আমাদের শারদোৎসব : ‘মনে পড়ে রুবি রায়’ !

শঙ্খশুভ্র দেববর্মণ

আমাদের দেশে ঋতুগুলির মধ্যে অবিসম্বাদিতভাবে সব চেয়ে উচ্ছ্বল এবং বর্ণাঢ্য হল শরৎ। বৃষ্টি এই সময়ে আর হয় না। ঝলমলে দিন। আকাশ কেমন ঘন নীল দেখায়! দেশান্তরী মেঘের দল যেন আনমনে ভেসে বেড়ায় সেই অনন্ত নীল আকাশের সমুদ্রে। কোন উজানে পাড়ি দেয় ওরা - কে জানে! শিউলি ফুলের মিষ্টি গন্ধে সুরভিত হয় হিমেল বাতাস। চারপাশে ফুটে থাকে অগণিত পদ্ম আর কাশফুল। দমকা বাতাসে দূর থেকে ভেসে আসে ঢাকের শব্দ। বুঝতে পারি - মা আসছেন! উৎসবের আনন্দে তখন মেতে উঠে মন। পাকা এক বছর পার করে মা ফের ফিরে আসছেন তাঁর বাবা মায়ের কাছে। থাকার মেয়াদ পাঁচদিন। মা'র আগমনকে ঘিরে তাই চারদিকে সাজো সাজো রব। মূর্তি বানানোর শিল্পীরা উদয়াস্ত পরিশ্রম করে চলেছেন। দুর্গা প্রতিমার ওপর চলছে শিল্পীর শেষ তুলির টান। ভেসে আসে শঙ্খনাদের আওয়াজ। আর মাত্র কয়েকটি দিন। মা তাঁর সন্ততি সহ প্রায় দোরগোড়ায় এসেই গিয়েছেন। গ্রাম আর শহরতলি থেকে ঢাকির দলও আসতে শুরু করে। পত্রিকার হকারেরা বাড়িতে পৌঁছে দেয় ঢাউস আকারের পুজো সাহিত্য সংখ্যা। পাড়ার পুজো কমিটির সদস্যেরা নাওয়া খাওয়া ভুলে দিনরাত লেগে থাকে প্যান্ডেল সাজানোর তদারকিতে। তারপর রয়েছে জলসা আয়োজনের জন্য দৌড়ঝাঁপ। একটা জম্পেশ জলসার আয়োজন ছাড়া জৌলুষ থাকবে কী করে! গড়িমসি কিছুতেই নয়। নয়তো পাশের পাড়া মোটা অর্থ দিয়ে তুলে নেবে সংগীত শিল্পীদের! জাঁকজমকের প্রতিযোগিতায় পাশের পাড়ার কাছে তখন হার মানা ছাড়া উপায় নেই! জনপ্রিয় সংগীত শিল্পীদের সঙ্গে আগেভাগেই তাই রফা সেরে নিতে হয়। সত্যি কথা, গানবাজনা ছাড়া দুর্গাপুজার কথা আমরা ভাবতেও পারি না। অনেকে বলতেই পারেন সংগীতময় এই দুর্গা পুজা। ধূপধুনোর গন্ধের সঙ্গে ঢাকের আওয়াজ, লাউড স্পীকারে উচ্চকিত পুজার গান, শঙ্খনাদ, আগমনী সংগীত এবং পাড়ার জমাটি জলসা গোটা আবহকে করে তুলে উৎসবমুখর। সংগীত ছাড়া শারদ উৎসব সম্পূর্ণ হতে পারে না। আবহমান কাল ধরে এই ব্যবস্থা চলে আসছে এবং সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অবশ্যই সংগীতেরও পরিবর্তন ঘটছে। বদলে গেছে পুজার ধরনধারণ। দুর্গা পুজায় এখন আয়োজকরা থীম নিয়ে বেশি মাথা ঘামাচ্ছে। আগরতলা শহরেও থীমের হিড়িক শুরু হয়েছে এখন। বেশ কিছু ভোল ঘটেছে পুজার অনুষ্ঠানেও। প্রবাসেও দেখেছি একই অবস্থা। দেখেছি থীম পুজার হুজুগে মেতে উঠেছে চেন্নাই, শিলং, গুয়াহাটি, পটনা, জয়পুর, দিল্লির বঙ্গভাষীরা। বদলে যাওয়ার দুনিয়াতে আসলে সবই বদলে যায়। পুজায় আগমনী সংগীতের জায়গা নিয়েছে বাংলা ব্যান্ড। সরলীকৃতভাবে বলা যায়, হিমালয় থেকে পিত্রালয়ে দুর্গার আগমনকে বলা হয় আগমনী এবং মহালয়া তারই সূচক। মাত্র দিন কয়েকের জন্য বাপের ঘরে কন্যার ফিরে আসা এবং পাঁচদিন পর ফের স্বামীর ঘরে চলে যাওয়া - এই অনুপম হৃদয়স্পর্শী অনুভব গীতিকাব্যের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছিলেন গ্রাম বাংলার বেশ কিছু কবি। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম গ্রাম বাংলার এই লোক সংস্কৃতিতে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন; আগমনী সংগীত রচনা তাই তিনিও করেছিলেন।

নব্বুই দশকের প্রথমার্ধ অবধি মহানগর কলকাতায় পুজার সময় আগমনী সংগীত এবং বাউল গাইতে আসতো গ্রাম বাংলার গায়কেরা। ওরা যেন আজ সব কোথায় হারিয়ে গেছে। সেই আগমনী সংগীত এবং বাউল গায়কদের পরবর্তী প্রজন্ম অন্য জীবিকার প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। উপযুক্ত পৃষ্ঠপোষকতা না পেলে ঐতিহ্যকে কীভাবে ধরে রাখা সম্ভব! অন্য আরও অনেক গ্রামীণ সংস্কৃতির মতো আগমনী সংগীতও লুপ্ত হতে চলেছে। নতুন প্রজন্ম গ্রামীণ সংস্কৃতির অঙ্গীভূত আগমনী গানের প্রতি উৎসাহী নয়। অথচ অর্কেস্ট্রা সহযোগে এখন গাঁয়ের আগমনী গানগুলিই একটু অন্য রকম ভাবে গেয়ে পাড়া মাতাচ্ছে শহুরে শিল্পীরা। কর্পোরেটদের বদান্যতায় শহুরে শিল্পীদের আগমনী গান এখন সিডি এবং পেন ড্রাইভেও হয়ে উঠেছে সহজলভ্য।

পরিবর্তন সব সময়ই কাম্য। কিন্তু আজকাল সবকিছু এতো দ্রুত লয়ে বদলে যাচ্ছে যে অনেক সময় তাল মিলিয়ে চলা দুস্কর হয়ে পড়ছে। ভালোভাবে নতুন কিছুকে জানাবোঝার আগেই ফের তার পরিবর্তন হলে বিভ্রান্তির সৃষ্টি ঘটে সর্বত্র। হালে এই ঘটনাই ঘটছে আমাদের চারপাশে। দুর্গাপুজার সার্বজনীন আনন্দ চিরন্তন। কিন্তু পুজার আঙ্গিক বদলেছে বিস্তর!সংগীতের আবেদন আজও অক্ষুণ্ণ; কিন্তু বদলেছে তাল লয় ছন্দ! একটা সময় ছিল যখন দুর্গা পুজার আগে নতুন গানের রেকর্ড কেনার জন্য উন্মুখ হয়ে উঠতো সবাই। পুজা উপলক্ষ্যে সেই সময় এইচ এম ভি কোম্পানি মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, সন্ধ্যা মুখার্জি, হেমন্ত মুখার্জির মতো তারকা গায়কগায়িকাদের নতুন রেকর্ড বের করতো। পুজার গানের রেকর্ড কেনার জন্য দোকানের সামনে উৎসাহীদের জমতো ভিড়। পেন ড্রাইভের জমানায় জনগণের সেই উৎসাহ আর আগ্রহ আর চোখে পড়ে না। তবে তার চেয়েও বড় কারণ হল, কোম্পানিগুলি আজ শুধু দুর্গাপুজা উপলক্ষ্যে গানের বিশেষ সংস্করণ বের করে না। বছরভর গানের সংস্করণ কোম্পানিগুলি থেকে বেরোচ্ছে;যার বেশির ভাগটাই অচিরেই বিস্মৃতপ্রায় হয়ে পড়ে!

পুজার গানের গীতিকাব্য এবং গায়কগায়িকার ছবি সহ বেরোত এইচ এম ভি'র বিশেষ স্মারক সংখ্যা। "শারদ অর্ঘ্য" নামে ওই বিশেষ সংখ্যাটি তখন শারদ সাহিত্য পত্রিকার সঙ্গে সবার ঘরেই থাকতো। আশির দশক পর্যন্ত এই অবস্থা ছিল। পুজা উপলক্ষ্যে বেরোত তখন সবচেয়ে বেশি সংখ্যক রেকর্ড। পুজার গানের রেকর্ড কেনার জন্য উৎসাহীরা গোটা বছর ধরে পয়সা জমিয়ে রাখতো। গায়ক গায়িকারাও বছরের দু’টো বিশেষ দিনে গান রেকর্ড করার সময় নিজেদের প্রতিভা উজাড় করে দিতেন! বছরের সেই দুটো বিশেষ দিন ছিল পয়লা বৈশাখ আর দুর্গা পুজা। অবশ্যই দুর্গা পুজা উপলক্ষ্যে রেকর্ড বের করার আগ্রহ সব কিছুকে ছাপিয়ে যেতো। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গান তখন প্যান্ডেলের জৌলুশ বাড়িয়ে তুলতো, নির্মলা মিশ্রের গান পারিবারিক আনন্দোৎসবকে করে তুলতো নিবিড় আর লাউডস্পীকারে ভেসে আসতো মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের মনমাতানো গান। বাজারে তখনও ক্যাসেট আসে নি; পুজার সময় ভিনাইল রেকর্ডে সেই সময় বাজতো প্রিয় শিল্পীদের গান। ভিনাইল রেকর্ড আজ যাদুঘরে সংরক্ষিত; কিন্তু সংগীতপ্রেমীদের কাছে ভিনাইল রেকর্ডকে ঘিরে যে একটা আবেগের স্থান রয়েছে তা আজও কোনওভাবেই অস্বীকার করা যাবে না। পুজা উপলক্ষ্যে বেরোত বিখ্যাত শিল্পীদের গানের ভিনাইল রেকর্ড। ভিনাইল রেকর্ডের চল যখন সবে শুরু হয়েছিল তখন তারকা গায়ক গায়িকারা ছিলেন সন্ধ্যা মুখার্জি, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, শ্যামল মিত্র প্রমুখ। দ্বিতীয় পর্যায়ে ছিলেন বছরভর অপেক্ষারত বেশ কিছু গায়কগায়িকা। সংগীত জগতে নিজেদের আসন পাকা করার বাসনায় পুজা উপলক্ষ্যে রেকর্ড বের করার জন্য উন্মুখ হয়ে থাকতেন ওরা। তৃতীয় পর্যায়ে এসেছিলেন কিশোর কুমার, মান্না দে, শচিন দেববর্মণ এবং রাহুল দেববর্মণের মতো বলিউডের গায়কগায়িকারা। উল্লেখ্য, এইচ এম ভি'তে লতা মঙ্গেশকর এবং আশা ভোসলের মতো কিম্বদন্তি গায়িকারাও পুজার গান গেয়েছিলেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই গীতিকবিতা লিখতেন তখন পুলক বন্দোপাধ্যায় আর সুর দিতেন নচিকেতা ঘোষ । পুজা উপলক্ষ্যে রেকর্ড বের করার সেই দিনগুলি এখন ইতিহাস। এরই মধ্যে প্রযুক্তিরও বহু বদল ঘটেছে। উন্নততর হয়েছে রেকর্ডিং ব্যবস্থা। এইচ এম ভি পুজার গান আর বের না করলেও অন্য আরও বহু কোম্পানি এগিয়ে এসেছে সেই কাজে। মাঝখানে তো পুজার গান বেরোতই না। নতুন কোম্পানিগুলি ফের পুজার গান বাজারে নিয়ে আসায় ফাকা জায়গা ভরাট হয়েছে ঠিকই। পুজায় শান, শ্রেয়া ঘোষাল, লোপামুদ্রা মিত্র, রুপঙ্কর বাগচি এবং নিপাবিথি ঘোষের মতো গায়কগায়িকাদের সিডি বেরোচ্ছে। কিন্তু জনগণের মধ্যে পুজার গানকে ঘিরে আগের মতো সেই উচ্ছ্বাস কই! শূন্যতা একটা কোথাও থেকেই যাচ্ছে। শ্রীকান্ত আচার্য, রুপম ইসলাম, নচিকেতা, কবীর সুমনের গানও ভরাট করতে পারছে না সেই শূন্যতা। এর পেছনে হয়তো বিভিন্ন কারণ রয়েছে। প্যান্ডেল সামলানো নতুন প্রজন্ম নিশ্চিত সত্তর এবং আশির দশকের ধাঁচের পুজার গান পছন্দ করছে না। এর মধ্যে অস্বাভাবিকত্ব নেই। সময় বদলেছে, গায়কগায়িকাদের গান গাইবার ধরণ পাল্টেছে, নতুন ভাবে লেখা হচ্ছে গীতিকবিতা। সবই হচ্ছে নতুন ভাবে; তবে হৃদয়ের অনুভূতি কি হারিয়েছে চাকচিক্যের আড়ালে! জানা নেই এমন প্রশ্নের উত্তর। শুধু অবিদিত নয় এই তথ্য যে ‘প্রথমত আমি তোমাকে চাই’এর চেয়ে জনপ্রিয়তার দৌড়ে এগিয়ে আছে আজও সেই সত্তর দশকের গান ‘মনে পড়ে রুবি রায়’! …… সংশয় জাগে ঢাকিদের ভবিষ্যৎ নিয়েও। ঢাকির বাদ্যি ছাড়া দুর্গা পুজার কথা একসময় ভাবাই যেতো না। পুজোর আমেজ শুরুই হতো দূরদূরান্ত থেকে ভেসে আসা ঢাকের আওয়াজ শুনে। বোঝা যেতো পুজার সময় এগিয়ে আসছে। এ যেন মহোৎসবের এক প্রাকপর্ব – ভূমিকা! আমাদের কাছে ভূমিকার মতো মনে হলেও ঢাকিদের কাছে কিন্তু বছরের এই দিনগুলি হয়ে উঠে পরম আকাঙ্খিত। বছরের এই্সব দিনেই ওরা ভালো উপার্জনের সুযোগ পায়। পুজার প্রাক্কালে গ্রাম থেকে উজিয়ে আসতো ওরা শহরে। ছেলেবেলায় দেখতাম আগরতলার মোটরস্ট্যান্ড, গোলবাজার এবং বটতলায় ঢাকিরা ঢাক নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ক্লাবের আয়োজকেরা এসে দরদাম করে ঢাকিদের নিয়ে যেতো। হাসি ফুটতো ঢাকিভাইদের মুখে। ধুতি, গেঞ্জি, গামছা এবং সামান্য কিছু টাকাপয়সাতেই খুশি হতো ওরা। থীম পুজার উন্মাদনায় ক্রমশ প্রাসঙ্গিকতা হারাচ্ছে ঢাকিরা। অথচ থীম পুজার হিড়িক যখন ছিল না সেই সময়ে দুর্গা পুজার টানা পাঁচদিনই আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতো ঢাকিরা। ঢাকের আওয়াজে সরগরম হয়ে উঠতো জমজমাট পুজা মণ্ডপ। সন্ধ্যেবেলায় ঢাকের তালে চলতো তুমুল নাচ। বিভিন্ন ধরণের ছন্দে বাজানো হতো ঢাক। সঙ্গে সঙ্গত করতো ঢোল বাদক। হতো ধুনুচি নৃত্য। দুর্গাপুজার সান্ধ্য আসরে ঢাকিরাই হয়ে উঠতো তারকা। বছরভর অনুশীলনের ফলে ঢাক বাজানোয় পোক্ত হয়ে উঠতো। পরিশ্রমসাধ্য এই ঢাক বাজানোটাও যে একটা শিল্প অনেকেই তা মানেন। দুর্গাপুজার উদ্যোক্তাদের কাছে ঢাকিদের কদর কমে গেছে আজকাল। বিশাল বাজেটের পুজা হয়; বাণিজ্যিকীকরণের আগ্রাসনের ফলে দেখনদারি শুরু হয়েছে। ক্লাবগুলির ব্যয়বহুল পুজায় আজ ঢাকিদের জন্য অর্থের সংস্থান রাখা হয় না। পুজার সময় কমপ্যাক্ট ডিস্কে বেজে উঠে ঢাকের আওয়াজ। শহুরে পুজায় ঢাকিদের সংখ্যা ক্রমশ তাই হ্রাস পাচ্ছে। ওদের ছেলেমেয়েরাও আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে এই জীবিকায়; স্বচ্ছলতার জন্য ওরা বেছে নিচ্ছে অন্য জীবিকা। এদিকে কমছে বনেদি বাড়ির দুর্গা পুজার সংখ্যা। মাটির প্রতিমার ভবিষ্যৎ কী – কে জানে! আজকাল শিল্পীরা ফাইবার গ্লাসের দুর্গা প্রতিমা বানাচ্ছেন। পুজা কেন্দ্রিক অনেক সংস্কৃতিই হারিয়ে যাচ্ছে। হারিয়ে যা’ক চিরতরে পশুবলির মতো নৃশংস প্রথা। পুজার সময় রাজন্য প্রথা মেনে আমাদের দুর্গাবাড়িতে আজও মোষ বলি দেওয়া হয়। বন্ধ হোক এই প্রথা। তবে পশুবলি আর চাঁদা আদায়ের মতো কিছু অবাঞ্ছিত ঝুটঝামেলার কথা বাদ দিলে দুর্গাপুজা কেন্দ্রিক সুসংস্কৃত বেশ কিছু ঐতিহ্য যে হারিয়ে যাচ্ছে – দুঃখের কথা সেটাই। স্মৃতিবিধুরতা বিষণ্ণ করে তুলে তাই মন। বদলে যাওয়ার এই দুনিয়ায় আশ্বাসের মতো রয়ে যায় অমলিন তবু কিছু ঐতিহ্য। মহালয়ার শিউলি সুবাসিত মিঠে ভোর আজও মন্দ্রিত হয়ে উঠে বীরন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের স্তোত্রে। পত্রপত্রিকাগুলি আজও নিয়ম করে পুজাসংখ্যা বের করে। বিজয়া দশমীর পর শত্রুমিত্র ভেদাভেদ ভুলে সবাই একে অপরের মুখে তুলে দেয় মিষ্টি। সম্প্রীতির বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাসে তখন মেতে উঠে সবাই। হিন্দু উপাচার হওয়া সত্বেও সর্বার্থেই শারদোৎসব হয়ে উঠে ধর্ম নিরপেক্ষতার এক উজ্জ্বল প্রতীক। বিভাজনের পৃথিবীতে এই সম্প্রীতিই পরম আকাঙ্খিত। অনস্বীকার্যভাবে আমাদের শারদ উৎসবের অপরিহার্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে এইসব রীতি। বহমান কিছু ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির জন্য মননে তাই ঐকান্তিক কামনায় অনুরণিত হয় অবিনশ্বরতার প্রার্থনা!










You can post your comments below  
নিচে আপনি আপনার মন্তব্য বাংলাতেও লিখতে পারেন।  
বিঃ দ্রঃ
আপনার মন্তব্য বা কমেন্ট ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই লিখতে পারেন। বাংলায় কোন মন্তব্য লিখতে হলে কোন ইউনিকোড বাংলা ফন্টেই লিখতে হবে যেমন আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড (Avro Keyboard)। আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ডের সাহায্যে মাক্রোসফট্ ওয়ার্ডে (Microsoft Word) টাইপ করে সেখান থেকে কপি করে কমেন্ট বা মন্তব্য বক্সে পেস্ট করতে পারেন। আপনার কম্পিউটারে আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড বাংলা সফ্টওয়ার না থাকলে নিম্নে দেয়া লিঙ্কে (Link) ক্লিক করে ফ্রিতে ডাওনলোড করে নিতে পারেন।
 
Free Download Avro Keyboard  
Name *  
Email *  
Address  
Comments *  
 
 
Posted comments
মন্তব্যের তারিখ (Posted On)মন্তব্যকারির নাম (Name)মন্তব্য (Comment)
12.10.2021Mohit DebbarmaWonderful..