকে তিনি খ্যাতি অর্জন করেন। অসম তথা উত্তরপূর্বাঞ্চলের জনজীবন তখন বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন এবং সেনা বাহিনীর আরোপিত কারফিউর জেরে প্রায় ধ্বস্ত ! সেই থমথমে নির্জন দিনগুলিতে আহত সময়ের উপশম হয়ে উঠেছিল এক তাজা তরুণ কণ্ঠের হৃদয়স্পর্শী সংগীত। সেই তরুণ শিল্পী ছিলেন জুবিন গর্গ। তখন ছিল রেডিও আর ক্যাসেটের যুগ। তারপর সময় বদলেছে। প্রযুক্তির রূপান্তর ঘটেছে। পরিবর্তন এসেছে অসম তথা উত্তরপূর্বাঞ্চলের আর্থ-সামাজিক জীবনে। ক্রমে স্তিমিত হয়েছে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন আর কারফিউয়ের আতঙ্ক ।

ক্রমে উন্মেষ ঘটেছিল শপিং মল আর কল সেন্টার কেন্দ্রিক নতুন প্রজন্মের । রেডিও আর ক্যাসেটের বদলে এসেছিল স্মার্ট ফোন, ল্যাপটপ, এফএম এবং প্লেলিস্টের অবিরাম ঘূর্ণন। গায়ক জুবিন তখন আরও পরিণত। আরও বেশি পরিশীলিত। নব্বুই দশকের বিশৃঙ্খলায় উৎপীড়িত প্রেমিক, বিদ্রোহী এবং দিশাহীন যুবকদের অনুজ টেক-স্যাভি প্রজন্মের কাছেও একই রকম সমাদৃত হয়ে উঠেছিল জুবিন । তবে ২০০৬’য়ে অসম, উত্তরপূর্বাঞ্চলের সীমানা ছাড়িয়ে তাঁর খ্যাতি ব্যাপ্ত হয় সর্ব ভারতীয় স্তরে। সেই বছর হিন্দি চলচ্চিত্র ‘গ্যাংস্টার’এর জন্য গেয়েছিলেন। ছবিটি স্যুপার হিট হয়। ছবিতে গাওয়া জুবিনের "ইয়া আলী" গানটি সমগ্র ভারত জুড়ে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে। রাতারাতি হয়ে উঠেন সর্ব ভারতীয় তারকা। এতদ সত্বেও তিনি তাঁর আঞ্চলিক অস্মিতায় অবিচল ছিলেন। বলিউডে প্রচণ্ড ব্যস্ততার মাঝেও অসমীয়া, বাংলা চলচ্চিত্রের জন্য গেয়েছেন। মিউজিক অ্যালবাম বানিয়েছেন । স্থানীয় চলচ্চিত্র শিল্পের সঞ্জীবনে কাজ করে গিয়েছেন । গান গেয়েছেন বিভিন্ন ভাষায় । অসমীয়া, হিন্দি, বাংলা, ইংরেজি ভাষায় গেয়েছেন। সব মিলিয়ে তাঁর গানের সংখ্যা ৪০ হাজারেরও বেশি। সংখ্যায় এবং বৈচিত্র্যে অবশ্যই দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী জুবিন।

ব্যক্তি জীবনেও তিনি কোনও প্রথাই মেনে চলতেন না। পোশাক পরিচ্ছেদেও তিনি ছিলেন ব্যতিক্রম । ব্যাকস্টেজে মদ্যপান করতে পারতেন। মদ্যপ অবস্থায় মঞ্চে উঠে গান গেয়ে দর্শক সাধারণের হৃদয় জয় করে নিতে পারতেন। দর্শক সাধারণের সঙ্গে আত্মিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারতেন । তিনি মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে বলতে পারতেন, " সুবিধাবাদীদের মতো হয়ো না, সমাজতান্ত্রিক হও। আমি একজন সমাজতান্ত্রিক।" সর্ব ভারতীয় মাধ্যমে পরে এটিকে সংশোধন করে বলেছিলেন, "সামাজিক বামপন্থী।" জীবনের পথে নিজের মতো করে চলা, স্পষ্ট কথা বলা - এইসব ক্ষমতা ছিল তাঁর সহজাত!

তাঁর প্রকাশ্য জীবনযাত্রা অনেক সময়ই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিল । একবার তিনি শর্টস পরেই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছিলেন, তারপর সেখানে গেয়েছিলেন জাতীয় সংগীত নয় এমন একটি গান, এবং এর ফলশ্রুতিতে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। অসমের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংস্থা আলফা তাকে হিন্দি গান গাইতে মানা করেছিল। আলফা’র সেই নিষেধাজ্ঞায় তিনি কর্ণপাত করেন নি । ২০১৬’র একটি ঘটনা। উদ্যোক্তারা অনুষ্ঠানে তাঁকে হিন্দি গান গাইতে বারণ করেছিলেন। তিনি গান না গেয়েই গুয়াহাটির সেই বিহু মঞ্চ থেকে নেমে গিয়েছিলেন। পরে তিনি ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেছিলেন যে, শুধু গামোসা পরলেই কেউ অসমীয়া হয়ে যায় না। হিন্দির বিরুদ্ধে কথা বলে লাভ নেই। স্কুলে মাতৃভাষার পরিবর্তে ছেলেমেয়েদের কেন ইংরেজি শেখানো হচ্ছে - সে বিষয়ে বরং সবারই দৃকপাত করা উচিত।

২০১৯ সালের ৩০ জুলাই এক অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণদের সম্পর্কে কঠোর কথা বলেছিলেন। বলেছিলেন ব্রাহ্মণদের জন্যই ভারতে বৈষম্যজনিত যত দুর্দশা। দেশ থেকে তাই ব্রাহ্মণবাদ’কে নিশ্চিহ্ন করা উচিত। এসব বলার জন্য পরে অবশ্য ক্ষমাও চেয়েছিলেন। ২০২৪ সালের ২২ এপ্রিল ফের বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন জুবিন । সেবার তিনি বলেছিলেন কৃষ্ণ নিছকই একজন সাধারণ মানুষ; ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব নন কিম্বা ঈশ্বরও নন। স্বার্থান্বেষী ব্রাহ্মণেরাই কৃষ্ণকে করে তুলেছে ঈশ্বরের অবতার। তারপর মাজুলির সত্র প্রতিষ্ঠানগুলি নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করার কথাও বলেছিলেন। তখনও জুবিনের এসব বক্তব্যকে ঘিরে জল ঘোলা কম হয় নি ! এসব বিতর্কের মাঝেই কিন্তু তিনি ক্রমান্বয়ে গান গেয়েছেন ।

নেট প্রভাবী ছিলেন না; ছিলেন সাধারণ মানুষের নয়নের মধ্যমণি। পথে চলতে গিয়ে ভক্তকে জড়িয়ে ধরেছেন। ব্যবস্থাপনা মর্জিমাফিক না হলে অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছেন। শেষে মিটমাটও করে নিয়েছেন।



সেলিব্রিটি হওয়া সত্বেও তিনি স্বচ্ছন্দে তিনি জন সাধারণের সঙ্গে পা মিলিয়ে পথে চলতে পারতেন। জন সাধারণও তাঁর জীবন শৈলীতে চমৎকৃত হয়েছে।

তিনি ছিলেন অসম, উত্তরপূর্ব ভারতের নিজস্ব বব ডিলান — অনিয়ন্ত্রিত, প্রিয় এবং সর্বদা বিদ্রোহী। বিভিন্ন ইস্যুতে তিনি প্রতিবাদে সোচ্চার হতেন, আবার মর্জি মাফিক সেসব থেকে সরেও দাঁড়াতেন। লতাশিলের মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন, এবং জনতা গর্জে উঠেছিল বজ্রধ্বনির মতো। পরে তিনি বলেছিলেন অসম এই আইন মানবে না এবং শান্তির সপক্ষে আবেদন করেছিলেন। জনসভা নয় - জনপথ পছন্দ করতেন। কিন্তু সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতেন মঞ্চকে।

স্বাস্থ্যগত বেশ কিছু সমস্যা ছিল তাঁর । মৃগীরোগ জনিত কারণে বিভিন্ন সময়ে নাকি জ্ঞান হারিয়েছেন। এমতাবস্থায় অন্য কোনও সেলিব্রিটি হয়তো সমুদ্রে সাঁতার কাটার মতো ঝুঁকি এড়াতেন। জুবিন কিন্তু বেঁচেছিলেন তার নিজের নিয়ম বা শর্ত মেনে। প্রথাগত নিয়ম বা রীতিনীতি মেনে চলা ছিল তাঁর মতো ম্যাভেরিকের পক্ষে দুস্কর !

মৃত্যুর আগের রাতে সিঙ্গাপুরের একটি ছোট বারে, গিয়েছিলেন । সেখানে তিনি এক সময় হাউজ সিঙ্গারের পিছনে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন এবং মাইক হাতে নিয়ে গেয়েছিলেন "টিয়ার্স ইন হেভেন"! হতে পারে কাকতালীয় ! কিন্তু এতে কোনও নাটকীয়তা ছিল না । এ ছিল শুধু হারানো ভালোবাসা এবং আবার দেখা হওয়ার আশার একটি সহজ সরল গান। যথারীতি সেই রাতে জুবিনের গানে উপস্থিত সজ্জনেরা মুগ্ধ হয়েছিলেন । তখনও হয়তো কেউ জানতেন না, জ্ঞাত অথবা অজ্ঞাতসারে জুবিন "টিয়ার্স ইন হেভেন" নামক এই বিদায়ের গান শেষবারের মতো গাইবেন !

গত কয়েক দশকে অসম সহ উত্তরপূর্ব বহু রাজনৈতিক উত্থানপতনের সাক্ষী থেকেছে। বদলেছে অনেক কিছু । স্তিমিত হয়েছে বিচ্ছিন্নিতাবাদী আন্দোলন। হ্রাস পেয়েছে সামরিক বাহিনীর দাপাদাপি। ফিরেছে শান্তির পরিবেশ। বয়েছে উন্নয়নের সুপবন । নির্মিত হয়েছে বেশ নতুন রাস্তা ও সেতু । উন্নত হয়েছে যোগাযোগের ব্যবস্থা। বিস্তৃত হয়েছে বাজার । ঘটেছে মিডিয়ার বাড় বাড়ন্ত । ২০১৯’এ সিটিজেনশীপ (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট ইস্যুতে অসমের জনরোষ আবার বিস্ফোরিত হয়েছিল। জনতা ফের রাস্তায় নেমেছিল। নাগরিক পরিচয় পত্র, অভিবাসন, জমি এবং ভাষা জনিত প্রশ্নগুলির সহজ সমাধান মেলেনি। তবে জুবিনের অভিব্যক্তিতে ব্যক্ত হয় এই পরিবর্তনগুলি। তাই তিনিই পারতেন ভক্তিগীত গেয়ে মঞ্চে ঝগড়া বাধাতে। তিনি আগ বাড়িয়ে সমাবেশে কথা বলতে পারতেন, আবার পিছিয়েও যেতে পারতেন। গানের মাধ্যমে তিনি তার শ্রোতাদের গর্বিত করলেও নিজের ইমেজকে কিন্তু কোনও আদর্শের লেবেলে আবদ্ধ করতে কখনই আগ্রহী ছিলেন না। সাধু হতে চান নি; ছিলেন একরোখা প্রতিবাদী । শিল্পী হিসেবে স্বভাব সুলভ ভাবেই তিনি আবেগের বশে কাজ করতেন এবং স্পষ্ট ভাবেও এও বলতেন, ‘’ আমার কোনো জাতি নেই, আমার কোনও ধর্ম নেই, আমি মুক্ত !’’ ব্রাহ্মণের সন্তান হওয়া সত্বেও জলাঞ্জলি দিয়েছিলেন ধর্মীয় আচার পদ্ধতি। রীতির বিরুদ্ধে গিয়ে খুলে রেখেছিলেন পৈতে। দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র থাকাকালীন তিনি তার পৈতেখানা ছুঁড়ে ফেলেছিলেন। স্পষ্ট কথা এবং জীবন দর্শনই আপামর জনসাধারণের হৃদয়ে জুবিনের গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়ে তুলেছিল। তিনি একবার বলেছিলেন, "আমার জন্য শুধু একটি চিতাই থাকবে। আমার সমস্ত সম্পদ ও সম্পত্তি আমার ভূমির মানুষের।" জীবিত থাকাকালীন, তিনি প্রায়ই দাবি করতেন যে তিনি তার আয়ের অর্ধেক দান করে দিয়েছেন। নিশ্চিতভাবে এটুকু বলা যায়: গুয়াহাটিতে তার বাসস্থান থেকে অভাবীরা কেউই খালি হাতে ফেরেনি।

জুবিন সমাজে শ্রেণী বিভেদ বা জাতিগত বিভেদ মানতেন না। কোভিডের সময় রাষ্ট্র দেখেছিল জুবিনের আরও এক ভিন্ন দিক। তিনি থাকতেন গুয়াহাটিতে নিজের দুই তলা বাড়িতে । সেই সময় তিনি তাঁর বাড়ির দরজা খুলে দিয়েছিলেন কোভিড রোগীদের জন্য। এদিকে বিভিন্ন কারণে সরকারেরও বিরোধিতা করেছিলেন। ডিটেনশন ক্যাম্পে গিয়ে কথা বলেছিলেন আটক মানুষজনের সঙ্গে। প্রকাশ্যে বিরোধিতা করেছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের নাগরিকত্ব আইনের। অগণিত মানুষের প্রিয় বলে সরকারও তাঁকে সমীহের চোখেই দেখতো।

তিনি অবলীলায় জন সমক্ষে প্রভাবশালী মন্ত্রীদের দুর্নীতিগ্রস্ত ও বোকা বলে সম্বোধন করতেন। তিনি ভারত সরকারকেও ছেড়ে কথা বলেন নি । ভারত সরকারের তরফে অসমীয়াকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়ার সংবাদ শুনে সাংবাদিক ও অতিথিদের সামনে মঞ্চেই জুবিন যেন ক্রোধে ফেটে পড়েছিলেন। ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেছিলেন "আমাদের স্বীকৃতি দেবার জন্য ভারত সরকার কে? … অসম তেল দিয়েছে, গণ্ডার দিয়েছে—আর দিয়েছে জুবিন। আপনারা আসলে কে? আমরা আপনাদের চেয়ে বেশি আধুনিক।"

জুবিনের এহেন নার্সিসিজমের মধ্যে অসম তথা উত্তরপূর্ব ভারতের মানুষ আসলে তাদেরই অস্মিতাকে খুঁজে পেয়েছে। তাই এই অঞ্চলের জনগণ তাঁকে অহংকারী শিল্পীর মতো না দেখে নিজেদের সত্তার প্রতিচ্ছবি হিসেবেই দেখেছে। এই ভাবেই উত্তরপূর্ব ভারতের জনগণের কাছে হয়ে উঠেছেন অবিসংবাদিত আইকন। অসমীয়া সংগীত আগেও জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু জুবিন অসমীয়া সংগীতকে কে জনপ্রিয়তার শীর্ষদেশে পৌঁছে দিয়েছিলেন তিনি। জুবিনের আগে এমনটা ছিল বেনজির। জনমানসে তাই যে কোনও রাজনীতিকের চাইতে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা হয়ে উঠেছিল বেশি ।



শুধু অসমের একজন শিল্পী নন - উত্তর-পূর্ব ভারতের মানুষের কাছে জুবিন গর্গ আবেগ, অহংকার এবং চিরন্তন পরিচয়ের এক উজ্জ্বল নিদর্শন।

২০১৯ সালে, তার কালজয়ী গান "মায়াবিনী রাতির বকুত" গাইতে গিয়ে জুবিন মঞ্চে হেসে বলেছিলেন: "যেদিন আমি মরব, সমস্ত অসমকে গাইতে হবে, "ধূমুহর শত মোর, বহু যুগরে নাচোন..." … ‘’আমি বহু যুগ ধরে ঝড়ের সাথে নাচছি।" অসমের হৃদস্পন্দন বুঝতেন বলেই হয়তো ভবিতব্যের মতো সেবার কথাগুলি বলেছিলেন।

আজ স্তব্ধ সেই বিদ্রোহী কণ্ঠস্বর। শোকাভিভূত অসম এবং উত্তরপূর্ব ভারত। গুয়াহাটিতে সম্পন্ন হল পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জুবিন গর্গের শেষকৃত্য । শেষ শ্রদ্ধা জানাতে জন সমাগম ঘটেছিল পনেরো লক্ষেরও বেশি। শুধু ভারতে নয় - গোটা বিশ্বেই এই ঘটনা অভূতপূর্ব। ভারতীয় গায়ক জুবিন গর্গের শেষকৃত্যের সমাবেশটি তাই লিমকা বুক অফ রেকর্ডস কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে ইতিহাসের চতুর্থ বৃহত্তম অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জনসমাবেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এর আগে মাইকেল জ্যাকসন, পোপ ফ্রান্সিস এবং রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যে জন সমাবেশের রেকর্ড ছিল। ‘ঝড়ের সঙ্গে নৃত্য’রত জুবিন যে সর্বার্থেই অনন্য - মৃত্যুর পরেও তাঁর অন্তিম যাত্রায় মানুষের রেকর্ড সমাবেশে ফের প্রমাণিত হল সেই কথাই।

আরও পড়ুন...


Post Your Comments Below

নিচে আপনি আপনার মন্তব্য বাংলাতেও লিখতে পারেন।

বিঃ দ্রঃ
আপনার মন্তব্য বা কমেন্ট ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই লিখতে পারেন। বাংলায় কোন মন্তব্য লিখতে হলে কোন ইউনিকোড বাংলা ফন্টেই লিখতে হবে যেমন আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড (Avro Keyboard)। আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ডের সাহায্যে মাক্রোসফট্ ওয়ার্ডে (Microsoft Word) টাইপ করে সেখান থেকে কপি করে কমেন্ট বা মন্তব্য বক্সে পেস্ট করতে পারেন। আপনার কম্পিউটারে আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড বাংলা সফ্টওয়ার না থাকলে নিম্নে দেয়া লিঙ্কে (Link) ক্লিক করে ফ্রিতে ডাওনলোড করে নিতে পারেন।

Free Download Avro Keyboard

Fields with * are mandatory





Posted comments

Till now no approved comments is available.