দুর্গাঞ্জলি
অঞ্জন সেনগুপ্ত
আমার দুর্গাকে খুজে বেরাই মাটির মুর্তিতে
হয়তো বা সে লুকিয়ে আছে দুর্গার আখিতে
অথবা হয়তো খুঁজছে আমায় নীল সীমানাতে
আমার দুর্গা মন্ডপে নয় থাকত আমার ঘরেতে
কোথায় যেন হারিয়ে গেলো রাত্রির ঝড়েতে
আমার দুর্গা নিষ্ঠাভরে ডাকত মাটির দুর্গাকে
হোঁচট খেলেও পা মেলাত ষষ্ঠীর সন্ধ্যাতে
অঞ্জলিটা দিতেই হত লুকিয়ে ব্যথা নিভৃতে
আমার দুর্গার ছোঁয়া পেতাম সব দশমীর সন্ধ্যাতে
মিশে গেছে দুর্গা আমার মাটির দুর্গার রঙেতে
আর পাবনা খুজে আমি যতই খুজি মুর্তিতে
জন্মদাত্রী দুর্গা আমার চলে গেল নিভৃতে
মাটির দুর্গা দিব্যি আসে আশ্বিনের চার সন্ধ্যাতে
এও জানি আসবে আবার আগামী আশ্বীনেতে
আমার দুর্গা আসবে না আর যতই খুজি মুর্তিতে
মা আমার হারিয়ে গেছে না ফেরার দেশে নিভৃতে।
অবাধ্য মন শোনে না বারন ব্যস্ত রাখে খোজে তে।
যদিও জানি ব্যর্থ চেষ্টা, চলে গেছে সে প্রভাতে।
মন বলে যায় দেখো খুঁজে পাবে অন্য রূপেতে ।
হয়তোবা, সে থাকতে পারে ফুলে বা তার পাপড়িতে।
তাই তোমাকে খুঁজে বেড়াই মন্দিরে বা মূর্তিতে
পক্ককেশী শ্বেতবস্ত্রের মন্দিরের সেই বৃদ্ধাতে।
মা আমাকে শিখিয়ে গেল বাসতে ভালো সবেতে।
দুর্গা তোমায় প্রণাম জানাই মনের চাপা ব্যাথাতে।
আমার দুর্গা হারিয়ে গেছে ভাদ্রের এক প্রভাতে।
শক্তিরুপে মাতৃরুপে দুর্গা আসে পুজোতে
আমার দুর্গা থাকবে সদা আলোতে আর ছায়াতে
মা যে আমায় জড়িয়ে আছে ভালোবাসা আর মায়া তে।