হিরোইন, ইয়াবা নেশা সামগ্রীর ব্যবসা: সর্ষের মধ্যেই ভূত লুকিয়ে আছে
প্রদীপ চক্রবর্তী
চলার পথে দেখা, নজরে আসা কিছু বিক্ষিপ্ত চলমান প্রবাহ নিয়ে রাতের শহর আগরতলার দ্বিতীয় পর্বে আভাষ দেয়া হয়েছিল নেশা মুক্ত রাজ্য কি ভাবে নেশার সমুদ্রে ভাসছে। নেশা মুক্ত রাজ্য কিভাবে নেশা বানিজ্যে সাঁতার কাটছে। প্রতিবেদন যখন অনলাইনে ঠিক তখনই তিন পুলিশ কর্মী নেশা দ্রব্য সহ গারদে ঢুকেছে। পুলিশ কর্মী যে সে নয় ,সে রাজ্যের সমাজকল্যাণমন্ত্রী শান্তনা চাকমার ব্যক্তিগত দেহরক্ষী।তার মানে এই দাঁড়ায় যে ধৃত কনষ্টেবল এতদিন ধরে এই ব্যবসা দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছে। মন্ত্রী রং ব্যক্তিগত দেহরক্ষী রং আড়ালে সে নেশার মৌতাত চালিয়ে যাচ্ছে। মন্ত্রীর দেহরক্ষী বলে কথা,তাকে সন্দেহ করার কারনই নেই। কিন্তু কাঞ্চনপুরের এসডিপিও,থানার ওসি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাহসে ভর করে তাদের বায়ার পাকড়াও করে গারদে পুড়েছে।এই ঘটনা আবারো প্রমাণ করেছে সর্ষে র মধ্যেই ভূত লুকিয়ে আছে। এটাকে বিক্ষিপ্ত ঘটনা বলে মনে করাটা ও ঠিক নয়।আরো কতজন এসব ব্যবসার সাথে যুক্ত তা সংশ্লিষ্ট মহলের ই জানা বা বলার কথা।তবে পারিপার্শ্বিক ঘটনা প্রবাহ কিন্তু এই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে এসব অবৈধ ব্যবসা রং সাথে আরো ভূতেরা জড়িয়ে আছে।কারন এই তিন জন একক ভাবে এ ধরনের ঝুঁকি বহুল অবৈধ ব্যবসার সাথে জড়িত থাকতে পারেনা,যদি না চক্র জড়িত থাকে।
এই চক্রের কুশীলবদের হাত এত শক্তি যে এরা মন্ত্রী দের নিরাপত্তা রক্ষীদের মধ্যে ও জাল বিস্তার করতে পেরেছে। হয়তো গাঁজা, ফেনসিডিল র রমরমা কমেছে , অন্যদিকে বিস্তার করে চলেছে হিরোইন,ইয়াবা ব্যবসা র নেটওয়ার্ক।খবর হল,এসব মাদক ব্যাপকভাবে ঢুকছে রাজধানীতে। মূলত এই কারণে শহরের যুবকদের কাছে সহজলভ্য হয়ে উঠেছে হেরোইন, ইয়াবাসহ অন্যান্য নেশা জাতীয় দ্রব্য। যুবকদের একটি অংশ হেরোইন র নেশায় বুঁদ হয়ে থাকছে,বাপ মা র টাকা ধ্বংস করছে। এমন বেশ কিছু অভিভাবক রয়েছেন যাদের সন্তান দের খাই মেটাতে নিত্যদিন টাকা গুঁজে দিতে হচ্ছে।অনেক অভিভাবক কে নয়নের মনির হুমকির মুখে টাকা দিতে বাধ্য হচ্ছে।টাকা না দিলে আত্মহত্যা র হুমকি, অন্যথায় মা বাবার দিকে রক্তচক্ষু করে তেড়ে যায়। যতই হোক নয়নের মনি, আদরের দুলালতো এরা।বাইরে থেকে তথাকথিত উচ্চ শিক্ষা য় শিক্ষিত হয়ে অনেকেই বাড়ী ফিরে মাদকের নেশায় আসক্ত হয়েছে। তবে নাকি এসব হেরোইন র দাম বেশি। সবসময় হেরোইন সংগ্রহ করতে না পেরে ডেনড্রাইট ব্যবহার করছে বলে পুলিশের অভিমত।
কিন্তু এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়। পুলিশের কাছে এসব উটকো ঝামেলা।এক/দুজনকে ধরলে দশ থেকে পনের টাকা ফোন আসে। যাঁরা ফোন করেন তাঁরা নাকি আবার হুমড়া চোমড়া।ফোন আসে পৃষ্ঠা, বিস্তার থেকে ও। পুলিশ পড়ে বিপাকে, অগত্যা ছেড়ে দিয়ে এদের নিঃশ্বাস ফেলতে হয়।
যেখানে গত দু'বছর ধরে নেশা মুক্ত র নামে অভিযান চলছে সেখানে কিভাবে এসবের রমরমা বাড়ছে,তা নিয়ে কিন্তু গভীর চিন্তা ভাবনা করা যেমন প্রয়োজন তেমনি প্রয়োজন নেশা সামগ্রী দমনে নয়া কৌশল ও প্রযুক্তি। আগরতলা শহর তো সিসিটিভি রং কভারে।এসব ব্যবহার করে তো নেশা সামগ্রী র ব্যবসায়ী দের সহজেই জালে তুলতে পারে সংশ্লিষ্ট দপ্তর।