ভারতীয় সংস্কৃতি : ভারত আত্মার গৌরব
বৈভব বিশ্বাস
March 23, 2025
"গুরুজনদের প্রণাম করবে, ছোটোদের কোনো ভুল হয়ে গেলে তাদের ভালোবাসার সঙ্গে বোঝানোর চেষ্টা করবে" — এই কথাগুলো শুধুমাত্র একজনই শেখাতে পারে। যা হল আমাদের ভারতীয় সংস্কৃতি। একটি বিস্ময়কর ব্যাপার হল, পুরো পৃথিবার মধ্যে একটি মাত্র দেশ আছে সেখানে আজ-ও এই ঐতিহ্যময় প্রণামের ধারা অব্যাহত গতি তে চলছে, সেটি হল আমাদের ভারত। ভারত হল এমন একটি দেশ যা ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি দুটোতেই সমৃদ্ধ এবং বাকীদের থেকে এগিয়ে। আমাদের সংস্কৃতি মিশ্র সংস্কৃতির অন্তর্গত। কারণ কারণ প্রাচীনকালে এখানে বিভিন্ন জাতির লোকেদের রাজত্ব ও বসবাস ছিল। তাই আমাদের জাতিতে শুধুমাত্র এক জাতির জ্ঞান, সাহিত্য-ই নয় বরাং মিশ্রিত জাতির জ্ঞান পাওয়া যায়।বৌদ্ধধর্ম, জৈনধর্ম, হিন্দুধর্মের জন্মস্থল মানা হয়। আমাদের দেশের ভৌগোলিক স্থান-ও প্রাচীনকালে বিভিন্ন চিন্তাধারা-র মানুষদের আমাদের প্রতি আকৃষ্ট করেছিল। এখন কথা হল, ভৌগোলিক স্থানের সাথে আমাদের সংস্কৃতির যোগসূত্র কোথায়? বিভিন্ন দেশের থেকে যে মানুষেরা রাজত্ব করতে আসে তারা আমাদের দেশের(ভারতের) বিভিন্ন জায়গায়, বিভিন্ন অঞ্চলে নিজেদের চিন্তাভাবনার ছাপ রেখে যান, আজ তাদের সেই চিন্তাভাবনার সাথে আমরা নিজেদের চিন্তাধারা মিশিয়ে নতুন নতুন জিনিস বানাতে সক্ষম হয়েছি। তাদের বানানো ছবির কলা-কৌশলের সাথে নিজেদের কৌশল ও বুদ্ধিকে মিশিয়ে সম্পূর্ণ নতুন এক ছবি আঁকার প্রদ্ধতি বানাতে পেরেছি। তাবলে আমরা নিজেরা যে পিছিয়ে রয়েছিলাম, তা কিন্তু নয়। আমাদের দেশের মাটিতে লেখা রামায়ণ, মহাভারত, গীতা প্রভৃতি বিভিন্ন গ্রন্থে যে জ্ঞান পাওয়া যায় তা অমূল্য। এই প্রাচীন গ্রন্থগুলিতে বিভিন্ন শ্লোক, গল্প,ছড়া ইত্যাদি থেকে যে নৈতিক শিক্ষা, নৈতিকতা পাওয়া যায়, যে শান্তির কথা পাওয়া যায়, কে যে বিশ্বভ্রাতৃত্ব বোধের উল্লেখ পাওয়া যায়, তা আজ-ও অমলিন। তা আজও বিলিন হয়নি এবং কোনোদিন হবেও না। সাহিত্য, বিজ্ঞান, কলাকৌশন ইত্যাদিতেও আমরা পিছিয়ে ছিলাম না। মহাকবি কালিদাস, আর্যভট্ট, যদুভট্টের লেখাই তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ। তেমনি সঙ্গীতে লতাজী, কিশোরজী। উস্তাদ জাকির হুসেন, উস্তাদ আমজাদ খান, পন্ডিত রবীসংকরজী, উস্তাদ তারি খান ইত্যাদির নাম উল্লেখযোগ্য। ভারতীয় সঙ্গীতে এনাদের অবদান অমূল্য। যদিও এত অল্প শব্দে ভারতীয় সংস্কৃতি সম্পর্কে সবটা বলা সম্ভব হয়নি,তবুও শেষে এতটুকুই বলবো যে, ভারতীয় সংস্কৃতি এমন একটি সংস্কৃতি যা নতুন প্রজন্মদের সাথে কাঁধে-কাধঁ মিলিয়ে এখন ও চলছে এবং চলতে থাকবে। এমন একটি দেশ হচ্ছে আমাদের এই ভারতবর্ষ যেখানে আধুনিকতা ও সংস্কৃতি এক সাথে চলতে থাকে। যেখানে সংস্কৃতি আধুনিকতার সাথে মিশে গিয়ে নতুন প্রজন্মদের এক নতুন ও পবিত্র সমাজ গড়ে তোলার অঙ্গীকার জানায়। যেখানে আধুনিকতা ও সংস্কৃতি মিশে গিয়ে এক সম্পূর্ণ নতুন প্রজন্মের সূচনা হয় যারা পুরো বিশ্বে ভারতের মুখ গর্বে উজ্জ্বল করতে থাকে চিরকাল।
বৈভব বিশ্বাস
অষ্টম শ্রেণি
ভবনস্ ত্রিপুরা বিদ্যামন্দির
আগরতলা, ত্রিপুরা
(The editor of tripurainfo.com warmly invites students and aspiring writers to share their thoughts, ideas, and creativity through articles. Understanding that every great writer starts somewhere, tripurainfo.com is committed to providing a platform where young minds can express themselves without fear of judgment.
This initiative is not about perfection but about encouragement, growth, and giving voice to new perspectives. We believe that by supporting young talents today, we are shaping the storytellers, journalists, and thought leaders of tomorrow.
So, if you have a story to tell or an idea to share, don’t hesitate—send in your articles. Let your words inspire others, and let tripurainfo.com be the stage where your voice is heard!)
আরও পড়ুন...