অভিনয়ে সুযোগ পেতে ডেলিভারি বয়ের কাজ করতেও পিছিয়ে যাইনি
রমন নট্ট
অভিনয়ে সুযোগ পেতে ডেলিভারি বয়ের কাজ করতেও পিছিয়ে যাইনি : নন্দিতা দত্ত।
ত্রিপুরার ছেলেমেয়েদের এক্সপোজার যাই থাকুক,লড়াই করে নিজের জায়গা তৈরি করতে পরিশ্রম করতে পিছপা হয়না।স্কুলের মঞ্চ থেকে স্বপ্নের বলিউডে কেউ কেউ সফল। তরুণ প্রজন্মের "রমন নট্ট "সেই স্বপ্নের সোপানে কিভাবে লড়াই করে জায়গা করছেন তা নিয়েই কথা বললেন নন্দিতা দত্ত।
প্রশ্ন:মুম্বাইয়ের প্রথম দিনের অভিজ্ঞতাকেমন?
উঃ মুম্বাই যাওয়ার উদ্দেশ্যে যখন জামা কাপড় গোছাতে শুরু করি খুব আনন্দ হচ্ছিল, কারণ ছোটো বেলার স্বপ্নটা যেন একটু একটু করে পূরণ হচ্ছে এমন মনে হচ্ছিল। কিন্তু মা, আমার মুম্বাইয়ে রওনা হওয়ার আগের দিন হঠাৎ জড়িয়ে ধরে কাঁদতে শুরু করেন তখন প্রথম মনে হলো যে আমি অনেক বড়ো একটা স্টেপ নিতে চলেছি।
আমি ২০১৮ তেও একবার মুম্বাই গিয়েছিলাম নাট্যভূমি গ্রুপ থিয়েটারের "ওয়াকসা" নাটকের সাথে। তখন যেমনটা লেগেছিলো ২০২১ এ কিন্তু সেইরকম লাগে নি । ফ্লাইট যখন ল্যান্ড করার পর মনে হলো প্রথমবার বাড়ি থেকে অনেক দূরে চলে এসেছি।মুম্বাই এয়ারপোর্টে নামার পর আমার বন্ধু "Vishal Sawakare " কে ফোন করি । সেও একজন অভিনেতা , ওর বাড়ি নাসিক মুম্বাই এ থাকে । তো সেই আমাকে টেনে বলেছিলো যে "রমন তুমি চলে আসো ,থাকার চিন্তা করো না আমি আছি।" তো ওর রুমেই গিয়ে উঠি মুম্বাইয়ের প্রথম রাত। কিন্তু ২০১৮ তে মুম্বাইয়ের সেইদিনের মতো লাগেনি।
প্রশ্ন:মুম্বাইতে কাজ পাওয়া সেক্ষেত্রে চেনা জানার গন্ডিটা কতটা কতটা সাহায্য করে? সাহায্য পেয়েছেন কি?
উঃ চেনা ছিল না বলে এরকম আমি বলবো না কারণ আমার অনেক ব্যাচমেটরাই সেখানে থাকা শুরু করে দিয়েছিল । হ্যাঁ যদি জিজ্ঞাসা করেন যে মা-বাবাকে কি করে রাজি করিয়েছি সেটার উত্তর হবে , আমি ত্রিপুরা তে Anim8or (এনিমেটর) প্রোডাকশনের আন্ডারে যতগুলো কাজ করেছি (আমার স্ক্রিন এক্টিংএর এক্সপেরিয়েন্স এই এইখান থেকেই শুরু ) , N.S.D Sikkim এর selection, তারপর সেইখান থেকে আমার কোলকাতার স্যার "শ্রী পিয়াল ভট্টাচার্য" আমাকে ওনার থিয়েটারে কাজ করার জন্য কলকাতায় নিয়ে যাচ্ছেন , এত বড়ো বড়ো প্রোডাকশনে কাজ করছি , আমার এইখানকার নাটকের কাজ , মা বাবা ঐ সব কিছু দেখেন এবং মা'ও বাবাকে অনেক রাজি করার চেষ্টা করেছিলেন ।তাই লকডাউন শেষ হতেই বাবা আমাকে নিজে জিজ্ঞাসা করলেন "কিরে মুম্বাই যাবি না?"
তাই আমি বলবো যারা যারা আমাকে কাজ দিয়েছেন , তাদের সাথে কাজ করেছি বলেই হয়তো মা বাবা মুম্বাইয়ের জন্য রাজি হয়েছিলেন। তো এইটায় আমার ক্রেডিটবেশী ।
প্রশ্ন: ওয়েব সিরিজে কাজ করার সুযোগ এলো কি করে?
উঃ আমি বাড়ি থেকেই ভেবে গিয়েছিলাম ,, মুম্বাই গিয়ে কিছু একটা কাজ করবো for survival ।যে কাজ টা আমাকে নিজের সময় মতো কাজ করার সুবিধা দেবে । তাই "ফুড ডেলিভারীর কাজে জয়েন হই । আর অডিশন দিতে থাকি । তারপর আমি কিছু serial এ junior Artist, film a Background Dancer, croud Drubbing , এইসবেও কাজ করি।
তারপর একটা সিরিয়ালে একটা ছোটো রোল এবং ,meesho নামক কম্পেণীর একটা বিজ্ঞাপনে কাজ পাই। সাথে সাথে ফুড ডেলিভারীও চলছিল। তারপর অনেকটা লম্বা সময় পেরিয়ে যায় কিন্তু কোন কাজ পাচ্ছিলাম না । তারপর একদিন রাতে আমি যখন ফুড ডেলিভারির কাজ করছিলাম ,আমার কাছে একটা অর্ডার আসে । কাস্টমারের নাম ছিল রাজেশ । অর্ডারটা দিতে গিয়ে আমি দেখলাম , রাজেশ নামের ভদ্রলোকটি আর কেউই নন তিনি হচ্ছেন ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির খুবই ভালো অভিনেতা এবং এন.এস.ডি দিল্লির alumni , আমার সিনিয়র Mr. Rajesh Tailang sir .। আমি সিকিম এন.এস.ডি তে পড়াকালীন উনার একটা অনলাইন ওয়েবিনার এটেন্ড করেছিলাম সেখান থেকেই আমি স্যারের ভক্ত হয়ে যাই । আর এইরকম ভাবে হঠাৎ উনার সাথে দেখা হবে তা আমি কোনদিন কল্পনাও করিনি ।
যাই হোক অর্ডারটা দিলেভার করার পর আমি স্যারকে একটা রিকোয়েস্ট করি বলি যে " আপকা আশীর্বাদ লে সকতা হু স্যার? "
তারপর আমি স্যারকে প্রণাম করে স্যারের আশীর্বাদ নেই । আমার সাথে উনি কথা বলতে শুরু করেন । কথায় কথায় জানতে পারেন যে আমিও এন.এস.ডি থেকে বিলং করি । তারপর উনি নিজে উনার নাম্বারটা আমাকে দেন ।
উনিই আমাকে বললেন যে চলো একটা ফটো তুলে নিই তোমার চেহারাটা মনে থাকবে ।
ফটো তোলার পর উনি আমাকে বললেন যে প্লিজ আমাকে এই ফটোগুলো হোয়াটসঅ্যাপ করে দাও । আমি স্যারকে ফটোগুলো পাঠিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে পড়ি ।
কিছুক্ষণ পর স্যারের ফোন আসে সেখান থেকে জানতে পারি যে স্যার ঐ ফটোগুলো উনার টুইটার একাউন্টে আপলোড করতে চান ।
তারপর সেদিন রাতেই উনি টুইট করেন । ক্যাপশনে প্রত্যেকটা casting কোম্পানিকে ট্যাগ করে লিখলেন যে "ওর নাম রমন নট্ট । সে একজন এন.এস.ডি পাস আউট অ্যাক্টর ওকে অ্যাক্টিংয়ের কাজ দিন ।
টুইট করার পরের দিন আমাকে "কাস্টিং বে" থেকে একটা অডিশন আসে সেই অডিশনটাই ছিল "মির্জাপুর থ্রি" এর " মনু" ক্যারেক্টারে অডিশন ।
তারপর আমি সেই অডিশনটা দেই । সে অডিশনটা দেওয়ার কয়েক ঘন্টার পর আমি জানতে পারি যে তাদের আমার অডিশনটা খুব ভালো লেগেছে । আমি মির্জাপুর 3 ওয়েবসিরিজের জন্য সিলেক্টেড।
প্রশ্ন -প্রথম দিনের কাজের অভিজ্ঞতা ও কতদিন শুটিং করতে হয়েছে?
উঃ সিরিজে আমার ক্যারেক্টার নাম ছিল "মনু"।আমার মোট ৩ দিন শুটিং ছিলো। শুটিং এর অভিজ্ঞতা সবটাই লার্নিং এর মাধ্যমে হয়েছিল । ভালো অভিনেতাদের সাথে কাজ করলে তাদের সাথে দাঁড়িয়ে থাকলেও যে তাদের থেকে কতকিছু শেখা যায় তা বুঝতে পেরেছি । আর বাকি অভিজ্ঞতায় বলবো ফার্স্টটাইম "ভেনেটি ভেন পাই ,এতো বড়ো বড়ো ডিরেক্টরের সাথে কাজ করতে পারছি , ইত্যাদি ,ইত্যাদি । দারুন অভিজ্ঞতা ছিলো।
প্রশ্ন: কোন প্ল্যাটফর্মে রিলিজ হলো আর এর ডিরেক্টর কে ছিলেন?
উঃ গুরমিত সিং ও আনন্দ আইয়ার এর পরিচালনায় ৫ জুলাই amazon prime video তে আমাদের Mirzapur 3 ওয়েবসিরিজটা রিলিজ হয়েছে । আমি আমার রাজ্যবাসী এবং পুরো ভারতবর্ষের লোকজনদের রিকোয়েস্ট করবো যারা যারা এখন ও MIRZAPUR 3 দেখেননি প্লিজ দেখবেন।
প্রশ্ন:অভিনয়ে আসার কারন এবং অনুপ্রেরণা?
উঃ আমি খুব ছোটো থেকেই টিভি তে ফিল্ম দেখতে খুব পছন্দ করতাম ।ফিল্মে হিরো দের দেখে তাদের মতো নাচতে , গান গাইতে চেষ্টা করতাম । আর জন্ম থেকে আমি কিছু টেলেন্ট পেয়েছি । সেটার একমাত্র কারণ আমি যেই ফ্যামিলিতে জন্মগ্রহণ করেছি আমার রক্তে ধারা তো প্রবাহিত ছিল।
আমরা নট্ট আর আমাদের জাতিগত কাজ হচ্ছে নাটক, গান , বাজনা করা। হয়তো আমার পূর্বপুরুষগণের আশীর্বাদেই আমার মধ্যে এই আগ্রহটা গড়ে উঠলো।
আমার বাবা গান গাইতে , হারমোনিয়াম , বাঁশী বাজাতে , খোল বাজাতে , আরো কিছু ইন্সট্রুমেন্টে বাজাতে পারেন। আমার মা ও গান গাইতে পারেন,, মা বাবা গান গাইতেন , আমি শুনতাম তা থেকে কি ভাবে আমি গান গাইতে শিখে গেলাম আমি নিজেও বলতে পারি না।
মা ,বাবার মুখে শুনেছি ওরা একটা সময় অনেক যাত্রাপালায় কাজ করেছেন। সেইখানে উনি ট্রাম্পেড বাজাতেন । চুনু মিঞা অঙ্কেলের সাথেও অনেক কাজ করেছিলেন বাবা । অনুপ্রেরণা ঘর থেকেই।
প্রশ্ন: পড়াশোনা কোথায় করেছেন?
উঃ আমার স্কুল জীবন দুটো ধাপে কমপ্লিট হয়েছে , প্রথমে আমি দুর্গা চৌধুরি পাড়া হেমন্তু স্মৃতি বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পাস করি। সেইখানে আমি একটা নাটক করেছিলাম বটে কিন্ত খুব ছোটো ছিলাম তো এখন নাটকের নামটা মনে নেই । আমি গান গাইতে , নাচতে পারি এই কথাটা যখন স্যার ম্যাডামরা জানতে পারেন , ক্লাসে এসে আমার গান শুনতে নাচ দেখতে চাইতেন। আমার জীবনে এই স্কুলের আনন্দের মুহূর্তগুলো এখন ও মনে পরে । স্যার ম্যাডাম দের পাশাপাশি বন্ধু বান্ধবদের ও অনেক সাহচর্য পেয়েছি। তারপর আমি চলে যাই পল্লীমঙ্গল উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সেইখানেও একটা মাইম এক্ট করেছিলাম কিছু বন্ধুরা মিলে । সেইখানেও একই রকমের মজা করেছি আমি।
আমি "এম বি বি" কলেজ থেকে বি.কম নিয়ে gradutaion কমপ্লিট করি । তারপর ২০১৯ সালে সিকিম এন .এস. ডি সিলেক্ট হই । সেইখানেই অভিনয় নিয়ে পড়াশোনা করি।২০১৭ তে স্নাতক হই।
প্রশ্ন: ছোটোবেলার দেখা নাটক বা যাত্রার কোন স্মৃতি?
উঃ অনেক ছোটো ছিলাম আমাদের বনিক্য চৌমুহুনি বাজারে একবার বাজারের লোকজনেরাই মিলে একটা যাত্রাপালার আয়োজন করেছিলেন । মায়ের কোলে বসে রাতে সেই যাত্রা দেখা কালীন আমি খুব অবাক দৃষ্টিতে একজন পাড়ার কাকাকে দেখেই যাচ্ছিলাম । যাত্রায় কাকাকে একদম অন্যরকম লাগছিলো। সেটা দেখে খুব মজা পেয়েছিলাম। দুর্ভাগ্যবশতঃ আমি এখনও যাত্রাপালায় কাজ করতে পারিনি ।
প্রশ্ন: আগরতলার অভিনয় জীবনের কথা জানতে চাই।
উঃ আগরতলায় আমি নাট্যভূমি গ্রুপ থিয়েটার, রাঙামাটি নাট্যক্ষেত্র, মীরাকি থিয়েটার এর সাথে যুক্ত ছিলাম । আমার অভিনয় /নাটকের যাত্রা শুরু হয় নাট্যভূমি গ্রুপ থিয়েটারের হাত ধরে। তারপর বাকি দুটো নাট্যদলেও কাজ করি । নাট্যাভূমি গ্রুপ থিয়েটার: নাটক: আজ ও টোবাটেক এ সুরজ পাণ্ডে,খোল দোতে আক্তার , সরলবার্তাতে যমলোকের ড্যান্সার ও সরল ২,ফুলচাঁদ বিবির উপাখ্যান এ রহমত মিঞা , মৌলবি ,ওয়াক সা তে সর্দার ।
রাঙামাটি নাট্যক্ষেত্রর হয়ে বুমেরাং নাটকেনিতাই,এলোক সেলোক এ লেঙ্গা,এক মুঠো রোদ এ হাবলা মীরাকিতে দি তরম্যান্টেড সৌল এ ড্যান্স কোরিওগ্রাফার এন এস .ডি সিকিম :এ অভিজ্ঞান শকুন্তলম এ সারথি , রক্ষক ।রাম বিজয় নট নাটকে রাম।গরমকোট নাটকে আনোখিলাল। এরপর কলকাতায় কিছু নাটকে কাজ করেছি।
প্রশ্ন: কোন চরিত্রের অভিনয় করে নিজের ভালো লেগেছে?
উঃ প্রত্যেকটা চরিত্রে আমি আমার বেস্ট দেওয়ার চেষ্টা করেছি। তবুও যদি বলতেই হয় তাহলে বলবো প্রথম নাটকে "সুরজ পান্ডে " ক্যারেক্টরে অভিনয় ভালো কাজ করেছি কারণ সেই প্রথমবার আমি একজন থিয়েটার ডিরেক্টরের আন্ডারে কাজ করেছিলাম আর কিছু নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছিল।
তারপর ২য় বার যখন আমি "ফুলচাঁদ বিবির উপাখ্যান নাটকে ফুলচাঁদের বাবা রহমত মিঞা ও মৌলবি সাহেব দুটো চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম ।আর সেই নাটকে আমি বেস্ট এক্টর পুরস্কারও পাই । এছাড়া ওয়াকসা নাটকে সর্দার চরিত্র।যুবক থেকে বৃদ্ধ ,এই রূপান্তরটা নিখুৎ ভাবে করতে পেরেছিলাম ।এরমানে যখন ই আমি কোনো নতুন চরিত্রে কাজ করেছি যা আগে কোনোদিন করিনি ,তাতে নতুন করে নিজেকে পেয়েছি । আর একটা প্রসেসের পর যখন সেই চরিত্রটাকে যেমন করতে চেয়েছি তেমন ভাবেই উপস্থাপন করার পর মনে হয় যে সেদিন আমি ভালো অভিনয় করেছি।
প্রশ্ন: নাটকের গ্রুপের সাথে রাজ্যের বাইরে অভিনয় করতে গেছেন কি?
উঃ বেশ কয়েকটি নাটকে অভিনয়ের সুবাদে রাজ্যের বাইরে গিয়েছি। আমাদের নাট্যভূমি গ্রুপ থিয়েটার এর ওয়াকসা নাটকে আইজল ও মুম্বাইতে অভিনয় করতে গেছি। এছাড়া সরলবার্তার অভিনয়ে শিলচর দিল্লী তে যাই।রাঙামাটি নাট্যক্ষেত্রের বুমেরাং নাটকের জন্য গুয়াহাটি গেছি। কাকে ছেড়ে কার নাম নেবো । প্রত্যেকটা ভালো অভিনেতার কাজ দেখলেই তাদের কাজ থেকে আমি অনুপ্রাণিত হই । অনেক ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন মানে ক্লাস ওয়ান ,টু থেকেই আমার স্বপ্ন যে আমি টিভি তে হিরোদের মতো কাজ করবো। তারপর আরো একটু যখন বড়ো হই, তখন জানতে পারি যে এদেরকে এক্টর বলা হয় ,আর এই কাজ গুলো মুম্বাই নামের একটি শহরে হয়, তো সেইদিন থেকেই আমার এই স্বপ্ন।
প্রশ্ন: মির্জাপুরের পর এখন কি কাজ করছেন?
উঃ মির্জাপুরের পর আমি ত্রিপুরার একটা ককবরক ফিল্ম এ কাজ করেছি সেটার ডাবিং এখনো বাকি ।
প্রশ্ন: নাটকে কাজ করার অভিজ্ঞতা পর্দায় অভিনয়ে কতটা সাহায্য করে?
উঃ - আমি অন্যদের কথা জানিনা কিন্তু আমাকে অনেকটাই সাহায্য করেছে। আমি মুম্বাইএ টানা ২ বছর থেকে তারপর কিছু কাজে ত্রিপুরায় আসতে হয় ।মুম্বাইতে থিয়েটারে কাজ করার সুযোগ এলেও কাজ করবো।