ধূমায়িত বিক্ষোভ চাপা দিতে কল্পতরু ডাঃ মানিক সাহা
জয়ন্ত দেবনাথ
২০২৩ সালের বিধানসভা ভোটের আগে সরকারী দপ্তরে চাকুরী প্রদান সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রেই বিজেপি আইপিএফটি-র সরকার আশাতীতভাবে কল্পতরু হবেন। প্রশাসনের শীর্ষ স্তরের একাধিক আমলা অফিসারদের ডেকে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা স্বয়ং একথাটি বলেছেন যে, যত তাড়াতাড়ি যত সংখ্যক চাকুরী বা অন্যান্য সরকারী সুবিধা সাধারন মানুষকে দেওয়া যায় এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে যাতে প্রশাসনের শীর্ষ আমলাকুল যাবতীয় তৎপরতা শুরু করেন। গত সাড়ে চার মাসে ত্রিপুরা প্রশাসন সরকারী স্তরে সাধারন মানুষকে যত না সুবিধা দিয়েছে তার নয় গুন ঢাকঢোল পিটিয়ে গেছেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ও তার নিয়ন্ত্রণাধীন সরকারের আইটি টিম। যার ফলে তলে তলে সাধারন মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিক্ষোভ ক্রমেই ধূমায়িত হয়েছে যা এক্ষনে বিস্ফোরণের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে।
পক্ষান্তরে, বাইক বাহিনীর নামে এক অদ্ভুত অপ-সংস্কৃতি এরাজ্যে আমদানী করা হয়েছে যার হাত থেকে বিরোধী দলের লোকরা তো বটেই, শাসক দলের নেতা, তাদের আত্মীয় পরিজনরাও বাদ যাচ্ছেন না। বিরোধী কংগ্রেস সিপিএম-এর নেতারাতো পুলিশের উপস্থিতিতেই আক্রান্ত হচ্ছেন। ক্যামেরার সামনে খোদ শহরের উপর পুলিশের সামনে পত্রিকা অফিস, কংগ্রেস অফিস, সিপিএম সদর দপ্তরে হামলা হয়েছে শীর্ষ বিজেপি নেতৃত্বের উপস্থিতিতে, কিন্তু পুলিশ একটি ক্ষেত্রেও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এমনকি কংগ্রেস প্রার্থী সুদীপ রায় বর্মন -এর উপর হামলার একাধিক এফ আই আর পুলিশ গ্রহণ করলেও এফ আই আর-এ উল্লেখিত আসামিদের পর্যন্ত ত্রিপুরার পুলিশ ডেকে জিজ্ঞেস করার প্রয়োজন বোধ করেনি। স্মরণ কালের মতো ত্রিপুরায় কখনো আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের এমন লজ্জাস্কর ভূমিকা দেখা যায়নি। একজন অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসারকে ডিজিপি পদে বসিয়ে রাখা হয়েছে। আগামী নভেম্বর মাসে উনার অবসরে চলে যাওয়ার কথা। কিন্তু ফের যদি চাকুরীর মেয়াদ আরও এক দফা বাড়িয়ে নেওয়া যায় সেই লক্ষ্যে রাজ্য পুলিশের রাষ্ট্রপতি কালার্স-এর গড়িমাকে ভূলুণ্ঠিত করে চলেছেন ডিজিপি। বিজেপি- র অনেক নেতা মন্ত্রীরাও অনেক সময় ক্ষেপে উঠেন পুলিশের এমন নির্লজ্জ ভুমিকায়। তাই পুলিশের হৃত গৌরবকে পুনরায় ফিরিয়ে আনা সহ ভাল কাজের মাধ্যমে কিভাবে সাধারন মানুষের মন জয় করা যায় সেই লক্ষ্যকে এবার সামনে নিয়ে আসতে চাইছেন নয়া মুখ্যমন্ত্রী। আর এরই প্রাথমিক শুভ সূচনা হিসাবে মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসেই গত কদিন ধরে একের পর এক কল্পতরু বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়ে চলেছেন নয়া মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা।
দুই মাস হয়েছে ডাঃ মানিক সাহা মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসেছেন। চেয়ারে বসে প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠকেই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তথ্য প্রযুক্তি ও রাজ্যের নিজস্ব একটি স্বাস্থ্য পলিসি করার জন্য। পাশাপাশি দিব্যাঙ্গ ও পিছিয়ে পড়া উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষের সার্বিক কল্যাণেও তিনি একটি এক গুচ্ছ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছেন। তার নেতৃত্বে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ক্যাবিনেট বৈঠকেও বেশ কিছু শূন্যপদ সৃষ্টির সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত দুই মাসে ডাঃ মানিক সাহা মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসে আরও যেসব গুরুত্তপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেগুলির কটি এখানে উল্লেখ করা হয়েছেঃ
আরও ৮ সহস্রাধিক চাকরির প্রতিশ্রুতি
ত্রিপুরায় সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর সাড়ে চার বছরের অধিক সময়ে বিভিন্ন দফতরে প্রায় ১৩৯৮৪টি চাকরি প্রদান করা হয়েছে। আরও ৮১১০টি চাকরি প্রদানের প্রস্তুতি চলছে। খুব শীঘ্রই ত্রিপুরার বেকাররা ওই চাকরি পাবেন বলে দাবি করেন শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ। তাঁর কথায়, ত্রিপুরা সরকারের সমস্ত দফতরের চাকরি প্রদানের তথ্য এই মুহুর্তে তৈরি নেই। তবে, শিক্ষা, স্বরাষ্ট্র, কৃষি, আইন, বন এবং স্বাস্থ্য দফতরে ও ডাই -ইন-হারনেস এবং আউটসোর্সিং-র মাধ্যমে ওই ১৩৯৮৪ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। গত ১২ জুলাই শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এই তথ্য দিয়ে জানান, গত সাড়ে চার বছরে প্রদত্ত ১৩৯৮৪ টি চাকুরীর মধ্যে শিক্ষা দফতরে শিক্ষক পদে ৩২৫১ জন, সহকারী অধ্যাপক পদে ৩৮ জন, বেসিক টিচার ৩৩ জন এবং ডিপ্লোমা স্তরে লেকচারার পদে ৫৭ জনকে স্বরাষ্ট্র দফতরে টিএসআর ১৪ ৪৩ জন, এসপিও ১৪০০ জন এবং সাব ইন্সপেক্টর পদে ৬৫ জন চাকরি পেয়েছেন। তাঁর দাবি, স্বাস্থ্য দফতরে জুনিয়র মেডিকেল অফিসার ৪৪৪ জন, এছাড়া জুডিশিয়াল অফিসার গ্রেড থ্রি ১১ জন, পিএ গ্রেড টু ৯৭ জন, টিসিএস, টিপিএস গ্রেড টু ৮০ জন, টিএফএস গ্রেড টু ৬ জন, কৃষি আধিকারিক গ্রেড ওয়ান ৬২ জন, খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক ৮জন চাকরি পেয়েছেন। সাথে তিনি যোগ করেন, ডাই-ইন-হারনেসে ১০৭০ জন এবং আউট সোর্সিং-র মাধ্যমে ৫৮২৩ জনকেবিভিন্ন দপ্তরে চাকরি দেওয়া হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ওই দফতর গুলিতে মোট ১৩৯৮৪ জনকে ত্রিপুরায় সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর চাকরি দেওয়া, হয়েছে।
এদিন তিনি বলেন, আরও ৮১১০ জনের চাকরি প্রদানের প্রস্তুতি চলছে। এ-বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, টেট উত্তীর্ণ শিক্ষক ৬০০ জন, স্পেশাল এডুকেটর ২০০ জন, স্নাতকোত্তর শিক্ষক ৩০০ জন, নবম ও দশম শ্রেণীর জন্য স্নাতক শিক্ষক ২৩০ জন, স্নাতকোত্তর শিক্ষক ১১০ জন, পুলিশ কনস্টেবল ১০০০ জন, টিপিএসসি-র মাধ্যমে বিভিন্ন পদে ৭৬০ জন এবং জেআরবিটি-র মাধ্যমে ৪৯১০ জনকে নিয়োগের প্রস্তুতি চলছে। একই সাথে গত ১২ জুলাই মন্ত্রিসভার বৈঠকে সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরে ২১টি সিডিপিও-র পদ, সমবায় দপ্তরে ৪২টি পদ, তাছাড়া, যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরে ২০টি স্পোর্টস অফিসারের ও বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও পরিবেশ দপ্তরে ৩টি পদ সৃষ্টির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ।
শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ-এর দাবি, ত্রিপুরা নতুন সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর ১১ হাজার নতুন পদ তৈরি করা হয়েছে এবং ১৩৬৩২টি- পদে নিয়োগে অর্থ দফতরের অনুমোদন রয়েছে। তাঁর সাফ কথা, অতীতে সাড়ে চার বছরের সময়ের মধ্যে এত গুলো চাকুরী কোন সরকার দিতে পারেনি।
২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটের আগে ভিশন ডকুমেন্টে বিজেপি ঘরে ঘরে কম করেও একটি করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো। প্রতিশ্রুতি ছিলো বিজেপি ক্ষমতায় এলে প্রথম এক বছরে ৫০ হাজার বেকারের চাকরি প্রদান করা হবে। এবিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ অবশ্য কখনো কিছু বলেন না। এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি ২০২১ মহাকরণে সাংবাদিকদের শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ বর্তমান সরকারের সময়ে ১৫১০২ জনের চাকরি প্রদানের তথ্য তুলে ধরেছিলেন। আর ৪ ডিসেম্বর, ২০২০ রাজধানীর শকুন্তলা রোডে আয়োজিত এক সভায় তখনকার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব দাবি করেছিলেন, ২০১৮ সাল থেকে ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৪,৭৯৮ জনের নিয়মিত বেতনক্রমে চাকরি হয়েছে। তখনকার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব –এর আরও দাবি ছিল ৩৩ মাসে সব মিলিয়ে তেইশ হাজার চাকরি হয়েছে। বিপ্লব দেব -এর দাবি অনুসারে ওই সময়ের মধ্যে স্বরোজগার, স্কিল ডেভেলাপমেন্ট সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সব মিলিয়ে লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান হয়ে গেছে। তাছাড়া, সাব্রুমে স্পেশাল ইকোনমিক জোন (SEZ) চালু হয়ে গেলে নাকি আগামী দুই বছরে কম করেও আড়াই লাখের বেশী বেকারের কর্মসংস্থান হবে। ইতিমধ্যেই বিজেপি সরকারের সাড়ে চার বছর পূর্ণ হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ঘরে ঘরে কর্মসংস্থান, ৫০ হাজার বেকারকে প্রথম বছরেই চাকুরির প্রতিশ্রুতি পুরনে যে আশানুরূপ সাফল্য আসেনি এটা বিভিন্ন সময় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর প্রদত্ত তথ্যেই স্পষ্ট।
১৫ হাজার ছাত্রছাত্রীদের মোবাইল ফোন
২০২৩ সালের বিধানসভা ভোটের মুখে গত ১২ জুলাই মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী যুব যোগাযোগ যোজনায় চলতি অর্থবছরে ১৫ হাজার যুবক যুবতিদের মোবাইল ফোন কেনার জন্য আর্থিক সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সচিবালয়ের প্রেস কনফারেন্স হলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তের কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী যুব যোগাযোগ যোজনায় চলতি অর্থবছরে রাজ্যের ৩৮টি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রছাত্রীদের মোবাইল ফোন কেনার জন্য ৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। এরজন্য রাজ্য সরকারের ব্যয় হবে ৭ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। শিক্ষামন্ত্রী জানান, ২০১৯ সালে মুখ্যমন্ত্রী যুব যোগাযোগ যোজনা ঘোষণার পর ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ৭ হাজার ২৭৪ জন ছাত্রছাত্রীকে মোবাইল ফোন কেনার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছিল। তাতে ব্যয় হয়েছিল ৩ কোটি ৬৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে এই প্রকল্পে মোবাইল ফোন কেনার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছিল ৯ হাজার ৪২৮ জন ছাত্রছাত্রীকে। ব্যয় হয়েছিল ৪ কোটি ৬৮ লক্ষ টাকা।
নরসিংগড়ে ৯ একর জমিতে জাতীয় আইন কলেজ
মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সচিবালয়ের প্রেস কনফারেন্স হলে গত ১২ জুলাই এক সাংবাদিক সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী জানান, রাজ্যে জাতীয় আইন কলেজটি স্থাপনের জন্য নরসিংগড়ে জমি বাছাই করা হয়েছে। এজন্য ৯ একর জমি বিনামূল্যে দেওয়ার সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদিত হয়েছে।
একই সাথে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘দ্য ত্রিপুরা প্ল্যানিং অব আনরেগুলেটেড ডিপোজিট স্কিম রুলস, ২০২২’-এর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে বেআইনি চিটফাণ্ডের কার্যকলাপ রোধের জন্যই এই রুলস-এর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলনে জানান।
সরকারি চাকরিতে সর্বোচ্চ বয়স সীমা ২ বছর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত
চাকরির আবেদনে বেকাররা দুই বছর ছাড় পেতে চলেছেন ত্রিপুরায়। কোভিড পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতর এবং অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান গুলোয় চাকরির দরজাও বন্ধ ছিল। এবার সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে সব দফতর ও পিএসইউতে চাকরির আবেদনের বয়সের উরদ্ধ সীমায় দুই বছরের ছাড় পাবে আবেদনকারীরা। এক বিজ্ঞপ্তিতে এই স্রকারী সিদ্ধান্তের কথা জানালো জিএ (পি এন্ড টি) দফতর। ২০২৩ সালের ৩০ জুন অবধি সরকারি চাকরিতে আবেদনের ক্ষেত্রে বয়সে এই দু বছর ছাড়ের ব্যবস্থা থাকছে। অবশ্য গত বছরের জুন মাসেই এব্যাপারে সরকারী সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু এতদিন তার ঘোষণা হয়নি। গতকাল এই নয়া নোটিফিকেশন প্রকাশের পাশাপাশি রাজ্য মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুসারে আরো ৮ হাজারেরও বেশি পদে খুব শীগ্রি নিয়োগ হবে।
জানাগেছে, ২০২৩ সালের আগে আরও নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়ে শুন্যপদ পূরণ করার জন্য ইন্টারভিউ মেলার ঘোষণা করতে পারে রাজ্য সরকার। সরকারি চাকরির বয়স পেরিয়ে যাওয়ার কারণে বেকাররা যারা হতাশার শিকার হয়ে পড়েছিলেন, সেই ভয়ঙ্কর হতাশা বেকারদের মন থেকে খানিকটা হলেও দূর হবে ডাঃ মানিক সাহা সরকারের এই আদেশে এটা বলাই বাহুল্য। ( লেখক একজন সিনিয়র সাংবাদিক ও সম্পাদক)