২০২৫ বিশ্ব-জনসংখ্যা দিবস: যুব ক্ষমতায়নই প্রধান চাবিকাঠি।
সঞ্জয় রায়
July 11, 2025
‘বিশ্ব জন সংখ্যা দিবস’ প্রতিবছর ১১ জুলাই পালন করা হয়। ১৯৮৭ সালে বিশ্ব জনসংখ্যা যখন ৫ বিলিয়ন (৫০০কোটি) পৌঁছেছিল, ঠিক তারপর জনসংখ্যা সংক্রান্ত বিষয়গুলির প্রতি বিশ্বব্যাপী মনোযোগ আকর্ষণ করার জন্য-যেমন টেকসই উন্নয়ন (Sustainable Development) এবং কল্যাণমূলক প্রকল্প সমূহেকে উৎসাহিত করার জন্য ১৯৮৯ সালে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির গর্ভনিং কাউন্সিল ১১ জুলাইকে ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস’ হিসাবে ঘোষণা করে। ১৯৯০ সালের ডিসেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ৪৫/২১৬ রেজুলেশনের মাধ্যমে পরিবেশগত ও উন্নয়নমূলক উদ্বেগের সাথে এর সংযোগের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে প্রতি বৎসর ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৯০ সালের ১১ জুলাই ৯০টির বেশী দেশে প্রথম ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস’ পালিত হয়। তারপর থেকেই উ.এন.ডি.পি (UNDP) এর বিভিন্ন দেশীয় অফিস, সংস্থা, প্রতিষ্ঠান , সরকার এবং নাগরিক সমাজ এই দিনটি পালন করে আসছে।
পৃথিবীর জনসংখ্যা বৃদ্ধির অনেক কারণ রয়েছে। ১৯৫০ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী যে জনসংখ্যার বৃদ্ধি ঘটেছে তা দুটি প্রবণতার ফলাফল: যেমন উন্নত জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা (জন্মের তুলনায় মৃত্যুর হার কমে যাওয়া), পুষ্টি, ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি এবং চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতির ফলে মানুষের গড় আয়ু ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং অন্যদিকে জন্ম-নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির অভাব, নারী শিক্ষার অভাব, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক কুসংস্কার ইত্যাদির ফলে কিছু দেশও অঞ্চলে উচ্চ মাত্রার উর্বরতা বজায় রয়েছে। ১৯৭০ সালের পর থেকে বিশ্ব জনসংখ্যা বৃদ্ধির গতি উল্লেখযোগ্য ভাবে ধীর হয়ে গেছে কারণ সারা বিশ্বে উর্বরতার হার (level) বিভিন্ন মাত্রায় (degree) হ্রাস পেয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন দেশ বা অঞ্চলের মধ্যে মৃতুহার, উর্বরতার মাত্রা এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারে যথেষ্ঠ তারতম্য রয়েছে। এই প্রবনতাগুলি আগামী প্রজন্মের জন্য সুদূর প্রসারী প্রভাব ফেলবে। সাম্প্রতিক অতীতে উর্বরতার হারও আয়ুষ্কালে বিরাট পরিবর্তন এসেছে। ১৯৭০ দশকের গোড়ার দিকে মহিলাদের গড়ে ৪.৫ জন শিশু ছিল, ২০১৫ সালে এর মধ্যে বিশ্বের মোট উর্বরতা প্রতি মহিলার ২.৫ জন শিশুর নীচে নেমে আসে। অন্যদিকে মানুষের গড় বিশ্বব্যাপী আয়ুষ্কাল ১৯৯০ সালের ৬৪.৬ বছর থেকে বেড়ে ২০১৯ সালে ৭২.৬ বছর হয়েছে।
‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে’র মূল উদ্দেশ্য প্রজনন সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা কারণ ইহা বিশ্বব্যাপী গর্ভবতী মহিলাদের অসুস্থতা ও মৃত্যুর একটি অন্যতম যুক্তি। তাছাড়াও জনসংখ্যা সংক্রান্ত বিষয়গুলি টেকসই উন্নয়নের উপর কি প্রভাব বিস্তার করছে সেই সম্পর্কে জনগনের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি, পরিবার-পরিকল্পনার প্রচার, লিঙ্গ-সমতা সমর্থন, গর্ভনিরোধক ব্যবহার, দারিদ্র্য, মাতৃস্বাস্থ্য এবং মানবাধিকারের মত বিষয়গুলিকে জনসমক্ষে তুলে ধরা ইত্যাদি এই দিবস উদযাপনের উদ্দেশ্য। বলাবাহুল্য, যে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা খাদ্য, জল এবং শক্তি সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক সম্পদের উপর অত্যধিক চাপ সৃষ্টি করছে, ফলে বাস্তুতন্ত্র আজ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। অতিরিক্ত জনসংখ্যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে পরিবেশের উপর। নগরায়ন, শিল্প কারখানা বৃদ্ধি ,পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নও সম্প্রসারণের ফলে শুধুমাত্র যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় নি, বেড়েছে কার্বন নিঃসরনের পরিমানও। উন্নয়ন ও জনসংখ্যা বৃদ্ধির নেতিবাচক প্রভাব যেমন জলবায়ু পরিবর্তন, জলদূষণ, বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ, মৃত্তিকা-দূষনের মত সমস্যায় আজ সমগ্র পৃথিবী কন্টকপূর্ণ। জনসংখ্যার চাপের কারণে সমাজে মানবাধিকার ও লিঙ্গ-সমতার বিরুদ্ধে ভয়াবহ অপরাধ আগের তুলনায় অনেক বেড়ে গিয়েছে, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশসমূহে। অনেক অঞ্চলে, বিশেষ করে যেখানে অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত সমস্যাগুলি তীব্র, জনসংখ্যা বৃদ্ধি পর্যাপ্ত শিক্ষা, স্বাস্থ্য-পরিষেবা, আবাসন ও কর্মসংস্থানকে আরো জটিল করে তুলেছে।
বিশেষজ্ঞরা অনুমান করছেন যে বিশ্বের জনসংখ্যা 2025 সালে 8.2 বিলিয়ন ( 820 কোটি) ছাড়িয়ে যাবে। আর এই বৃদ্ধির বেশীর ভাগ অংশ সাব-সাহারান আফ্রিকান দেশ ,দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের কিছু অংশে ঘটছে, যেখানে জন্মহার এখনো বেশ উচ্চ। ২০৩০ সালে বিশ্বের জনসংখ্যার পরিমাণ প্রায় ৮৫০ কোটি, ২০৫০ সালে প্রায় ৯৭০ কোটি এবং ২১০০ সালে ১০৯০ কোটি হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। অন্যদিকে, উন্নত দেশে বৃদ্ধির গতি কমেছে বা মোট জনসংখ্যার পরিমাণ কমছে। এটা স্পষ্ট যে বিপরীতমুখী প্রবণতাগুলি বিশ্বজুড়ে জনসংখ্যা বন্টনে ক্রমবর্ধমান ভারসাম্য হীনতার সৃষ্টি করেছে। পরিবেশগত বিপর্যয় এবং অতিরিক্ত জনসংখ্যার ফলে সৃষ্ট অভাব “সহিংসতা ও রাজনৈতিক অস্হিরতা” বৃদ্ধি করছে। আমরা ইতিমধ্যেই মধ্যপ্রাচ্য ও অন্যান্য অঞ্চলে জল, ভূমি ও জ্বালানি-সম্পদ নিয়ে যুদ্ধ দেখতে পেয়েছি / পাচ্ছি। বিশ্ব জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এই অস্থিরতা ও সংঘর্ষ বাড়ার সম্ভাবনা প্রবল।
ইউ.এন.ডি.পি ‘২০২৫ বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস’ কে যুব ক্ষমতায়ন এর উপর গুরুত্ব আরোপ করেছে। প্রতিপাদ্য বিষয় “যুবকদের বিনিয়োগ: পরবর্তী প্রজন্মের ক্ষমতা”। এই বিষয়টি বিশ্বব্যাপী নানাহ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও টেকসই উন্নয়নকে চালু ও গতিশীল রাখতে তরুনদের চাহিদা-পূরণও সম্ভাবনার উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। বিশ্বে বর্তমানে উর্বরতার ( Global Fertility Rates) হার কমছে, এবং ইহা জনসংখ্যা হ্রাসের সতর্ক-সংকেত। কিন্তূ জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (UNFPA) এর বিশ্ব জনসংখ্যার প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে জনসংখ্যা হ্রাসের আসল কারণ হল ‘প্রজনন সংস্থার অভাব’ – অনেক মানুষ, বিশেষ করে তরুণরা, তাদের পছন্দের সন্তান ধারণ করতে অক্ষম। উর্বরতার হার হ্রাস বিশ্বব্যাপী শিরোনামে আসারফলে, বিভিন্নদেশেরকিছু সরকার “জনসংখ্যা হ্রাস" সম্পর্কে সতর্ক করে জন্মহার বৃদ্ধির জন্য কঠোর নীতিমালা প্রণয়নকরেছে, অন্যদিকেযদিওএকই সাথে লক্ষ লক্ষ মানুষ এখনও তাদের প্রকৃত চাহিদা অনুযায়ী সন্তান ধারণ করতে পারছে না।
‘২০২৫ বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস’ এই চ্যালেঞ্জটি তুলে ধরেছে এবং সর্বকালের বৃহত্তম প্রজন্মের তরুণদের উপর গুরুত্ব আরোপ করছে। বলা বাহুল্য যে বর্তমানে বিশ্বে ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সী প্রায় ১৪৫ কোটি তরুন আছে। “একটি নায্য এবং আশাবাদী বিশ্বে তাদের পছন্দের পরিবার তৈরী করতে তরুণদের ক্ষমতায়ন করা” - - এই বছরের ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে’র ভাবনা (থিম)। যুবকদের ভবিষ্যত গঠনের অধিকার, সরঞ্জাম এবং সুযোগ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল। বর্তমানে তরুন – তরুনীরা ডিজিটাল ভাবে যুক্ত, পরিবর্তন আনতে প্রস্তুত, তারা নিজেদের স্থানীয় সম্প্রদায় এবং তার বাইরেও সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি ক্রমবর্ধমান ভাবে এগিয়ে নিচ্ছেন কিন্তূ তারা কিছু বড় বাধার সম্মুখীন – যেমন অর্থনৈতিক নিরাপত্তা হীনতা ,লিঙ্গবৈষম্য, সীমিত স্বাস্থ্যসেবা এবং জলবায়ু বিঘ্নতা এবং সংঘাত। চৌদ্দ দেশের 14000 জনেরও বেশী মানুষের উপর করা UNFPA- You Gov জরিপে দেখা যায় যে অধিকাংশের বেশী মানুষ (interviewees) আরো বেশি সংখ্যক সন্তান নিতে ইচ্ছা / আকাঙ্খা প্রকাশ করেন, কিন্তূ সামাজিক, অর্থনৈতিক বা স্বাস্থ্যগত প্রতিকুলতার জন্য তারা বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন। UNFPA-এর সর্বশেষ বিশ্ব জনসংখ্যা প্রতিবেদন অনুসারে, আসল সংকট জনসংখ্যার ‘সংখ্যা’নিয়ে নয়। এটি মানুষের নিজস্ব পছন্দ করার ক্ষমতা হারানোর বিষয়ে। এটি প্রজনন স্বাধীনতার সংকট। ভবিষ্যতের আশঙ্কা, যেমন জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশগত অবক্ষয়, যুদ্ধ ও মহামারী ইত্যাদি – উর্বরতা সিদ্ধান্ত (Fertility Decision) এর উপর প্রভাব ফেলছে। প্রায় পাঁচ জনের মধ্যে একজন বলেছেন যে উপরোক্ত উদ্বেগ সমূহ তাদেরকে কাঙ্ক্ষিত সংখ্যার চেয়ে কম সন্তান ধারনের দিকে পরিচালিত করেছে বা করবে। আবাসন, শিশু-যত্ন খরচ ও লালন-পালন সমস্যা এবং চাকরির নিরাপত্তা হীনতা সহ নানাহ অর্থনৈতিক কারন গুলি পরিবারের ‘আকার’ ধারণের প্রধান সীমাবদ্ধতা। UNFPA এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩৯% রিপোর্ট করেছেন যে আর্থিক সমস্যাগুলি তাদের কাঙ্ক্ষিত সংখ্যক সন্তান ধারণের ক্ষমতাকে প্রভাবিত করেছে। বিশ্বব্যাপী সন্তান-ধারণের গড় বয়স ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়ে এখন ২৮ বছরে দাঁড়িয়েছে। প্রজনন বয়সের ২০% প্রাপ্ত বয়স্ক মনে করেন যে তারা তাদের কাঙ্ক্ষিত সংখ্যক সন্তান-ধারণ করতে পারবেন না। অন্যদিকে, প্রজনন স্বাস্থ্য সেবার অ্যাক্সেস একটি চ্যালেঞ্জ হিসাবে রয়ে গেছে, প্রায় ১.৮% লোক গর্ভ-নিরোধক বা উর্বরতা সম্পর্কিত পরিষেবা পেতে অসুবিধার কথা বলেছেন।
তাছাড়াও, ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস’ অন্যান্য প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ পরিবেশগত অবক্ষয়, প্রাকৃতিক সম্পদের ঘাটতির ফলে বিশ্বের সামগ্রিক জনসংখ্যা আজ এক বিশাল চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। আমরা জানি যে যুবকরা পরিবর্তনের অনুঘটক হিসাবে কাজ করে। জলবায়ু পরিবর্তন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং টেকসই উন্নয়নের মত বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তরুণরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে। তার সঠিক বাস্তবায়ন করতে যুব-সমাজে“ কৌশলগত বিনিয়োগ” প্রয়োজন। তাই যুবসমাজের ক্ষমতায়নের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে তরুণদের জন্য উন্নত শিক্ষা, দক্ষতাউন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবা এবং কর্মসংস্থানের উপর জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। টেকসই উন্নয়ন ও তার বৈশ্বিক লক্ষ্যসমূহ (যেমন দারিদ্র্য নেই, শূন্য ক্ষুধা, সু-স্বাস্থ্য ও সুস্থতা, মান সম্পন্ন শিক্ষা, লিঙ্গ সমতা সহ ইত্যাদি) অর্জনের জন্য যুবদের ক্ষমতায়ন অপরিহার্য। যুব ক্ষমতায়নের উল্লেখযোগ্য সমাধান পথ হল গুনগত শিক্ষা ও দক্ষতা বিকাশ সুনিশ্চিত করা। যখন একজন যুবক উপযুক্ত শিক্ষা ও দক্ষতায় সজ্জিত থাকে, তখন সে সেগুলোকে নিজের প্রয়োজন মেটাতে, অন্যদের সহায়তা এমনকি ভবিষ্যত বিনিয়োগের জন্য কাজে লাগাতে পারে যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে সাহায্য করবে। যুবদের শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন ও নেতৃত্বদানে সুযোগের মাধ্যমে সমাজে প্রতিভা, সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবন –শক্তির এক বিশাল ভান্ডার উন্মোচিত হতে পারে যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক পরিবর্তনকে চালিত করতে পারবে। যুব ক্ষমতায়ন দারিদ্র্যের হার উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমাতে সাহায্য করতে পারে। যুব ক্ষমতায়নের ফলে যুবকরা কর্মক্ষম, উৎপাদনশীল ও সক্রিয় হবে এবং এদের আত্মবিশ্বাস , আত্মসম্মান ও প্রত্যয় বৃদ্ধি পাবে এবং ওদেরকে পরিপূর্ণ জীবনযাপন করতে সাহায্য করবে। সমাজ উন্নয়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় যুবকদের অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার ফলে অন্তর্ভুক্তি মূলক (inclusive) ও ন্যায়সঙ্গত সমাজ প্রতিষ্ঠিত হতে পারে, ফলে বৈষম্য ও সামাজিক অবিচার কমে আসবে। শুধু তাই নয়, ইহা পরবর্তী প্রজন্মের নেতৃত্ব বিকাশে সাহায্য করবে—যারা জন সংখ্যা বৃদ্ধির মত গুরুতর সামাজিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অগ্রণী ভুমিকা নিতে পারবে, যেমন ড্রাগ ও মাদক সেবন, নেশা জাতীয় সামগ্রীর উৎপাদন ও ব্যবসা, মানব-পাচার, পনপ্রথা ও যৌতুক গ্রহণ, ধর্ষণ এবং দুর্নীতি ইত্যাদি।
বিশ্ব ব্যাপী জনসংখ্যার প্রবণতা কার্যকরভাবে সাড়া দেওয়ার জন্য, নেতাদের অবশ্যই তরুণদের চাহিদা ও কন্ঠ স্বরকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। তাদের সেবার চেয়ে ও বিশেষ কিছু প্রয়োজন। তাদের আশা, স্থিতিশীলতা এবং পরিকল্পনার জন্য মূল্যবান ভবিষ্যত দরকার। একজন UNFPA এর যুব কর্মীর কথায় “তরুণরা কেবল তাদের ভবিষ্যত সন্তানদের কথাই ভাবে না – তারা সেই পৃথিবী সম্পর্কে ভাবে যা এই শিশুরা উত্তরাধিকার সূত্রে পাবে”। তাদের অধিকারকে সমর্থন করা টেকসই উন্নয়ন, শান্তি এবং মানবিক মর্যাদার চাবিকাঠি।
আরও পড়ুন...