দূর্গম গিরি, কান্তার মরু, দূস্তর পারাবারে ত্রানে পুলিশ ও টিএসআর
গৌরব চক্রবর্তী
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ গোটা বিশ্বজুড়ে যখন তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছে ঠিক তখন ত্রান সাহায্য বন্টনের নামে রাজধানী আগরতলায় শুরু হয়েছে ফটোসেশন আর বদনকিতাব পোষ্টের যুদ্ধ। ভাবটা এমন কার আগে কে করিবে প্রানদান। অনেকেই গাড়ী নিয়ে আগরতলা ও তার উপকন্ঠে চক্কর কাটছে। হঠাৎ করেই গাড়ী থেমে যায়, কয়েকটি পার্সেল ও দশটাকা দামের জলের বোতল নিয়ে নেমে আসে কয়েকজন যুবক, দুএকজনের হাতে প্যাকেট, জল দিয়ে আবার গাড়ীতে চেপে খুঁজতে থাকে ভবঘুরেদের। দুএকজন পেলেই হল। ব্যস,আবার জলের বোতল, পার্সেল নিয়ে ওদের হাতে তুলে দিয়ে চম্পট। গাড়ীতে বসে বদনকিতাবে আপলোড। ব্যস হয়ে যায় এদের মহান কর্ম যজ্ঞ। সন্ধ্যায় আবার বেড়িয়ে পড়ে ওরা। আবার সেই একই ধারা। একটি বা দুটি নয় এমন এখন অনেক উদার প্রানধারী মহতী যুবক রয়েছে যারা মহান ত্রানে নিবেদিত প্রাণ।
শুধু এরা কেন এমন অনেককেই রয়েছেন তাদের ত্রান বা খাদ্য বিতড়ন রাজধানীতে চলে।এরা যে দু'পা ফেলিয়া গ্রামের পথে পা বাড়াবে তাঁর ফূরসৎ নেই,নেই চিন্তা ভাবনা। সদর মহকুমার বিভিন্ন স্হান বা অঞ্চল রয়েছে,যেগুলি উপজাতিয় অধ্যূষিত সেখানে তো ওরা যায়না,যাবেও না। কে এত পরিশ্রম করবে? নেটওয়ার্ক পাওয়া যাবে কিনা এসব চিন্তা করলে এদের মাথা চক্কর কাটতেই থাকে।
সম্প্রতি রামকৃষ্ণ মিশন, সদরের সিমনা অন্চলে খাদ্য,ত্রান সামগ্রী বিতরণ করেছে। ওই অঞ্চল উপজাতিয়। সন্ন্যাসীদের পরিচিত জায়গাও নয়। তবু ওরা একে ওকে ধরে পরপর কয়েকদিন ত্রান অভিমান পরিচালনা করেছেন। মহেষখলা এলাকাতেও মিশন ত্রান, খাদ্য সামগ্রী দিয়েছে। কিন্তু এদের সাথে এমন এক চরিত্রবাণ ছিল যে স্বাস্হ্য মিশনে কর্মরত। মিশনের নাম ভাঙিয়ে চলাই তার স্বভাব বলে অনেকেই বলে থাকেন।
কিন্তু না সরকার না স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির নজর নেই রাজ্যের দূর্গম, প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারী উপজাতিদের প্রতি। এদের হাতে অর্থ নেই,ঘড়ে চাল নেই, উনুনে হাড়ি চাপে না ইদানিং তার উপর করোনা। পানীয় জল সংকট, বিপন্ন স্বাস্হ্য পরিষেবা। উদ্বেগজনক চিত্র।
কিন্তু রাজ্যের গর্ব টিএসআর দেখিয়ে দিচ্ছে দূর্গম গিরি, কান্তার মরু ,দূস্তর পারাবার হয়ে কিভাবে মাথায় চাল,বালের ব্যাগ নিয়ে দূর্গম চড়াই উৎরাই ডিঙিয়ে লংতড়াই মহকুমার পার্বত্য পল্লী ম্যাজিষ্ট্রেট কারবারী,বীরকুমার রোয়াজা পাড়া, বানচন্দ্র, বীরেন্দ্র রোয়াজা পাড়ায় পৌঁছে গেছে সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে। এসডিপিও রতন সাধন নোয়াতিয়ার নেতৃত্বে ওরা ৮০ র বেশি জনজাতির মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে। শিবজ্ঞানে জীবসেবার প্রকৃষ্ট নজীর গেড়েছেন এরা। এদের প্রত্যেককে আমাদের আভূমি প্রনত প্রনাম। এদের শিবজ্ঞানে জীবসেবার প্রসার প্রত্যন্ত অঞ্চলে মোতায়েন টিএসআর ক্যাম্পগুলি করতে শুরু করে তাহলে দূ্র্গম জনপদে বসবাসকারী উপজাতিদের কাছে দূরন্ত দূঃসময়ে আশীর্বাদ হয়ে দাঁড়াবে।ওরা যে চাল, ডাল, বেরমা,বিথির জন্য পাগল পারা হয়ে আছে।
লংতড়াইভ্যালীর দূর্গতদের কাছে জলের বোতল ও তুলে দিয়েছেন। আগামী দিনে এঁরাই হয়ে উঠতে পারে অন্যদের সেবামূলক কাজের পাথেয় এবং প্রেরনা।
না, না,শহর নয় ।গোবিন্দবাড়ী,থালছড়া,মানিকপুর, মমপুই, ভগবান সর্দার পাড়া, রতনপুর,থালছড়া হয়ে উঠুক ত্রানের কেন্দ্রবিন
দুই-ই। এ পথ আমাদের দেখিয়ে গেছেন স্বামী দিব্যানন্দ এখন দেখিয়েছে লংতড়াই ভ্যালীর টিএসআর, পুলিশ।