পূর্বোত্তরে রাজ্যে রাজ্যে সীমা বিরোধ
পান্নালাল রায়
উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্য সমূহের মধ্যে সীমানা বিবাদ ঘিরে মাঝে মাঝে পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে উঠছে।গত বছরের রক্তক্ষয়ী ঘটনার পর সম্প্রতি অসম-মেঘালয় সীমান্ত আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠছে।এদিকে পূর্বোত্তরের বিভিন্ন রাজ্যে কিছু অনভিপ্রেত ঘটনা ঘিরে মাঝে মাঝে আঞ্চলিক অখন্ডতার প্রশ্নেও উদ্বেগের সঞ্চার হয়ে থাকে।
অসম-মেঘালয় সীমান্তে শান্তি প্রক্রিয়ার মধ্যেই আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠছে পশ্চিম কারবি আংলং-এর অসম-মেঘালয় সীমান্ত এলাকা।মেঘালয় থেকে দুষ্কৃতীরা এসে প্রায়ই অসমের ভেতর ঢুকে বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করছে বলে পশ্চিম কারবি আংলং-এর বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন।এমনকি অসমে ঢুকে এই দুষ্কৃতীরা পশ্চিম কারবি আংলং-এ একটি চা বাগানে অগ্নিসংযোগ করেছে। জেলা পরিষদ স্হাপিত একটি কর সংগ্রহের গেটও ভেঙে দিয়েছে তারা।দুষ্কৃতীদের বাধা দিতে গিয়ে স্হানীয় মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। উল্লেখ করা যায় যে,গত বছরের নভেম্বরে অসম-মেঘালয় সীমান্তে অসম পুলিশের গুলিতে ছয় জনের মৃত্যু ঘটেছিল। পশ্চিম কারবি আংলং-এর পুলিশের বক্তব্য ছিল,অসমের বনরক্ষীরা কাঠ পাচার সন্দেহে একটি ট্রাক আটক করলে মেঘালয়ের লোকেরা এসে জোর করে তা ছাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।হামলা চালায়।তখন অসম পুলিশ গুলি চালায়।পক্ষান্তরে মেঘালয় বলেছে তাদের রাজ্যের অভ্যন্তরে এসে অসম পুলিশ গুলি চালিয়েছিল।অসম-মেঘালয় সীমান্তের সাম্প্রতিক ঘটনা প্রবাহও অশুভ ইঙ্গিত বহন করছে।
যাইহোক, শুধুমাত্র মেঘালয়ের সঙ্গে নয়,মিজোরাম,নাগাল্যান্ড, অরুণাচল প্রদেশের সঙ্গেও অসমের সীমানা বিবাদ ঘিরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে এই অঞ্চলের মানুষের। সীমানা বিবাদ নিয়ে ত্রিপুরা-মিজোরাম সীমান্তেও মাঝে মাঝে উত্তেজনার সঞ্চার হয়েছে।অসমের সঙ্গে উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্য সমূহের রয়েছে দীর্ঘ সীমানা।অরুণাচল প্রদেশের সঙ্গে রয়েছে অসমের ৮০০ কিঃমিঃ দীর্ঘ সীমানা, মেঘালয়ের সঙ্গে ৮৮৫ কিঃমিঃ,নাগাল্যান্ডের সঙ্গে ৫১২ কিঃমিঃ,মিজোরামের সঙ্গে ১৬৪ কিঃমিঃ এবং ত্রিপুরার সঙ্গে অসমের রয়েছে ৫৩ কিমি সীমানা এলাকা।কাজেই রাজ্য সমূহের মধ্যে দীর্ঘ সীমান্ত এলাকায় বিবাদ, ইতস্তত বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা তেমন অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু সীমানা বিবাদ যখন রক্তক্ষয়ী সংঘাতের রূপ নেয় তখনই বৃহত্তর এলাকার মানুষের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয় সেদিকে।
অসমের অঙ্গ ছেদ করে অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড, মেঘালয় ও মিজোরাম গঠনের পর থেকেই সীমানা বিবাদে সংশ্লিষ্ট রাজ্য গুলোর সঙ্গে অসমের সীমানা এলাকা মাঝে মাঝে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। ঝরছে রক্তও।কেউ কেউ বলছেন রাজ্য গুলো গঠনের সময় সীমানা নির্ধারণে ভুলের মাশুল দিতে হচ্ছে পরবর্তীকালে।কেউ বলছেন তখন প্রশাসনিক সুবিধাকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল, সীমান্ত এলাকার মানুষের আবেগকে গুরুত্ব দেয়া হয়নি।আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্রিটিশ আমলেই সমস্যার বীজ বপন হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। সমস্যা সমাধানে যে চেষ্টা হচ্ছেনা তা নয়।কেন্দ্রের প্রতিনিধিদের নিয়ে বিবদমান সংশ্লিষ্ট রাজ্য গুলোর বৈঠক,সীমানায় শান্তি বজায় রাখতে যৌথ উদ্যোগ, নিরাপত্তা বাহিনীর টহল সবই হচ্ছে।আবার সীমানা সমস্যা নিয়ে আইন আদালতও হয়েছে।যাইহোক, বিভিন্ন উদ্যোগে রাজ্য গুলোর মধ্যে এই সমস্যার মাত্রা কমলেও মাঝে মাঝে তা আবার চাগা দিয়ে উঠে।মেঘালয়-অসম সীমানার সাম্প্রতিক ঘটনাও এরকম ইঙ্গিত বহন করছে।
১৯৬৩ সালে পৃথক নাগাল্যান্ড গঠনের পর থেকেই অসমের সঙ্গে তার সীমানা বিবাদে বহু রক্ত ঝরেছে।এই বিবাদের জের ধরে ১৯৭৯ সালে ৫৪ জনের মৃত্যু ঘটে।ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিতে হয়েছিল ২৩ সহস্রাধিক মানুষকে।১৯৮৫ সালে ২৮ পুলিশ কর্মী সহ মৃত্যু ঘটে ৪১ জনের। ২০১৪ সালে সীমানা বিবাদ ঘিরে ১৭ জনের মৃত্যু ঘটে এবং ১০ সহস্রাধিক মানুষকে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিতে হয়।
অরুণাচল প্রদেশের সঙ্গেও অসমের সীমানা বিবাদ বহু পুরোনো। মাঝে মাঝে সীমানা বিবাদে উত্তাপ উত্তেজনার সঞ্চার হয়েছে দুই রাজ্যে।তবে আশার কথা,সাম্প্রতিক কালে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা ও অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী প্রেমা খান্ডুর মধ্যে দুই রাজ্যের বিতর্কিত ১২৩ টি সীমানা গ্রাম নিয়ে মৌ স্বাক্ষর হয়েছে।অরুণাচল প্রদেশের ১২টি ও অসমের ৮টি জেলায় পড়েছে এই গ্রাম গুলো।দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মৌ স্বাক্ষরের এই ঘটনাকে ঐতিহাসিক বলে অভিহিত করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
১৯৭০ সালে অসম থেকে বিচ্ছিন্ন করে মেঘালয়কে একটি স্বশাসিত রাজ্য করা হয়।১৯৭২ সালে হয় পূর্ণ রাজ্য। অসম ও মেঘালয়ের সীমানার ১২টি অঞ্চল নিয়ে দুই রাজ্যের মধ্যে দশকের পর দশক যাবত বিবাদ চলছে।কখনও তা হয়ে উঠে সহিংস।অসম ভেঙ্গে রাজ্য গুলো সৃষ্টির সময় ব্রিটিশ আমলের মানচিত্রকে ভিত্তি ধরা হয়েছিল, কিন্তু স্হানীয় জনগোষ্ঠীর ভাবাবেগকে তখন গুরুত্ব দেয়া হয়নি বলে অনকের অভিমত। তাদের মতে সমস্যার বীজ প্রোথিত আছে সেখানেই। অবশ্য সমস্যা সমাধানে রাজ্যগুলোর উদ্যোগ অব্যাহত আছে।বিবাদ মিটিয়ে ফেলতে বৈঠকের পর বৈঠক হচ্ছে।আবার এসবের মাঝেও ঘটে যাচ্ছে অনভিপ্রেত ঘটনা।
অসম-মিজোরাম সীমানাও মাঝে মাঝে উত্তপ্ত হয় উঠে।রক্তক্ষয়ী ঘটনা ঘটে।বছর দুয়েক আগে এই দুই রাজ্যের সীমনা বিবাদ ঘিরে গুলিতে অসম পুলিশের ছয় জন নিহত হয়।আহত হয় বিশ জন।দেশের দুটি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে গোলাগুলিতে চমকে উঠে সারা দেশ।১৯৭২ সালে অসম থেকে বিচ্ছিন্ন করে মিজোরামকে একটি পৃথক কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল করা হয়। এমএনএফ'র সঙ্গে কেন্দ্রের শান্তিচুক্তির সূত্রে ১৯৮৭ সালে মিজোরাম হয় পূর্ণ রাজ্য।মিজোরামের তিনটি জেলা কলাশিব,মামিত ও আইজলের সঙ্গে অসমের কাছাড়,হাইলাকান্দি ও করিমগঞ্জ জেলার সীমানা বিবাদ রয়েছে।দুই রাজ্যের সীমানার বিস্তীর্ণ পাহাড়ি এলাকা,বনাঞ্চল, মিজোরাম যেমন নিজেদের বলে দাবি করছে,তেমনই অসমও বলছে এটা অসমের এলাকা।বিগত পাঁচ দশকে এই সমস্যার সমাধান হয়নি।তবে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।মিজোদের অভিমত,১৮৭৫ সালে লুসাই পাহাড়ের সীমা নির্ধারিত হয়েছিল সেখানকার বসতি আর ভূপ্রকৃতির প্রেক্ষাপটে।আর এই সীমা নির্ধারণে মিজোদের মতামতও নেয়া হয়েছিল। কিন্তু ১৯৩৩ সালে তা বদলে যায়। ব্রিটিশরা তখন একতরফা ভাবে লুসাই পাহাড়ের সীমা নির্ধারণ করে।আর সেই মানচিত্র ধরেই পৃথক করা হয় মিজোরাম। সমস্যার উদ্ভব তখনই। মিজোরাম পুরোনো সীমানার এলাকা দাবি করছে।বিবাদ বাঁধছে তা নিয়েই।
ত্রিপুরা-মিজোরামের সীমানা নিয়েও উত্তেজনা দেখা দেয় মাঝে মাঝে।এই দুই রাজ্যের মধ্যে ১০৯ কিঃমিঃ সীমানা রয়েছে।দুই রাজ্যের সীমানায় ত্রিপুরার চির বসন্তের জম্পুই পাহাড়ের ফুলডুংসাই গ্রাম নিয়ে এই বিবাদ। ত্রিপুরার এই গ্রামের একটা অংশ মিজোরাম নিজেদের বলে দাবি করছে।এমনকি ত্রিপুরার গ্রামের ১৩০ জন ভোটারের নাম মিজোরামের ভোটার তালিকায়ও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। ২০২০ সালে ফুলডুংসাই নিকটবর্তী বেটলীনচীফে একটি মন্দির নির্মাণের কাজে মিজোরাম সরকার নিষেধ করে।সেখানে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে ত্রিপুরা সরকারকেও অনুরোধ জানায় মিজোরাম। দিন কয়েক পর মিজোরাম সরকার সংশ্লিষ্ট এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে।ত্রিপুরা সরকার তখন এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলে এটি ত্রিপুরার এলাকা।মিজোরাম সরকার তখন তা প্রত্যাহার করে নেয়। এদিকে মন্দির নির্মাণ কাজও বন্ধ করে দেন উদ্যোক্তারা।সীমানা এলাকায় যৌথ জরীপে রাজী হয় দুই রাজ্য।অবশ্য সীমানা নিয়ে দুই রাজ্যের বিবাদ এই প্রথম নয়।সত্তর দশকের মাঝামাঝিও বিবাদ ঘটেছে।ঘটেছে এর পরবর্তী সময়ও।
এবার আসা যাক পূর্বোত্তরে আঞ্চলিক অখন্ডতার প্রশ্নে উদ্বেগ সঞ্চারের ইস্যুতে।মণিপুরের সাম্প্রতিক জাতি সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে সেখানকার দশ জন কুকি বিধায়ক তাদের জন্য পৃথক প্রশাসনিক ব্যবস্থার দাবি করেছেন। এর অর্থ হলো কুকি জনজাতিদের জন্য স্বশাসন।উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো এই বিধায়কদের বেশিরভাগই আবার শাসক বিজেপি দলের। তারা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছেও এই দাবি জানিয়েছেন। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংহ অবশ্য বলে দিয়েছেন রাজ্যের আঞ্চলিক অখন্ডতার প্রশ্নে কোনও আপস করা হবেনা। আগেও এক সময় নাগা শান্তি আলোচনার সময় আঞ্চলিক অখন্ডতার প্রশ্নে মণিপুরে উদ্বেগের সঞ্চার হয়েছিল।উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল মণিপুর। কেন্দ্রের তরফে তখন আশ্বাস দেয়া হয়েছিল যে,কোনও ভাবেই মণিপুরের আঞ্চলিক অখন্ডতা ক্ষুণ্ণ হবেনা।শুধু মণিপুর নয়,পূর্বোত্তরের অন্যান্য রাজ্যও এই ইস্যুতে মাঝে মাঝে উদ্বেগ,আশঙ্কার শিকার হয়।দেখা দেয় উত্তাপ উত্তেজনা। অসমের কার্বি আংলং-এর জয়েন্ট কোর্ডিনেশন কমিটি ফর প্রোটেক্ট অটোনমি অর্থাৎ জেসিসিপিএ আহ্বায়ক সম্প্রতি ডিফুতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, কার্বির কোনও জমি মেঘালয়কে দেয়ার প্রস্তাব তাদের সংগঠন মেনে নেবেনা।পশ্চিম কার্বি আংলং-এর বিতর্কিত এলাকা মেঘালয়ে গেলে এই জেলা তার ৫৪টি গ্রাম সহ প্রায় দেড় হাজার বর্গ কিঃমিঃ এলাকা হারাবে।বলাই বাহুল্য, অসম-মেঘালয় সীমানা বিবাদ মিটিয়ে ফেলার লক্ষ্যে দুই রাজ্যের আলাপ আলোচনার সূত্রে কার্বি বাসীদের মধ্যে এই উদ্বেগের সঞ্চার হয়েছে।এদিকে বিভিন্ন ডিমাসা সামাজিক ও ছাত্র সংগঠন সহ এলাকার জঙ্গি সংগঠন গুলো কাছাড়,কার্বি আংলং ও হোজাই জেলার কিছু অংশ দীর্ঘদিন যাবৎ নিজেদের বলে দাবি জানিয়ে আসছে।ডিমা হাসাও জেলার জঙ্গি সংগঠন ডিএনএলএ আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনস্রোতে ফিরে আসার জন্য যেসব দাবি রেখেছে তার মধ্যে রয়েছে ডিমা হাসাও জেলার ভৌগোলিক সীমা বৃদ্ধির কথা।একদা ডিমাসা রাজাদের অধীনে থাকা অঞ্চল ও ডিমাসা অধ্যুষিত অঞ্চল সমূহ ডিমা হাসাও'র সঙ্গে জুড়ে দেবার দাবি রাখছে তারা।গত ২৭ এপ্রিল নয়া দিল্লিতে কেন্দ্র, অসম সরকার ও ডিএনএলএ'র মধ্যে ত্রিপাক্ষিক চুক্তির পর সীমান্তবর্তী কাছাড়ের বিস্তীর্ণ এলাকা হাতছাড়া হবার আশঙ্কায় এক উদ্বেগের সঞ্চার হয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীদের মনে।কাছাড়ের তিনটি বিধানসভা কেন্দ্র উধারবন্দ,বড়খলা,কাটিগড়া এবং লক্ষ্মীপুর কেন্দ্রের একটি অংশের মানুষ সম্ভাব্য মানচিত্র বদলের আতঙ্কে ভুগছেন এখন।অবশ্য শাসকদলের পক্ষে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে,কাছাড়ের কোনও অংশই ডিমা হাসাও-এ অন্তর্ভুক্ত হবেনা।প্রসঙ্গত ত্রিপুরার কথাও উল্লেখ করা যায়।তিপ্রা মথার গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের দাবি ত্রিপুরার গত বিধানসভা নির্বাচনে বিরাট প্রভাব বিস্তার করেছিল।
মোট ২লাখ ৬২ হাজার ১৭৯ বর্গ কিঃমিঃ আয়তনের উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্য সমূহ এমনিতেই ভুগছে নানা সমস্যায়।খরা-বন্যা-ভূমিধ্বসের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়,অজন্মা,কর্মসংস্থানের অপ্রতুলতা,শিল্পের অভাব,পরিবেশ সুরক্ষার সমস্যা,সন্ত্রাসবাদ ইত্যাদি রয়েছে পূর্বোত্তরে।এসবের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে আন্তঃরাজ্য সীমানা বিরোধ।কখনও জাতি সংঘাত ঘিরে প্রশ্ন উঠে আঞ্চলিক অখন্ডতারও। বিভিন্ন অঞ্চলে স্বশাসনের দাবি জোরদার হয়।এই অঞ্চলের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের প্রচেষ্টাও অব্যাহত আছে। তাই রাজ্যসমূহের মধ্যে সীমানা বিরোধ মিটিয়ে ফেলার উদ্যোগও আরও গতি পাবে,আরও আন্তরিকতার ছোঁয়া পাবে এই আশা করাই যায়।