গানের যত্ন আমি কতটা করতে পেরেছি

রত্না বসু

গানের সাথে মনের যোগ।মনের মধ্যে গানের সুর কথা আর শিল্পীর সাধনা নতুন ভাবে জীবনকে চেনায়। জনপ্রিয়তা সাময়িক একটা সময় পর্যন্ত ।নিজেকে মঞ্চ আলো কোলাহল থেকে সরিয়ে গানযাপন এক মায়ালোকে নিয়ে যায়।রত্না বসুর সাথে আলাপচারিতায় নন্দিতা দত্ত। গানের শুরু কবে?? ছোটবেলায় ঠিক কবে থেকে গান শুরু করেছিলাম মনে পড়ে না শুধু এটুকু মনে আছে মা রোজ সন্ধ্যেবেলায় গান করতে বসতেন ।সপ্তাহে একদিন শ্রদ্ধেয় রবিনাগ আর তবলা শিক্ষক শ্রদ্ধেয় গোপাল বিশ্বাস আসতেন। বাবা মাঝে মাঝে তবলা নিয়ে বসে পড়তেন আমার শুরুটা বোধহয় ওখান থেকেই। প্রশ্ন সংগীতময় জীবনের কাছে কি চেয়েছেন?

উঃ চাওয়া পাওয়ার  বোধ জন্মানোর আগে থেকেই নিজের মনের আনন্দে গান করতাম এবং সেটা আজও করি ।জনপ্রিয়তা নিয়ে খুব একটা চিন্তা-ভাবনা করিনি ।এখনো করি না। নিজের মনের আনন্দে গান করতাম এবং আজও সেটাই করি ।পরবর্তী সময়ে সংগীত আমার কাছে আধ্যাত্মিক চর্চার একটা মাধ্যম হয়ে ওঠে। এবং গানের মাধ্যমে আমার কাছে তা আশীর্বাদ হয়ে আসে ।আমার মনে হয় সংগীতের কাছে চাওয়ার চেয়ে আমি নিজে সংগীতের কতটুকু যত্ন করতে পেরেছি সেটাই ভাবনার বিষয়। আজ একান্ত পরিচিত মহলের বাইরে যদি একটা মানুষও আমাকে  চিনে থাকেন তাহলে সেটা তো গানের জন্যই।

প্রশ্নগানের ক্ষেত্রে   বন্ধুর ভূমিকা  গুরুত্বপূর্ণ কতটা? উঃ আমি নিজেকে খুব ভাগ্যবান বলে মনে করি।  জীবনে দু তিনজন ভালো বন্ধু পেয়েছি যারা বিপদে-আপদে আমায় আগলে রাখে ।আমার কাজের তারিফ হোক বা সমালোচনা দুটোই খুব অনেস্টলি করে। প্রশ্ন গানের প্রতি আকর্ষণ কতটা শিল্পী হতে সাহায্য করেছে? উঃ তাহলে প্রথমে বলবো পুরোটাই। জন্ম ,শৈশব, বেড়ে ওঠা আগরতলায়। বাবা মা দুজনেই নিজেদের পেশার র বাইরে অকৃত্রিম সংস্কৃতি অনুরাগী ছিলেন ।প্রথাগত শিক্ষা শুরুর আগেই সন্ধ্যা বেলা মায়ের কাছে গলা সাধার  অভ্যাস তৈরি হয়েছিল।

শ্রদ্ধেয় শিল্পী ননীগোপাল চক্রবর্তী এর কাছে প্রথম কত তালিম শুরু হয় ১১ বছর বয়সে। ১৯৮৬ ও ১৯৮৭  পরপর দু বছর অল ত্রিপুরা মিউজিক কম্পিটিশনে প্রথম হই। গানের প্রতি প্রচণ্ড প্যাশন এ কারণেই ৯৩ কলকাতায় চলে আসি। পন্ডিত এটি কাননজির কাছে তালিম শুরু হয় ।পরবর্তীতে অন্যান্য গুরুদের কাছে তালিম নিয়েছি। প্রশ্ন শাস্ত্রীয়সংগীতের প্রতি ভালোবাসা গড়ে উঠলো কিভাবে? উঃ বাঙালি পরিবারে সাধারণত রবীন্দ্র সংগীত নজরুল গীতি আধুনিক গানের চর্চা বেশি হয়ে থাকে। আমার ক্ষেত্রে ঠিক সেটা হয়নি। আমি ছোটবেলা থেকেই রেডিওতে ঠুমরি শুনলে কান পেতে থাকতাম। এটা দেখে বাবা পন্ডিত ভীম সেন যোশী, ওস্তাদ আমির খান, পন্ডিত যশরাজ, বড়ে গোলাম আলী খান, বেগম আখতার শোভা গুরতু, বিসমিল্লাহ খান-এমন  কিংবদন্তি শিল্পীদের শাস্ত্রীয় সংগীতের ক্যাসেট কিনে আনতেন। ওই বয়সেই ওই ধারার গানের প্রতি আমার একটা আগ্রহ জন্মেছিল। ভেতরে একটা ভালো লাগা সৃষ্টি হয়ে ছিল ।বাড়িতে মাঝে মাঝে গান-বাজনার ছোট আসরে স্থানীয় শাস্ত্রীয় সংগীত শিল্পীদের গান শোনার সুযোগ হতো।। ওই ভাবেই আমি আমার নিজেকে ছোট থেকেই তৈরি করার সুযোগটা পেয়ে যাই। প্রশ্ন সুফি সঙ্গীতে ভালোবাসা কিভাবে জন্মালো?

উঃ আমি যখন প্রথম আবিদা পারবিন কে শুনলাম মনে হল কোথাও যেন একটা অন্য জগতে চলে যাচ্ছিলাম আমার ভেতর থেকে আমাকে কেউ যেন তাড়িত করছিল। নুসরত ফাতে আলী খান আমজাদ সাব্রি শুনতাম। এক কথায় জীবনের সার মর্ম বুঝিয়ে দিয়েছে এই সুফি সংগীত ।প্রথম প্রথম কিছু উর্দু শব্দ বুঝতে অসুবিধা হতো, হায়দ্রাবাদের শাহীন কাসিমজির কাছ থেকে এ বিষয়ে আমি নিয়মিত সাহায্য পেয়েছি। একটা ঘটনার কথা বলি-আবিদা পারভীনের একটা অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম।ঐ প্রথম সামনে বসে শোনার সুযোগ।যার গান শুনে আমার দিন শুরু হয় তাকে এত বছর পরে সামনে মঞ্চে দেখব সেটা ভাবতেই অদ্ভুত একটা আবেশে জড়িয়ে গেলাম। গান আর অপরূপ জ্যোতিতে  একাকার হয়ে গিয়ে আমার চোখ দিয়ে অঝোরে বৃষ্টিধারা  যেন নেমে আমায় ধুইয়ে দিল।একটা ছবিও উনার সাথে তোলার কথা মনে এলোনা।সুফি গাই যখন সে সময়টা সম্পূর্ণ অন্যআবেশ।অন্য এক গভীরতায় মগ্ন হই আর সেখানেই হয়তো আধ্যাত্মিক জগতে নিমগ্নতায় আমি আচ্ছন্ন থাকি। আসলে ভাষা দিয়ে কথা দিয়ে ঐ মুহুর্তকে বিশ্লেষণ করা অসম্ভব ‌।

প্রশ্ন আপনি বললেন যে আধ্যাত্মিক পথ খুঁজে পেয়েছেন গানের ভেতর দিয়ে বা আপনার বিশ্বাসও। কেন সেটা কি  একটু বলবেন? উঃ বিশ্বাস তো অবশ্যই কারণ সংগীতের মধ্য দিয়ে একটা অন্য জগতে নিজেকে অনুভব করা। কিন্তু তার পাশাপাশি অবিশ্বাস্য ঘটনা আমাকে আরো বিশ্বাসী করে তুলেছে।। হায়দ্রাবাদের একটি অনুষ্ঠান ।অনুষ্ঠানের একদিন আগে হঠাৎ আমার গলা বসে যায়। পরের দিন ফ্লাইট ইষ্টনাম জপ করতে করতে হায়দ্রাবাদে পৌঁছাই সকালবেলা সব ঠিক হয়ে যাবে এই আশায়। কিন্তু বিকেল অব্দি গলা বারবার ফেটে যাচ্ছিল। তখন খুব ভয় করতে শুরু হল। সেই সময় হায়দ্রাবাদের নিকট বন্ধু শাহীন ভাই বললেন অনুষ্ঠানের আগে আমরা একবার ইউসুফেনের দরগায় যাব। সেখানে ইউসুফ বাবার সঙ্গে দেখা করে তারপর অনুষ্ঠানে যাব। আমি হায়দ্রাবাদ গেলে  ইউসুফ বাবার সঙ্গে একবার দেখা করতে যাই। এর আগেও দরগা এসেছি পীর বাবার সামনে গান গেয়েছি। সেদিন মানসিক অবস্থা খুব সঙ্গীন। এর মধ্যে উনি বললেন একটা গান শোনাও। শুরু করে পর পর তিনটে গান গাইলাম কোথাও একবারের জন্য গলা কাঁপেনি সুরের বিচ্যুতি ঘটেনি। তিনি আমায় একটা ফিরোজা রঙের পাথরের আংটি আশীর্বাদস্বরূপ উপহার দিয়েছিলেন । আশ্চর্যজনক ভাবে আমার আঙ্গুলের মাপে মাপে সেটা ঠিক হয় এবং আমি এখনো পরে থাকি। সেদিনের ভাঙ্গা গলায় সন্ধ্যার তিন ঘন্টার অনুষ্ঠান আমি কি করে করতে পেরেছিলাম আমি জানিনা। এবং শ্রোতাদের কাছ থেকে যে প্রশংসা পেয়েছিলাম সেটাও ভুলিনি। প্রশ্ন আপনিতো কয়েকটা সিরিয়ালেও গান করেছিলেন ?

উঃ আমার প্রথম কাজ ছিল ঋতুপর্ণ ঘোষের পরিচালনায় গানের ওপারে ধারাবাহিকে দেবজ্যোতি মিশ্র দার সংগীত পরিচালনায়। ওই ধারাবাহিকে ব্যাকগ্রাউন্ডে যে আলাপের অংশগুলো ছিল সেগুলো আমাকে দিয়ে করানো হয়েছিল এরপর একে একে বাংলা সিরিয়াল যেমন অদ্বিতীয়া গৌরিদান নাগলীলা এগুলো টাইটেল গানগুলো আমি গেয়েছিলাম। ভালোবাসা ডট কম, রইল ফেরার নিমন্ত্রণ সিরিয়ালে আমি গেয়েছি। জিৎ আর কোয়েল অভিনীত ১০০% লাভ ছবিতে ডুয়েট গেয়েছি পরিচালক সমিধ মুখার্জির সঙ্গে।

এই মুহূর্তে কোন সিরিয়ালে গাইছিনা।তবে সম্প্রতি অনির্বাণ চৌধুরীর পরিচালনায় কারার ওই লৌহ কপাট ইউটিউবে রিলিজ করেছে ।খুবই অল্প সময় ও সীমিত ক্ষমতার মধ্যে স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবিটির শেষে বিখ্যাত দেশাত্মবোধক গানটি ব্যবহার করা হয়েছে। সে গানটি গাওয়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। প্রশ্ন আপনার নিজস্ব অ্যালবাম গুলো সম্পর্কে জানতে চাই। উঃ অ্যালবাম তো শিল্পী জীবনের একটি অনুসঙ্গ। এখানে একটু অন্য একটা কথা বলি ২০১৯ এ  রমেশ শর্মা পরিচালিত দেবজ্যোতি মিশ্রের সঙ্গীত পরিচালনায় 'অহিংস গান্ধী' ডকু ফিল্মে গান করার সুযোগ হয়।ঐ ছবিটি ইউনাইটেড নেশনস এর তরফে ওয়ার্ল্ড পিস অ্যাওয়ার্ড পায়।আমার জীবনে অনন্য প্রাপ্তি‌।১৯৯৭ এ   ন্যাশানাল স্কলারশিপ পেয়েছিলাম,সেখানে বিখ্যাত সেতার বাদক বুধাদিত্য মূখার্জী বিচারক ছিলেন। অ্যালবামের প্রসঙ্গে বলি-প্রথম অ্যালবাম ছিল  বাউলা। লোকসংগীত আর ঠুমরীর মেলবন্ধন। অ্যালবামটি  জি বাংলা সংগীত পুরস্কার ২০০৬-এ  সেরা লোকসংগীত বিভাগে নমিনেশন পায়। ২০০৮ সালে মৌলিক বাংলা গানের অ্যালবাম সারাদিন প্রকাশিত হয়। আরবান গ্রোভস নামে একটি ন্যাশনাল প্রজেক্টে কাজ করার সুযোগ হয়েছিল।লফজ্ শিরোনামের অ্যালবামে আমার একটি গান ছিল। পোড়ামন নামে একটি সিঙ্গল বেরিয়েছিল ।২০১৯ এ একটি অরিজিনাল গজল 'মুঝসে বিছর কে' রিলিজ হয়েছিল।

দীর্ঘদিন ধরে সংগীত জগতে বিচরণ করছেন সেক্ষেত্রে রেওয়াজকে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছেন?

ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি সঠিক গুরুর কাছে নিরবচ্ছিন্নভাবে বেশ কিছুদিন বেসিক তালিম নেওয়া জরুরী। তার সঙ্গে ঠিকঠাক রেওয়াজ। ইউটিউব থেকে গান তুলে অনেকেই গাইছেন। এভাবে প্রকৃত শিল্পী হওয়া যায় না। অনুকরণ করে বেশিদূর এগুলো সম্ভব না । উপলব্ধি না করলে পুরোটাই উপরে উপরে ছুঁয়ে যাওয়া হয় ।গুরু সঙ্গ একান্তই জরুরী। বিভিন্ন রকমের গান শুনতে হয়। আজকালকার ছেলেমেয়েরা অনেক বেশি ট্যালেন্টেড ।তাই এ ব্যাপারে সচেতন হওয়া দরকার। যাতে অনুকরণ করতে গিয়ে নিজস্বতা হারিয়ে না যায়। আমায় গুরুদের ভালোবাসা আজও পথ দেখায় আমার গুরুজি শ্রদ্ধেয় এটি কানন জি  ঠুমরী র প্রতি আগ্রহ দেখে আমাকে গুরু ডালিয়া রাউতের কাছে পাঠান। সেখানে আমি ঠুমরী কাজরী ,দাদরা, ঝুলা এই ধারার গানগুলো শিখেছি। শুভ্রাদি পূর্ণিমা পিসির কাছেও শিখেছি ।সঞ্জয় ব্যানার্জির কাছে কিছুদিন তালিম নিয়েছি। গুরুদের নিঃস্বার্থ ভালোবাসা আজও আমায় আলো দেয় ।পথ দেখায়।  রেওয়াজের মধ্য দিয়ে পূর্ণতার খোঁজে আমি মগ্ন থাকি।

প্রশ্ন: গান না করলে কোন পথ হাঁটতেন? উঃ আমাকে অনেকে বলেন অশান্ত মন নিয়ে আমার সাথে কথা বললে মন শান্ত হয়ে যায়। কিছুদিন আগে একটা অনুষ্ঠানে একটা বাচ্চা ছেলে গান শুনে এসে বললো খুব ভালো লেগেছে অতটুকু বাচ্চা টার। ওর বলার মধ্যে কোন মিথ্যে ছিলনা। পরিণত বয়সের কেউ শাস্ত্রীয় সংগীত শুনে বলতে পারেন। কিন্তু ঐ বাচ্চাটার চোখ এবং কথা বলায় বুঝলাম ওর সাথে কোথাও কমিউনিকেট করতে পেরেছি।

আমি গান নিয়ে এতটাই মগ্ন ছিলাম তখন পড়াশুনা র সাবজেক্ট নিয়ে ভাবিনি। কিন্তু এখন যত অভিজ্ঞতা ও বয়স বাড়ছে এখন মনে হয় গান না করলে হয়তো আমি মনোবিজ্ঞান নিয়ে পড়তাম। এবং একজন মানুষকে মানসিকভাবে ভালো থাকার মতো করে অনেককিছু বোঝাতে পারি।কেন জানিনা গানের জগতের বাইরে সাধারণ মানুষ খুব আন্তরিক ভাবেই তাদের কথা গুলো বলেন।হয়তো আমি আমার জীবনের প্রিয়জনদের অকালে হারিয়ে নিজেকে যেভাবে শক্ত রেখে ঘুরে দাঁড়িয়েছি,সে কারণেই হয়তোবা। আমি কখনোই ভাবিনা দীর্ঘদিন আমি গাইবো,জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়লে মন খারাপ করে সেগুলো নিয়ে ভাববো ,এমন নয়।বেছে কাজ করি।গানের পাশাপাশি আমি এখন আঁকাতে মন দিয়েছি।নিজেকে ভালো রাখলে তবে তো অন্যকে ভালো থাকতে সাহায্য করতে পারবো।এই মানসিক স্থিতি থেকেই এখন মনে হয় মনোবিজ্ঞান হয়তো আমার বিষয় হতো‌। কারার ঐ লৌহ কপাট গানটি গাওয়ার সুযোগ পেয়ে কি ভাবলেন এবং রেকর্ডিং এর পর শ্রোতাদের রিয়েকশান?

“কারার ঐ লৌহ কপাট” এ গান কেবল নজরুলগীতিই নয়, ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি উদ্দীপক অহিংস হাতিয়ার এবং দেশের স্বাধীনতার অনুঘটক। এই সঙ্গীতের পুঙ্খানুপুঙ্খ সুর এবং কথা প্রতিটি বাঙালীর হৃদয়ে প্রোথিত এবং মজ্জাগত। তাই বাঙালী হিসেবে আমার ধারণা, এসমস্ত রক্তবাহিত গানের অ্যারেঞ্জমেন্ট নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা হতে পারে, কিন্তু গানের সুর, স্বরলিপি বা কথা নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা শ্রবণ সুখের হতে পারে না। আমরা যেমন পিতৃ মাতৃ পরিচয় ঝেড়ে ফেলতে পারি না, তেমনি “কারার ঐ লৌহ কপাট” গানটি স্বাধীনতা আন্দোলনে আমার ভারতমাতার পরিচয়, তাকে বদলে ফেলবো কী করে! এসব দেশজ সৃষ্টি বদলানোর চেষ্টা করা মানে সেই সৃষ্টিকে অশ্রদ্ধা করা। তাই ইউটিউব @anidiaryanirban চ্যানেলে নজরুল সাহেবের কথা ও সুরের প্রতি সম্মান এবং মর্যাদা দিয়ে এক নতুন আঙ্গিকের অ্যারেঞ্জমেন্টে “কারার ঐ লৌহ কপাট”য়ের প্রতি আমি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেছি মাত্র। অনেকেই শুনে ফোন করেছেন -ভালো হয়েছে বলেছেন।এখানে আমি একা নই অনেকেই আছেন।এটা প্রাপ্তি। শ্রোতাদের ভালো লেগেছে‌।


You can post your comments below  
নিচে আপনি আপনার মন্তব্য বাংলাতেও লিখতে পারেন।  
বিঃ দ্রঃ
আপনার মন্তব্য বা কমেন্ট ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই লিখতে পারেন। বাংলায় কোন মন্তব্য লিখতে হলে কোন ইউনিকোড বাংলা ফন্টেই লিখতে হবে যেমন আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড (Avro Keyboard)। আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ডের সাহায্যে মাক্রোসফট্ ওয়ার্ডে (Microsoft Word) টাইপ করে সেখান থেকে কপি করে কমেন্ট বা মন্তব্য বক্সে পেস্ট করতে পারেন। আপনার কম্পিউটারে আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড বাংলা সফ্টওয়ার না থাকলে নিম্নে দেয়া লিঙ্কে (Link) ক্লিক করে ফ্রিতে ডাওনলোড করে নিতে পারেন।
 
Free Download Avro Keyboard  
Name *  
Email *  
Address  
Comments *  
 
 
Posted comments
Till now no approved comments is available.