যা দেবী সর্বভূতেষু

শঙ্খশুভ্র দেববর্মণ

কর্মসূত্রে দীর্ঘদিন প্রবাসে আছি। কিন্তু দুর্গাপূজার সময় এগিয়ে এলে বাড়ির জন্য মনটা আনচান করে। মনে পড়ে তখন কত কথা। চোখের সামনে ছবির মতো ভেসে উঠে যেন পুরনো সেই দিনগুলির স্মৃতি। লম্বা সফরে চলতে গিয়ে গাড়ির জানলা দিয়ে হঠাৎ দেখি নির্জন মাঠে ফুটে আছে সারি কাশফুল। ড্রাইভার ভাইকে বলি, গাড়ি থামাও। গাড়ি থেকে নেমে ছুটে যাই কাশফুলের বনে। অদ্ভুত আবেশে উদ্বেল হয়ে উঠে হৃদয়। প্রকৃতির সর্বত্র এখন শরতের আবাহনী গীত। মেঘমুক্ত আকাশ থেকে অকাতরে ঝরে রোদ। সেই সোনালি রোদে নেই গ্রীষ্মের প্রখরতা; আছে কোমল মায়াবী উষ্ণতা। কাশফুলের বনে একাকী ঘুরে বেড়াই আনমনে। কাশফুলের গুচ্ছে হাত বুলিয়ে ফিরে আসি গাড়িতে। আমার খামখেয়ালিপনা বুঝে উঠতে পারে না ড্রাইভার ভাই। শরত, কাশফুল, দুর্গাপূজা যে আমাদের জীবনে কী দ্যোতনা বয়ে আনে হিন্দিভাষী ড্রাইভারের তা জানার কথা নয়।

তবে প্রবাসে থেকে নিজ জন্মভূমির স্মৃতি নিয়ে যতই বিহ্বল হই না কেন, হা পিত্যেশ করি না কেন - বদলে গেছে সময়। বদলে গেছে খোদ আমার জন্মভূমির পরিবেশ। শৈশব আর কৈশোরে দেখেছি দুর্গাপূজাকে ঘিরে জনমানসের গভীর আন্তরিকতা। সেই আন্তরিকতা আজ আর দেখি না। আন্তরিকতার পরিবর্তে জায়গা নিয়েছে আনুষ্ঠানিকতা। কর্পোরেটের সুবর্ণ পৃষ্ঠপোষকতা, আকাশছোঁয়া বিগ বাজেট, থীম পুজার আড়ম্বরে হারিয়ে গেছে যেন আমাদের স্বতোৎসারিত উচ্ছলতা আর আন্তরিকতা। এতো দ্রুত পরিবর্তনের এই যুগে বিস্ময়কর ভাবে রয়ে যায় তবু কিছু ধ্রুপদ ভাষ্য। হয়ে উঠে আমাদের সংস্কৃতির অঙ্গীভূত সত্তা। দেবী পক্ষ বোধনের মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার শুরু। আমাদের জীবনে বোধনের সেই মুহূর্ত অর্থাৎ মহালয়াকে ভিন্ন মাত্রায় উন্নীত করেছেন বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র। তাঁর সুললিত কণ্ঠে উচ্চারিত অনুনকরণীয় মহিষাসুর মর্দিনী প্রার্থনা আজ কিম্বদন্তীতে পরিণত হয়েছে। বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের এই বোধন স্তোত্র ব্যতীত আমাদের মহালয়া অসম্পূর্ণ বলে হয়। আট দশক পেরিয়েছে অথচ তাঁর পরিবেশিত দেবী পক্ষ স্তবের আবেদন এতোটুকু কমে নি। বঙ্গভাষীদের আজও প্রতিবছর মহালয়ার সকালটা কাটে আকাশবাণীতে সম্প্রচারিত বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের মহিষাসুর মর্দিনী স্তব শুনে। প্রাচীন এবং আধুনিক বাদ্যযন্ত্রের সুষম ব্যবহার, বাংলা ধারাভাষ্যের মাঝে সংস্কৃত মন্ত্রোচ্চারণ এবং রবীন্দ্র সংগীতের অসামান্য প্রয়োগ চিরন্তন করে তুলেছে এই উপস্থাপনাকে। দুই ঘণ্টা পনেরো মিনিটের এমন দীর্ঘ বেতার অনুষ্ঠান সম্ভবত পৃথিবীর অন্যত্র আর কোথাও হয় নি। এদিক থেকে আকাশবাণীর সম্প্রচারিত মহালয়ার এই অনুষ্ঠানটিও আক্ষরিক অর্থেই একটি রেকর্ড!

বঙ্গভাষীদের কাছে তুমুল জনপ্রিয় হয়ে ওঠা মহালয়ার এই বেতার অনুষ্ঠানকে বদলানোর কোনও চেষ্টাই সফল হয় নি। ১৯৩২ সালে প্রথমবার সম্প্রচারিত বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্র পরিবেশিত আকাশবাণীর এই মহালয়া অনুষ্ঠানকে ঘিরে আজ বঙ্গভাষীদের মননে গড়ে উঠেছে নির্বিকল্প আবেগ যার দ্বিতীয় কোনও প্রতিস্থাপন হয়তো সম্ভব নয়। বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্র ছাড়াও এই অনুষ্ঠানকে কালোত্তীর্ণ করে তোলার পেছনে বাণী প্রসাদ, পঙ্কজ মল্লিক, যোগেশ বসু, রাইচাদ বড়াল প্রমুখদের যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। এঁরা সবাই ওই সময়ের সুপরিচিত রেডিও আর্টিস্ট ছিলেন। আকাশবাণীর সম্প্রচারিত মহিষাসুর মর্দিনীর অনুষ্ঠান তাঁদের সবাইকে কিম্বদন্তীতে পরিণত করে। নিঃসন্দেহে এঁদের মধ্যে সবাইকে তবু ছাপিয়ে উজ্জ্বল হয়ে উঠেন একামেবাদ্বিতীয়ম বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্র। বঙ্গভাষীদের কাছে তাই মহালয়া মানেই বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্র। তাঁর ‘যা দেবী সর্বভূতেষু’ উচ্চারণের সঙ্গেই যেন দেশ বিদেশের সর্বত্র অগণিত বঙ্গভাষীদের মধ্যে সঞ্চারিত হয় নবপ্রাণ, নতুন বার্তা। বেজে ওঠে পুজার ঢাক। উদ্দীপনার মধ্যে শুরু হয়ে যায় মহোৎসবের প্রস্তুতি। বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের মহালয়াকে ঘিরে এই উচ্ছাসের মধ্যে কিন্তু বিস্মৃত রয় একটি তথ্য। আকাশবাণীর এই অনুষ্ঠানকে সফল করে তোলার জন্য অনুমতি দিয়েছিলেন প্রোগ্রাম ডিরেক্টর নৃপেন্দ্রনাথ মজুমদার। তাঁর সহযোগিতা ছিল বলেই আজ মহালয়ার ওপর আকাশবাণীর অনুষ্ঠানটি আইকনিক হয়ে উঠতে পেরেছিল।

এমন আইকনিক প্রোগ্রামকে বদলে নতুন একটা ছাঁচ দিতে চেয়েছিল আকাশবাণীর তৎকালীন কর্তৃপক্ষ। সে ১৯৭৬ সালের কথা। বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের পরিবর্তে মহিষাসুর মর্দিনী স্তব ভাষ্যকারের ভূমিকা নিয়েছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রের মহানায়ক উত্তম কুমার। মহালয়ার পূর্বে জনমনে একটা প্রবল আগ্রহ তৈরি হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু অনুষ্ঠান সম্প্রসারণের সময়ই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল মহানায়কের পক্ষেও বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের বিকল্প হয়ে উঠা সম্ভব হয় নি। মহানায়কের ভাষ্য সত্বেও তৈরি হয় নি মহালয়া সুলভ সেই উচ্ছ্বল আবেশ। সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠেছিল সবাই। ভুলের পুনরাবৃত্তি করতে আর সাহস পায় নি আকাশবাণী। পরের বছর যথারীতি সম্প্রচারিত হয়েছিল বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের মহালয়া! তার অন্যথা হয় নি আজও। শোনা যায়, বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের ধারাভাষ্যে মহালয়া সম্প্রচারের পরিকল্পনাটি উঠে এসেছিল একটি খোলামেলা আড্ডার আসরে। মূলোদ্দেশ্য ছিল জনগণের মধ্যে আকাশবাণীকে আরও জনপ্রিয় করে তোলা। তাঁদের সেই উদ্দেশ্য যে ষোলোআনা সফল ছিল – এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ ছিল না। রেডিওর বিক্রিবাট্টাও বেড়ে গিয়েছিল। ওই সময় প্রতিবছর মহালয়ার আগে ক্রেতাদের মধ্যে রেডিও কেনার ধূম পড়তো।

এহেন অনুষ্ঠানকে ঘিরে প্রথমাবস্থায় বিতর্কও কম হয় নি। রক্ষণশীলেরা অনুষ্ঠান সকাল চারটের সময় সম্প্রচারের পক্ষপাতি ছিলেন না। তাঁদের বক্তব্য ছিল, শাস্ত্রমতে সকালবেলায় পিতৃপক্ষের বাৎসরিক অনুষ্ঠান তর্পণের মাধ্যমে পরিসমাপ্তি ঘটে। তারপর শুরু হয় দেবীপক্ষ। অনুষ্ঠান তখন সম্প্রচার করা উচিত। আকাশবাণী ১৯৩২’র পর বেশ কয়েক বছর প্রথম দিন না করে দেবীপক্ষের ষষ্টদিন মহালয়ার অনুষ্ঠান সকাল চারটের সময় সম্প্রচারিত করতো। রক্ষণশীলেরা সেই সময় যথারীতি বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের চণ্ডীপাঠের বিরোধিতায়ও সরব হয়েছিলেন। বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্র ব্রাহ্মণ নন; রক্ষণশীলেরা দাবী তুলেছিলেন ব্রাহ্মণকে দিয়েই চণ্ডীপাঠ করানো হোক। অবশ্য জনগণের তুমুল বিরোধিতায় রক্ষণশীলদের সেই দাবী ধোপে টেকে নি।

আকাশবাণী সম্প্রচারিত মহালয়ার নেপথ্য সংগীতের কাহিনীও যথেষ্ট চিত্তাকর্ষক। অনুষ্ঠানের সংগীত মূর্ছনায় অংশ নিয়েছিলেন হিন্দু, মুসলিম এবং খ্রিস্টান সংগীতকারেরা। রেকর্ডিংয়ের সময় হিন্দু সংগীতকারেরা মহালয়ার স্তব কিম্বা ভাষ্য কমবেশি সঠিক আন্দাজ করেই শঙ্খ কিম্বা খোল করতাল বাজিয়েছিলেন। মূল সুর থেকে সরে গিয়ে ভিন্ন ধর্মের সংগীতকারেরা সংস্কৃত অথবা বাংলা ভাষ্যের পার্থক্য বুঝতে না পেরে নাগাড়ে ভায়োলিন বাজিয়ে গিয়েছিলেন। রেকর্ডিংয়ের পর শুনতে কোথাও খারাপ কিম্বা বেসুরো লাগে নি। সেইসব সামান্য ত্রুটিবিচ্যুতিগুলি আজ বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের মহালয়ার অন্যতম আকর্ষণ হয়ে দাঁড়িয়েছে! সে অবশ্য ১৯৬৬’র পরের কথা।

বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্র এবং তাঁর সহযোগী শিল্পীরা মহালয়ার অনুষ্ঠানে সক্রিয়ভাবে অংশ নিতেন। শিল্পীদের উপস্থাপনায় আকাশবাণীর স্টুডিও থেকে অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারিত হতো। অনুষ্ঠান শুরুর আগে পরিবেশকে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার জন্য স্টুডিও সাজানো হতো ফুল দিয়ে। ধূপকাঠির সৌরভে আমোদিত হতো সবাই। পুরুষেরা সাদা ধুতি পাঞ্জাবি পরে আসতেন। মহিলারা পরতেন লাল পাড়ওয়ালা সাদা শাড়ি। পবিত্র পরিবেশের মধ্যে অনুষ্ঠানে নিমগ্ন হতেন শিল্পীরা। ১৯৬৬ পর্যন্ত এইভাবেই চলছিল। তার আগে অবশ্য একবার মহালয়ার সম্প্রচারে ছেদ পড়েছিল। সে ১৯৪৬’এর কথা। সেবার ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কারণে কলকাতায় জনজীবনের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছিল। মহালয়ার অনুষ্ঠান তাই সে বছর সম্প্রচারিত করা সম্ভব হয় নি। ১৯৬৬’এর পর মহালয়ার রেকর্ডেড প্রোগ্রাম সম্প্রচার শুরু হয়।

আশ্চর্যের বিষয় এই যে, বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্র পরিবেশিত মহালয়া এতো অসংখ্যবার শ্রুত হওয়া সত্বেও বঙ্গভাষীদের হৃদয়ে এর সার্বজনীন আবেদন কমে নি আজও এতটুকুও! আকাশবাণী আগেই মহালয়ার সত্ব বিক্রি করে দিয়েছে। বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের মহিষাসুর মর্দিনী স্তোত্র আজ টেপ, সিডি, ইউটিউব, পেন ড্রাইভ এবং সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে সহজেই পাওয়া যায়; বাজানো হয় আজকাল কলকাতায় ট্র্যাফিক সিগন্যালেও!

পূজার সময় সর্বত্র অসংখ্য মণ্ডপের লাউড স্পিকার থেকে ভেসে আসে বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের আবেগমথিত মহিষাসুর মর্দিনী স্তোত্র। এ এমন এক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য - যা জনবহুল এঁদো রাস্তা থেকে শুরু করে উচ্চারিত হয় সাগরপারে ছিমছাম বিদেশের পূজা মণ্ডপেও। পশ্চিমবঙ্গে পরিবর্তনের রাজনীতিতেও মহালয়ার ব্যবহার হতে দেখেছে জনগণ। রাজনীতির বাইরে সিনেমা, নাটক এবং টেলিভিশনের সিরিয়ালে কতবার কতভাবে যে ব্যবহৃত হয়েছে বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের এই মহালয়া তার ইয়ত্তা নেই! এর মধ্যে বঙ্গভাষীদের জীবনে বয়েছে কতো পরিবর্তনের ঢেউ; অস্তিত্বের আর এক নাম যে প্রবহমানতা। বদলে গেছে খোদ আকাশবাণীর সিগনেচার টিউন। এতো পরিবর্তনের মাঝেও বিস্ময়করভাবে রয়ে গেছে আমাদের চিরন্তন, অবিসম্বাদিত মহালয়া। বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের মহালয়া স্তোত্র হয়ে উঠেছে বঙ্গভাষীদের আবেগের অংশ; আমাদের সকলের পারিবারিক ঐতিহ্যের অঙ্গ।

ক্ষনিকের জন্য হলেও আমাদের মতো প্রবাসীদের জন্মভূমির জন্য আকুতি ভুলিয়ে দেয় মহালয়ার এই অমোঘ মুহূর্ত। ফিরে আসে যেন ফের ফেলে আসা সেইসব দিন। তন্ময়তার মধ্যে কেটে যায় কিছু সময়। প্রবাসেও পাই জন্মমৃত্তিকার গন্ধ। এই উপলদ্ধির মূল্য কী কম! পরিবর্তন ঘটে চলুক প্রতিনিয়ত আমাদের জীবনে; এই পরিবর্তন সদাই কাম্য। নইলে অর্থহীন হয়ে পড়ে আমাদের অস্তিত্ব। কিন্তু এতো পরিবর্তনের মাঝেও অক্ষয় রয়ে যাক কিছু সাংস্কৃতিক মুহূর্ত যা পুরনোর মধ্যেও প্রতিবার বয়ে নিয়ে আসে নতুনত্বের আশা আকাঙ্ক্ষা। মহালয়া আমাদের সেই আশা আকাঙ্ক্ষারই প্রতীক।




You can post your comments below  
নিচে আপনি আপনার মন্তব্য বাংলাতেও লিখতে পারেন।  
বিঃ দ্রঃ
আপনার মন্তব্য বা কমেন্ট ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই লিখতে পারেন। বাংলায় কোন মন্তব্য লিখতে হলে কোন ইউনিকোড বাংলা ফন্টেই লিখতে হবে যেমন আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড (Avro Keyboard)। আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ডের সাহায্যে মাক্রোসফট্ ওয়ার্ডে (Microsoft Word) টাইপ করে সেখান থেকে কপি করে কমেন্ট বা মন্তব্য বক্সে পেস্ট করতে পারেন। আপনার কম্পিউটারে আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড বাংলা সফ্টওয়ার না থাকলে নিম্নে দেয়া লিঙ্কে (Link) ক্লিক করে ফ্রিতে ডাওনলোড করে নিতে পারেন।
 
Free Download Avro Keyboard  
Name *  
Email *  
Address  
Comments *  
 
 
Posted comments
মন্তব্যের তারিখ (Posted On)মন্তব্যকারির নাম (Name)মন্তব্য (Comment)
05.10.2021Payel DasThanks for this write up.
05.10.2021Tapas DebNicely written.
05.10.2021Sachin DebnathVery good.