।। লংতরাইয়ের আখ্যান ।।
অরিন্দম নাথ
আমি এসপি ধলাই হিসেবে রোগ দিই ১৪ই জন, ২০০৪ সালে । তখন লংতরাইভ্যালি মহকুমায় এনএলএফটি ছাড়াও আরেকটি উগ্রপন্থী দল সক্রিয় ছিল ৷ জীবন ত্রিপুরার নেতৃত্বে ছয় সাতজনের স্থানীয় গ্রুপ ৷ সবাই ত্রিপুরী ৷ লংতরাই পাহাড়ের পুব-ঢালের দেবেন্দ্র চৌধুরী পাড়ার আশেপাশে বাড়ি ছিল ৷ তাদের কাছে একটি কার্বাইন ও এক দুইটি ভাল হাতিয়ার ছিল ৷ এই হাতিয়ার সম্ভবত কোন এনএলএফটি গ্রুপের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিল ৷
২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ভাগ্যচন্দ্র পাড়ায় চাকমাদের উপর ডাকাতি করেছিল ৷ কয়েকজন মহিলাকে ধর্ষণ করে ৷ একজন গ্রামবাসী সম্ভবতঃ খুন হন ৷ আমি জয়েন করে দেখলাম জীবন গ্রেপ্তারের পর জেলে আছে ৷ তবে তার হেফাজত থেকে কোন হাতিয়ার উদ্ধার করা যায়নি ৷ তাদের বাড়িঘরও সম্ভবতঃ ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী জ্বালিয়ে দিয়েছিল ৷ এনএলএফটিও তাদের বিরুদ্ধে ছিল ৷ লংতরাইভ্যালি মহকুমার এসডিপিও তখন বিজয় দেববর্মা ৷ একদিন ওই গ্রুপের একটি ছেলে ধরা পড়ল ৷ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারলাম তাদের দলের কার্বাইনটি জীবন লুকিয়ে রেখেছে একটি জুম ঘরের মাটির নীচে ৷ দেবেন্দ্র চৌধুরী পাড়ার কাছাকাছি ৷ সঠিক স্থানটি সে জানে না ৷ সুতরাং বিজয়সহ আমি গেলাম অভিযানে ৷ বৃষ্টিও আমাদের সঙ্গ নিল ৷ যেখানে নিয়ে গেল, তার আশেপাশে আর বসতি নেই ৷ সেই টংঘরও নেই ৷ তবে ঘর যে একটা ছিল বুঝা যায় ৷ মাটির ঘরও হতে পারে ৷ স্তুপাকারে মাটি পড়েছিল ৷ মাটি খোঁড়ার জন্য কোদাল ও শাবল নিয়ে গিয়েছিলাম ৷ বৃষ্টির মধ্যে অনেক খোঁড়াখুঁড়ি করেও নিষ্ফলা ফিরলাম ৷
আমরা খুব সচেতন ছিলাম যাতে জীবনের জামিন না হয় ৷ যতদূর মনে আছে নাসা আইনও প্রয়োগ করেছিলাম ৷ তারপরও দেড় দুই বছরের বেশি তাকে জেলে আটকে রাখতে পারলাম না ৷ এরমধ্যে এক রাজনৈতিক নেতার সম্ভবতঃ মদত ছিল ৷ তিনি ত্রিপুরী সম্প্রদায়ের ৷ তাঁর হয়ত ধারনা ছিল গ্রুপটি যদি আরও কিছুদিন বৈরীপনা করে উগ্রপন্থী হিসেবে জাতে উঠবে ৷ আত্মসমর্পণ করে সুযোগ সুবিধা নেবে ৷ জীবন আবার গ্রুপ তৈরি করল ৷ ছামনুর এক বাজারবারে ছামনু – ফাইভকিলো রাস্তায় জিপগাড়ি থামিয়ে ডাকাতি করল ৷ এর তিন চারদিন পর সন্ধ্যারাতে ছামনু হাসপাতালের খুব কাছে এসে ভিলেজ চেয়ারম্যানের ছেলেকে গুলি করল ৷ ছেলেটির নাম ছিল গোপাল ত্রিপুরা ৷ ঘটনায় সে মারা যায় ৷ হয়ত জীবনকে উগ্রপন্থায় নামানোর পেছনে গোপালের হাত ছিল ৷ হয়ত পুলিশের উপর চাপ সৃষ্টি করা ৷ আমাদের তরফ থেকে জানিয়ে দিলাম আত্মসমর্পণ সম্ভব নয় ৷ কারণ ধর্ষণের মামলা রয়েছে ৷ এবার জীবন ত্রিপুরা তার গ্রুপ নিয়ে কর্পূরের মত কোথাও উবে যায় ৷
তখন বিশ্বনাথ দেববর্মা ছিলেন অষ্টম বাহিনী টিএসআরের কমান্ড্যান্ট ৷ তাঁর সদর দপ্তর লংতরাই ভ্যালি মহকুমার. লালছড়া, ছৈলেংটায় ৷ আনন্দঘন স্থান ৷ হালাম নাম সইলেং তাং থেকে এসেছে ৷ সইলেং শব্দের অর্থ আনন্দের জায়গা ৷ তাং শব্দের অর্থ অনুচ্চ পাহাড় ৷ এখানকার স্মৃতি আমাকে আনন্দ দেয় ৷ ইতিমধ্যে বিজয় দেববর্মার জায়গায় কমলেন্দু বিকাশ দাশ লংতরাইভ্যালি মহকুমার এসডিপিও হিসেবে জয়েন করেছে ৷ আমি এসপি ধলাই ৷ শুধু আক্ষরিক অর্থেই নয়, আমাদের এই ত্রিবেণী সঙ্গমে বৈরীদের প্রাণান্তকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল ৷ অন্যূন দশজন বৈরী এই সময়ে লংতরাই ও শাখান পাহাড়ের বুকে সংঘর্ষে মারা যায় ৷ সে বছর কমলেন্দু পুলিশ ম্যান অফ দ্য ইয়ার বিবেচিত হয়েছিল ৷ আর টিএসআর বেস্ট ব্যাটেলিয়নের শিরোপা উঠেছিল অষ্টম বাহিনীর কমান্ড্যান্ট শ্রীযুক্ত বিশ্বনাথ দেববর্মার হাতে ৷
২ রা জুলাই, ২০০৬ তারিখ রাতে বৈরীরা লংতরাই পাহাড়ের পুব-পারের দেবেন্দ্র চৌধুরী পাড়ার আট-দশটি বাড়ি জ্বালিয়ে দেয় ৷ সবগুলিই উপজাতি পরিবারের ৷ প্রাথমিক কারণ বৈরীরা কোণঠাসা হয়ে জাতীয় সড়ক অতিক্রম করে লংতরাই পাহাড়ের উত্তর দিকে যেতে পারছিল না ৷ বাংলাদেশ থেকে গঙ্গানগর থানাধীন উদাসীন পাড়া হয়ে উগ্রবাদীরা ত্রিপুরায় ঢুকত ৷ এরপর আসত দেবেন্দ্র চৌধুরী পাড়ায় ৷ এখানে না এসে লংতরাই ভ্যালি মহকুমার গ্রামগুলিতে বৈরী কার্য-কলাপ চালানো অসুবিধাজনক ৷ গ্রামের লোকজন পুলিশকে খবরাখবর দিয়ে সাহায্য করে এই অজুহাত দেখিয়ে উগ্রবাদীরা সেদিন রাত্রিতে বহ্নি উৎসব করেছিল ৷ স্বভাবতই গ্রামবাসীরা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পাশের জয়চন্দ্রপাড়া এবং ঘাঘড়াবস্থিতে আশ্রয় নিয়েছিল ৷ ঘাঘড়াবস্থি মনু নদীর পশ্চিম পারে অবস্থিত গ্রাম ৷ মিশ্র এলাকা ৷ বাঙ্গালী ও জনজাতি অংশের লোকের বাস ৷ এখানে স্পেশাল পুলিশ ও ডিএআরের একটি ক্যাম্প ছিল ৷ এই ঘাঘরা পরিধেয় বস্ত্র নয় ৷ নলখাগড়া জাতীয় জলজ উদ্ভিদ ৷ ঘাঘরাছড়ার বিস্তৃতি অনেকদূর পর্যন্ত ৷ লংতরাই মন্দির পেরিয়ে এসকেপাড়া বা সিন্ধুকুমার পাড়া যাওয়ার পথে একটি কালভার্ট আসে ৷ এখানে ঘাঘরাছড়ার উচ্চগতি ৷ এই জায়গায় নদীর দু`পার পাথরে মোড়া ৷ অনেক জায়গায় শ্যাওলা যুক্ত ৷ এখান দিয়ে বৈরীরা সন্ধ্যার পর জাতীয় সড়ক অতিক্রম করত ৷ ঘাঘড়াবস্থি থেকে ছোট গাড়ি-চলাচলের একটি রাস্তা ছিল ৷ এসকেপাড়া হয়ে উত্তর দিকে ৷ এখন ছৈলেংটাতে মনু নদীর উপর পাক সেতু হয়েছে ৷ বড় গাড়ি করেও সিন্ধুকুমার পাড়া থেকে ঘাঘড়াবস্থি হয়ে পীচ রাস্তায় চলাচল করা যায় ৷
সেদিন দুপুরে ফৌজের একটি দল নিয়ে আমি জাতীয় সড়ক থেকে ঘাঘড়াছড়া হয়ে দেবেন্দ্র রোয়জা পাড়ায় পৌঁছেছিলাম ৷ সবমিলিয়ে ঘণ্টা দু`য়েকের পথ ৷ কমলেন্দু দেবেন্দ্র রোয়জা পাড়ায় আগেই পৌঁছেছিল ৷ ছৈলেংটা থেকে নৌকায় নদী পেরিয়ে ঘাঘড়াবস্থি-জয়চন্দ্রপাড়া হয়ে ভোর-রাতে ৷ তখনকার ডিআইজি ছিলেন শ্রীযুক্ত ধূর্জটি গৌতম ৷ তাঁকে নিয়ে বিশ্বনাথ দেববর্মা স্যার আমাদের পৌঁছার কিছু পর দেবেন্দ্র রোয়জা পাড়ায় পৌঁছালেন ৷ তাঁরা এসেছিলেন এসকেপাড়া ঘাঘড়াবস্থি-জয়চন্দ্রপাড়া হয়ে ৷ আমরা গ্রামের লোকদের নিরাপত্তার আশ্বাস দিই ৷ প্রশাসনের তরফ থেকে বিপন্ন মানুষ গুলিকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয় ৷ গ্রামের লোক ফৌজের ক্যাম্প বসানোর দাবী করে ৷ আমরা দিন-রাত্রি প্রহরার ব্যবস্থা করি ৷ ভীত-সন্ত্রস্ত লোকগুলি সাহস ফিরে পায় ৷ কেউ গ্রাম ছাড়ে না ৷ কেন জানি আমার মনে হচ্ছিল এর পেছনে জীবন ত্রিপুরা গ্রুপের ছায়া রয়েছিল ৷ যদিও এই ঘটনার পেছনে এনএলএফটি গ্রুপের জড়িত থাকার প্রমাণ পাচ্ছিলাম ৷ এমনও হতে পারে, যাদের বাড়ি পোড়া গিয়েছে তাদের সঙ্গে জীবনের লোকদের সম্পর্ক ছিল ৷ আবার দুইটি প্রভাবশালী ত্রিপুরী পরিবারের বিরোধ থেকেও এই ধরনের হানাহানি হয় ৷ সামন্ততান্ত্রিক মানসিকতা ৷ প্রত্যক্ষ উদাহরণ গণ্ডাছড়ার আনন্দ রোয়াজা ও অশ্বিনী রোয়াজা পরিবারের বিরোধ এবং রক্তপাত ৷
সেদিন বিকেলে আমরা ঘাঘড়াবস্থি-ছৈলেংটা হয়ে ফিরেছিলাম ৷ ফেরার সময় একটি ঘটনা ঘটেছিল ৷ জয়চন্দ্রপাড়া এবং দেবেন্দ্র রোয়াজা পাড়ার মধ্যে একটি পাহাড়ি নদী আছে ৷ নাম সম্ভবত: বাঘছড়া ৷ কোন একসময়ে একটি বাঘকে এখানে দেখা যেত ৷ সেই থেকে নদীর নাম বাঘছড়া ৷ গিরিখাত বেশ গভীর ৷ এক জায়গায় গাছের সরু দু`টি ডাল দিয়ে বানানো একটি সাঁকো ৷ ধরবার কোন রেলিং নেই ৷ অফিসারদের মধ্যে প্রথমে বিশ্বনাথ দেববর্মা স্যার পেরুলেন ৷ তিনি আকৃতিতে বিশাল ৷ যেমন লম্বা, তেমনি মোটা ৷ ওজন কমপক্ষে একশ কেজি ৷ তবুও জাঙ্গল সু পায়ে অবলীলায় পেরিয়ে গেলেন ৷ এবার গৌতম সাহেব ৷ তিনি হাতে একটি মূলী বাঁশ নিয়ে ব্যাল্যান্স রাখার চেষ্টা করছিলেন ৷ মাঝামাঝি গিয়ে ব্যাল্যান্স রাখতে পরলেন না ৷ নদীর জলে গড়িয়ে পড়লেন৷ এবার আমি খালি হাতে চেষ্টা করলাম ৷ সবাই উদগ্রীব হয়ে তাকিয়ে ছিল ৷ একদম শেষ মাথায় গিয়ে হাসি পেল ৷ টাল সামলাতে না পেরে নীচে গড়িয়ে পড়লাম ৷ ভীষণ বিপদ হতে পারত ৷ কারণ যেখানে পড়েছিলাম সেখানটা পাথুরে এবং পিচ্ছিল ৷ কিন্তু অবিশ্বাস্য-ভাবে কিছু হল না ৷ এরপর অন্যরা জলে নেমে নদী অতিক্রম করল ৷ আসলে আমাদের আগে কমবয়সী জওয়ানরা এই সাঁকো পেরিয়েছিল ৷ কয়েকজন পরপর পেরুনোর ফলে গাছের ডাল দু`টি পিচ্ছিল হয়ে গিয়েছিল ৷ তাছাড়া জনজাতির সদস্য হিসাবে ছোটবেলা থেকেই দেববর্মা স্যার এইরকম সাঁকোর সাথে পরিচিত ৷
‘লংতরাই’ শিবের নাম ৷ সেই নামেই পাহাড় ৷ হিমালয়ের শিবালিক পর্বতশ্রেণীর অংশ৷ শিবালিক শব্দের অর্থ শিবের চুল ৷ হালাম ভাষায় ‘লাঙ্গ’ শব্দের অর্থ ‘লোহার মত শক্ত’৷ ‘লাঙ্গ’ শব্দের আরেকটি অর্থ আছে ‘বাগ’ বা ‘বাগান’ ৷ সবুজ ঘাসযুক্ত নিচু ভূমিকে ‘তরাই’ বলা হয় ৷ এই লংতরাইতে একসময় জংলি হাতি বিচরণ করত ৷ একদিন একটি হাতির পায়ে বাঁশ গাছের গোঁড়া ফুটে যায় ৷ হাতিটি যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকে ৷ কংস ত্রিপুরা নামে এক ব্যক্তি সাহস করে হাতিটির পা থেকে বাঁশের টুকরো বের করে দেন ৷ তিনি ও তাঁর স্ত্রী মিলে হাতিটির সেবা করেন ৷ হাতিটি সুস্থ হয়ে উঠে ৷ কিন্তু একটি পা ছোট হয়ে যায় ৷ লংতরাইয়ের শিব খুশি হন ৷ তিনি পাথরের আকারে মূর্ত হন ৷ কংস ঠাকুরের বংশধরেরা ক্ষেত্রীছড়ার অদূরে দক্ষিণ লংতরাই পাহাড়ে একটি মন্দির গড়ে তুলেন ৷ চৈত্র মাসের শুক্লা অষ্টমীতে এখানে পূজা বসে ৷ লংতরাইয়ের শিব খুবই জাগ্রত দেবতা ৷ তাঁর হাতিটি হয়তো মারা গিয়েছে ৷ একসময় এই এলাকায় মুরারি নামে এক হাতুড়ে ডাক্তারের খুব পসার ছিল ৷ সে লংতরাইয়ের মাহাত্ম্যে বিশ্বাসী ছিল না ৷ একদিন সন্ধেবেলা মুরারি ডাক্তার রুগী দেখে ফিরছিল ৷ ধুতি-পাঞ্জাবী পরিহিত অবস্থায় ৷ রাস্তায় তার পেচ্ছাপ পেল ৷ বাঘ-ছড়ার এক বাঁকে ঝোপের আড়ালে সে প্রাকৃতিক কাজ সারছিল ৷ হঠাৎ নিঃশব্দে পেছন থেকে লংতরাইয়ের হাতি এসে তাকে শুঁড় দিয়ে পেঁচিয়ে উপরে তুলে ধরল ৷ তারপর বাঘছড়ার জলে ছুঁড়ে ফেলে দিল ৷ ডাক্তার সেদিন অক্ষত ফিরেছিল ৷ মুরারি ডাক্তার এখন মৃত ৷ কিন্তু সেদিন থেকে জীবনের শেষদিন পর্যন্ত সে লংতরাইয়ের শিবের প্রতি অনুরক্ত ছিল ৷ বিশ্বনাথ শিবেরই আরেক নাম ৷ তাই তিনি সেদিন বাঁধা অতিক্রম করতে পেরেছিলেন ৷ আর আমাদের দু`জনের উপর লংতরাইয়ের কোনও রোষ ছিল ৷ তাই আমাদের সেদিন জলে চুবা দিয়েছিলেন ৷ মুরারি ডাক্তারের মত ৷
২০০৬ সালের শীতের সময়ের কথা ৷ বিজয় দেববর্মা তখন ধলাই জেলা সদর আমবাসায় ৷ এসি ডিএআর ৷ এক বিকেলে সে আমায় ফোন করল ৷ একটি সোর্স মারফত সে জানতে পেরেছে জীবন ত্রিপুরাকে আগরতলায় জিবি বাজারে দেখা গেছে ৷ সে একটি মোবাইলের দোকানে ঢুকেছে ৷ শনাক্তকরণ করার মত একজন লোক কাছাকাছি ছিল ৷ আধা-ঘন্টার মধ্যেই পশ্চিম জেলা পুলিশের সহায়তায় তাকে আমরা আটক করতে সক্ষম হই ৷ এদিক থেকেও অফিসার ও স্টাফ যায় ৷ রাত্রিতেই আগরতলায় এসবি কন্ট্রোল রুমে তার জিজ্ঞাসাবাদ চলে ৷ এসবির ডিএসপি স্বপন কুমার দের কাছে তার হেফাজতের হাতিয়ারের বিষয়ে স্বীকারোক্তি দেয় ৷ গণ্ডাছড়ার পাখি ত্রিপুরা পাড়ায় লুকিয়ে রেখেছে ৷ পরদিন তাকে সঙ্গে করে নিয়ে গিয়ে পাখি ত্রিপুরা পাড়া থেকে একটি নাইন এমএম কারবাইন, একটি ম্যাগজিন ও কিছু গুলি উদ্ধার হয় ৷ গোপাল ত্রিপুরার খুনের হাতিয়ার