।। মনোজাল ।।
অরিন্দম নাথ
বিশাল বাড়ি । তেতলা ইমারত । অনেকটা জায়গা নিয়ে । তবে একটু ঘিঞ্জি এলাকায় । ছাদের উপরে বাগান । টবে বাহারি ফুলের গাছ । অনেকটা দূর থেকে দেখা যায় । আমিও দেখেছি । উড়ালপুল থেকে । বাড়িটির একটি নাম আছে । মনোজাল । নামটি আজই শুনেছি । বন্ধু অহনের মুখে । প্রতিদিনের মতো সকালে বেরিয়েছিলাম । প্রাতভ্রমণে । মধ্যে একদিন বেরুতে পারিনি । ঝড় জলের জন্য । তাই দুজনের কাছেই প্রচুর কথা জমেছিল । প্রাত্যহিক হাসি-কান্নার । এক-দু'জন পরিচিত সুহৃদের মৃত্যু । সেই প্রসঙ্গেই এলো মনোজালের কথা । অহনের মেয়ে রিমি । এবারের মাধ্যমিক দিয়েছে । তার বান্ধবী শুভ্রা । তাদের বাড়িই মনোজাল । ছোট পরিবার । বছর তিনেকের বড় দাদা । সৌহার্দ্য । গৌহাটি আইআইটিতে পড়ে । মা-বাবা দুজনেই চাকরিজীবী । বড় চাকরি করেন । আপিসের গাড়িতে যাতায়াত করেন । তুলনায় অহন নিম্ন মধ্যবিত্ত । শুভ্রা ও রিমি ভিন্ন ভিন্ন স্কুলের ছাত্রী । টিউটরিয়াল ক্লাসে পরিচয় । সেই থেকেই শুভ্রা রিমিকে আমন্ত্রণ করে যাচ্ছে । তাদের বাড়িতে যেতে । রিমি সেই অনুরোধ ফেরাতে পারেনি । গতকাল সকালে গিয়েছিল । মনোজালে ।
আগের রাত্রিতে শুভ্রার বাবার কাছ থেকে অহন বাড়ির লোকেশন জেনে নিয়েছিল । তিনি গলির নাম বললেন । তস্য গলির কথা বললেন । ল্যান্ড ফিচার বললেন । মন্দিরের কথা বললেন । কিন্তু বাড়ির লাগোয়া শ্মশানের কথা বললেন না । ব্যস্ত-সমস্ত শ্মশান । সেটাই সবচাইতে নিকটে । একবেলা মনোজালে কাটিয়ে এসে রিমি ভূতের ভয় তটস্থ । একাকী রুমে কাটাতে ভয় পায় । বাথরুমে যেতেও ভয় পায় । সেদিন শুভ্রা বাড়িতে একাই ছিল । রিমিকে সঙ্গ দেওয়ার জন্য । বাড়ির কর্তা-গিন্নি দুজনেই অফিসে চলে গিয়েছিলেন । তবে সর্বক্ষণের কাজের মাসি ছিল । পছন্দসই খাবারও তৈরি হয়েছিল । দুজনের জন্য । বেশ কয়েকবার দুই বান্ধবী ছাদে গিয়েছিল । প্রতিবারই নজর চলে গেছে শ্মশানের দিকে । নতুন নতুন মৃতদেহ নজরে এসেছে । জীবনের অন্তিম খেয়া ঘাটে । বৈতরণী পারের অপেক্ষায় । এই দৃশ্য দেখে দুই কিশোরীর মন খারাপ হয়েছে । বিশেষত রিমির । শুভ্রা তাকে আরও ভয় পাইয়ে দিয়েছে । ভূতের গল্প বলে । রাত্রিতে ওদের বাড়িতে অদ্ভুত সব শব্দ শোনা যায় । কখনো জল গড়িয়ে পড়ার । কখনো যেন মার্বেল পাথর গড়িয়ে পড়ছে । আসবাবপত্র টানাটানির শব্দ । কান্নার আওয়াজ । কখনো বা নুপুর পায়ে কেউ দৌড়ে যাচ্ছে । এমনি সব অদ্ভুতুরে ব্যাপার । যার ব্যাখ্যা মিলে না । একদিন শুভ্রা বাড়িতে একা ছিল । বাড়ির কম্পাউন্ড গেট সে নিজেই বন্ধ করেছিল । ভিতর থেকে । দুপুরে হঠাৎ মনে হল তাকে কেউ ডাকছে । দুতলা থেকে নেমে এসে কাউকে পেল না । বাড়ির গেট বন্ধ । তবে বাহির থেকে । বাবা-মায়ের কাছে ডুপ্লিকেট চাবি থাকে । সে মাকে ফোন করল । তিনি অফিস থেকে দৌড়ে এলেন । তিনি কিংবা শুভ্রার বাবা এরমধ্যে আসেননি । ঘটনার ব্যাখ্যা মেলে না । এমনি ডাক অন্য সময়ও শুনেছে । অনেক সময় দলছুট শ্মশান-যাত্রীরা এসে পড়ে । সে বাবাকে বলে যে বাড়িটি বিক্রি করে দেওয়ার জন্য । অন্য কোথাও ঘর নিতে । এসব অহন রিমির মুখে শুনেছে । সে জীববিদ্যার ছাত্র । মেয়েকে নুপুরের পদধ্বনির একটা সুন্দর ব্যাখ্যা দিয়েছে ।
ঝিঁঝিঁ পোকারা নিশাচর । আলো এড়িয়ে চলে । তাদের অভিযোজন । পাখি এবং অন্য প্রাণীদের থেকে বাঁচার জন্য । তাই ঘরে থাকলে অন্ধকারেই অস্তিত্ব জানান দেয় । আলো জ্বাললে চুপ হয়ে যায় । আবার তারা গরম আবহাওয়া পছন্দ করে ।মোটামুটি পনের সেকেন্ডে ঝিঁঝিঁ যতবার আওয়াজ করে তার সঙ্গে চল্লিশ যোগ করলে সেই জায়গার তাপমাত্রা ফারেনহাইটে পাওয়া যায় । ঝিঁঝিঁর ঠিক আসলে মেয়েদের কাছে টানার জন্য পুরুষ ঝিঁঝিঁর গান । পাখা ঝাপটিয়ে এই শব্দ করে । প্রায় একশ প্রজাতির ঝিঁঝিঁ এই অঞ্চলে পাওয়া যায় । প্রত্যেক প্রজাতির গানে একটু হলেও আলাদা । ঝিঁঝিঁর ডাকও অনেক সময় ভৌতিক পরিবেশের সৃষ্টি করে । বিশেষত নূপুরের মত আওয়াজ ।
আমি সব কিছুর সাথে মনোবিজ্ঞানকে খুঁজি । বন্ধুকে আমার ব্যাখ্যা বলি । বয়সন্ধিতে বাচ্চারা ভূত দেখে । বিশেষত মেয়েরা । সে জানে ভূত বলে কিছু নেই । তথাপি অন্যদের বিশ্বাস করাতে চেষ্টা করবে যে ভূত আছে । সে কেন এটা করে হয়তো নিজেই জানে না । অন্যকে ভয় পাইয়ে যেন তার মজা । কিংবা অ্যাটেনশন পাওয়া । ওঠাওঠি ভাই-বোনদের ক্ষেত্রে এমনটা বেশি হয় । এক্ষেত্রে শুভ্রার দাদা ব্রিলিয়ান্ট স্টুডেন্ট । নিশ্চয়ই অত্যন্ত আদরের । শুভ্রাও পড়াশোনায় ভালো । আদরের । হয়তো দাদার উচ্চতায় পৌঁছাতে পারেনি । এই নিয়ে নিশ্চয়ই বাড়িতে তুলনা হয় । অথবা আশেপাশের অন্য কেউ প্রতিদ্বন্দ্বী থাকবে । সৌন্দর্যে এগিয়ে । সে শুভ্রার আদরে ভাগ বসিয়েছে । আমার ব্যাখ্যা অহিনের মনে ধরে না । একটি ঘটনার কথা মনে আসে । তাকে বলি ।
আমি ছাত্রজীবন শেষ করার পরই চাকরি পেয়ে যাই । পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষক । কমলপুর দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় যোগ দিয়েছিলাম । সেটা ১৯৮৬ সালের জুন মাস । ছাত্রদের সাথে বন্ধুর মতো মিশতাম । ছেলেদের হোস্টেলে অংক পড়াতাম । একটি বাড়িতে ভাড়া থাকি । সঙ্গে একজন বন্ধু । সুবীর গুপ্ত । জুনিয়র ইঞ্জিনিয়র । ঘটনাটি ১৯ ৮৯ সালের । একদিন ছাত্রদের পড়ানো শেষ করেছি । এমনি লোডশেডিং । ছেলেদের নিয়ে গল্প করছি । কথায় কথায় ভূতের প্রসঙ্গ এসে হাজির । আমি বললাম ভূত নেই । একটি ছেলে কিছুতেই মানতে রাজি নয় । নাম সুশীল দাস । সে বলল যে সে নিজে ভূত দেখেছে । দিনকয়েক আগে । প্রাকৃতিক কার্য করতে গিয়ে হোস্টেলের পায়খানায় । কিছুটা পরিত্যক্ত । সেটার আবার ছাদ নেই । পেছনে একটি বটগাছ । বর্ষাকাল । সুশীল পায়খানায় বসামাত্র গাছের পাতা থেকে জল পড়ল । সে উপর দিকে তাকিয়ে দেখে বিরাট এক ব্রহ্মদৈত্য । তার পায়খানা করা লাটে উঠলো । সে পালিয়ে বাঁচলো ।
গল্প শুনে আমি বললাম যে এসব মনের ভ্রম । ছেলেরা কিছুতেই মানতে রাজি নয় । হঠাৎ সুশীল আমাকে চ্যালেঞ্জ করে বসল । আমি একাকী শ্মশানে যেতে পারব কি না । আমি বললাম, "শ্মশানে যেতে সমস্যার কি আছে?"
- স্যার, অমাবস্যার রাত্রিতে যেতে হবে । একাকী !
শ্মশান হোস্টেল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে । আমি চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলাম । আবার ভুলেও গেলাম । শরৎকাল । মহালয়ার দিন বিকেলে সুবীরের সাথে দাবা খেলছি । ভাড়া বাড়িতে । হোস্টেল থেকে দুটো ছেলে এসে হাজির । ঘর থেকে বেরিয়ে এলাম । ছেলেদু'টি একটু ইতস্তত করছিল । একটি ছেলে অশোক । অশোক দাস । মরাছড়ায় বাড়ি । সে সরব হলো, "স্যার, সুশীলদা জিঙ্গাইছে আজকে রাত্রে আপনি শ্মশানে যাইতে পারবেন কি না ?"
মহালয়ার রাত্রি । অমাবস্যা তো বটেই ! একটুক্ষণ চিন্তা করলাম । তারিখ পিছিয়ে দিলে নিজের মনের উপর চাপ পড়বে । কথা দিলাম যাব । রাত্রিতে খাবার পর । সুবীরকে সব কথা খুলে বললাম । সে বারণ করল । বললাম, রাত্রিতে আমার সঙ্গে হোস্টেল পর্যন্ত চলো । সেখানে পৌঁছে ফাইনাল ডিসিশন নেব । সেই অনুযায়ী হোস্টেলে গেলাম । রাত্রি এগারোটার পর । পিকনিক পিকনিক আবহ ।ছেলেরা ভিডিওতে সিনেমা দেখছে । গুরুদক্ষিণা । সুশীলের খোঁজ করলাম । পেলাম না । বলল, সে একটু অপেক্ষা করতে বলেছে । এরমধ্যে একটি ছেলে একটি লাকড়ি নিয়ে এলো । মাথায় একটি লাল কাপড় বাঁধা । এইগুলি আমার হাতে ধরিয়ে দিল । শ্মশানের চুল্লিতে এই লাকড়িটি রেখে আসতে হবে । আমার পৌঁছানোর প্রমাণ-স্বরূপ ।
সুবীরকে হোস্টেলে অপেক্ষা করতে বললাম । তারপর এক হাতে লাকড়ি এবং অন্য হাতে টর্চ নিয়ে শ্মশানে উদ্দেশ্যে পায়ে হেঁটে রওনা দিলাম । স্কুলের মাঠের পাশ দিয়ে রাস্তা । কিছুটা গিয়ে রাস্তা নেই ।ঘাসের জমি । শ্মশানের একপাশে মনে হয় একটি ছড়া । কখনো যাওয়ার প্রয়োজন হয়নি । দূর থেকেই দেখেছি । কাদা মাটিতে হাওয়াই চটি আটকে যাচ্ছিল । খুলে হাতে নিলাম । ঘড়িতে সময় রাত্রি পৌনে বারোটা । আমি যত শ্মশানের কাছে যাচ্ছিলাম ততই পাখি উড়ে যাচ্ছিল । নৈশকালীন পাখি । পেঁচা হতে পারে । বক কিংবা ডাহুক হলেও অবাক হব না । তাদের ডানা ঝাপটানোর শব্দ । শ্মশান থেকে যখন প্রায় পঞ্চাশ গজ দূরে তখন শ্মশানের টিনের চালে দুমদাম শব্দ শুনলাম । ভাবলাম পাখিগুলি উড়ে যেতে গিয়ে টিনের চালে বাধা পাচ্ছে । আরো কিছুটা এগিয়ে যাবার পর শ্মশানে চুল্লিতে হঠাৎ দুটো আগুন জ্বলে ওঠে দপ্ করে নিভে গেল । সাথে সাথে দুটো প্রাণী পালিয়ে গেল । সেই আলোর ছটায় অমাবস্যার অন্ধকারে আবছা সাদা দেখাচ্ছিল । আমার মনে সাহস ফিরে এলো । আর যাই হোক প্রাণী দুটো আমাকে ভয় পায় ! আমি লাকড়িটি শ্মশানের চুল্লিতে রাখলাম । হোস্টেলে ফিরে এলাম ।
ফেরার পথে কোন বিপত্তি ঘটলো না । ছাত্ররা আমার সাহসের বাহবা দিল । যত্ন ভরে পা ধুয়ে দিল । ভাড়া বাড়িতে ফিরে আসার পর সুবীরের কল্যাণে রাত্রিতেই বীরের মর্যাদা পেয়ে গেলাম । মনে সংশয় রয়ে গেল! শ্মশাণে কারা ছিল ? চোর ডাকাত ? সবাই একবাক্যে বলল যে এত সাহস দেখানো আমার ঠিক হয়নি। পরদিন সকালেই কিন্তু সব রহস্য প্রকাশ পেয়ে গেল । আমি হোস্টেলে পৌঁছানোর পর সুশীল সেই জটলিয় ছিল । সে ভাবতে পারেনি এত রাত্রিতে আমি যাব ! তখন অন্য একটি ছেলেকে নিয়ে সে শ্মশানে যায় । সাথে একটি বোতলে করে কেরোসিন । একটি দিয়াশলাই বাক্স । উদ্দেশ্য মুখে কেরোসিন নিয়ে হাওয়াতে ছিটিয়ে দিয়ে দিয়াশলাই কাঠি জ্বালিয়ে আগুনের গোলা তৈরি করা । এর পরের ঘটনা আগে বর্ণনা করেছি । জল কাঁদায় ওদের দুজনের অবস্থা কাহিল হয়ে গিয়েছিল ।
পরবর্তীতে আমি সুশীলের পারিবারিক অবস্থার খবর নিয়েছিলাম । কৃষক পরিবার । বাস সালেমায় ।সুশীলের মত ডানপিটে ছেলে সম্ভবত দুটি পাওয়া ভার । ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ার সময় সে একবার বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় । কোনো একটি দুষ্টুমির কারণে সে বাবার পিটুনি আশঙ্কা করেছিল । একটি লরির পেছনে ঝুলে পড়ে । কুমারঘাটে নেমে পড়ে । সেখানে একটি চা-স্টলে কাজে যোগ দেয় । দেড় বছর পর ওর গ্রামের এক ভদ্রলোক ওকে দেখে চিনতে পারেন । সে ওনার কাছে মিথ্যা পরিচয় দেয় । কিন্তু ভদ্রলোক সুশীলের অভিভাবকদের ঐ খবর জানান । চা-স্টল থেকে সুশীলকে উদ্ধার করা হয় । সুশীল বর্তমানে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রাপ্ত । সালেমায় কোচিং ক্লাশ চালায় । আর অশোক দাস টিএসআরের এনসিও ।
বাসায় ফিরে বিষয়টি নিয়ে আরো কিছুক্ষণ ভাবলাম । ইন্টারনেট ঘাটলাম । রাতের বেলা বাসার ছাদে কমবেশি অদ্ভুত আওয়াজ শুনতে আমরা অভ্যস্ত । বিশেষত দোতালা বা তেতালার বন্ধ শার্সি হাওয়াতে নড়তে থাকে । মনে হয় কেউ যেন জানালায় নক করছে । আবার কখনো মনে হয় মার্বেল গড়িয়ে পড়ছে । ফার্নিচার টানাহেঁচড়া হচ্ছে ।
এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা কী ?
রাতের বেলা পরিবেশ নীরব হয়ে যায় । শব্দের তীব্রতা থাকে ৪০ ডেসিবলের আশেপাশে । নীরব শব্দের তীব্রতার সমান। বন্ধ রুম একটি ফাপা বাক্সের মত হয়ে যায় । খুবই সাউন্ড সেনসিটিভ । আবার, আমাদের ঘরের ছাদে স্টিলের রড রয়েছে । তাপমাত্রার ওঠা-নামায় রডের সঙ্কোচন প্রসারণ ঘটে । ছাদ গুলি কাঁপে । নিজস্ব কম্পাঙ্কে । পাশের বাড়ির একটি ছাদও হয়তো কাঁপে । সেখানে কেউ হয়তো সোফা সরিয়ে রাত্রিতে ঘুমের আয়োজন করছে । দুইটি কম্পাঙ্কের সাযুজ্য হলে অনুরণন ঘটবে । কম্পন জোড়ালো হবে । শ্রুতিগ্রাহ্য ।
আবার, রাত্রিতে আমরা জল খরচ করি না । ফাঁকা নলের গায়ে লেগে থাকা জল ঘনীভবন হয়ে টপ টপ করে পড়ে । আমরা ভাবি জল গড়িয়ে পড়ছে । শ্মশান বাড়িটির কাছে হওয়ায় মৃতের উদ্দেশ্যে বাজানো কীর্তনের রেশও হয়তো রাত বিরেতে পৌঁছায় । সর্বোপরি, ইঁদুরের কেরামতি ।