করোনা আতঙ্ক দূরে যুদ্ধ যুদ্ধ যুদ্ধ চাই
প্রদীপ চক্রবর্তী
প্রসঙ্গ -করোনা। প্রতিফলন- আতঙ্ক,জল্পনা ও গুজব। অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। রাজধানীর স্বাভাবিক জীবন যাত্রা প্রায় বিপর্যস্ত।তবে স্তব্দ হয়নি এখনও,হবেও না বলা চলে।রাজ্যের বিলম্বিত সিদ্ধান্ত আতন্ককে অপেক্ষাকৃত তীব্র করেছে মূলতঃ সচেতনতার অভাবে।এটা হবেও কি করে? গ্রামের লোক ভোর না হতেই ছুটছেন কাজের খোঁজে।কারন কাজের জন্য পাগলপারা গ্রামীন জনতা।গ্রামে যে কাজ নেই,তা রেগাই বলুন আর অন্যান্য সরকারি কাজ।তো তারা কি ভাবে সচেতন হবেন?
জরুরী ভিত্তিতে সচেতনতার লিফলেট ছাপানো হয়েছে। গতকালই মুখ্যমন্ত্রী লিফলেটের কথা জানিয়েছিলেন।দেখা গেল আজ সকালেই মুখ্যমন্ত্রী সীমান্ত এলাকায় ছুটে গেছেন, শুরু করেছেন লিফলেট বিলি। সরকারী আবাসে থেকে সীমান্ত এলাকা দুই কিলোমিটার ও নয়। কনভয়ের যেমন কমতি নেই তেমনি লিফলেটের ও। রাতভর ছাপা হয়েছে, এখনও চলছে। মহকুমা, জেলা স্তরেও একই অবস্থা।সবই জরুরী ভিত্তিতে চলছে।আর চলবেই বা না কেন?কথায় আছে prevention is better than the cure.
তবে প্রয়োজন ছিল আগেই সচেতনতা মূলক কার্যক্রম শুরু করা। তা হয়নি,কেন হয়নি তা সরকার বলতে পারবেন।
আজ সকালেই বেড়িয়ে পড়েছিলাম নেতাজী চৌমুহনী,গাঙাইল হয়ে বটতলা ফ্লাইওভার।অন্যদিন যে তৎপরতা থাকত আজ তার লেশ ছিল না। ফ্লাইওভার থেকে শ্মশানের দিকে যে রাস্তা র মোড় সেখানে সবদিন ব্যস্ততা থাকে।কারন দক্ষিণ দিকের মাছ নিয়ে গাড়ী গুলি সেখানেই পৌঁছে থাকে।গাড়ী থামার আগেই মাছ বিক্রি হয়ে যায়। পরোক্ষে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয় দক্ষিনের ব্যবসায়ীদের। এখানে ব্যবসায় যুক্ত সব বিএমএস র মাসলম্যানরা। এদের কেউ কিছু বলার মত হিম্মত নেই। কিন্তু আজ সেখানে তেমন তৎপরতা দেখা যায়নি। বাজারের ভেতরে বিক্রেতা তেমন নেই তেমনি ক্রেতাও নেই।মাছ ও মাংসের বাজার প্রায় খালি।তবে পাঠা তথা ছাগলের মাংস বিক্রি বাট্টা মোটামুটি। চক্করে আসতেই অবাক হওয়ার পালা। বটগাছের চক্করে দিন হাজিরার শ্রমিকদের দেখা যায়নি তেমন।অটো,টমটম বড়জোর গোটা দশেক। এদের বলতে শোনা গেল এমন চললে মরতে হবে।অন্যান্য দিন পত্রিকা বিক্রেতাদের ঘিরে ক্রেতাদের ভীড় থাকত।এরা চার পাঁচ জন বসে।আজ বসে গল্প করছে।তাজ্জ্বব বনে গেলাম। এবার মেলার মাঠ,সিটি সেন্টার,প্যারাডাইস হয়ে আইজিএমে।ওমা অন্যদিন তেমন রেজিস্ট্রেশন কাউন্টারে রোগীদের ভীড় থাকে আজ তেমন নেই।
সেখান থেকে ভিএম চৌমুহনী হয়ে পুরানো আরএমএস,অটোষ্টান্ড,ওরিয়েন্ট ,জ্যাকসন গেট,কসারী পট্টি হয়ে মোটরষ্টান্ড। রাস্তা প্রায় শুনশান। বিক্ষিপ্ত ভাবে চলাচল রয়েছে। রিকশা তো মাঝেমধ্যে কয়েকটি দাঁড়িয়ে।একই চিত্র মোটরষ্টান্ডে। কিছু গাড়ী রয়েছে।অটো, টমটম চালকরা ও অনেকটা দাড়িয়ে।বলছে ওরা ,করুনা আমাদের পেটের ভাত কেড়ে নিচ্ছে।
সত্যিই তাই মনে হল, চোখে যা দেখলাম তাই তুলে ধরা হল। সাধারণত সকালে রোড সাইট টি ষ্টল গুলিতে সকালে ভীড় থাকে।আজ পাঁচ শতাংশ ও নেই।
এই আতন্ক দূর করার জন্য প্রয়োজন ব্যাপক সচেতনতা মূলক কার্যক্রম।গোটা প্রশাসন, মন্ত্রীসভার ঝাঁপিয়ে পড়ে আতন্ক দূর করা জরুরী। অন্যথায় আতঙ্ক তাড়া করবে সবাইকে।দলীয় স্তরেও জরুরী সর্বাত্মক প্রচার।এখন অন্যকিছু নয়,যুদ্ধকালীন ভাবে আতন্ক দূর করাই প্রয়োজন।যেমনটা আজ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
(প্রতিবেদক প্রবীন সাংবাদিক)