প্রতিক্রিয়া
শুভঙ্কর চক্রবর্তী
গিয়েছিলাম কিংশুকদের বাড়ী। দরজা খুলতেই বাছুর সাইজের দুটো জার্মান শেফার্ড আমাকে জিভ বের অভ্যর্থনা জানালো। প্রথমটা বেশ ভয় পেয়েছিলাম। কিন্তু কিংশুক বললো, কিস্যু করবেনা। গন্ধ শুঁকে ছেড়ে দেবে। তা পরিচয় পর্ব তো শেষ হোলো।
এটা ওটা গল্পগাছা করতে করতে, চা এলো। সিঙ্গারা এলো। খানিক বাদে নারকেল কোরা দিয়ে মাখা মুড়ি, তার ওপর অল্প চিনি ছড়ানো। আমাদের সর্বগ্রাসী সেই ক্ষিধের মুখে সেসব অমৃত, মরুভূমির বালুকাবেলায় মিলিয়ে গেলো। চিলেকোঠার ঘরে বসেছিলো আমাদের আড্ডা। তাই কিংশুক বেশ ধনীদের মতো দুটো চারমিনার বের করে, পকেট থেকে লাইটার টা টেবিলে রাখলো। আ:! একটু জিরিয়ে নেবার সাথী !
পৌনে ন'টা নাগাদ গা তুললাম। পায়ে জুতো গলাতেই তুলকালাম কান্ড! উরি ব্বাপ! দু'দুটো এলসেশিয়ান আমার বুকে পা তুলে দিয়ে হ্যা হ্যা করে বিশাল জিভ বের করে আছে। আমার তো প্রাণান্তকর অবস্থা! কিংশুক নরম গলায় বললো, রকি মিকি যাও। আমাকে বললো, দ্যাখ তুই আমার কোনও জিনিস নিয়ে যাচ্ছিস কিনা! আমি বিনাবাক্যব্যয়ে দুই পকেটে হাত দিয়ে দেখি, কিংশুকের লাইটার আমার পকেটে। সিগারেট ধরিয়ে আনমনে কখন যে সেটা পকেটে ঢুকিয়েছিলাম, মনে নেই।
লজ্জা পেয়ে ওর লাইটার হাতে তুলে দিতেই, রকি মিকি ওদের নির্দিষ্ট বিছানায় ফিরে গেলো। লজ্জিত,দু:খিত আমি বাড়ী ফিরে শুনতে পেলাম, আরও শতাধিক স্কুল চিরতরে বন্ধ হয়ে গেলো!
********
কই! আমার মনের রকি মিকি'রা তো গর্জে উঠলো না! কেমন জড় হয়ে যাচ্ছি আমি!
***********