গ্রামের মেয়ে প্রতিমা পাদপ্রদীপে
প্রদীপ চক্রবর্তী
খুব একটা বেশি দিন হয়নি। তিনি পাদপ্রদীপে উঠে এসেছেন। রাজনীতির পাদপ্রদীপে। তিনি এখন নিত্যদিনই সংবাদ শিরোনামে। কিছু না কিছু তিনি করছেনই। তাঁর কাজ তাঁকে স্ংবাদ শিরোনামে নিয়ে আসছে।
বলছিলাম প্রতিমা ভৌমিকের কথা। তিনি পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচিত সাংসদ। ক্ষমতাসীন বিজেপি দলের প্রতিনিধি হয়ে সোনামুড়ার প্রত্যন্ত মহকুমার মেয়ে সংসদে নানা সময়ে রাজ্যের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন। উওর পূর্ব ভারতের বিভিন্ন সমস্যা নিয়েও মুখর হন তিনি।
লক্ষ্য করলেই দেখা যাচ্ছে নিত্যদিন তিনি রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে ছুটে যাচ্ছেন, নানা কর্মকান্ডে যুক্ত হচ্ছেন। অফিসারদের তিনি মর্যাদা দিয়ে থাকেন অবশ্যই কিন্তু এর বেশী কিছু নয়। বরং বেশী সময় কাটান সাধারণ লোকজনের সাথে। ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের সাথে কিছুটা সময় কাটিয়ে থাকেন। রাজ্যে্র এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে ঘুড়ে বেড়ান তিনি। মোদ্দা কথা বলা যেতে পারে কিছু একটা করার মানসিকতা উনার মধ্যে রয়েছে। এ নিয়ে কারো দ্বিমত পোষণ করার সুযোগ নেই। সবাই তো দল, দলের কর্মী, সমর্থকদের জন্য কিছু একটা করে থাকেন। প্রতিমাও হয়তো কিছু করে থাকেন, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ওর মধ্যে ব্যতিক্রমী কিছু করার মানসিকতা রয়েছে। অন্যরা যা করেননি বা করতে পারেননি তা কিন্তু করে দেখিয়ে দিয়েছেন তিনি। তাঁর এই উদ্যোগ বা কর্মকাণ্ড সর্বস্তরে প্রশংসিত হয়েছে।
সোমবার তিনি আগরতলায় কর্মরত সাংবাদিকদের জন্য মাথাপিছু চার লক্ষ টাকার বীমা করিয়ে দিয়েছেন। এটা কিন্তু একটা বিশাল কাজ বা কর্মকাণ্ড। সাংবাদিকদের নিয়ে কজন ভাবেন বলুনতো? মানে তাদের কল্যানকর দিকগুলো নিয়ে? হলফ করেই বলতে পারি বা কর্ম জীবনের অভিজ্ঞতা থেকেই বলতে পারি, না এরা করেন না, বা করতে পারেনি। বলবে হয়তো সঙ্গতি নেই।
এটাতো কেউ অস্বীকার করতে পারবেন না যে ইচ্ছে থাকলে উপায় হয় না। কিন্তু করেনি বা করবে না হয়তো বা।
এরাজ্যে কর্মরত সাংবাদিকদের অর্থনৈতিক অবস্থা ভঙ্গুর। সামান্য অর্থের বিনিময়ে এদের দিনরাত পরিশ্রম করতে হয়। দিনভর ছুটতে হয় নানা প্রান্তে। যদি বলা হয় এদের আয় কিন্তু নেহাত কম নয়। বিপ্লব দেবের সরকার আসার পর এদের ভরিয়ে দিচ্ছেন বলে প্রকাশ। সমস্যা হলো বাস্তব সত্য লিখলে অনেকেই গোসা করেন।এতে প্রতিবেদকের কিছু যায় বা আসবে না। আমার তো পাওয়ার কিছু নেই। অধিকার থাকলেও অনেক কিছু থেকেই বঞ্চিত করে দিচ্ছে বা দেবে। সামান্য মাক্স ও সেনিটাইজারই দেয়নি। যাক এসব বারান্তরে বলা যাবে।
বলছিলাম প্রতিমা ভৌমিকের সামাজিক কল্যানমূলক কর্মকান্ডের কথা। এই বীমা করিয়ে দেয়ার মধ্য দিয়ে তিনি এদের পরিবার পরিজনদের জীবনের গ্যারান্টি দিয়েছেন। তাদের বীমা করানো হয়েছে তাঁরা এখন হয়ত বুঝবেন না কতবড় কাজ করিয়ে দিয়েছেন প্রতিমা ভৌমিক।
সাংসদ প্রতিমা ভৌমিকের প্রশংসা নয়, যা বাস্তব তাই প্রতিবেদক তুলে ধরা্র চেষ্টা করছে। প্রতিমা ভৌমিকের সাথে আমার তেমন পরিচয় নেই, কথাবার্তা দূরের কথা। কোন এক অতীতে গ্রামের মেয়ে প্রতিমার সাথে পরিচয় ছিল,সৌজন্যতার। দাদা, প্রনাম, কেমন আছেন এতটুকুর মধ্যেই ছিল পরিচয়। এর বেশী কিছু নয়।
কিন্তু সোমবার তিনি সাংবাদিকদের বীমার আওতায় এনে তাদের জীবনের,পরিবারের যে নিশ্চয়তা দিয়েছেন তার জন্য তাদের কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। থাকা না থাকা তাদের ব্যাপার।এটা আমার ব্যক্তিগত অনুভূতি।বলে রাখা ভালো প্রতিবেদক কিন্তু সম্ভাব্য সুবিধাভোগী নয়। সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক উপলব্ধি করেছেন সাংবাদিক দের জীবনের গ্যারান্টির কথা, তাই তিনি এগিয়ে এসে করে দিয়েছেন, এখানে কোন ক্লাব বা সম্পাদকের কৃতিত্ব নেই। কৃতিত্ব ও ভাবনা পুরোটাই গ্রামের মেয়ে প্রতিমার।
(প্রতিবেদক প্রবীন সাংবাদিক)