উচ্চ আদালতের নির্দেশে বার বার রিপ্রেজেন্টেশান দিয়েও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না অবসরপ্রাপ্ত আদালত কর্মচারীরা, নিরুত্তর এজি ও অর্থ দপ্তর
মিহির সিংহ রায় সম্পাদক রিটায়ার্ড এম্প্লয়িজ ফোরাম অফ সাবোর্ডিনেট জুডিসিয়ারী, ত্রিপুরা
শেঠী কমিশনের সুপারিশ, মাননীয় সুপ্রীম কোর্টের আদেশ, মাননীয় ত্রিপুরা হাইকোর্টের আদেশ ও ত্রিপুরা সরকারের বিভিন্ন আদেশ/নির্দেশের ভিত্তিতে নিম্ন আদালতের কর্মচারীরা ও অবসরপ্রাপ্তরা ০১-০১-২০০৬ ইং থেকে কেন্দ্রীয় ষষ্ঠ বেতনক্রম অনুসারে বেতন ভাতা পেনশন ইত্যাদি পাওয়ার কথা। কেন্দ্রীয় ষষ্ঠ বেতনক্রম অনুসারে কর্মরত (employees of Subordinate Judiciary of Tripura) কর্মচারীদের বেতন ভাতা নিয়ে কোন সমস্যা নেই। কর্মচারীরা সঠিক ভাবেই তাহাদের বেতন ভাতা ইত্যাদি পাচ্ছেন। আমরা সবাই জানি, যে, যে কর্মচারী যে বেতনক্রম অনুসারে (কমিশনের নিয়ন্ত্রণ) চাকরি করেন সেই কর্মচারী সেই বেতনক্রম অনুসারেই (কমিশনের নিয়ন্ত্রণেই) পেনশন পাবেন এবং পাচ্ছেন। কিন্তু একমাত্র ত্রিপুরার নিম্ন আদালতের পেনশনারদের (retired employees of Subordinate Judiciary of Tripura) বেলায় ব্যাতিক্রম। যেমন, একজন কর্মচারী চাকরি করে গেলেন ২৩০% মহার্ঘ্য ভাতা নিয়ে আর পেনশন পাচ্ছেন ১২৫% মহার্ঘ্য ভাতা নিয়ে, তাও আবার স্থির হয়ে আছে। ২০২০ সাল থেকে শুরু হয়েছে ১২৫%, এখনো (২০২৪ সাল) সেই ১২৫%। আমরা সবাই জানি যে মহার্ঘ ভাতা নির্ধারণ হয় মূল্যসূচকের উপর ভিত্তি করে এবং মহার্ঘ ভাতা ক্রমশঃ বৃদ্ধি হতে থাকে। ষষ্ঠ বেতনক্রম অনুসারে গ্র্যাচুইটি দশ লাখ টাকার ভিত্তিতে পাওয়ার কথা কিন্তু আদালতের অবসরপ্রাপ্তরা পাচ্ছেন মাত্র চার লাখ টাকার ভিত্তিতে, অর্থাৎ এককালিন ছয় লাখ টাকা কম । নিম্ন আদালতের অবসরপ্রাপ্তদের বন্চনা নিয়ে রিটায়ার্ড এম্প্লয়িজ ফোরাম বিভিন্ন অফিসে বিভিন্ন আধিকারিকদের নিকট ডেপুটেশান প্রদান করেছে,যেমন মাননীয় হাইকোর্টে,আইন দপ্তরে, অর্থ দপ্তরে,ত্রিপুরার সমস্ত জেলা ও দায়রা জজদের নিকটে।
নিম্ন আদালতের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীরা কিসের উপর ভিত্তি করে বা কোন আদেশের উপর ভিত্তি করে কেন্দ্রীয় ষষ্ঠ বেতনক্রম অনুসারে পেনশন, গ্র্যাচুইটি ইত্যাদি পাবেন তাহা তুলে ধরার চেষ্টা করছি :- (a) The Apex Court in the order dated 16-03-2015 delivered in I.A.Nos.297 & I.A. in Writ Petition (Civil)No.1022 of 1989 in paragraph 20(iv) (Page No.18)has opined as follows:- "It is reiterated that the above direction in regard to the implementation of 6th Pay Commission recommendation will hold good even for implementation of any future commission recommendation. (b) The Hon'ble High Court of Tripura in I.A.No.216 of 3017 arising out of Writ Petition (C)No.617 of 2015 has observed in its order dated 11-04-2017 in paragraph 7 as follows:- Line – 12 "It is therefore apparent that so far the pay scales are concerned, there lies no dispute after introduction of the Tripura State Civil Services (Revised Pay)(12th Ammendment) Rules, 2015. " (c)The Hon'ble High Court of Tripura in Writ Petition (C)No.617 of 2015 in its order dated 31-08-2016 under Para No.22(III) has ordered as follows:- "Yes, the employees' of the Subordinate Judiciary are entitled to the arrear in terms of the 6th Central Pay Commission recommendations benefits such as the difference of pay and allowances in terms of the direction as above. "(d) The Hon'ble High Court of Tripura in I.A.Case No.216 of 2017 arising out of Writ Petition (C)No.617 of 2015 in its order dated 11-04-2017 in page Nos.6 to 8 has ordered as follows:-
xxx The Pensionary benefits which are admissible as per CCS(Pension)Rules to the employees of Central Govt.should also be applicable to the employees of Sub-ordinate Judiciary. The benefits time to time which are amended by the Central Government should also be applicable to the Sub-ordinate Judiciary employees.XXX In addition, the allowances which are not mention in our comparative statement but the Central Government employees are getting allowances & benefits as per 6th Central Pay Commission should also be applicable to the employees of Sub-ordinate Judiciary.Various Memorandum/Notification issued by the Finance Department, Government of Tripura as follows:- (i)The Finance Department, Goverment of Tripura vide Notification No.F.3(2)-FIN(PC)/93(P-III), dated -10-09-2015 has implemented the Recommendations of the Shetty Commission in respect of the staff of the Subordinate Judiciary as per judgement and order dated 16-03-2015 of the Hon'ble Supreme Court delivered in I.A.Nos.297 & 71A in Writ Petition (Civil)No.1022 of 1989.(ii) Observation of the Notification dated 02-12-2017 of the Finance Department, Government of Tripura as follows:-"In view of the direction of Hon'ble High Court of Tripura in its order dated 11-04-2017 delivered in I.A.No.216 of 2017 arising out of Writ Petition (C)No.617 of 2015 and order dated 31-08-2016 in WP(C)No.617 of 2015 and in partial modification of the Notification of even number dated 10.09.2015, the Governor is pleased to order that the employees of the Subordinate Judiciary shall be entitled to the benefits of allowances in terms of judgement and order dated 31.08.2016 delivered in WP (C) No. 617 of 2015 besides those in the Notification dated 10.09.2015 subject to outcome of the Special Leave Petition. (iii) Memorandum was issued on 11th April, 2018 by the Finance Department, Government of Tripura regarding Clarification of pay and allowances of staff of the Subordinate Judiciary. (iv) Memorandum was issued by the Finance Department, Government of Tripura vide No.F.3(2)-FIN(PC)/93(P-III/67, dated-25th May, 2018. Subject of the Memorandum as follows:- "Cancellation of the Memorandum dated 11-04-2018 regarding Clarification of the pay fixation in respect of Subordinate Judiciary in pursuance of Finance Department's Memo dated 09-02-2018. (v) On the basis of Order/Direction of the Hon'ble Supreme Court as well as the Hon'ble High Court of Tripura and various Memorandum/Notification of the Finance Department, Government of Tripura,all the District and Sessions Judge's of Tripura issued order sanctioning arrear of pay and allowances to the employees and retired employees of Sub-ordinate Judiciary Tripura with effect from 01-01-2006. ত্রিপুরা হাইকোর্টের মামলায় WP (C) 617 of 2015 এবং I. A. No. 216 of 2017 পরিস্কার ভাবে বলা আছে কর্মচারীরা এবং পেনশনাররা কি ভাবে তাদের বেতন,ভাতা, পেনশন ইত্যাদি পাবেন। I.A.No.216 of 2017 এর ১১-০৪-২০১৭ তারিখের জাজম্যান্টে ৬ এবং ৭ নম্বর পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে Gratuity= Maximum Gratuity is limited to Rs. 10,00,000/- ( Rupees ten lakh ) only. এখানে উল্লেখ্য যে WP(C) 617/2015 মামলার রায় বুঝতে অসুবিধার কারনে রাজ্য সরকার স্পষ্টিকরন করতে চেয়ে একটি মামলা দায়ের করেন যাহার নাম্বার ।.A. 216 of 2017. ত্রিপুরা সরকারের ফিনান্স ডিপার্টম্যান্টের নোটিফিকেশন dated 02-12-2017 তারিখে যা বলা হয়েছে তাহা নিম্নরূপ :-
In view of the direction of Hon'ble High Court of Tripura in its order dated 11-04-2017 delivered in I.A.No. 216 of 2017 arising out of Writ Petition (C) No. 617 of 2015 and order dated 31-08-2016 in WP (C) No. 617 of 2015 and in partial modification of the Notification of even number dated 10.09.2015, the Governor is pleased to order that the employees of the Subordinate Judiciary shall be entitled to the benefits of allowances in terms of judgement and order dated 31.08.2016 delivered in WP (C) No. 617 of 2015 besides those in the Notification dated 10.09.2015 subject to outcome of the Special Leave Petition.
১১-০৪-২০১৮ তারিখের ইসু করা অর্থ দপ্তরের নোটিফিকেশন কার্যকর হলে (যাহা হাইকোর্টের মামলার রায়ের বিরুদ্ধে WP (C) 617 2015 & A. No. 216/2017) কর্মচারীদের বেতন ভাতা কমে যায়, তাই ই কর্মচারীদের প্রতিবাদ হয় এবং প্রতিবাদ স্বরূপ দুই মাস বেতন নেওয়া বন্ধ থাকে । পরবর্তী সময়ে অর্থাৎ ২৫-০৫-২০১৮ তারিখে ঐ তারিখের (১১-০৪-২০১৮) নোটিফিকেশন বাতিল হয়ে যায় এবং বলা হয়- Cancellation of the Memorandum dated 11.04.2018 regarding clarification of pay fixation in respect of staff of Subordinate Judiciary in pursuance of Finance Department's Memo dated 09-02-2018. বর্তমানে অর্থাৎ ২০২০ থেকে Subordinate Judiciary র অবসরপ্রাপ্তদের মহার্ঘ্য ভাতা (Dearness Relief) দেওয়া হচ্ছে ১২৫%। এজি অফিস থেকে নাকি ফিনান্স ডিপার্টম্যান্টে clarification চেয়েছিল পেনশনারদের Dearness Relief ও Gratuity কি ভাবে দেওয়া হবে ? উত্তরে ফিনান্স ডিপার্টম্যান্ট এ.জি. অফিসকে Views (মতামত ) দিয়েছেন, যাহা কোন সরকারি আদেশ/নির্দেশ কিছুই হতে পারে না এবং এই Views এর ভিত্তিতে কোন কার্যকরি ভূমিকা
গ্রহণ/পালন করা যায়না। ঐ Views কোন সরকারি সাধারণ আদেশ/নির্দেশ/নোটিফিকেশন (General Order Notification of Govt. of Tripura) নয়। ঐ Viewsকে যদি সরকারি আদেশ হিসাবেও ধরা হয় ভাতেও ১২৫% ডি.আর.দেওয়ার কথা স্পষ্ট ভাবে বলা হয়নি। মহার্ঘ ভাতা নির্ধারণ হয় মূল্যসূচকের উপর এবং কর্মচারীদেরকে অবসরপ্রাপ্তদেরকে দেওয়া হয় মূল বেতনের উপর, মহার্ঘ ভাতা স্থির হয়ে থাকতে পারে না ক্রমশ বৃদ্ধি হতে থাকে। ১২৫% মহার্ঘ ভাতা কিসের উপর ভিত্তি করে ৬/৭ বৎসর যাবৎ স্থির হয়ে আছে তাহা কাহারও জানা নেই। সম্ভবত ১১-০৪-২০১৮ তারিখের নোটিফিকেশনের উপর ভিত্তি করেই Views তৈরি করা হয়েছিল যাহা ২৫-০৫-২০১৮ তারিখেই বাতিল হয়ে যায়।
পেনশনাররা বিভিন্ন দপ্তরে ধরনা দিচ্ছেন,আইন দপ্তরে গেলে পর বলা হয় অর্থ দপ্তরে যাওয়ার জন্য, অর্থ দপ্তরে গেলে পর বলা হয় ষষ্ঠ বেতনক্রম অনুসারে পেনশন দিতে তাদের কোন আপত্তি নাই, (যেমন, কর্মরত কর্মচারীরা ষষ্ঠ বেতনক্রম অনুসারে বেতন ভাতা ইত্যাদি পাচ্ছেন) এ.জি অফিসে গেলে পর বলা হয় অর্থ দপ্তরের কোন আদেশ নাই, এজি অফিস এমন কোন সরকারি আদেশ/নির্দেশ দেখাতে পারছেন না যাহার ভিত্তিতে তাহারা কেন্দ্রীয় ষষ্ঠ বেতনক্রম অনুসারে পেনশন তথা মহার্ঘ্য ভাতা দিতে এবং দশ লাখ টাকার ভিত্তিতে গ্র্যাচুইটি দিতে অপারগ (অক্ষম)। এমন ভয়ঙ্কর আর্থিক সঙ্কটে (পরিস্থিতিতে) দিন কাটছে আদালতের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের।
মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ অনুসারে এবং ত্রিপুরা সরকারের (অর্থ দপ্তরের) বিভিন্ন নোটিফিকেশন মুলে নিম্ন আদালতের কর্মচারী ও অবসরপ্রাপ্তরা (Employees and Pensioners of Subordinate Judiciary of Tripura) কেন্দ্রীয় ষষ্ঠ বেতনক্রম অনুসারে বেতন ভাতা, পেনশন ইত্যাদি পাবে। কর্মরত কর্মচারীরা বেতন ভাতা ইত্যাদি পাচ্ছেন সঠিক ভাবেই কিন্তু এ.জি. অফিস পেনশনারদের সঠিক পেনশন দিচ্ছেন না। পেনশনাররা তাদের যথাযথ পেনশন পাচ্ছেন না সঠিক ভাবে। সাধারনত এ.জি অফিস পেনশন নির্ধারণ করে থাকেন এবং করেন। অনিয়মিত পেনশন পাওয়ার ফলে প্রতি পেনশনার গড়ে প্রতিমাসে নয় হাজার টাকা থেকে তেইশ হাজার টাকা কম পেনশন পাচ্ছেন এবং গ্র্যাচুইটি বাবত এককালীন ছয় লাখ টাকা কম পাচ্ছেন।
যাহারা অবসরে গেছেন তাহারা খুবই উদ্বিগ্ন/চিন্তিত এবং যাহারা অবসরে যাবেন তাহারা আরও বেশি উদ্বিগ্ন ও চিন্তিত। অনেকেই হাইকোর্টের শরনাপন্ন হচ্ছেন, সহসা বিচার পাচ্ছেন না কারন বিচার পর্ব শেষ হতে অনেক সময় চলে যায়। বিচার পর্ব শেষেও আসল বিচার পান না। আমাদের দুর্ভাগ্য, আমরা যাদের কাছ থেকে (বিশেষ করে ফিনান্স ডিপার্টম্যান্ট) বঞ্চিত হয়ে মাননীয় হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছি, মাননীয় হাইকোর্টের মাননীয় জাষ্টিস সাহেব ঐ মামলার বিচারের দায়িত্ব তুলে দেন ঐ বিবাদীদের উপর (বিশেষ করে ফিনান্স ডিপার্টম্যান্টের উপর) এবং আদেশ/জাজম্যান্ট দিয়েই মামলাটি নিষ্পত্তি করে দেন, মামলাকারিদের কোন সুযোগই থাকেনা ঐ মামলায় আবার আদালতে যাওয়ার। যে মামলাটি প্রায় তিন বছর শেষে নিস্পত্তি হল এবং মামলাকারিরা কিছুই পেলনা, তাহারা আবার নতুন করে মামলা করতে হবে তাহাদের অবসরকালীন সুযোগ সুবিধা পাওয়ার জন্য। একজন পেনশনার ষাট বৎসর বয়সে পেনশনে যান, পেনশনে যাওয়ার পর ৭/৮ বৎসর যাবৎ যখন তার পেনশন সঠিক ভাবে পাচ্ছেন না তখন বিভিন্ন দপ্তরের দরজায় কড়া নাড়তে নাড়তে কোন সাড়া না পেয়ে আদালতের শরণাপন্ন হন, আদালতে কমপক্ষে তিন বছর শেষে মামলা নিস্পত্তি করে বিবাদীর উপর বিচারের দায়িত্ব তুলে দেন, বিবাদী, বিশেষ করে ফিনান্স ডিপার্টম্যান্টের উপর।রিটায়ার্ড এপ্লয়িজ ফোরাম অফ সাবোর্ডিনেট জুডিসিয়ারী কর্তৃক মাননীয় হাইকোর্টে দায়ের করা একটি মামলার উদাহরণ তুলে ধরছি :- D.A/D.R. এবং Gratuity নিয়ে যে মামলাটি দায়ের করা হয় তাহার নাম্বার WP (C) 420 of 2022। দীর্ঘ শুনানি শেষে মাননীয় বিচারক ০২-০৫-২০২৩ সালে রায় প্রদান করেন, সংক্ষেপে রায় নিম্নরূপ :-
xxxx Having observed thus, without expressing any opinion on merits, the present writ petition stands disposed of affording liberty to the petitioner to make a proper representation before the respondents alongwith all relevant documents and information including judgements of the High Court and Apex Court the petition is placing reliance upon wherein, such benefits have been extended to the petitioner(s) and on receipt of such representation, the respondents shall take a decision as expeditiously as possible on to this issue in accordance with law preferably within a period of one month from the date of receipt of the representation. Accordingly, the present petition stands disposed. As a sequel, miscellaneous applications pending, if any, shall stand closed.
মাননীয় বিচারকের রায়/আদেশ অনুসারে হাইকোর্টের মাধ্যমে Secretary Finance কে Representation alongwith all relevant documents and information including judgements of the High Court and Apex Court পাঠানো হয় ১৬-০৬-২০২৩ ইং তারিখে। মাননীয় বিচারকের রায় অনুসারে (এক মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে) Secretary, Finance Department প্রায় তিন মাসের মধ্যে কোন সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় আবার Representation alongwith all relevant documents দেওয়া হয় ২৭-০৯-২০২৩ ইং তারিখে। তারপরে ডিসেম্বর মাসের মধ্যেও কোন সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় জানুয়ারি মাসে আদালত অবমাননা মামলা দায়ের করা হয়, মামলার নোটিশ পেয়ে ১৬-০১-২০২৪ তারিখে একটি অর্ডার বের করেন যাহা মামলাকারী (বাদী) জানেন না। অর্ডারটা সংক্ষেপে xxx it appears that the claim can not be agreed to.
জীবনের শেষ প্রান্তে এসে এই ভয়ানক আর্থিক সঙ্কট মেনে নেয়া যায় না। নায্য প্রাপ্তির গভীর আশা বুকে নিয়ে কয়েকজন সহযোগী অবসরপ্রাপ্ত আদালত কর্মচারী পরলোক গমন করেছেন, এখনও বেশ কয়েকজন বয়সজনিত কারণে আর্থিক দুশ্চিন্তা বুকে নিয়ে শয্যাশায়ী অবস্থায় দিন যাপন করছেন। অবসরপ্রাপ্ত আদালত কর্মচারীগন ভিখারী নন্, কাহারো দয়ার আশা করেন না,আইন সম্মত যাহা পাওয়ার তাহাই দাবি করে। অত এর্, আপনাদের কাছে (অবসরপ্রাপ্ত আদালত কর্মচারীদের) বিনীত প্রার্থনা, আমাদের উপরোক্ত সমস্যাগুলো সরকার ও সর্বসাধারনের কাছে তুলে ধরুন।
ইতি
মিহির সিংহ রায়
সম্পাদক
রিটায়ার্ড এম্প্লয়িজ ফোরাম অফ সাবোর্ডিনেট জুডিসিয়ারী, ত্রিপুরা,
আগরতলা, পশ্চিম ত্রিপুরা