উত্তরপূর্বের ৯৮ শতাংশ মহিলাই যৌনস্বাস্থ্যের নানা সমস্যায় আক্রান্ত
বিশেষ প্রতিবেদন
উত্তরপূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন বয়সের মহিলাদের ঋতুচক্র আর জননাঙ্গের স্বাস্থ্য সমস্যা উদ্বেগজনক। অন্তত ৯৮ শতাংশ মহিলাই কোনো না কোনো ভাবে এই ধরনের সমস্যায় ভুগেছেন বা এখনও ভুগছেন। “গাইনোবেদা” নামের একটি আয়ুর্বেদ সংস্থার বিশাল আয়োজনের সমীক্ষায় উঠে এসেছে এই তথ্য| উত্তরপূর্বের ৮টি রাজ্যের ৫ শতাধিক মহিলাকে নিয়ে করা হয়েছে এই সমীক্ষা স্বাস্থ্য সমস্যায় থাকা মহিলাদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে, মাসিক ঋতুস্রাব সংক্রান্ত সমস্যায় আছেন ৫৫ শতাংশ মহিলা, আর ৩৬ শতাংশ মহিলা ভুগছেন পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজর্ডারে। এছাড়া অন্য অসুখ তো আছেই| যার মধ্যে পেলভিক ইনফ্ল্যামেটরি ডিসর্ডারে (পিআইডি) আক্রান্ত ২৪ শতাংশ, ক্যান্ডিডায়াসিনে অন্তত ১৮ শতাংশ, প্রি-ম্যানস্ট্রুয়াল সিন্ড্রোমে ১২ শতাংশ মহিলা ভুগছেন। সমীক্ষায় যাঁরা যোগ দিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে ৮৫ শতাংশ মহিলা ৩৫ বছর বয়সের বেশি ছিলেন। এই পরিসংখ্যান থেকে একটা কথা স্পষ্ট যে, এই বিষয়টির দ্রুত, সার্বিক ও সহজে উপলব্ধ স্বাস্থ্য সুরক্ষার সমাধান প্রয়োজন।
গাইনোবেদা’র দুই প্রতিষ্ঠাতা বিশাল গুপ্তা ও তাঁর স্ত্রী রচনা গুপ্তা জানিয়েছেন, ঋতুস্রাব আর জননাঙ্গের সমস্যা নিয়ে কোনো ভারতীয় সংস্থার পক্ষ থেকে করা এটাই সবচেয়ে বড় সমীক্ষা। বিশেষ গোপনীয়তা বজায় রেখে এই সমীক্ষা করা হয়েছে। এইসব সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য এক সঠিক ও সহজলভ্য আয়ুর্বেদিক সমাধান নিয়ে আসাই মূলত এর উদ্দেশ্য। আর গাইনোবেদা এখন পর্যন্ত নানা অঞ্চলের ৪ লাখেরও বেশি মহিলার যৌনস্বাস্থ্যের সমস্যার সঠিক সমাধানে কাজ করেছে।
গাইনোবেদা মূলত বিশ্বের প্রথম এমন এক আয়ুর্বেদিক ফেমটেক ব্র্যান্ড, যেখানে আয়ুর্বেদের সঙ্গে প্রযুক্তি এবং সংশ্লিষ্ট মহিলাদের মধ্য থেকে সমীক্ষার মাধ্যমে পাওয়া তথ্য সংযুক্ত হয়েছে। বিশেষ করে মহিলারা যাতে বয়ঃসন্ধি থেকে শুরু করে রজঃনিবৃত্তি বা মেনোপজের বয়স পর্যন্ত তাদের যৌনস্বাস্থ্যের জন্য আয়ুর্বেদকেই প্রথম ও কার্যকর পদ্ধতি হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন, তার জন্য কাজ করে চলেছে ‘গাইনোবেদা’। যার সঙ্গে যুক্ত আছেন চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীরা। দেশের ৫৮টি বড় শহরে এখন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেও গাইনোবেদার সুযোগ গ্রহণ করা যাচ্ছে।