ত্রিপুরার ১০ লক্ষ নাথ জাতি ২০২৩-এর ভোটে মূল ফ্যাক্টর
কৃষ্ণধন নাথ
ত্রিপুরা রাজ্যের একক বৃহত্তম জনগোষ্ঠী শিব গোত্রধারী 'নাথ' বা যোগী সম্প্রদায়। বর্তমান ত্রিপুরায় ২০২১ সালে আদমসুমারি তথা সেন্সাস বা জনগণনা হলে এরাজ্যের জনসংখ্যার চিত্রটা ২০১১ সালে ৩৭ লক্ষ বলে গণ্য হতো না। জনসংখ্যার বার্ষিক বৃদ্ধির একটা হার আছে, তা নির্ণয়ের একটি গাণিতিক সূত্রও আছে। জনগণনা দফতরের অধিকর্তা বা ডিরেক্টর থাকাকালীন এই বিষয়টি নিয়ে আমাকে প্রচুর গবেষণা করতে হয়েছে। ফলে এই রাজ্যের নৃতাত্ত্বিক বহু বিষয় আমার অবগত, নানা কারণে এইসব বিষয় নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না, কেননা বিষয়টা অতীব সংবেদনশীল। বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের গাণিতিক রেসিও বিচার করলে ৩১ মার্চ ২০২১ সালে এই রাজ্যের আনুমানিক জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কথা প্রায় ৫ লাখ। সেই হিসাবে বর্তমানে ত্রিপুরার জনসংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ৪২ লক্ষ ১০ হাজারের কাছাকাছি। বর্তমানে ভারতবর্ষের জনসংখ্যা দাঁড়াবে ১০০ কোটি ৪৫ লক্ষের কাছাকাছি।
আমার আলোচ্য বিষয় ভোটের 'এক্স ফ্যাক্টর' নিয়ে। ১৯৫২ সাল থেকে ভারতবর্ষে সাধারণ নির্বাচন হয়ে আসছে। স্বাধীনতার ৭৫ বছর ধরে হাওড়া, গোমতী, ধলাই, মনু দিয়ে বহু জল বয়ে গেছে। এই রাজ্যে শাসন ক্ষমতায় যেই সকল সম্প্রদায় প্রতিনিধিত্ব করে চলেছে, তাদের সম্প্রদায়গত জনসংখ্যা উপজাতি ছাড়া আর কোনও সম্প্রদায়ই নির্ণায়ক ভূমিকা পালনে সক্ষম নয়। অথচ এই রাজ্যের ৬০টি বিধানসভার অন্তত ৩০টি কেন্দ্রে ‘নাথ ভোট’ একত্রিত হলে ভোটের বাজারে সব সমীকরণই বদলে যেতে পারে।
এই রাজ্যের নাথ সম্প্রদায় সামগ্রিকভাবে মানসিক দাসত্বের শিকার। তারা ঋজু মেরুদণ্ডে দাঁড়াতেই শিখলো না। আমার হিসাব মতো বর্তমান ত্রিপুরার ৪২ লক্ষ জনসংখ্যার নিরিখে ত্রিপুরায় নাথ জনসংখ্যা কমপক্ষে সাড়ে নয় লক্ষ থেকে সাড়ে দশ লক্ষের মধ্যে হবে (৯ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ১০ লক্ষ ৫০ হাজার)। এই রাজ্যে একসময় নাথ সমাজপতিদের সামাজিক রাজনৈতিক অসামান্য প্রতিপত্তি ছিল। অনেক প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্ব এই সম্প্রদায় থেকে বেরিয়ে সমাজের ও সরকারের নানা গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকলেও সামগ্রিকভাবে নাথজাতির মধ্যে অন্যান্য জাতি বা সম্প্রদায়ের মতো কোনও মূলগত ঐক্য নেই। ধর্মের নামে, সারা পৃথিবীতে এবং এই ভারতবর্ষে হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ পরিচয়ে একটা ধর্মীয় ঐক্য রয়েছে। আবার রাজ্য ভেদে বা অঞ্চল ভেদে সাম্প্রদায়িক ঐক্য বা একতার অভাব নেই। যেমন ব্রাহ্মণ, কায়স্থ, বৈশ্য, শূদ্রের মধ্যে দেশজুড়ে ভেদাভেদের ছড়াছড়ি। উচ্চবর্ণে, নিম্নবর্ণে তো সংঘাত লেগেই আছে। এখন এই দেশের বিশেষ কয়েকটি রাজ্যে বর্ণ হিন্দু ও দলিতদের মধ্যে নিত্যই সংঘাত পরিলক্ষিত। জাতিগত গোঁড়ামি এই ভারতবর্ষের একটা মৌলিক সমস্যা।
বাবাসাহেব ভীমরাও আম্বেদকর নিজের জীবন দিয়ে তা অনুভব করেছিলেন বলেই সংবিধানে আদিবাসী ও নিম্নবর্গের মানুষদের জন্য সংরক্ষণের রক্ষাকবচের ব্যবস্থা করে গেছেন। তা সত্ত্বেও এখনও স্বাধীন ভারতবর্ষে সংবিধানস্বীকৃত মৌলিক অধিকার ভোগ পশ্চাৎপদ ও নিম্নবর্গ, দলিত, আদিবাসীদের এখনও অধরা। 'আইনের চোখে সকলেই সমান'। এই প্রসঙ্গে জর্জ ওরওয়েলের 'Animal Farm' উপন্যাসের সেই বিখ্যাত উক্তি অতীব প্রাসঙ্গিক। 'We all are equal here, but some are more equal than others.'
দুই বঙ্গে যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল, হরিচাঁদ-গুরুচাঁদের চেষ্টায় তপশিলি জাতি ও নমঃশূদ্র সম্প্রদায় পঃবঙ্গে ‘মতুয়া সম্প্রদায়' রূপে নিজেদের একটা স্থায়ী ভোটব্যাঙ্ক তৈরি করতে পেরেছেন বলে ঠাকুরনগরে ‘মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রধান বীনাপাণি দেবীর আশীর্বাদ নেবার জন্য ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী ছুটে ‘নরেন্দ্র মোদি'ও গিয়েছিলেন। বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল সুপ্রিমোর কথা তো কিংবদন্তী বলা যায়। পাশাপাশি এই দেশে বহু রাজ্যে সংখ্যালঘু বিশেষত মুসলিম ভোট একটা বিশাল ফ্যাক্টর।
বর্তমানে সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (Social Engineering) কথাটা রাজনীতির অঙ্গনে বেশ প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। বিশেষতঃ এই জাতপাতের রাজনীতি করেই কাশীরামের মানসকন্যা জাঠা সম্প্রদায়ের নেত্রী মায়াবতী উত্তর প্রদেশের মতো রাজ্যে একমাত্র দলিত ভোটব্যাঙ্ককে পুঁজি করে একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার দখল করতে পেরেছেন। বিহার, উত্তরপ্রদেশের যাদব ও কুর্মি সম্প্রদায় ভোটের বাজারে একেবারে হটকেক। কুর্মি নেতা নীতিশকুমার, যাদব নেতা লালুপ্রসাদ, তাঁর ছেলে তেজস্বী, উত্তরপ্রদেশের মুলায়েম সিং যাদব, তার ছেলে অখিলেশ — সকলেই নিজস্ব ভোটব্যাঙ্কের দৌলতেই তারা রাষ্ট্র পরিচালনায় ও ক্ষমতার মসনদে বসতে পেরেছে। কাশ্মীরে স্বাধীনতার পর কোনও অমুসলিম ব্যক্তি শুধু সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কের ফ্যাক্টর বা স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসতে পারেনি।
ত্রিপুরা রাজ্যে একসময় উগ্রপন্থী কার্যকলাপ শুরু হয় টিএনভির নেতৃত্বে, যা আজও নানা রংরূপে উপজাতি ভোট বিভাজনের স্বার্থে বার বার মাথাচাড়া দেয়। ১৯৮০ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত এ রাজ্যে উগ্রপন্থী হানা ও সহিংসতার বলি হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। আমার বলতে কোনও দ্বিধা নেই যে, তার বৃহত্তম শিকার নাথ সম্প্রদায় ও নিম্নবর্গের মানুষ। ত্রিপুরায় শাস্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাজীব-রাঙ্খল চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সেই সময় যে তিনটি সিট অতিরিক্ত সংরক্ষণের আওতায় আসে তার মধ্যে চড়িলামের বৃহত্তর জনসংখ্যা সম্প্রদায়ের। তেমনি নাথ কাঞ্চনপুর সংরক্ষিত বিধানসভা সিটে প্রায় ৫৪ শতাংশ ভোটার নাথ সম্প্রদায়ের।
নাথ সম্প্রদায়ের উদারতার সুযোগ নিয়ে অগ্রণী অংশকে একটা চেয়ার দিয়ে সুকৌশলে বসিয়ে দিয়েছে, আর বৃহত্তর নাথ সমাজ প্রকৃত যোগ্য নেতৃ ত্বের অভাবে মৌচাকের রানি ছাড়া শ্রমিক মৌমাছির মতো দিকভ্রান্ত। ত্রিপুরা রাজ্যে নাথ সম্প্রদায়ের অনেক এলিট ব্যক্তিত্ব রয়েছেন, অনেক বুদ্ধিজীবী, চিন্তাবিদও রয়েছেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে অনেক এই যোগ্য নেতা আছেন। এই মুহূর্তে রাজ্য মন্ত্রিসভায় একজন সম্মানিত মন্ত্রী রয়েছেন, এই রাজ্যের সাধারণ আসন থেকে নির্বাচিত সাংসদ আছেন, তিনি বর্তমানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার মন্ত্রীও বটেন। কিন্তু সামগ্রিকভাবে এ রাজ্যে বৃহত্তর নাথ সমাজ শুধুমাত্র দাবার বোড়ে। নাথ সম্প্রদায় একত্রিত বা সংগঠিত হলে ক্ষমতাকে তাদের সম্মুখে নতজানু হতেই হবে। নাথ সম্প্রদায়ের মানুষের উচিত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে ভাড়া না খেটে প্রথমে আত্মমর্যাদা হৃত সম্মানপুনরুদ্ধারে একত্রিত হওয়া।
তামিলনাড়ুতে একসময় পেরিয়ার রামস্বামী নাইকার ব্রাহ্মণ্যবাদের বিরুদ্ধে ‘Justice Party' গঠন করে শুরু করেন ‘Self Respect Movement'. তাঁর আন্দোলনের মূল লক্ষ্যই ছিল সমাজের নিচবর্গের মানুষ, মহিলা ও ব্রাত্যজনকে আত্মমর্যাদাবোধে উদ্বুদ্ধ করা। অসাধারণ এই ব্যক্তি বি ‘ব্রাহ্মণ্যবাদের' বিরুদ্ধে কিংবদন্তী কালাপাহাড়রূপে বিখ্যাত। তাঁর বর্ণ বিখ্যাত স্লোগান ছিল, 'একসঙ্গে বি কেউটে ও ব্রাহ্মণ' দেখলে কেউটে কে সাপ ফেলে ব্রাহ্মণকে লাঠি দিয়ে ধর তাড়াতে। অর্থ-বিত্ত-শিক্ষা- প্রভাব-প্রতিপত্তিতে তাঁর দাপটে সব সমস্ত তামিলনাড়ুতে বিরাট জনজোয়ার তৈরি হয়। তাঁকে দেখলেই ব্রাহ্মণরা দিগ্ বিদিক প্রাণের ভয়ে পালিয়ে যেতেন। আমি আমার আলোচনা প্রসঙ্গে একটা কথা বলে রাখি যে আত্মমর্যাদার লড়াই কিন্তু সাম্প্রদায়িক নয়। বিখ্যাত ব্রাহ্মণবাদী কমিউনিস্ট নেতা সিপিএম পলিটব্যুরোর সদস্য ও পার্টির একসময়ের সম্পাদক ই.এম.এস.নাম্বুদ্রিপাদের একটি উক্তি এখানে স্মরণ না করে. পারলাম না। ‘Community thinking is not Comminal.' স্বজাতির জন্য ভাবনা কখনোই সাম্প্রদায়িক নয়। ভারতবর্ষের সমাজ ব্যবস্থা যেহেতু নানা উঁচু-নিচু, জাত পাতে বিভক্ত, দলিতদের উপর উচ্চবর্ণের আক্রমণ, হত্যা যেহেতু অবিরাম চলছে, তাই সংবিধান স্বীকৃত 'আত্মরক্ষার আইনে' সকলেরই আত্মরক্ষা করার জন্য আক্রমণকারীকে প্রতিহত করার অধিকার আছে।
ত্রিপুরা রাজ্যে নাথের ঘরে জন্ম হবার কারণে শৈশব থেকেই সমাজের একশ্রেণির মানুষের ঘৃণা, অবজ্ঞা, নিচজাতি, হীনজাতি বলে উপহাস কম শুনেনি। নাথ সম্প্রদায় শবদেহ পোড়ানোর পরিবর্তে তারা মৃত্তিকা সমাধি দিয়ে থাকে। এজন্য নাথদের মুসলিম বলে নানা আকথা-কুকথা প্রায়ই শুনতে হয় ৷ পাত্র-পাত্রীর বিজ্ঞাপনে প্রকাশ্যে এই ঘৃণার অসংখ্য নজির আছে। প্রায়ই এই রাজ্যের মানুষ পত্রিকায় পাত্র-পাত্রীর বিজ্ঞাপনে দেখবেন, ব্রেকেটে লেখা থাকে 'পাত্রী চাই, অসবর্ণে আপত্তি নাই (নাথ বাদে)' সুশীল সমাজ, প্রগতিশীল, উচ্চশিক্ষিত বিশিষ্টজন, বুদ্ধিজীবী, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত উঁচু মাপের নেতা-নেত্রী, আইন, প্রশাসন ও বিচার বিভাগ কখনও কি স্বতঃ প্রণোদিত হয়ে এই অমানবিক, বর্ণবিদ্বেষী, উচ্চবর্ণবাদী লেখার বিরুদ্ধে আইনগতভাবে কখনও কী কোনও ব্যবস্থা নিয়েছেন? এই ধরনের বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে কেউ কখনো প্রতিবাদ করেছেন? সবচেয়ে অবাক লাগে, নাথ সম্প্রদায়ের এলিট ক্লাসও এ টকাস ও ব্যাপারে পুরো নিস্পৃহ বা উদাসীন । বিপরীতে নাথ সম্প্রদায়ের ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, অধ্যাপিকা, সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণা মেয়েদের ব্রাহ্মণ, কায়স্থ উচবর্ণের বাবা-মা তাদের ছেলের বউ করার জন্য সামাজিকভাবে না পারলে প্রায় হাইজ্যাক করে নিয়ে যান। অথচ নাথ সম্প্রদায়ের উচ্চ পদাধিকারী উচ্চ পদাধিক ছেলেদের কাছে তাদের মেয়েদের বিয়ে দিতে রাজি হন না। আমার কাছে তার অনেক তথ্য-প্রমাণ আছে। সর্বত্রই ব্যতিক্রম দু'চারটা থাকে, সেই দুই-একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা কিন্তু পূর্ণ সত্যকে কোনও মতেই অস্বীকার করতে পারে না। নাথ জাতির দুর্ভোগ, দুর্যোগের সূত্রপাত ১১৫৮ থেকে ১১৭৯ খ্রিস্টাব্দ সময়সীমার মধ্যে বাংলার রাজা বল্লাল সেনের আমলে। ঐতিহাসিক মাত্রই অবগত আছেন যে বল্লাল সেন বাংলায় কৌলিন্য প্রথা চালু করেন। তার প্রথম ও মূল শিকার বঙ্গীয় যোগী জাতি। তারপর থেকে বাংলাদেশে এই জাতি ক্রমশঃ সমাজে অপাঙ্ক্তেয় হয়ে পড়ে, আজও তারা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বলি। নাথ জাতির নেতা-নেত্রীগণ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের যুপকাষ্ঠে নিজেদের গলা ঢুকিয়ে স্বজাতির প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা করে চলেছেন।
এছাড়াও নাথ সম্প্রদায় মূলতঃ ইনসিকিউরিটি বা চরম নিরাপত্তাবোধের অপরাধে ভুগছেন। তারা মানসিক দাসত্বকে তাদের ভাগ্য বা কর্মফল বলে বিশ্বাস করেন। নাথজাতি ত্রিপুরায় অবশ্যই একটা বিরাট ভোটব্যাঙ্ক। এই সম্প্রদায় বহু বিধানসভায় ভোটের অঙ্কে একটা বিরাট ফ্যাক্টর। এই রাজ্যের উপজাতি ভোটের ক্ষেত্রে বিশাল মেরুকরণ ঘটে গেছে। তপশিলিভুক্ত জাতিরাও সংরক্ষণের আওতায় নিয়ে এসেছে। সংখ্যালঘু মুসলিম ভোটও আজ সারা দেশেই এক বিরাট ফ্যাক্টর।
গুজরাটে পাতিদার আন্দোলন ব্যাপাক সাড়া ফেলেছে, অনেক নেতা উঠে এসেছে। রাজস্থানে পাঞ্জাবে গুর্জর সম্প্রদায় আন্দোলনে শামিল। উত্তরবঙ্গে কোচ-রাজবংশী, গুর্খারা আলাদা রাজ্যের দাবি করছে। উপজাতিরা ভোটের ময়দানে কিন্তু সকলেই একতাবদ্ধ। ত্রিপুরা রাজ্যে নাথ সম্প্রদায়ের জনসংখ্যার অনুপাতে অন্তত ১২ থেকে ১৪ টা সিটে লড়াই করার ক্ষমতা রাখে। ত্রিপুরায় নাথ জাতি ঐক্যবদ্ধ হোন। আওয়াজ তুলুন যে দল নাথ সম্প্রদায়ের কমপক্ষে ১০ জন প্রার্থীকে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা করবে, এই রাজ্যের নাথ সম্প্রদায়ের প্রতিটি প্রাপ্ত বয়স্ক ভোটার কোনও দাবি দাওয়া ছাড়াই সেই দলকেই চোখ বুজে ভোট দেবে। এমন কোনও প্রার্থী নির্বাচন করা যাবে না, যে স্বজাতির প্রতি গদ্দারি করবে, কিংবা ভোটে জেতার পর ঘোড়ায় পরিণত হয়ে রাম কিংবা বামবাবুর আস্তাবলে সোজা ঢুকে পড়বে। ত্রিপুরার ১০ লক্ষ নাথ জাতির ৭ লক্ষ ভোটার ২০২৩-এর বিধানসভা নির্বাচনে একজোট, নিজেদের কিং কিংবা কিং মেকারের ভূমিকায় নিয়ে আসুন, বর্তমান রাজনীতিতে ভোটব্যাঙ্কই ক্ষমতার প্রকৃত উৎস। একের পর এক লেখা চলবে। যতক্ষণ নাথ জাতি ঐক্যবদ্ধ হোন।