রাষ্ট্রহিতে সামাজিক মাধ্যমের নিয়ন্ত্রণ জরুরী

ডাঃ বাসব ঘোষ

December 16, 2024

(এটা গত ২৯ ডিসেম্বর Advocate Dilip Sarkar Mrmorial Foundation Debate 2024 এ প্রদত্ত ডঃ বাসব ঘোষ এর বক্তব্যের সারাংশ। বিতর্কের পক্ষে প্রথম বক্তব্য রাখেন বক্তা ডা: বাসব ঘোষ, ত্রিপুরার সিনিয়র ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ।)

Mr. Speaker sir, আজকের বিতর্কের বিষয়টি একদম সোজা ব্যাটে Sixer “রাষ্ট্রহিতে সামাজিক মাধ্যমের নিয়ন্ত্রণ জরুরী”। এতে কোন রকম বিতর্ক হতেই পারেনা। অবশ্য আমার বিরোধীরা বলছেন “রাষ্ট্রহিতে সামাজিক মাধ্যমের নিয়ন্ত্রণ জরুরী নয়” অর্থাৎ “কোন নিয়ন্ত্রণ ফিয়ন্ত্রণ চাইনা Social Media User নিজেরাই নিজেরটা বুঝে নেবেন” এতো একদম “ আহ বেল মার মুঝে”!!

Social Media ছাড়া আজকের দিনে থাকা অসম্ভব। আর এই Social Media দিনে দিনে যত বড় হচ্ছে, প্রসারিত হচ্ছে - তত আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসছে! Mr Speaker sir, আপনি অবশ্যই একমত হবেন - Social Media র যেমন অনেকগুলো ভালো দিক আছে, অনেক ভয়ঙ্কর দিকও রয়েছে !

No.1. Misinformation and Fake News. এটি Social Media-র খুব বড় রোগ । It may be about individual, community or for any issue.

No.2. Social Media তে যখন তখন user privacy র সীমা লঙ্খন করা হয় ।

No.3. Online Harassment & Cyber bulling এর উদাহরন হচ্ছে Hate Speech অর্থাৎ সামাজিক মাধ্যমে ঘৃণা ছড়ানো।



No.4. Unfair Terms & conditions - এখানে Facebook একটি জ্বলন্ত উদাহরণ হতে পারে। গত বছর আমার wife এর Facebook account hake হয়। Account এর নাম এক, প্রোফাইল এর ছবি এক কিন্তু ঐ account টা তার কাছে তখন “Another Friend Account”- তার কোন direct access নাই। তাতে sexual photographs, video, sex-site-link আসতে থাকে - সে ভীষণ বিব্রত, পুরো পরিবার একদম নাজেহাল বিভিন্ন জনের প্রশ্নে! কিন্তু কোন মতেই কিছু করা যাচ্ছে না! তখন জানতে পারলাম cyber cell কিছু করতে পারবেন না এবং সরাসরি Facebook কে কমপ্লেন করারও কোনও উপায় নেই। যা করার নিজেকেই করতে হবে।

২০ জন Facebook friend report করলে ওই account টি Automatically block হয়ে যাবে। তাই করলাম। খুঁজে খুঁজে পরিচিত ২০ জনকে request করে report করিয়ে block করা হয় ঐ account. কয়দিন পর দেখি, ওই account আবার চলে এসেছে- সে fb system এ ঢুকে Time- Zone এ back করে, ঘুরে ঘুরে আসছে এখনো।

Fb-করার সময় আমরা সবাই কি এর Terms & condition পড়ে দেখি? Facebook তার account holder-দের জন্য কোনও দায়িত্ব নেয়না। তাই fb অত্যন্ত বিপদজ্জনক। এর জন্য public awareness জরুরী।

No.5. Financial Froud. এটি বিস্তারিত বলার প্রয়োজন নেই। পত্র-পত্রিকায় সব সময় দেখা যায় এই ধরনের বিপদের খবর।

No.6. Threats to National Security. Mr Speaker Sir, Social Media যখন “Threats to National Security” হতে পারে, তখন তার নিয়ন্ত্রণ বা control এর জন্য আইনের নিয়ন্ত্রণ অবশ্যই থাকা দরকার। ব্যাক্তির নিরাপত্তার জন্যও নিয়ন্ত্রণ থাকা দরকার। না হলে ব্যাক্তি, সমাজ, দেশ সব শেষ হয়ে যাবে।

এই জন্য ভারতবর্ষে Information Technology Act-2000 (IT Act-2000) বলবৎ আছে। এই আইন সমস্ত রকম electronic যোগাযোগ ব্যবস্থা including social media-কে নিয়ন্ত্রণ করে।

Social media-তে article-19 (a) অর্থাৎ freedom of speech বা বাক্ স্বাধীনতার নামে যা খুশী কিন্তু বলা যাবে না! IT act 2000-এর Sec-69A বিশেষ পরিস্থিতিতে সরকারকে বলেছে – “To Block information from Public Access”

এই বিশেষ পরিস্থিতি গুলি হলো

1. In the interest of sovereignty & Integrity of India.

2. Defence of India.

3. Security of State.

4. To maintain friendly relations of the Foreign states. Etc.



Social Media-কে আবার ছুট কারাও দেওয়া হয়েছে এই আইনে। Sec-79(1)- কোন রকম 3rd party information, data sharing বা communication link sharing – এর জন্য Social Media-কে exemption বা অব্যাহতি দিয়েছে।

আবার sec-79-3(b)- কোন ধরনের অবৈধ বা আপত্তিকর পরিবেশনের জন্য social media-কে Legal Notice ধরিয়ে দেওয়ার বিধানও দিয়েছে। Mr Speaker Sir, আইন কখনো শক্ত, কখনো নরম। আইন আইনের পথেই চলবে, তাই বলে অভিমানী বিরোধী বন্ধুরা কি ভাবে বলতে পারেন, “ রাষ্ট্রহিতে সামাজিক মাধ্যমের কোন নিয়ন্ত্রণ জরুরী নয়”?

আইন যেমন সু-নিয়ন্ত্রক, তেমনি তার অপব্যবহার বা অপব্যাখ্যাও হতে পারে এবং এর সংশোধন আইনের মাধ্যমেই হতে হবে। এতে অভিমানী হয়ে লাভ নেই!

Sir, এক্ষেত্রে Sec-66A বিষয়ে বলতে হচ্ছে। এটি ব্যাক্তি নিরাপত্তার আইন। According to that law যদি Internet এর মাধ্যমে কোন ব্যাক্তির বিরুদ্ধে কোন আপত্তিকর post করা হয়, তবে criminal offence হবে।এখানে কয়েকটি ঘটনার কথা বলতে হয় -

1. জনৈক Priyanka Sharma, Social Media-তে WB Chief Minister Mrs Mamata Banerjee-কে নিয়ে একটি ব্যাঙ্গ কার্টুন প্রকাশ করে। তার জন্য তাকে ১৪ দিনের জন্য পুলিশ custady-তে নেওয়া হয় under sec-66A.

2. পন্ডিচেরীর এই জন ব্যবসায়ী পূর্বতন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী Mr P Chidam Barman এর ছেলে Mr K. Chidam Barman কে নিয়ে মন্তব্য লেখেন, তার সম্পত্তির পরিমান Sonia Gandhi- র জামাতা Robert Batra-র সম্পত্তি থেকেও বেশী হবে। ব্যাস এই অপরাধে তাকে Arrest করা হয়।

3. শিব সেনা Leader Bal Thakray-র মৃত্যুর পর রাজ্যবাসী বন্ধ পালিত হয় মহারাষ্ট্রে। Shalini Faroog Dhada নামে একটি মেয়ে এর যৌক্তিকতা নিয়ে Social Media-তে Post লেখে। এই নির্ভেজাল পোস্ট এর জন্য Sec-66A ধারায় তার বিরুদ্ধে কেস করা হয়।

Mr Speaker Sir- IT Act 2000 এখনও নবীন আইন। আর এই আইনের দুর্বল ধারা Sec-66A, Article 19(a)এবং Article-14 এর চরম বিরুদ্ধতা করছিল।

1. Article 19(a)- হচ্ছে Freedom of speech & expression.

2. Article 14- হচ্ছে - Equality before the law.

সাধারণ মানুষ বিপদগ্রস্ত হচ্ছিল। তাই এই আইন Supreme Court বাতিল করে দেন বিখ্যাত মামলা Shreya Singhl vs Union of India-2015 কেস এর দরুন।



আইন আইনের পথেই চলবে। আইন করে আইনকেও বদলানো যায়। তাই বলে আমার অভিমানী বিরোধী বন্ধুরা বলবেন যে, “রাষ্ট্রহিতে সামাজিক মাধ্যমের কোন নিয়ন্ত্রণ জরুরী নয়”?

Mr Speaker Sir, Article-19 রক্ষা নিয়ে Particularly Article 19(a) রক্ষা নিয়ে বিরোধী বন্ধুরা ভীষণ চিন্তিত। আমরা Article-19 কে শ্রদ্ধা করি। Article-19 জনগনের ছয়টি Fundamental Rights নিয়ে।

1. Article-19(a)- The Freedom of Speech & Expression.

2. Article-19(b)- Freedom of Assembly.

3. Article-19(c)- Freedom of Association.

4. Article-19(d)- Freedom of Movement.

5. Article-19(e)- Freedom of Residence

6. Article-19(f)- Freedom of Profession.

কিন্তু বন্ধুরা এই Freedom – “Absolute Freedom” নয়। আবারও মনে করিয়ে দিচ্ছি, এই Freedom – “Absolute Freedom” নয়। Same Article-19 এও বলেছে, নাগরিকের এই Freedom এর উপর রাষ্ট্র Restriction আনতে পারে। কখন?

1. In the interest of the country.

2. In the interest of the public order, Decency & Morality.

3. Also in case of contempt of court.

Mr Speaker Sir, এতক্ষণ রাষ্ট্রহিতে Social Media-র নিয়ন্ত্রণ কেন জরুরী”- তারই ব্যাখ্যা করে গেলাম। Social Media কে ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার No-1 যন্ত্র হচ্ছে Mobile. যদি এক্ষুনী এই মোবাইলকে নিয়ন্ত্রণ করা না হয়-তবে সামনের দিনে ভীষণ বিপদ আসছে, Sir !

Mobile আসক্তি মানে খালি mobile game নয়, social media আসক্তিও এত জড়িত। আমাদের দেশে এখনো mobile ব্যবহার নিয়ে কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে এক নাগাড়ে চার ঘন্টা মোবাইলের ব্যবহার শিশুর মানসিক ও শারীরিক সমস্যা করে। একদিকে Drugs, অন্যদিকে Mobile-এর নেশা - সমাজ আজকে ভীষণ ভাবে “অনিয়ন্ত্রনের” স্বীকার। কাজেই সবশেষে আমার অভিমানী বন্ধুদের আবারও বলছি- “ রাষ্ট্রহিতে সামাজিক মাধ্যমের নিয়ন্ত্রণ জরুরী এবং তার সঙ্গে মোবাইলের ব্যবহারেও নিয়ন্ত্রণ দরকার”।

আর এই নিয়ন্ত্রণ হবে, please note my Take Home messages,

1. রাষ্ট্রীয় আইনের মাধ্যমে,

2. Social Media-র আইন সম্মত প্রয়োগের মাধ্যমে,

3. Antificial Intelegence- এর সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে এবং অবশ্যই

4. Public Awarness এর মাধ্যমে।

আরও পড়ুন...


Post Your Comments Below

নিচে আপনি আপনার মন্তব্য বাংলাতেও লিখতে পারেন।

বিঃ দ্রঃ
আপনার মন্তব্য বা কমেন্ট ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই লিখতে পারেন। বাংলায় কোন মন্তব্য লিখতে হলে কোন ইউনিকোড বাংলা ফন্টেই লিখতে হবে যেমন আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড (Avro Keyboard)। আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ডের সাহায্যে মাক্রোসফট্ ওয়ার্ডে (Microsoft Word) টাইপ করে সেখান থেকে কপি করে কমেন্ট বা মন্তব্য বক্সে পেস্ট করতে পারেন। আপনার কম্পিউটারে আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড বাংলা সফ্টওয়ার না থাকলে নিম্নে দেয়া লিঙ্কে (Link) ক্লিক করে ফ্রিতে ডাওনলোড করে নিতে পারেন।

Free Download Avro Keyboard

Fields with * are mandatory





Posted comments

Till now no approved comments is available.