রবীন্দ্রনাথ চেয়েছিলেন রাজর্ষি স্কুলপাঠ্য হোক

পান্নালাল রায়

ত্রিপুরার ঐতিহাসিক পটভূমিতে রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন মুকুট, রাজর্ষি, বিসর্জন।এই গল্প,উপন্যাস আর নাটকের মাধ্যমে রবীন্দ্র সাহিত্যে ত্রিপুরা এক বিশেষ স্হান করে নিয়েছে। রবীন্দ্রনাথ বলেছেন 'রাজর্ষি' তাঁর এক স্বপ্নলব্ধ গল্প।এর সঙ্গে তিনি মিশিয়েছেন ত্রিপুরার রাজার পুরাবৃত্ত। 'রাজর্ষি'কে তিনি স্কুলপাঠ্যও করতে চেয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি লিখেছেন ত্রিপুরার ইতিহাস নির্ভর গল্প 'মুকুট'। ' রাজর্ষি'র আগে বেরিয়েছিল 'মুকুট'।কিন্তু রবীন্দ্রনাথ তাঁর এই সাহিত্য সৃষ্টির জন্য ত্রিপুরার ইতিহাস বেছে নিলেন কেন?কি ভাবে সেদিন তিনি সংগ্ৰহ করেছিলেন সুদূর এক পার্বত্য রাজ্য ত্রিপুরার ঐতিহাসিক উপাদান?

আমরা জানি 'রাজর্ষি'কে ত্রিপুরার ঐতিহাসিক উপাদানে পুষ্ট করার জন্য রবীন্দ্রনাথ ১৮৮৫ খ্রীষ্টাব্দে ত্রিপুরার মহারাজা বীরচন্দ্রকে পত্র দিয়েছিলেন।মূলত সেই পত্র যোগাযোগের সূত্রেই কবির সঙ্গে ত্রিপুরার রাজপরিবারের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। কিন্তু রাজাকে পত্র লেখার আগেই 'বালক' পত্রিকায় 'রাজর্ষি'র ২৬টি অধ্যায় বেরিয়ে গিয়েছিল।আর সেসব অধ্যায়ে ত্রিপুরার ঐতিহাসিক উপাদান ছিল।'রাজর্ষি'কে রবীন্দ্রনাথ বলেছেন 'এ আমার স্বপ্নলব্ধ গল্প'।এ প্রসঙ্গে 'জীবন স্মৃতি'তে তিনি বলেছেন-"...গল্প ভাবিবার ব্যর্থ চেষ্টার টানে গল্প আসিল না, ঘুম আসিয়া পড়িল।স্বপ্ন দেখিলাম,কোন্ এক মন্দিরের সিঁড়ির উপর বলির রক্ত চিহ্ণ দেখিয়া একটি বালিকা অত্যন্ত করুণ ব্যাকুলতার সঙ্গে তাহার বাপকে জিজ্ঞাসা করিতেছে,'বাবা,এ কী!এ-যে রক্ত!' বালিকার এই কাতরতায় তাহার বাপ অন্তরে ব্যথিত হইয়া অথচ বাহিরে রাগের ভান করিয়া কোনো মতে তার প্রশ্নটাকে চাপা দিতে চেষ্টা করিতেছে- জাগিয়া উঠিয়াই মনে হইল,এটি আমার স্বপ্নলব্ধ গল্প।এমন স্বপ্নে পাওয়া গল্প এবং অন্য লেখা আমার আরো আছে।এই স্বপ্নটির সঙ্গে ত্রিপুরার রাজা গোবিন্দ মানিক্যের পুরাবৃত্ত মিশাইয়া 'রাজর্ষি গল্প মাসে মাসে লিখিতে 'বালকে' বাহির করিতে লাগিলাম।..."

'রাজর্ষি'র আগেই রবীন্দ্রনাথের 'মুকুট' গল্প প্রকাশিত হয়েছিল 'বালকে'।'মুকুট'ও ত্রিপুরার ইতিহাস আশ্রিত।তার ঐতিহাসিক পটভূমি 'রাজর্ষি'র আগেকার সময়ের। মহারাজা অমর মানিক্যের পুত্রদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ঘিরেই এই গল্প।অমর মানিক্য রাজত্ব করেছিলেন গোবিন্দ মানিক্যের প্রায় শতবর্ষ আগে। তাহলে দেখা যাচ্ছে বীরচন্দ্র মানিক্যের সঙ্গে পত্র যোগাযোগের আগেই ত্রিপুরার ঐতিহাসিক তথ্যাদি কিছু কিছু রবীন্দ্রনাথ সংগ্ৰহ করেছিলেন। শুধু রাজপরিবারের ভ্রাতৃবিরোধ কিংবা যুদ্ধ বিগ্ৰহের ইতিহাসই নয়, ত্রিপুরার প্রাকৃতিক বর্ণনা,শষ্য উৎপাদন প্রক্রিয়া,জুমিয়াদের সরলতা,কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে যুদ্ধের উন্মাদনা ইত্যাদি ইত্যাদি আমরা পেয়ে যাই রবীন্দ্র সাহিত্যে। কিন্তু তিনি কী ভাবে সেসব সংগ্ৰহ করেছিলেন? রবীন্দ্র জীবনীকার এ সম্পর্কে কৈলাস চন্দ্র সিংহের কথা উল্লেখ করে লিখেছেন-" স্বাধীন ত্রিপুরার ইতিহাস 'রাজমালা' গ্ৰন্হের সম্পাদক কৈলাস চন্দ্র সিংহ (১২৫৮-১৩২১) এই সময়ে 'তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা'র সহকারী সম্পাদক; তিনি আদি ব্রাক্ষ্ম সমাজের সহিত গভীর ভাবে সংশ্লিষ্ট। বঙ্কিমচন্দ্র 'প্রচার' পত্রিকার প্রবন্ধে ইঁহাকে 'রবীন্দ্রবাবুর নায়েব' বলিয়া উপেক্ষা করিয়াছিলেন। আমাদের মনে হয়, রবীন্দ্রনাথ কৈলাসচন্দ্রের নিকট হইতে ত্রিপুরার আখ্যানগুলি সংগ্ৰহ করেন; কৈলাস চন্দ্র 'রাজমালা'র মালমশলা বোধহয় তখনই কিছু কিছু সংগ্ৰহ করিয়াছিলেন।..."

ত্রিপুরার ইতিহাসের আকর গ্ৰন্হ হিসেবে প্রায় সকলের কাছেই মান্যতা পেয়ে আসছে কৈলাস চন্দ্র সিংহের 'রাজমালা বা ত্রিপুরার ইতিহাস' গ্ৰন্হটি। কৈলাস চন্দ্র এক সময় রাজকর্মচারী ছিলেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে মহারাজা বীরচন্দ্রের রোষানলে পড়েছিলেন তিনি। কৈলাস চন্দ্রের সঙ্গে জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির সম্পর্ক ছিল আগে থেকেই।এই সুযোগে রবীন্দ্রনাথ তাঁর সংস্পর্শে এসেছিলেন।অল্প বয়সে এবং লেখালেখির প্রায় প্রথম পর্যায়ে ত্রিপুরার নানা ঐতিহাসিক তথ্যাদি তিনি কৈলাস চন্দ্রের কাছ থেকে সংগ্রহ করছিলেন।

'রাজর্ষি' পুস্তকাকারে প্রকাশের কয়েক বছর পর রবীন্দ্রনাথ 'বিসর্জন' নাটক লেখেন। ঠাকুর পরিবারের মাসিক পত্রিকা 'বালক'-এর চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই একদিন 'রাজর্ষি' ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হতে শুরু করেছিল।ব্যতিক্রম নয় 'বিসর্জন'ও। ঠাকুর পরিবারের বলকদের অভিনয়ের সূত্রেই সৃষ্টি হয়েছিল তা। রবীন্দ্র জীবনীকার প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন,ভ্রাতুষ্পুত্র সুরেন্দ্রনাথ নতুন নাটকের জন্য বায়না দিয়েছেন। রবীন্দ্রনাথ সম্ভবত ত্রিপুরার রাজা গোবিন্দ মানিক্যের কাহিনি নিয়ে নাটক রচনার উদ্দেশ্যেই 'রাজর্ষি' পুস্তক নিয়ে সাহাজাদপুর গিয়েছিলেন।এই প্রসঙ্গে রবীন্দ্র জীবনীকার লিখেছেন -"এবার শিলাইদহ হইতে ফিরিয়া কবি দেখেন ঠাকুর পরিবারের বালকরা একটা কিছু নাটক অভিনয়ের জন্য আয়োজন করিতেছে। তাহারা বউঠাকুরানীর হাটের নাট্যরূপ দানের কথা ভাবিতেছিল। রবীন্দ্রনাথকে শিলাইদহ হইতে ফিরিয়া আসিতে দেখিয়া ভ্রাতুষ্পুত্র সুরেন্দ্রনাথ (১৮) তাহার নিজের হাতের হাতে বাঁধানো একখানি খাতা রবিকাকার হাতে দিয়া যেন বায়না দিলেন নূতন নাটকের জন্য।

সাহাজাদপুর যাইবার সময় 'রাজর্ষি' একখন্ড সঙ্গে লইলেন, বোধহয় তখনই মনে মনে গোবিন্দ মানিক্যের কাহিনী লইয়া নাটক রচনার সংকল্প গ্ৰহণ করেন।..."

রবীন্দ্রনাথ স্কুলপাঠ্য করতে চেয়েছিলেন 'রাজর্ষি'। তিনি এর একটি কপি স্কুল ইন্সপেক্টরের হাতেও তুলে দিয়েছিলেন এই উদ্দেশ্যে।সাহাজাদপুর থেকে কবি একদিন স্ত্রীকে লিখছেন-"একদল উকীল আর স্কুলের মাস্টার এসেছিল।আমার বই স্কুলে চালাবার জন্য কথাবার্তা করে রেখেছি, কেবল বই আর পাচ্ছিনে... রাজর্ষি যেখানা আমার কাছে ছিল সেইটেই ইন্সপেক্টরের হাতে দিয়েছি।নদিদির গল্পসল্পও দিয়েছি। আবার ইন্সপেক্টরের গলা ভেঙে গেছে বলে তাকে হোমিওপ্যাথিক ওষুধও দিয়েছি-এতে অনেক ফল হতে পারে..."।

যাইহোক, রবীন্দ্রনাথ 'রাজর্ষি'কে সামনে রেখেই বিসর্জন রচনা করেছেন।'রাজর্ষি'র কিছু গল্পাংশ বিসর্জনের বিষয়বস্তু।আর 'রাজর্ষি'তে রয়েছে ত্রিপুরার রাজা গোবিন্দ মানিক্যের সময়কার কথা।এই ভাবে 'মুকুট' গল্পেও রয়েছে ত্রিপুরার রাজা অমর মানিক্যের সময়কার ঐতিহাসিক উপাদান।১২৯২ বঙ্গাব্দে 'বালক' পত্রিকার প্রথম দুটি সংখ্যায় প্রকাশিত হয় 'মুকুট' গল্প। পরবর্তী সময়ে তিনি এর নাট্যরূপ দেন। ত্রিপুরার রাজা অমর মানিক্য,মগদের সঙ্গে তাঁর যুদ্ধ, মুকুট নিয়ে রাজপুত্রদের মধ্যে দ্বন্দ্ব এই সব গল্প ও নাটকটির উপাদান।

জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির ছেলে মেয়েদের লেখালেখির জন্যই সেদিন মাসিক 'বালক' পত্রিকা প্রকাশের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। কিন্তু শুধু তাদের লেখার উপর নির্ভর করে তো আর পত্রিকা চলবে না।তাই দায়িত্ব অর্পিত হয় রবীন্দ্রনাথের উপর।এই প্রসঙ্গে রবীন্দ্র জীবনীকার প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায় লিখেছেন,"পাঠকদের কাছে মাসিক পত্রের প্রধান আকর্ষণ হইতেছে গল্প ও উপন্যাস। রবীন্দ্রনাথকে মাসিকের সেই চাহিদা পূরণ করিতে হইল। প্রথমেই লিখিলেন নাতিদীর্ঘ গল্প 'মুকুট' ও তৎপরেই

শুরু করিলেন ধারাবাহিক উপন্যাস 'রাজর্ষি'। উভয়েরই বিষয়বস্তু সংগৃহীত হইল ত্রিপুরা-রাজবংশের প্রাচীন কাহিনী হইতে। ত্রিপুরার ইতিহাস হইতেই দুইটি গল্পের আখ্যান ভাগ গ্ৰহণের কোনো কারণ আছে কিনা,সে সম্বন্ধে অনুসন্ধান নিরর্থক নহে।..."

সত্যি,ইতিহাস আশ্রিত কোনো গল্প লেখার জন্য কিংবা কোনো স্বপ্নলব্ধ গল্পকে ঐতিহাসিক উপাদানে পুষ্ট করার জন্য রবীন্দ্রনাথ ত্রিপুরার দিকেই দৃষ্টি দিলেন কেন? ত্রিপুরা ছাড়া অন্যান্য অঞ্চল, এমনকি বঙ্গদেশের বর্ণাঢ্য ইতিহাসও তো তাঁকে আকৃষ্ট করতে পারতো! হয়তো 'ভগ্নহৃদয়'-এর জন্য কবিকে ত্রিপুরার মহারাজা বীরচন্দ্রের অভিনন্দন কিংবা বীরচন্দ্রের পিতা কৃষ্ণকিশোরের সময় থেকে জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির সঙ্গে মানিক্য রাজপরিবারের যোগাযোগে রবীন্দ্রনাথ ত্রিপুরা সম্পর্কে প্রবল ভাবে আকৃষ্ট হয়েছিলেন।

'ভগ্নহৃদয়'-এর জন্য বীরচন্দ্রের অভিনন্দন প্রসঙ্গে পরবর্তী সময়ে রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন,"...এই লেখা বাহির হইবার কিছুকাল পরে কলিকাতায় ত্রিপুরার স্বর্গীয় মহারাজ বীরচন্দ্র মানিক্যের মন্ত্রী আমার সহিত দেখা করিতে আসেন।কাব্যটি মহারাজের ভালো লাগিয়াছে এবং কবির সাহিত্য সাধনার সফলতা সম্বন্ধে তিনি উচ্চ আশা পোষণ করেন,কেবল এই কথাটি জানাইবার জন্যই তিনি তাঁহার অমাত্যকে পাঠাইয়া দিয়াছিলেন।"

রাজার এই অভিনন্দনের পর 'রাজর্ষি'কে ত্রিপুরার ঐতিহাসিক উপাদানে পুষ্ট করার জন্য রবীন্দ্রনাথ বীরচন্দ্রকে পত্র দিয়েছিলেন। সেই পত্রে তিনি লিখেছিলেন,"আপনাদের রাজপরিবারের সহিত আমাদের পরিবারের পূর্ব হইতেই পরিচয় আছে এইরূপ শুনিতে পাই..."। বীরচন্দ্রের পিতা মহারাজ কৃষ্ণকিশোর মাণিক্য এক সময় গুরুতর রাজনৈতিক সংকটে পড়ে প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের সাহায্যপ্রার্থী হয়েছিলেন। ত্রিপুরায় উৎপাদিত বনজ সম্পদের উপর শুল্ক আদায়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইংরেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে রাজার বিরোধ বাধে। ইংরেজরা তখন পার্বত্য ত্রিপুরা খাস দখল করে নিতে চায়। সেসময় কৃষ্ণকিশোর প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের সহায়তায় এই সংকট থেকে পরিত্রাণ পান।কারণ কলকাতার ইংরেজ সমাজে তখন প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের বিরাট প্রভাব।

যাইহোক,'ভগ্নহৃদয়'-এর অভিনন্দন ও 'রাজর্ষি'র পত্র যোগাযোগের সূত্রেই কবির সঙ্গে ত্রিপুরার রাজপরিবারের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হতে থাকে।বীরচন্দ্র,রাধাকিশোর, বীরেন্দ্র কিশোর, বীরবিক্রম-ত্রিপুরার এই চার মানিক্য রাজার রাজত্বকালের প্রায় ষাট বছর রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে ত্রিপুরার রাজপরিবারের সম্পর্ক অটুট ছিল।পূর্ব যোগাযোগ এবং 'ভগ্নহৃদয়'-এর অভিনন্দন সূত্রে রবীন্দ্রনাথ ত্রিপুরা সম্পর্কে যেমন উৎসাহী হয়েছেন, তেমনই রবীন্দ্র সাহিত্যে ত্রিপুরার অবস্থানও রবীন্দ্রনাথ ও মানিক্য রাজপরিবারের সম্পর্ককে নিঃসন্দেহে প্রভাবিত করেছে।

তথ্যসূত্রঃজীবনস্মৃতি/চিঠিপত্র/রাজর্ষি/মুকুট-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর/রবীন্দ্র জীবনী ও রবীন্দ্র সাহিত্য প্রবেশক-প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায়/রবীন্দ্রনাথ ও ত্রিপুরা-ত্রিপুরা আঞ্চলিক রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকী সমিতি/রবীন্দ্রনাথের ত্রিপুরা, পারুল প্রকাশনী।


You can post your comments below  
নিচে আপনি আপনার মন্তব্য বাংলাতেও লিখতে পারেন।  
বিঃ দ্রঃ
আপনার মন্তব্য বা কমেন্ট ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই লিখতে পারেন। বাংলায় কোন মন্তব্য লিখতে হলে কোন ইউনিকোড বাংলা ফন্টেই লিখতে হবে যেমন আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড (Avro Keyboard)। আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ডের সাহায্যে মাক্রোসফট্ ওয়ার্ডে (Microsoft Word) টাইপ করে সেখান থেকে কপি করে কমেন্ট বা মন্তব্য বক্সে পেস্ট করতে পারেন। আপনার কম্পিউটারে আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড বাংলা সফ্টওয়ার না থাকলে নিম্নে দেয়া লিঙ্কে (Link) ক্লিক করে ফ্রিতে ডাওনলোড করে নিতে পারেন।
 
Free Download Avro Keyboard  
Name *  
Email *  
Address  
Comments *  
 
 
Posted comments
Till now no approved comments is available.