স্বাধীনতা যুদ্ধে উজ্জ্বল মণিপুর

পান্নালাল রায়

উত্তর পূর্বাঞ্চলে আধিপত্য বিস্তারের ক্ষেত্রে ব্রিটিশরা যেমন স্হানীয় আদিবাসীদের কাছ থেকে প্রবল বাধার সম্মুখীন হয়েছে, তেমনই এই অঞ্চলের কোনো কোনো রাজ্যে রাজন্যবর্গের কাছ থেকেও বিরোধিতার সম্মুখীন হয়েছে তারা।১৭৬১ সালে ত্রিপুরার রাজা কৃষ্ণ মাণিক্য ইংরেজদের বাধা দিলেও সেদিন মাত্র ২০০ সৈন্য নিয়ে তারা জয় করে নিয়েছিল সমতল ত্রিপুরা।১৮৯১ সালে মণিপুর রাজকুমার টিকেন্দ্রজিতের নেতৃত্বে বিদ্রোহের আগুন জ্বলে উঠেছিল মণিপুরে। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অবশ্য শেষপর্যন্ত মণিপুরকে করদ রাজ্যে পরিণত করেছিল ব্রিটিশরা।তারও আগে ১৮৫৭ সালের মহা বিদ্রোহের প্রভাব পড়েছিল ত্রিপুরা, কাছাড়, মণিপুর ও আসামে। স্বাধীনচেতা মণিপুর রাজকুমার নরেন্দ্রজিৎ যোগ দিয়েছিলেন চট্টগ্রামের বিদ্রোহী সিপাহিদের সঙ্গে। এদিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানিদের সঙ্গে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি যখন ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে মণিপুরে প্রবেশ ও অবস্হান করে তখনও স্হানীয় মানুষের সাহায্য সাহায্য সহযোগিতার ‌কথা জানা যায়। এইভাবে বারবার ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী লড়াইতে উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে উত্তর পূর্বাঞ্চলের মণিপুর।



১৮৫৭ সালের নভেম্বরে চট্টগ্রামের ৩৪নং পদাতিক বাহিনীর ভারতীয় সিপাহিরা বিদ্রোহ করে প্রথমে ত্রিপুরার দিকে আসে। সেসময় ত্রিপুরার সিংহাসনে কৃষ্ণকিশোর মাণিক্য। হয়তো বিদ্রোহীদের আশা ছিল রাজা তাদের সাহায্য করবেন। কিন্তু সেসময় ইংরেজদের নানা চাপের মুখে থাকা ত্রিপুরার রাজা তাঁর রাজ্য থেকে বিদ্রোহীদের বহিষ্কারের আদেশ প্রচার করেন। বিদ্রোহী সিপাহিরা তারপর সিলেট-কাছাড় হয়ে মণিপুরে যাবার পরিকল্পনা করে। উত্তর ভারতের বিভিন্ন দেশীয় রাজ্যের রাজন্যবর্গ যেভাবে সিপাহি বিদ্রোহে সহায়তা করেছিলেন,সম্ভবত চট্টগ্রামের বিদ্রোহী সিপাহিরা সেদিন এই অঞ্চলের রাজাদের কাছ থেকেও এরকম কিছু আশা করেছিলেন। যাইহোক, শেষপর্যন্ত চট্টগ্রামের বিদ্রোহী সিপাহিদের আর মণিপুরে যাওয়া হয়নি। ইংরেজ বাহিনীর সঙ্গে অসম যুদ্ধে কাছাড়েই বেশিরভাগ বিদ্রোহী সিপাহির মৃত্যু ঘটে। তার আগে কুমিল্লা ও সিলেটে ধরা পড়ে কয়েক জন বিদ্রোহী সিপাহির ফাঁসিও হয়েছিল।আর এভাবেই নির্বাপিত হয় চট্টগ্রাম থেকে বয়ে আনা বিদ্রোহের মশাল।

সেসময় রাজ্যত্যাগী মণিপুরী রাজকুমার নরেন্দ্রজিৎ সিংহ কিছু অনুগামী নিয়ে কাছাড়ে বিদ্রোহী সিপাহিদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন। ইংরেজ বিরোধিতার পাশাপাশি বিদ্রোহী সিপাহিদের সহায়তায় হয়তো মণিপুর সিংহাসন উদ্ধারের অভিলাষীও ছিলেন তিনি। সেসময় মণিপুরের সিংহাসনে রাজা চন্দ্রকীর্তি।তিনিও নানা চাপের মধ্যে ছিলেন। একদিকে ইংরেজদের চাপ এবং অপরদিকে রাজপরিবারে অন্তর্দ্বন্দ্ব,ষড়যন্ত্র।

কোম্পানীর বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে সম্ভবতঃ নরেন্দ্রজিৎ আহত হয়ে মণিপুরে আত্মগোপন করেছিলেন। রাজকুমার নরেন্দ্রজিতের শেষ পরিণতি আজও রহস্যাবৃত। ইংরেজ কর্তৃপক্ষের রিপোর্ট অনুসারে জানা যায়,যুদ্ধে আহত হয়ে তিনি মণিপুরে আত্মগোপন করেছিলেন। তারপর রাজার সৈন্যদের হাতে বন্দী হন তিনি। রাজা নরেন্দ্রজিৎকে বন্দি অবস্থায় কাছাড়ের সুপারিনটেনডেন্ট স্টুয়ার্টের কাছে পাঠিয়ে দেন। অন্যান্য বন্দীদের সঙ্গে তাঁকেও বিচারের জন্য কলকাতা পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল। রাজকুমার নরেন্দ্রজিৎকে তারপর কলকাতা থেকে পাঠিয়ে দেয়া হয় আন্দামানে। কিন্তু সেখান থেকে তিনি ফিরে এসেছেন কিংবা তাঁর মৃত্যু মৃত্যু ঘটেছে এরকম কোনো খবর পাওয়া যায়নি। নেতাজি সুভাষচন্দ্রের অন্তর্ধান রহস্যের মতোই নরেন্দ্রজিতের পরিণতি নিয়ে থেকে যায় এক রহস্য।



১৮৯১ সালের মার্চ মাস। মণিপুরের রাজসিংহাসনে তখন কুলচন্দ্র। যুবরাজ টিকেন্দ্রজিতকে নির্বাসনে পাঠাবার সিদ্ধান্ত নিল ব্রিটিশ সরকার।কারণ টিকেন্দ্রজিৎ তীব্র ব্রিটিশ বিরোধী। কিন্তু মণিপুরের প্রজাবর্গের কাছে স্বাধীনচেতা টিকেন্দ্রজিতের বিরাট প্রভাব।তাই তাঁকে নির্বাসনে পাঠানো সহজ কথা নয়। অসমের চীফ কমিশনার কুইন্টন সাহেব ৫০০ সৈন্য নিয়ে নিজেই এলেন মণিপুর। ইংরেজ রেসিডেন্সিতে দরবার বসাবার নাম করে রাজা, রাজকুমার ও সেনাপতিকে ডেকে এনে টিকেন্দ্রজিতকে বন্দী করার গোপন ষড়যন্ত্র হলো। কিন্তু শেষপর্যন্ত তা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় এই পরিকল্পনা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।পরে অবশ্য ব্রিটিশ প্রতিনিধি রাজা কুলচন্দ্রের সঙ্গে দেখা করে সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন। এমনকি,টিকেন্দ্রজিতকে মাসোয়ারার বিনিময়ে অন্তত কিছু দিনের জন্য মণিপুর ত্যাগের পরামর্শ দেয়া হয়। কিন্তু স্বাধীনচেতা যুবরাজ টিকেন্দ্রজিত তা প্রত্যাখ্যান করেন। অবশেষে বল প্রয়োগে যুবরাজকে বন্দী করার উদ্যোগ নেয়া হলো।২৪ মার্চ ভোর রাতে তিন দিক থেকে ইংরেজ সৈন্যরা রাজপ্রাসাদ‌ আক্রমণ করল। কিন্তু আকস্মিক আক্রমণের ঘোর কাটিয়ে মণিপুরের রাজকীয় বাহিনীর সৈন্যরা পাল্টা আক্রমণ হানলে ইংরেজ বাহিনী পিছু হটতে থাকে। ইংরেজ সৈন্যরা তাদের রেসিডেন্সিতে জড়ো হতে থাকলে মণিপুর সৈন্যরা রেসিডেন্সিতেও গোলা বর্ষণ করতে থাকে। মণিপুর বাহিনীর আক্রমণে ইংরেজ বাহিনীর বেশ ক'জন হতাহত হয়। শেষপর্যন্ত ইংরেজ বাহিনীর অধিনায়ক বিউগল বাজিয়ে যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব পাঠান। মণিপুরের সৈন্যরাও গোলাবর্ষণ বন্ধ করে।রাতের দিকে ইংরেজ আধিকারিকরা যুদ্ধ বিরতির শর্ত নিয়ে আলোচনার উদ্দেশ্যে রাজপ্রাসাদে যান। তখন চারদিকে এক চাপা উত্তেজনা। মণিপুরের সাধারণ মানুষের মধ্যে ইংরেজ বিরোধী ক্ষোভের আগুন জ্বলছে। রাস্তাঘাটে ক্ষুব্ধ মানুষের জটলা। এদিকে রাজপ্রাসাদে ইংরেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা শুরু হলো মণিপুর রাজ পারিষদদের।বিনা প্ররোচনায় রাজপ্রাসাদ আক্রমণের জন্য যুবরাজ টিকেন্দ্রজিত কুইন্টন সাহেবের কাছে তীব্র প্রতিবাদ জানালেন। সেদিন রাতে যুদ্ধ বিরতির শর্তাদি নিয়ে আলোচনায় কোনো ফয়সালা হলো না। ঠিক হলো পরদিন আবার আলোচনা হবে। কিন্তু রাতে রাজপ্রাসাদ থেকে বেরিয়ে আসার পথেই সাহেবরা উত্তেজিত জনতার হাতে আক্রান্ত হলেন। আসামের চীফ কমিশনার কুইন্টন সাহেব সহ পাঁচ জন ইংরেজ অধিকারিকের মৃত্যু ঘটল। এরপরই অনিবার্য হয়ে উঠলো ইঙ্গ-মণিপুর যুদ্ধ। আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত ইংরেজ বাহিনী তিন দিক থেকে মণিপুর আক্রমণ করল। কিন্তু শিলচর ও কোহিমার দিক থেকে তেমন কোনো বাঁধার সম্মুখীন হতে না হলেও বর্মার দিক থেকে আসা ইংরেজ বাহিনীকে থৌবাল অঞ্চলে প্রবল বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। কিছু হালকা আগ্নেয়াস্ত্র আর ঢাল তলোয়ারের মতো প্রাচীন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সেদিন স্বাধীনতাকামী মণিপুরী সৈন্যরা আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত ইংরেজ বাহিনীর বিরুদ্ধে আমৃত্যু লড়াই করেছিল। মণিপুরের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য খোংজাম যুদ্ধের কথা ইতিহাসে উজ্জ্বল হয়ে আছে। কিন্তু শেষপর্যন্ত অস্তমিত হলো স্বাধীনতার সূর্য।১৮৯১ সালের ২৭ এপ্রিল ইংরেজ বাহিনী ইম্ফলে প্রবেশ করে রাজপ্রাসাদের দখল নেয়।ধরা দেন রাজা কুলচন্দ্র সহ সৈন্যাধ্যক্ষ।২৩ মে ধরা পড়েন বিদ্রোহী যুবরাজ টিকেন্দ্রজিত।

যাই হোক, এরপর ব্রিটিশ সরকারের উদ্যোগে বিশেষ আদালতে মণিপুর রাজকুমারদের বিচার শুরু হয়। রাজাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক রাজকুমারকে নির্বাসন দন্ড দেয়া হয়। প্রহসনমূলক এই বিচারের রায়ে ১৮৯১ সালের ১৩ আগষ্ট বিকেলে ইম্ফল বাজারে প্রকাশ্যে টিকেন্দ্রজিত ও থাঙ্গাল জেনারেলকে ফাঁসি দেয়া হয়।২১ আগষ্ট ভারত সরকারের এক ঘোষণাপত্রে জানানো হয় যে, মণিপুরকে করদ রাজ্য হিসেবে রাখা হবে এবং বছরে ৫০ হাজার টাকা করে কর দিতে হবে মণিপুরকে। এমনকি যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ হিসেবেও আড়াই লক্ষ টাকা ব্রিটিশ সরকারকে দিতে হবে মণিপুরকে। এখানে উল্লেখ করা যায় যে, এই ঘটনার প্রায় সোয়াশ বছর আগে সমতল ত্রিপুরা দখলের পরও ব্রিটিশরা ত্রিপুরার রাজা কৃষ্ণ মাণিক্যের কাছ থেকে যুদ্ধের ব্যয়ভার আদায় করে নিয়েছিল।

মণিপুরকে করদ রাজ্যে পরিণত করার পর ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ সরকার ছয় বছর বয়সী চূড়াচান্দকে মণিপুরের রাজা হিসেবে নির্বাচিত করে।১৮৯১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর একটি সনদ প্রকাশ করে তা জানিয়ে দেয়া হয়।



ব্রিটিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি অর্থাৎ আই এন এ'র অভিযান এবং আজাদ হিন্দ ফৌজের পতাকা উত্তোলনের ঘটনাও দেশের স্বাধীনতা লড়াইর ইতিহাসে মণিপুরকে বিশেষ স্হান করে দিয়েছে। সেদিন মোইরাং-এর দখল নিয়েছিল নেতাজির আজাদ হিন্দ ফৌজ। মণিপুরবাসীদের সার্বিক সহযোগিতায় তারা বেশ কিছু দিন ব্রিটিশ কবলমুক্ত রেখেছিল মণিপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা।

২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় মণিপুরের চূড়াচান্দপুর এলাকার খুগা ভ্যালিতে প্রবেশ করে ইন্দো-জাপানী বাহিনী।১৯৪৪ সালের এপ্রিল-আগষ্ট মাসে তারা সেখানে অবস্থানও করে। সেসময় সেখানকার আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মানুষ বাহিনীকে নানা ভাবে সাহায্য সহায়তা করে।বার্মা সীমান্ত দিয়ে চূড়াচান্দপুর অঞ্চলে ইন্দো-জাপানী বাহিনী প্রবেশের আগে স্হানীয় ব্রিটিশ আধিকারিকরা এলাকার আদিবাসী মুখিয়াদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করে নিরাপত্তার জন্য স্হানীয়দের গৌহাটি অথবা ব্রক্ষ্মপুত্র উপত্যকার অন্যত্র সরে যেতে বলেছিল। কিন্তু তখন আদিবাসীদের অধিকাংশ মণিপুরের দক্ষিণ পশ্চিম অরণ্যাঞ্চল সহ মিজো পাহাড়ে চলে গিয়েছিল। তারা সেদিন ব্রিটিশ আধিকারিকদের নির্দেশ অগ্ৰাহ্য করেছিল।ইন্দো-জাপানী বাহিনী কয়েক মাস যখন মণিপুরের অভ্যন্তরে অবস্হান করে তখন চূড়াচান্দপুর অঞ্চলের স্হানীয় অধিবাসীরা তাদের খাদ্য,পানীয় ইত্যাদির যোগান দিয়ে নানা ভাবে সাহায্য করে। মেয়েরা ব্যস্ত ছিল খাদ্যপ্রস্তুতের কাজে। আবার যুবকরা বাহিনীর মালপত্র বহন করে এক ক্যাম্প থেকে অন্য ক্যাম্পে পৌঁছে দিয়েছিল। সেজন্য আই.এন.এ'র এক উচ্চ পদস্হ আধিকারিক চূড়াচান্দপুর অঞ্চল ত্যাগের সময় স্হানীয় মানুষের প্রতি তাদের সহযোগিতার জন্য অকুন্ঠ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছিলেন। বলেছিলেন, একদিন দেশ স্বাধীন হলে তাদের এই সাহায্য সহযোগিতার কথা ভুলে যাবে না কেউ।আই.এন.এ'র এই পদস্হ আধিকারিককে কেউ বলেছেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের এই টালমাটাল দিন গুলোতে নেতাজি চূড়াচান্দপুর আসবেন এটাও বিশ্বাসযোগ্য নয়। যাইহোক, এখানে নেতাজির আগমন সম্পর্কে ঐতিহাসিক নিশ্চয়তা না থাকলেও প্রচলিত বিশ্বাস তিনি এসেছিলেন।

এবার মোইরাং-এর কথায় আসা যাক।চূড়াচান্দপুরের পর আইএনএ ইম্ফলের ৪৫ কিঃমিঃ দক্ষিণে মোইরাং এসেছিল।আই.এন.এ'র আধিকারিক শৌকত আলী মালিক সেদিন মোইরাং দখলে বাহাদুর গ্ৰুপের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।মোইরাং হচ্ছে ভারতের প্রথম ভূখণ্ড যেখানে আজাদ হিন্দ সরকার গঠিত হয়েছিল।১৯৪৪ সালের ১৪ এপ্রিল মোইরাং-এর কাঙ্গলায় আজাদ হিন্দ ফৌজের ত্রিবর্ণ রঞ্জিত পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল। আজ মোইরাং-এর শহীদ স্মৃতি কমপ্লেক্স সেদিনকার বীরত্ব ও দেশের জন্য আত্ম বলিদানের সাক্ষ্য বহন করছে। সেদিন ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মির যেসব সৈন্য দেশের জন্য শহীদ হয়েছিলেন তাদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে একটি মিউজিয়াম, লাইব্রেরী এবং নেতাজির একটি স্ট্যাচুও স্হাপিত হয়েছে এই কমপ্লেক্সে। মিউজিয়ামে রয়েছে চিঠিপত্র, নানা ফটোগ্রাফ,ব্যাজ ইত্যাদি। শেষ পর্যন্ত যুদ্ধের পরণতি যাই হোকনা কেন, সেদিন দেশের স্বাধীনতা লড়াইর ক্ষেত্রে মোইরাং তথা মণিপুরে আই.এন.এ'র গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা অক্ষয় হয়ে আছে।


You can post your comments below  
নিচে আপনি আপনার মন্তব্য বাংলাতেও লিখতে পারেন।  
বিঃ দ্রঃ
আপনার মন্তব্য বা কমেন্ট ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই লিখতে পারেন। বাংলায় কোন মন্তব্য লিখতে হলে কোন ইউনিকোড বাংলা ফন্টেই লিখতে হবে যেমন আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড (Avro Keyboard)। আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ডের সাহায্যে মাক্রোসফট্ ওয়ার্ডে (Microsoft Word) টাইপ করে সেখান থেকে কপি করে কমেন্ট বা মন্তব্য বক্সে পেস্ট করতে পারেন। আপনার কম্পিউটারে আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড বাংলা সফ্টওয়ার না থাকলে নিম্নে দেয়া লিঙ্কে (Link) ক্লিক করে ফ্রিতে ডাওনলোড করে নিতে পারেন।
 
Free Download Avro Keyboard  
Name *  
Email *  
Address  
Comments *  
 
 
Posted comments
Till now no approved comments is available.