'জ্ঞানই শক্তি' ফের প্রমাণ করে ছাড়লো ত্রিপুরা ইনফো-র মেগা ক্যুইজ!

অশেষ সেনগুপ্ত

'জ্ঞানই শক্তি' কথাটির গভীরতা ও বাস্তব ভিত্তি অনুধাবনের প্রকৃত মাধ্যম হলো জ্ঞানের চর্চা ও মূল্যায়ন। যার প্রকৃষ্ট এবং মনোগ্রাহী আয়োজনের নাম ক্যুইজ। তাইতো ত্রিপুরা ইনফো ডটকম আয়োজিত ঊনবিংশতম মেগা ক্যুইজ প্রতিযোগিতায় বারবার উঠে এসেছে এই কথাটি। কারন জানার বা শেখার কোন নির্দিষ্ট পরিধি নেই। সাধারন জ্ঞান, বিজ্ঞান, সমাজ, শিল্প, সাহিত্য, সঙ্গীত এবং ভ্রমণ জ্ঞান অন্বেষনের একটি অধ্যায়ও ব্রাত্য থাকেনি এই ক্যুইজ প্রতিযোগিতায়। দীর্ঘ কয়েক সপ্তাহ অক্লান্ত পরিশ্রম করে ত্রিপুরা ইনফো পরিবেশন করে এক মনোজ্ঞ প্রশ্ন-উত্তর পর্ব এবং বিনোদনের এক দৃপ্ত পরিবেশনা। বলা চলে রাজ্যের বুকে ক্যুইজ এর চিরাচরিত প্রবাহের বাইরে বেরিয়ে এসে গত ১৯ বছর ধরে তাদের একটি অনন্য প্রয়াস। গুণী ও বিশিষ্ট জনদের নান্দনিক উপস্থিতি এবং তাঁদের ব্যক্ত অনুভব যেন ছিল বাড়তি পাওয়া। সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতায় এবং ত্রিপুরা ইনফোর ঐক্যান্তিক চেষ্টায় গত ১০ নভেম্বর রবিবার রাজধানীর রবীন্দ্র ভবনের এক নম্বর হলে আবারো এক সফল জ্ঞান চর্চার রোমন্থন দেখল রাজ্যবাসী। এদিন বেলা ১১ টায় নির্দিষ্ট সময়ে হল ভর্তি মানুষের উপস্থিতিতে রাজধানীর রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে ১ নম্বর প্রেক্ষাগৃহে শুরু হয় প্রতিযোগিতার লিখিত স্ক্রীনিং টেস্ট। অভিজ্ঞ পরীক্ষকরা তাদের মধ্যে থেকেই বেছে নেন সেরা ১৬ টি জুটিকে। এরই মাঝে দর্শক আসনে বসা আট থেকে আশি সকলের জন্যই চলতে থাকে ওপেন মেগা ক্যুইজ এর আসর। কুইজ মাস্টারদের একের পর এক প্রশ্ন ছুটে চলে তার সঠিক উত্তরের সঠিক সন্ধানে। জ্ঞান - বিজ্ঞান মুলক প্রশ্ন ছাড়াও সমাজ ও স্বাস্থ্য চেতনা বৃদ্ধির উদ্দেশ্য নিয়ে বহু প্রশ্ন তৈরী করা হয়েছিল। যার মধ্যে অন্যতম হলো ডায়াবেটিস দিবস কখন এবং কেন পালিত হয়। যেখানে ডায়াবেটিস সচেতনতা প্রসারে এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সঠিক উত্তর দাতাকে বাই সাইকেল উপহার দেওয়া হয়। ঠিক তেমনি গনতন্ত্র বা ভোটাধিকারের সঠিক ব্যবহার বোঝাতে মজার ছলে প্রশ্ন করা হয় যেখানে মাত্র একটি ভোটের কারনে এক মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর পরাজয় ঘটে। কারণ উনার স্ত্রী ও গাড়ি চালক ভোটদানে বিরত ছিল। যার মধ্যে দিয়ে একটি ভোটের গুরুত্ব অত্যন্ত সুনিপুণভাবে তোলে ধরা হয়। একাধিক প্রশ্ন ছিল ত্রিপুরার পর্যটনকে প্রমোট করার জন্যও। অনুষ্ঠান শেষে প্রত্যেক সঠিক উত্তর দাতা পেয়ে যান আকর্ষনীয় সব পুরস্কার।

মূল মঞ্চে স্ক্রীনিং চলাকালেই উপস্থিত হন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী মানিক সরকার। তাঁর বক্তব্যে তিনি বলেন এটি রাজ্যে অনুষ্ঠিত হওয়া একটি অন্যতম বাৎসরিক শিক্ষামূলক আয়োজন। তথ্য ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করার এই প্রয়াসে দেশ তথা বিশ্বকে নতুন করে দেখার এবং আরো সুদূর প্রসারী হওয়ার ধারা অব্যাহত রাখার কথা তিনি বলেন। তারই সঙ্গে রাজ্যে ক্যুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন দিন দিন হ্রাস পাওয়ার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তবে তিনি আশাবাদী যে জ্ঞানের ক্ষুধা বৃদ্ধি পেলে দেশের প্রকৃষ্ট নাগরিক ও সামাজিক জীব হিসেবে দ্রুত এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। বিশ্বব্যাপী কর্মসংস্থানের কঠিন প্রতিযোগিতার মধ্যেও উন্নত রাষ্ট্রগুলি থেকে শিক্ষা নিয়ে সমস্ত দলীয় চিন্তার ঊর্দ্ধে উঠে বিকল্প সমাধান সন্ধানের উপর গুরুত্বারোপ করেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী সরকার।

পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী বেলা দুটো নাগাদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন রাজ্যের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা। তিনিও এই অনুষ্ঠানের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং এই অনুষ্ঠানকে চালিয়ে যাওয়ার জন্য উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। পাশাপাশি যেসব সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান এই অনুষ্ঠান আয়োজনে সহযোগিতা করেছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান। ত্রিপুরার ইতিহাস ঐতিহ্য ও প্রতিদিনের তথ্য নিষ্ঠ সংবাদ বহিঃ রাজ্যের মানুষের কাছে সত্যনিষ্ঠ ভাবে তোলে ধরার জন্য মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা ত্রিপুরা ইনফো ডটকম এর সাথে জড়িত সবাইকে ধন্যবাদ জানান। মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা নিজেও উপস্থিত দর্শকদের জন্য দুটি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে সঠিক উত্তরদাতাকে মোবাইল ফোন উপহার হিসেবে প্রদান করেছেন।

অনুষ্ঠানের মূল-পর্বে উপস্থিত থেকে মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই ত্রিপুরা ইনফোর মেগা ক্যুইজ ও তাদের অনলাইন নিউজ মিডিয়ার দীর্ঘযাত্রার কথা উল্লেখ করেন। শুধু খবর বা সংবাদ নয়, বিশ্বব্যাপী ঘটে চলা প্রতিটি প্রতীয়মান ঘটনাকে রাজ্যের শিক্ষার্থী তথা নাগরিকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজ ওয়েবসাইটটি নিরলস ভাবে করে চলেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা-এর মতে, নান্দনিক ভাবে ক্যুইজে সব বয়সীদের অংশীদার করার উদ্যোগ সহজসাধ্য নয়। তিনি আরো বলেন, বর্তমান সময়ে নিজেদের আপডেটেড রাখা এবং প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার জানা অত্যন্ত জরুরী। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসে জাতীয় স্তরে সম্প্রচারিত কেবিসি এর মতো কুইজ অনুষ্ঠানের কথা। তিনি এই প্রসঙ্গে উত্তর পূর্বাঞ্চলের তুলনা করে বলেন একটি ছোট্ট রাজ্য হিসেবে ত্রিপুরার ইনফোর এই উদ্যোগ দৃষ্টান্ত হিসেবে জাতীয় স্তরে ত্রিপুরাকে পরিচিতি দিয়েছে। এই ধরনের প্রয়াস অব্যাহত থাকলে জ্ঞানের পূর্ণ বিকাশ সম্ভব বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।

এদিন ত্রিপুরা ইনফো পোর্টালের পক্ষ থেকে ওয়েবসাইট এর মুখ্য সম্পাদক শেখর দত্ত ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর কাম সম্পাদক জয়ন্ত দেবনাথ মুখ্যমন্ত্রীর হাতে মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলের জন্য দশ হাজার টাকার অর্থ রাশি তুলে দেন।

এদিন দুপুরে মেগা ক্যুইজের প্রথম সেমিফাইনালে মূলত আটটি জুটির মধ্যে শুরু হয় রেপিড ফায়ার রাউন্ড। যার প্রথম পর্বের পরিচালনায় ছিলেন রাজ্যের পরিকল্পনা দপ্তরের আধিকারিক নন্দু কুমার পান্নিকর। এক মিনিট সময়ের মধ্যে একের পর এক প্রশ্নবাণ ছুটে আসে নির্দিষ্ট টিমের কাছে, মুহূর্তে উত্তর দেওয়ার সেই উত্তেজনা মূল মঞ্চের চাইতেও দর্শক আসনে বেশি পরিলক্ষিত হয়। আর এইখানেই ইনফোর এই আয়োজনের স্বার্থকতা যখন দর্শকরা নিজের অজান্তে প্রতিযোগী হয়ে উঠে। একই উত্তেজনার মধ্যে দিয়ে সেমি ফাইনালের দ্বিতীয় রাইন্ড শেষ হয়। যেটি পরিচালনার করেন স্কুল অফ সায়েন্স এর অধ্যক্ষ অভিজিৎ ভট্টাচার্য। দুটো পর্বে লড়াই করে চূড়ান্ত পর্বে স্থান করে নেয় ছয়টি জুটি। সেখানে ছিল পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্র থেকে শুরু করে অধ্যাপক, আধিকারিক, সিভিল সার্ভেন্ট এমনকী পিতা পুত্রের মতো সব বয়সের এবং স্তরের প্রতিনিধিরা। খুদে প্রতিযোগীদের আত্মবিশ্বাস ও বুদ্ধিদীপ্ত উত্তর সকলকে বিস্মিত করেছে।

বিকেলে সেমিফাইনাল রাউন্ড শেষে সেরা ৬টি টিমকে নিয়ে শুরু হয় চূড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগিতা যেটি তিনটি স্তরে বিভক্ত ছিল। প্রথম ও শেষ পর্বটি পরিচালনা করেন নন্দু কুমার পান্নিকর ও অভিজিৎ ভট্টাচার্য। দ্বিতীয় পর্বটি পরিচালনা করে রাজধানীর অক্সিলিয়াম স্কুলের সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রী নবীন ক্যুইজ মাস্টার মধুজা দেবনাথ (মাহি)। কুইজের প্রশ্ন তৈরিতে তার গবেষনা, প্রস্তুতি এবং প্রশ্ন চয়ন ছিল অনবদ্য।কোয়ান্টাম সুপারপোজিশনের চিন্তা পরীক্ষার সেই বিখ্যাত শ্রোডিঙ্গারের বিড়াল সম্পর্কিত একটি দুর্দান্ত প্রশ্ন দর্শকদের উদ্দেশ্যে ছুড়ে দিয়ে শুরুতেই সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন খুদে ক্যুইজ মাস্টার মধুজা ওরফে মাহি।চূড়ান্ত পর্ব পরিচালনাতেও মধুজার দক্ষতা সবাইকে মুগ্ধ করেছে। গনিতের একটি বিরল প্রশ্নের দৃপ্ত ব্যাখা তার দৃঢ় আত্মবিশ্বাসী মনোভাবের পরিচয় দেয়। সেদিন বাংলা ও ইংরেজিতে তার সাবলীল বাচনভঙ্গি এবং প্রানবন্ত উপস্থাপনার প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহাও। জেন জি প্রজন্মের প্রতিনিধি হিসেবে ক্যুইজ মাস্টার মধুজা দেবনাথের এই ভিন্ন স্বাদের পরিবেশনা প্রতিযোগিতার শ্রীবৃদ্ধি করেছে। এক কথায় উদ্যোক্তারা একটি ভিন্ন স্বাদের অনন্য ক্যুইজ উপহার দিতে সর্বোত্তম চেষ্টা করেছেন। বিনোদন, অডিও- ভিজ্যুয়াল উপস্থাপনা সহ বিভিন্ন কর্মসূচি সেদিন দেখা যায়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল সাংবাদিক মানস পালের দেশ ও বিদেশের কিছু বিরল ঘটনার উপর মনোগ্রাহী উপস্থাপনা। যেখানে উঠে আসে ঈগল দ্বারা কচ্ছপ ফেলে গ্রীক নাট্যকার ইস্কিলাসের হত্যা প্রসঙ্গে সাম্প্রতিক ভারতে ঘটে যাওয়া ঘটনার কাকতালীয় মিল। তেমনি সুইস হাতঘড়িতে মহারাণী কাঞ্চনপ্রভা দেবীর প্রতিকৃতির উপস্থিতি। তারই সঙ্গে দর্শকদের নন্দিত করতে বিভিন্ন বিনোদন মুলক প্রশ্নের ডালি নিয়ে সঞ্চালনার ভূমিকায় ছিলেন রাজ্যের প্রখ্যাত সঞ্চালক শুভ্রজিৎ ভট্টাচার্য, প্রকৌশলী শুভাশিস কর এবং উপস্থাপিকা শ্বাশতী ভট্টাচার্য। পুরস্কারেও ছিল অভাবনীয় চমক। নগদ টাকা ছাড়াও একাধিক মোবাইল ফোন, বাই সাইকেল, দামী কম্পিউটার চেয়ার টেবিল, কলকাতা ভ্রমনের টিকিট বা রাজ্যের পাঁচতারা হোটেল পোলোটাওয়ারে রাত্রিযাপন।

সর্বোপরি বিভিন্ন আকর্ষনীয় উপহার ও জানা-অজানা প্রশ্নের ভিড়ে একটি মনোরম আয়োজনের সাক্ষী হল গোটা প্রেক্ষাগৃহ।

অনুষ্ঠানটিও ছিল একপ্রকার চাঁদেরহাট। রাজনীতিতে রাজ্যের নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের আইকন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, হাইকোর্টের প্রাক্তন তথা বর্তমান বিচারপতি, প্রশাসনের প্রতিটি বিভাগের কর্তাব্যক্তি সহ দিনভর নাগরিক সমাজের বিভিন্ন পেশার বরেণ্য জনদের উপস্থিতি এবং সৃজনশীল জগতের ও সংবাদ মাধ্যমের বিশিষ্টজনদের অভিমত সকলকেই ঋদ্ধ করেছে। সন্ধ্যায় স্মরনীয়ভাবে ত্রিপুরা ইনফো পরিবারের শুভানুধ্যায়ী প্রয়াত লেখক তথা প্রাক্তন আইজিপি শ্রী অরিন্দম নাথ, প্রয়াত বিদুৎ ও শিল্প নিবন্ধিত ব্যবসায়ী তথা শিল্প উদ্যোক্তা কনক জৈন এবং এই কুইজ প্রতিযোগিতার অন্যতম সহযোগী প্রতিষ্ঠান প্রান গ্রুপের ত্রিপুরার জিএম সুজন কৃষ্ণ রায়ের অকাল প্রয়াণে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে প্রেক্ষাগৃহে এক মিনিটের নীরবতা পালন করা হয়। পাশাপাশি প্রয়াত কনক জৈন এর স্মৃতিতে এবং তাঁর ক্রিকেট প্রেমের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে খেলা বিষয়ক একটি প্রশ্ন করা হলে সঠিক উত্তরদাতাকে মঞ্চে প্রয়াতের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে পাঁচ হাজার একটাকা পুরস্কার হিসেবে তুলে দেওয়া হয়।

সন্ধ্যায় চূড়ান্ত পর্ব শেষে অনুষ্ঠানের সেরা বিজয়ী জুটি চিরাগ মজুমদার ও দিক্ষিত বিশ্বাসের হাতে নগদ ৫০ হাজার টাকার পুরস্কার তুলে দেন রাজ্যের পরিবহন তথা পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন পার্থপ্রতিম ভট্টাচার্য ও প্রীতম ঘোষ। তৃতীয় স্থান অর্জন করেন সাক্ষর দত্ত মজুমদার এবং অনির্বাণ কর। তাদেরকে পুরষ্কার হিসেবে প্রত্যেকে ত্রিশ হাজার ও কুড়ি হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। দর্শক আসনে বসা প্রতিযোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সঠিক প্রশ্নোত্তর দাতা হিসেবে ডা. সপ্তিক চক্রবর্তী সেরা পুরস্কার হিসেবে নগদ পাঁচ হাজার টাকা জিতে নেন। এবং বিদ্যালয় ভিত্তিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে এইবছর যুগ্মভাবে সেরা কুইজিং স্কুল হিসেবে শ্রীকৃষ্ণ মিশন স্কুল, রামকৃষ্ণ মিশন স্কুল এবং আনন্দ মার্গ স্কুল শিরোপা হিসেবে প্রত্যেকে দুই হাজার টাকা করে জিতে নেয়। কলেজ স্তরে সর্বাধিক প্রশ্নের উত্তর দিয়ে সেরা কুইজিং কলেজ হিসেবে পুরস্কৃত হয় ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজ। তাদেরকে পুরষ্কার হিসেবে নগদ পাঁচ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। সব মিলিয়ে শতাধিক পুরষ্কার জিতে নেন দর্শকাসনে বসা কুইজ প্রেমীরা। মোট কথায় ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগ গুলি ইনফো আয়োজিত ক্যুইজ প্রতিযোগিতাকে অন্যমাত্রায় পৌঁছে দিয়েছে। ত্রিপুরা ইনফো আয়োজিত দীর্ঘ এই জ্ঞান অন্বেষনের কর্মযজ্ঞকে হলে উপস্থিত সকলে কুর্নিশ জানিয়েছেন। এক কথায়

২০০৬ সালে শুরু হওয়া অল ত্রিপুরা মেগা ক্যুইজ এর ঊনবিংশতম আয়োজনটিও ছিল নান্দনিকতা, বিনোদন এবং শিক্ষামূলক আয়োজনে পরিপূর্ণ। খুদে প্রতিযোগীর অবিশ্বাস্য প্রশ্নোত্তর বা একাদশ শ্রেণীতে পাঠরতা বাই সাইকেল বিজয়িনীর বলা ইনসোলন আবিষ্কারকের কাহিনী মেধা ও মননের অন্যতম সফল উৎসব হিসেবে এই প্রতিযোগিতাকে তুলে ধরেছে। সবকিছুর ঊর্দ্ধে ত্রিপুরা ইনফোর এই প্রয়াস চেতনার আকাশে প্রতিভাত হয়ে শুরুর কথাটিই জানান দেয় 'জ্ঞানই শক্তি '।


You can post your comments below  
নিচে আপনি আপনার মন্তব্য বাংলাতেও লিখতে পারেন।  
বিঃ দ্রঃ
আপনার মন্তব্য বা কমেন্ট ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই লিখতে পারেন। বাংলায় কোন মন্তব্য লিখতে হলে কোন ইউনিকোড বাংলা ফন্টেই লিখতে হবে যেমন আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড (Avro Keyboard)। আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ডের সাহায্যে মাক্রোসফট্ ওয়ার্ডে (Microsoft Word) টাইপ করে সেখান থেকে কপি করে কমেন্ট বা মন্তব্য বক্সে পেস্ট করতে পারেন। আপনার কম্পিউটারে আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড বাংলা সফ্টওয়ার না থাকলে নিম্নে দেয়া লিঙ্কে (Link) ক্লিক করে ফ্রিতে ডাওনলোড করে নিতে পারেন।
 
Free Download Avro Keyboard  
Name *  
Email *  
Address  
Comments *  
 
 
Posted comments
Till now no approved comments is available.