ড্রাগসের স্বর্গ রাজ্য ত্রিপুরা?
প্রদীপ চক্রবর্তী
ড্রাগস পাচারের স্বর্গ রাজ্যে পরিণত হতে চলেছে ত্রিপুরা। নিত্যদিন রাজ্যে ঢুকছে নিষিদ্ধ ঘোষিত সব বিপ্পজ্জনক মাদক দ্রব্য। রয়েছে ইয়াবা, হেরোইন,নাম না জানা হরেক রকম নেশা জাতীয় দ্রব্য। রাজ্যের নানা স্হানে ধরাও পড়েছে এইসব বিপজ্জনক ড্রাগস। গতকাল একদিনে পুলিশ ও বিএসএফের হাতে ধরা পড়েছে প্রায় আট কোটি টাকা মূল্যের মাদকদ্রব্য। এটা বলা চলে বড় ধরনের সাফল্য।
নিত্যদিন রাজ্যের নানা স্হানে ধরাও পড়ছে মাদকদ্রব্য।কখনো পুলিশ আবার কখনো বিএসএফ ধরছে। আটক হচ্ছে ক্যারিয়াররা। সংবাদ পত্র খুললেই এসব সংবাদ দেখা যাচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে একটি ছোট্ট রাজ্যের,যার জনসংখ্যা চল্লিশ লক্ষর মত সেখানে এত বিপুল পরিমাণ ড্রাগস কি ভাবে আসছে,কাদের জন্য আসছে? কারা এই অবৈধ ব্যবসার সাথে যুক্ত? ওই চক্রের কুশীলবদের রাজনৈতিক পরিচিতিই বা কি? এত অর্থ কিভাবে ওদের কাছে এল?
ঘটনা প্রবাহ বলছে গত ৬/৭ ধরে এই ব্যবসার বাড়বাড়ন্ত হয়েছে।এর আগে এত বাড়বাড়ন্ত ছিল না। বাড়বাড়ন্ত ছিল ফ্যানসিডিল ও গাঁজার। পুলিশী তৎপরতায় গাঁজা ব্যবসায়ীদের কোমড় ভেঙে গেছে বলে আপাতত ধারনা করা হচ্ছে। কিন্তু না, এরা এখন কৌশল পাল্টিয়েছে, লিপ্ত হয়েছে নুতন বানিজ্যে।
এরা এখন গাঁজার পরিবর্তে ধরেছে হেরোইন, ইয়াবা, নাম না জানা নুতন নুতন নেশা পন্য।
খবর হলো এগুলো আসছে মিজোরাম, মায়ানমার থেকে ঘুর পথে। মিজোরাম রাজ্যের সাথেই মায়ানমার। লুংলে হয়ে ওখানকার পন্য সরাসরি আইজলে আসে। আইজল শহরে তো সকাল থেকে সন্ধ্যা রাজপথের দুদিকে সাড়ি দিয়ে ব্যবসা হয়ে থাকে মায়ানমারের পন্য।
ওদের মাধ্যমে নেশাজাতীয় পন্য আইজলে যেমন আসছে তেমনি একটু ঘুড়পথে আসছে রাজ্যে। ওখানে আসছে বা সরাসরি ঢুকছে মায়ানমার, ত্রিপুরা ও মিজোরামের ত্রিবেনী সংগমস্হল যা গোল্ডেন ট্রাংগেল বলে পরিচিত সে অঞ্চল দিয়ে। ক্যারিয়ারদের অধিকাংশ চাকমা ও রিয়া্ংদের একাংশ। আগে ওই অঞ্চল দিয়ে আকছাড় আসতো নানা পন্য। এখনও আসে। তবে একটু ঘুরে। ওখানে একটি বিএসএফের কোম্পানি পোষ্ট রয়েছে।
ড্রাগস বানিজ্যের রমরমা রাজ্যের পক্ষে ভয়ংকর ক্ষতিকারক। কেননা হাত বাড়ালেই রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চলে পাওয়া যাচ্ছে হেরোইন, ইয়াবাসহ অন্যান্য নেশা জাতীয় ট্যাবলেট এবং আনুষঙ্গিক। সংশ্লিষ্টরা বলেন ফেনসিডিল সহ অন্যান্য সিরাপ। যাঁরা দিন মজুর, নেশায় আসক্ত তারাতো ডেনড্রাইট ব্যবহার করছে। ইতিপূর্বে এ প্রসঙ্গে সবিস্তারে বলা হয়েছে।
একদিনে আট কোটি টাকা মূল্যের নেশাজাতীয় পন্য আটক তো মারাত্মক খবর। সহজেই অনুমেয় রাজ্যে প্রতিদিন কি পরিমান নেশা পন্য আসছে। সবতো ধরা পড়ছে না। এপথ, ওপথ, ঘুরপথে অন্তত কুড়ি কোটি টাকা মূল্যের নেশাজাতীয় পন্য আসছে, বাংলাদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে রং খবর।