মোদিজির হিরা-মানিক ও ডাবল ইঞ্জিন

কৃষ্ণধন নাথ

ধাতুর মধ্যে প্লাটিনাম ও হিরার দাম বেশি। হিরা ও মানিক আবার পরম রত্ন। মোদিজিকে ব্যবহৃত ধাতুর মধ্যে প্লাটিনাম রূপেই চিহ্নিত করা যায়। তিনি ভারতবর্ষের সর্বময় কর্তা। ১৪৫ কোটি মানুষের ভাগ্যবিধাতা। দেশের মানুষের কাছে, তাঁর চেয়ে দামি রত্ন এই মুহূর্তে আর কিছু নেই। তিনি গুজরাটের মানুষ, গুজরাটের সুরাটে বিশ্বের শতকরা ৯০ শতাংশ হিরার অলঙ্কার নির্মাণ করা হয়। গুজরাটের হিরা ব্যবসার রমরমা বিশ্বজোড়া। স্বাভাবিক কারণেই মোদিজি পাকা জহুরি। তিনি আসল নকল হিরা সহজেই চিনতে পারবেন বলে সাধারণ মানুষের ধারণা। তিনি বিশ্বের ঘোষিত বৃহত্তম দলের নেতা এবং বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশের রাষ্ট্র প্রধান। তাঁর নেতৃত্বেই দেশে কর্পোরেট বা সম্পদের শাসন বা ক্রনি ক্যাপিটালিজমের বিকাশ। তাঁর বন্ধুরা বিরাট বিরাট ব্যবসায়ী। বিলিয়ন বিলিয়ন অর্থের মালিক। ত্রিপুরা রাজ্যের ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি হঠাৎ করে ড্রোনে চাপিয়ে রাজ্যবাসীর মাথার উপর আসল হিরার পরিবর্তে নকল হিরার মুকুট চাপিয়ে দিয়ে গেলেন। তিনি রাজ্যের মুখিয়ার দায়িত্ব নিয়েই প্রবল দ্যুতি ছড়িয়ে দিলেন, নিজেকে বিরাট কেউকেটা ভাবতে লাগলেন রাজ্য জুড়ে মদমত্ত ঐরাবতের বিশাল কনভয় মহাত্রাস সৃষ্টি করে, সবকিছুকেই উপেক্ষা করে দাপিয়ে বেড়াতে লাগলেন। জোর গলায় ঢাউস ঢাউস বিজ্ঞাপন ও ক্রীতদাস মিডিয়াদের মাধ্যমে প্রচার চালিয়ে বলতে লাগলেন'।

“কত বড় আমি কহে নকল হিরাটি', আর জনগণ তাই সংশয়ে বললেন, তাই তো সন্দেহ করি নও ঠিক খাঁটি।' মোদিজির তুলনা শুধু মোদিজির সঙ্গেই হতে পারে। তিনি এক কথায় তুলনা বিরহিত। মোদিজি মন কি বাত বলেন, পরীক্ষা পে চর্চায় মশগুল থাকেন। লক্ষ লক্ষ লোকের সঙ্গে সহস্র সহস্র মূর্তিতে তিনি কি করে এসব করেন তা ভাবলে বিস্ময়ে বিশ্ববাসী এক কথায় রোমাঞ্চিত, পুলকিত, শিহরিত। তিনি যা মুখে জনসমক্ষে বলেন, বাস্তবে তা কখনোই করেন না, কোনও মঞ্চে কি বলেছেন সে সব তিনি মনেও করেন না, মনে রাখেনও না। আর তিনি যা করেন বা করবেন বলে ঠিক করেন, তা তিনি ঘৃণাক্ষরেও কখনো প্রকাশ করেন না বা বলেন না । তিনি কি কি করেছেন তা এক এক করে আগে দেখা যাক। তিনি হঠাৎ করে নোটবন্দি করলেন, সারা দেশে জি.এস.টি চালু করে দিলেন, অতর্কিতে পূর্ব ঘোষণা ছাড়া সারা দেশে লকডাউন ঘোষণা করে দেশবাসীকে চরম বিপদে ফেলে দিলেন, আর.এস.এসের প্রধান শত্রু ও কংগ্রেসের লৌহ মানব বলে পরিচিতি ভারতবর্ষের প্রথম উপপ্রধানমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর একমাত্র গুজরাটি অস্মিতাকে জাগিয়ে তোলার লক্ষ্যে, গুজরাটে সর্দার সরোবরে সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের ২৮৩ ফুট উঁচু মূর্তি স্থাপন করলেন তিন হাজার কোটি টাকা খরচ করে। অথচ যুগপৎ গুজরাটের আহমেদাবাদে অবস্থিত বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়াম যা সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল স্টেডিয়াম রূপে পরিচিতি ছিল (যার আর এক নাম মোতেরা স্টেডিয়াম) সেই স্টেডিয়ামের নাম চরম নির্লজ্জের মতো 'দ্য নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম' রূপে নাম বদলে দিলেন। একেই হয়তো বলে গরু মেরে জুতা দান। তিনি একটির পর একটি সরকারি সংস্থা বিক্রি করে দিতে লাগলেন। বন্দর, এয়ারপোর্ট, ব্যাঙ্ক, রেলস্টেশন, রেল, এয়ার ইন্ডিয়া, কয়লা খনি। তিনি তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষা চরিতার্থ করার লক্ষ্যে ভারতবর্ষে শোচনীয় অর্থনৈতিক বিপর্যয় ডেকে আনলেন। বেরোজগারি বা চরম বেকার সংকটের সমাধান না করে বিশ হাজার কোটি টাকা খরচ করে ‘সেন্ট্রাল ভিস্তা তৈরি করতে নিয়ে' ইউনেস্কোর হেরিটেজ তালিকাভুক্ত নতুন দিল্লির পুরাতন ইমারৎ ভেঙে গুঁড়িয়ে দিলেন, কয়েক লক্ষ বৃক্ষ নিধন হলো, তা নিয়ে কারো কোন মথা ব্যথা নেই। ' না, খাওঙ্গা, না খানে দুঙ্গা' বলে বন্ধুদের খাওয়ার পরিবর্তে কেবল গেলাচ্ছেন, তার ভাগের অংশ কোথায় যাচ্ছে তা দেশবাসীর অজানা নয়। সুকুমার রায় বেঁচে থাকলে কথাটা বলতেন। "রোধে রাঙ্গা ইটের পাজা, তার উপরে বসল রাজা, বস্তা বস্তা তাজা টাকা গিলছে কিন্তু খাচ্ছে না।" ব্যাঙ্কের জমা টাকা বা বিভিন্ন কর্পোরেট বা ব্যবসায়ীদের প্রদেয় ঋণের টাকা তো ভারতবর্ষের কোন নেতা মন্ত্রীর বাবার জমিদারি বিক্রির টাকা নয়। এসবই জনগনের ট্যাক্সের টাকা। শ্রমিক- কৃষক- কর্মচারী- সংগঠিত ও অসংমগঠিত ক্ষেত্রের অসংখ্য মজদুরদের প্রদেয় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ করের টাকা, সেই টাকা কার স্বার্থে ২০১৭ থেকে ২০২২ পর্যন্ত বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থার (মোট ৫ বছরে), ১০ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ মকুব করে দিলেন। অথচ কয়েক লক্ষ কৃষকের ৪ কোটি টাকা কৃষি হা ঋণ মকুবে অস্বীকার করলেন। ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা ঋণকে মকুব করা হোল না।

এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রি করে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের এয়ার ফোর্স ওয়ানের মতো কয়েক হাজার কোটি টাকা দামের নিজের শখ ও খেয়াল চরিতার্থ, ভোগ- বিলাস- ব্যসনের জন্য বিমান কিনে নিয়ে এলেন।

ঢাক ঢোল পিটিয়ে দেশজুড়ে পাঁচ টিলিয়ন অর্থনীতির গল্পের গরুকে গাছ থেকে মহীরুহের চূড়ায় তোলা হচ্ছে, অথচ সরকারের ঋণের পরিমাণ সরকারি ৭০ শতাংশ, কর্পোরেট ঋণের হার ৪৭ শতাংশ। ২০২০-২১ অর্থ বছরে (ডেট এগেনেস্ট জিডিপি) জিডিপি) অর্থাৎ জিডিপির বিপরীতে আই.এম.এফের রিপোর্ট মোতাবেক ঋণের পরিমাণ ৮৯.৬১ শতাংশ। আর আমেরিকার অর্থনীতি বর্তমানে ২৩.৯৩ ট্রিলিয়ন ডলার। আরশোলার পাখি হওয়ার শখ হতেই পারে, মাঝে মাঝে ফূর্তিতে উড়েও বেড়ায় ঘরের মধ্যে তবু তাকে মানুষ কখনোই পাখি ভাবে না।

এবার দেখা যাক মোদিজি ভারতবাসীকে কি কি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যা তিনি বাস্তবে রূপায়িত করার প্রয়োজন বোধ করেননি কখনো।

১) বছরে ২ কোটি চাকুরি দেবেন

২) বিদেশ থেকে কালো টাকা এনে প্রত্যেকের অ্যাকাউটে ১৫ লক্ষ টাকা জমা করবেন

৩) দেশে ১০০টি স্মার্ট সিটি হবে

৪) নোটবন্দি ৫০ দিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে

৫) কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ ১৮ দিনে শেষ হয়েছিল, করোনা ২১ দিনে শেষ হবে

৬) টাকার বিনিময় ডলার প্রতি ৪০ টাকা করা হবে

৭) পেট্রোল/ডিজেলে প্রতি লিটার ৪০ টাকা করা হবে

৮) প্রত্যেকের বাড়িতে পাকা ঘর, ঘরের ভিতর নল, নলের ভিতর জল, পাকা শৌচালয় করে দেওয়া হবে।

৯) ৫ বছরে দেশ ৫ ট্রিলিয়ন দেশে পরিণত হবে।

১০) মেড ইন ইন্ডিয়া কর্মসূচী। এছাড়া প্রতিটি জনসভায় কত যে প্রতিশ্রুতির বান তিনি ছোটান, তা তো সকলেরই জানা।

মোদিজি আমাদের দিয়েছিলেন নকল হিরা। সেই নকলি মাল কত যে জুমলা উপহার দিল বিগত চার বছরে তার শেষ নেই। আধা-বাংলা, আধা হিন্দি মিলিয়ে না যোধপুরী, না ভোজপুরী তা বলা অসাধ্য। ভবিষতে ভাষাবিদগণ তাঁর ভাষার নাম অবশ্যই রাখতে পারেন হিংগুলি।

তথাকথিত ভিশন ডক্যুমেন্টের ২৯৯টি প্রতিশ্রুতির সঙ্গে এরপর সংযোজিত হলো ‘এক ত্রিপুরা, শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা, নেশমুক্ত ত্রিপুরা, ঘর ঘর সুশাসন'-আরো কত কি। উন্নয়নের কত কাল্পনিক গল্প প্রতিনিয়ত বিজ্ঞাপিত হচ্ছে তার ইয়ত্তা নেই।ইঞ্জিন ডাবল লাগিয়ে রাজ্যে মানুষ বিগত কয়েক বছরে লাইনচ্যুত বগিকে মুখ থুবড়ে পড়তে দেখেছে। এই চরম সত্য বিজেপির দিল্লির শাহেনশারা বুঝতে পেরেই হিরাকে ছুঁড়ে ফেলে রাজ্যে মানিককে অতর্কিতে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসিয়ে দিলেন।

কথায় বলে 'বিরাট ধাপ্পার জন্য, বিরাট আয়োজন দরকার'। এখন নির্বাচনের প্রাক্কালে এই ভয়ঙ্কর শীতের মরশুমে উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট প্রভৃতি অঞ্চল থেকে হিন্দিভাষী দুর্বৃত্তদের এ রাজ্যে রেল ও বিভিন্ন যান-বাহনের মাধ্যমে অশান্তি সৃষ্টি করার জন্য জড়ো করা হচ্ছে। মোদিজি গত ১৮ই ডিসেম্বর আস্তাবল ময়দানে অসময়ে ৪৩৫০ কোটি টাকা প্রকল্পের ভার্চুয়্যাল উদ্বোধন করলেন। গ্রামীণ এলাকায় ১,৫১,০১৯ এবং শহর এলাকার ৫৪, ৫২৬টি মোট ২ লক্ষ ৫ হাজার ৪৫৬টি ঘরের ভার্চুয়াল গৃহপ্রবেশ ঘটালেন। আরো কতো শিলান্যাস। সব মিলিয়ে বিজেপির পৌষ মাস, রাজ্যবাসীর পুনর্বার সর্বনাশের সূচনা করে গেলেন। রাজ্যবাসী মাত্রই জানে যে এর বেশিরভাগই জুমলা। প্রকৃত প্রস্তাবে আস্তাবল মাঠে ভবিষ্যতে খোড়া কেনার ইঙ্গিত দিয়ে গেলেন মোদিজি, নিশ্চিত পরাজয় জেনেই।

হিরা যুগে রাজ্যবাসী দেখলো বাইক বাহিনীর তাণ্ডব, বুলডজার চালিয়ে বিরোধী দলের অফিস ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া, বারবার পুলিশ লেলিয়ে আন্দোলনরত ১০,৩২৩ কর্মচারীদের উপর আক্রমণ নামিয়ে আনা হলো। মহাকরণ অভিযানে পুলিশের ন্যক্কারজনক লাঠি চার্জ সর্বস্তরে নিন্দিত। করোনাকালে সেই চরম অব্যবস্থার বলি হোল রাজ্যবাসী। যেভাবে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অবনতি সাধন করা হোল, তা নজিরবিহীন। কর্মচারীদের সপ্তম পে কমিশন দেওয়া হবে বলে যে ধাপ্পা দেওয়া হলো, তার কোন তুলনা নেই।

তবুও এক শ্রেণির পা-চাটা স্তাবক উমেদার কর্মচারীবৃন্দ ঊর্ধ্ব বাহু হয়ে লম্ফঝম্প করে ধন্যবাদ র‍্যালি করছে, কি নির্লজ্জ দেউলিয়াপনা- ভাবা যায় না।

নেশামুক্ত ত্রিপুরা গড়ার নামে সারা রাজ্যে যুব শ্রেণিকে তাদের বেকারি ও জীবিকা হীনতার হতাশার অন্ধকারে ডুবিয়ে দিয়ে নেশা করা থেকে নেশা কারবারের রমরমা ব্যবসায় শামিল করিয়ে এখন তাদের দলের ক্রীতদাসে পরিণত করা হয়েছে। ৮.৬.২০২০ সালের স্যন্দন পত্রিকার ঐতিহাসিক হেডলাইন, ‘বৃহত্তম বিলাতি মদ কেলেঙ্কারি' শীর্ষক প্রতিবেদনের কথা নিশ্চয়ই এ রাজ্যের সব মানুষ ভুলে যাননি। সেই সময় যারা নেশামুক্ত ত্রিপুরায় বিলাতি মদের দোকানের লাইসেন্স পেয়েছেন তাদের মধ্যে প্রাক্তন মুখিয়ার ভাগ্নি জামাই রাজীব দত্ত' দুইটি মদের লাইসেন্স পান। শ্যালক চণ্ডীগড়ের বাসিন্দা অভিষেক দাহিয়া, রাজস্থানের আরেক বেনিফিসিয়ারি অঙ্কোশ, বাজোরিয়া মিলে- সেই সময় আগরতলা শহরে মোট ১৬টি মদের লাইসেন্স পেয়েছেন। ভেতরের কাহিনি পর্দার আড়ালে। 'মদ' অবিশ্যি জলের মতো তরল।

সুতরাং মদ বোধ হয় বিজেপির ভাষায় 'নেশার মধ্যে পড়ে না। তবে তরল হলেও ফ্যান্সিডিল, কোরেক্স আবার অবৈধ নেশা হিসেবে গণ্য। গাঁজা, ইয়াবা ট্যাবলেট তো অবশ্যই চলতি নেশার মধ্যে পড়ে। ফলে নেশামুক্ত ত্রিপুরা মূলত নেশার সমুদ্র হয়ে উঠেছে।

মোদিজি মেড ইন ইন্ডিয়া গড়ার লক্ষ্যে দেশে ‘দেশি কুকুর' পালনের পরামর্শ দিয়েছেন। প্রাক্তন মুখিয়া পান দোকান, গরুর দুধ বিক্রির জন্য বেকারদের উপদেশ দিয়েছেন। রুদ্র সাগরের জলে অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধির জন্য কয়েক লক্ষ টাকার হাঁসের বাচ্চা বিলিয়েছেন। সেই হাঁস কত অক্সিজেন দিল, তা জানা নেই। এতকাল জানা ছিল বৃক্ষই অক্সিজেন উৎপাদন করে।

সোনামুড়ায় ভাসমান জেটি তৈরি হলো জাহাজ আসার গল্প ফাঁদা হলো। শেষে টেনে-হিঁচড়ে দড়ি দিয়ে বেঁধে কোনমতে একটা স্টিমার এনে প্রবল তাণ্ডব সৃষ্টি করা হলো। তেমনি স্থল বাণিজ্যের গল্প, আখাউঢ়া রেলপথ-আহা কত যে উন্নয়নের গল্প তার শেষ নেই। ৮ লক্ষ নিবন্ধীকৃত বেকার, প্রাক্তন মুখিয়ার তথ্য মোতাবেক এক রাতের মধ্যে কোথায় উবে গিয়ে সেই সংখ্যা ১ লক্ষ ৭০ হাজারে নেমে গেল।

‘এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা' – নারী পাচারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করল। 'হর ঘর সুশাসন'-- কি বিষয়বস্তু, তা ভুক্তভোগী মাত্রই জানেন। ২০২৪ এ মোদিজির ভারতের সিংহাসন থেকে বিদায় নিশ্চিত। হিমাচলপ্রদেশ ও দিল্লির কর্পোরেশন নির্বাচনের রায়ে তা সুস্পষ্ট। মাইনাসে মাইনাসে প্লাস। বীজ গণিতের এই সূত্রটি যদি সত্য হয়, তবে ২০২৩-এর ত্রিপুরা বিধানসভা বিজেপি ত্রিপুরা মাইনাস, ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে দেশে বিজেপি মাইনাস।মাইনাসে মাইনাসে ডাবল ইঞ্জিন প্লাস।

গুজরাট জয়ের দামামা বাজিয়ে নাড্ডাজির হিমাচলে পরাজয়, বন্দে ভারত যাত্রা শূন্য হয়ে বেলাইনে মুখ থুবড়ে পড়বেই। ত্রিপুরাবাসী পূর্ব দিগন্তে নবীন সূর্যোদয়ের আশায় প্রহর গুণে চলেছে।


You can post your comments below  
নিচে আপনি আপনার মন্তব্য বাংলাতেও লিখতে পারেন।  
বিঃ দ্রঃ
আপনার মন্তব্য বা কমেন্ট ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই লিখতে পারেন। বাংলায় কোন মন্তব্য লিখতে হলে কোন ইউনিকোড বাংলা ফন্টেই লিখতে হবে যেমন আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড (Avro Keyboard)। আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ডের সাহায্যে মাক্রোসফট্ ওয়ার্ডে (Microsoft Word) টাইপ করে সেখান থেকে কপি করে কমেন্ট বা মন্তব্য বক্সে পেস্ট করতে পারেন। আপনার কম্পিউটারে আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড বাংলা সফ্টওয়ার না থাকলে নিম্নে দেয়া লিঙ্কে (Link) ক্লিক করে ফ্রিতে ডাওনলোড করে নিতে পারেন।
 
Free Download Avro Keyboard  
Name *  
Email *  
Address  
Comments *  
 
 
Posted comments
Till now no approved comments is available.