দুধ পাওয়া যায় না, এমন ঘটনা নজিরবিহীন, কেন এমন অবস্থা হবে?
প্রদীপ চক্রবর্তী
অভূতপূর্ব ও অভাবিত পরিস্থিতি। বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে পুলিশ আবার স্বমহিমায়। হঠাৎ করেই মহারাজগঞ্জ বাজার প্রায় ঘিরে রেখেছে পুলিশ। প্রতি গাড়ী তন্ন তন্ন করা খোঁজা হচ্ছে। কিন্তু বাজারে কাউকে যেতে দেয়া হচ্ছেই না।
এমনকি বাজার খোলা রাখার ঘোষণা থাকলেও এটা না থাকার সামিল। অথচ অনেকেই ব্যাগ নিয়ে যাচ্ছে, দূর থেকে অবস্হা দেখেই চলে যাচ্ছেন। এমনতো কথাই ছিল না।
অন্যদিকে পুরানো মোটর ষ্ট্যান্ড যেন যুদ্ধ ক্ষেত্র। গোটা ষ্টান্ড এলাকায় পুলিশে পুলিশে ছয়ালাপ। একেবারে নাকা যাকে বলে। কটি দোকানে গোমতী দুধ বিক্রি করা হয় দীর্ঘ দিন ধরে। কিন্তু আজ এরা নেই। অভিযোগ দুধ বিক্রেতাদের বসতেই দেয়া হয়নি। লোকজন পড়েছেন মহা বিপাকে। এমনিতেই বাড়ী থেকে আসা বিধিনিষেধের কারনে মহা ঝামেলা। বারবার জবাবদিহি করতে হয়। হাঁফাতে হাঁফাতে গিয়ে দেখা যায় দূধ বিক্রেতা নেই। দুধ পাওয়া যায় না এমন ঘটনা নজিরবিহীন।
কিন্তু কেন এই আতঙ্ক সৃষ্টি করতে কোমড় বেঁধে ময়দানে পুলিশ? করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে গৃহীত সরকারী ব্যবস্হা তো বৃহত্তর স্বার্থেই। কিন্তু এমন ধরনের আতংক সৃষ্টি, যদৃচ্ছ ভাবে বিনা কারনে লাঠিপেটা, আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি, অত্যাবশ্যকীয় পন্য কেনাকাটায় কোপ দেয়া কেন? অথচ বিলেতী মদের দোকান প্রায় খোলাই বলা চলে। কেন এমন অবস্থা হবে? মারন ব্যাধির সংক্রমণ রোধের নামে তো পুলিশী সন্ত্রাস অবিলম্বে বন্ধের দাবি উঠেছে। এমন চলতে থাকলে হয়তো হিতে বিপরীতও হতে পারে।