আরও আবিষ্কারে উন্মুখ ঊনকোটি

পান্নালাল রায়

March 19, 2025

সম্প্রতি ভাস্কর্যের পাহাড় ঊনকোটি সন্নিহিত দেওড়াছড়া এলাকা থেকে একটি বিগ্রহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।উল্লেখ করা যায় যে,আগেও ঊনকোটি সংশ্লিষ্ট এলাকায় এ রকম বিগ্রহের দেখা মিলেছে।প্রত্নতাত্ত্বিক পীঠভূমি ঊনকোটির আশপাশে এ রকম আরও বিগ্রহ আবিষ্কারের অপেক্ষায় রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।ঊনকোটির ভাস্কর্য সমূহের যথাযথ সংরক্ষণ ও তার উপযুক্ত প্রচার-প্রসার সহ অনাবিষ্কৃত বিগ্রহের বিষয়ে আরও অনুসন্ধানের দাবি উঠছে।

ত্রিপুরা তথা উত্তর পূর্বাঞ্চলের অন্যতম প্রত্নতাত্ত্বিক পর্যটন ক্ষেত্র হচ্ছে ঊনকোটি।পাহাড়ের গায়ে পাথরে খোদিত ভাস্কর্য,পৃথক বিগ্রহ,অরণ্য,ঝর্ণা সব মিলিয়ে এর যেন এক দুর্নিবার আকর্ষণ। কে বা কারা শত শত বছর আগে দুর্গম পাহাড়ে কেন যে এ রকম আশ্চর্য সব ভাস্কর্য সৃষ্টি করেছিল তা ভাবলে আজও আমাদের বিস্মিত হতে হয়।স্রষ্টা কিংবা সৃষ্টিকাল সম্পর্কে সঠিক ভাবে কিছু জানা যায়নি।প্রাচীন কালের অজ্ঞাত শিল্পীর অক্ষয় শিল্প কীর্তি দেখে আজও বিস্ময়ে মুগ্ধ হয় মানুষ। হয়তো স্পষ্ট ইতিহাস অনাবিষ্কৃত বলেই ঊনকোটিকে কেন্দ্র করে রহস্য সৃষ্টি হয়,ছড়ায় কিংবদন্তীর কথামালা। সুদূর অতীতকাল থেকেই শৈবতীর্থ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে আসছে ঊনকোটি।কিন্তু দুর্ভাগ্যের হলেও এটা ঘটনা যে এই অঞ্চলের উল্লেখযোগ্য প্রত্নভূমি ঊনকোটি কাঙ্খিত পর্যায়ে গুরুত্ব পায়নি পর্যটন ক্ষেত্রে। প্রয়োজন অনুসারে প্রচার প্রসারও ঘটেনি।সর্বোপরি সুদীর্ঘকাল আগে থেকেই ভূমিকম্প সহ নানা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে যে প্রত্নভূমি ঊনকোটি বিনষ্ট হতে শুরু হয়েছিল তার তথ্য ছড়িয়ে আছে পুরনো গ্রন্হাদিতে।

বর্তমান ঊনকোটি জেলা সদর কৈলাসহরের দশ কি.মি দূরে পীঠভূমি ঊনকোটির অবস্থান। আগে পথ ছিল দুর্গম।ছড়া,জঙ্গল পেরিয়ে হাঁটা পথে ঊনকোটি পাহাড়ে পৌঁছে মাটির সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হতো দেবভূমিতে।প্রায় ছয় দশক আগেই অবশ্য চিত্রটা পাল্টে গেছে।কৈলাসহর-ধর্মনগর সড়ক থেকে একটি শাখা পথ চলে গেছে পীঠভূমির বুকে।নানা দেবদেবীর মূর্তি ছড়িয়ে আছে পাহাড়ে।শিব মূর্তির আধিক্য বলে শৈবতীর্থ বলে পরিচিতি পেয়ে আসছে ঊনকোটি।মহাদেবের বিগ্রহ ছাড়াও বিষ্ণু,গণেশ,হনুমান ইত্যাদি নানা বিগ্রহ ছড়িয়ে আছে পাহাড়ে।পাহাড়ের গায়ে খোদিত ভাস্কর্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ৩০ ফুট উঁচু শিবের বিগ্রহ। ঊনকোটিশ্বর কালভৈরব বলে খ্যাত এই শিব।এই শিবের মুখের গড়ন অনেকটা উড়িষ্যার জগন্নাথের মতো।পাহাড়ের গায়ে সিংহবাহিনী দেবী দুর্গাও রয়েছেন। ঊনকোটির চতুর্মুখ বিগ্রহটি প্রায় সকলের পরিচিত। তবে চতুর্থ দিকের মুখটি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছে বহু আগেই। পুরাতত্ত্ব বিভাগের মতে ঊনকোটির শিবমূর্তি সমূহ খ্রিস্টীয় অষ্টম বা নবম শতাব্দীর। ঊনকোটিকে কেউ কেউ পাল যুগের শৈবতীর্থ বলে উল্লেখ করেছেন। তবে ঊনকোটির ভাস্কর্য সমূহ যে একই সময়ে নির্মিত হয়নি এটা স্পষ্ট ভাবেই বলা যায়।বিভিন্ন সময়ে নানা ধ্যান ধারণায় ঊনকোটির ভাস্কর্য সমূহের সৃষ্টিকর্ম প্রভাবিত হয়েছে।পাহাড়ের গায়ে খোদিত ভাস্কর্যের তুলনায় পৃথক বিগ্রহ সমূহের নির্মাণ শৈলীতে অধিক মুন্সিয়ানার ছাপ লক্ষ্য করা যায়।সাধারণ ভাবে শৈবতীর্থ বলে পরিচিত হলেও কেউ কেউ আবার ঊনকোটিতে বৌদ্ধ সংস্কৃতির কথাও উল্লেখ করেছেন।

ঊনকোটির প্রাচীনত্ব নিয়ে অনেক লেখালেখি হয়েছে।মহারাজা বীরবিক্রমের নির্দেশ ও পৃষ্ঠপোষকতায় প্রকাশিত 'শ্রীরাজমালা'তে 'ঊনকোটি তীর্থ মাহাত্ম্য' নামে একটি প্রাচীন পুস্তিকার ঊদ্ধৃতি রয়েছে।তার একটি শ্লোকে রয়েছে বিন্ধ্য পর্বতের পাদদেশ থেকে সৃষ্ট বরবক্র(বরাক) নদের দক্ষিণে মনু নদী প্রবাহিত হচ্ছে।এই বরবক্র ও মনু নদীর মধ্যে ঊনকোটি পর্বত অবস্হিত। মহর্ষি কপিল এই পর্বতে তপস্যা করেছিলেন। ঊনকোটি তীর্থ ঊনকোটি পর্বতেরই অংশ।প্রাচীন গ্রন্হকারগণ লিখেছেন, কৈলাসহর থেকে কাছাড়ের পশ্চিম দিকের পাহাড় ঊনকোটি পাহাড়ের অন্তর্ভুক্ত।প্রসিদ্ধ কপিল তীর্থও এর অন্তর্গত।ঊনকোটির প্রাচীনত্ব নিয়ে কোনও সন্দেহ না থাকলেও সুদূর অতীতে যে তা লোকচক্ষুর অন্তরালে ছিল তা অনুমান করা যায়।আবার তীর্থ মাহাত্ম্য সম্পর্কে অবগত হলেও পথের দুর্গমতার জন্য পুণ্যার্থীরা ঊনকোটি আসতে পারেননি।যদিও ষোড়শ শতকে ত্রিপুরার রাজা বিজয় মাণিক্য ও রাজধর মাণিক্যের ঊনকোটি পরিদর্শনের কথা রয়েছে 'রাজমালা'তে,তবু,সে সময়ে সাধারণ পুণ্যার্থীদের ঊনকোটি দর্শন বা রাস্তাঘাটের অবস্থা কিছুই জানা যায় না।ঊনকোটির দুর্গমতা সম্পর্কে ১৮৯২ খ্রিস্টাব্দে তদানীন্তন রাজ সরকারের মন্ত্রী ধনঞ্জয় দেববর্মা একটি রিপোর্টে লিখেছেন-"... উপযুক্ত রাস্তাদির অভাবে যাতায়াতকারী যাত্রীদের পক্ষে ঘোরতর কষ্টের কারণ রহিয়াছে।..." পরবর্তী সময়ে 'শ্রীরাজমালা'র সম্পাদক কালীপ্রসন্ন সেন ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত তাঁর গ্রন্হে উল্লেখ করেছেন যে, আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে নির্মাণের ফলশ্রুতিতে ঊনকোটিতে পুণ্যার্থীদের আগমনের সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকে।

ঊনকোটি যেমন সুদীর্ঘকাল লোকচক্ষুর অন্তরালে ছিল,পথের দুর্গমতার জন্য যেমন পুণ্যার্থীরা আসতে পারেননি এই পীঠভূমিতে,তেমনই অনেক আগে থেকেই ঊনকোটির ধ্বংস প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছিল।সোয়াশো বছর আগে থেকেই যে এই প্রত্নভূমির বিগ্রহ সমূহ ধ্বংস হতে শুরু হয়েছিল তার বিবরণ রয়েছে প্রাচীন গ্রন্হাদিতে।মহারাজা রাধাকিশোর মাণিক্য (১৮৯৬-১৯০৯ খ্রিঃ) ১৯০৩ খ্রিস্টাব্দে ঊনকোটি পরিদর্শন করেছিলেন। রাজার সভাপণ্ডিত চন্দ্রোদয় বিদ্যাবিনোদ 'শ্রীশ্রী যুতের কৈলাসহর ভ্রমণ' গ্রন্হে ঊনকোটি সম্পর্কে লিখেছেন-"...পর্ব্বত পার্শ্বে বহু সংখ্যক মূর্ত্তি খোদিত ছিল, কালক্রমে সমস্তই বিনষ্ট হইয়া গিয়াছে।এখন যাহা আছে ,তাহাও আর বেশীদিন থাকিবে বলিয়া বোধ হয় না।..." ঊনকোটিতে একটি মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের কথাও উল্লেখ করে পণ্ডিত চন্দ্রোদয় বিদ্যাবিনোদ লিখেছেন-'...প্রস্তর ও ইষ্টকরাশি প্রকীর্ণাবস্হায় ইতস্ততঃ পড়িয়া রহিয়াছে।কোন কালে ঐ স্হানে যে প্রস্তর ও ইষ্টক নির্ম্মিত মন্দির ছিল, তাহা বেশ অনুমিত হয়।..." প্রায় শতবর্ষ আগে প্রকাশিত 'শ্রীরাজমালা'র সম্পাদক কালীপ্রসন্ন সেন চারবার ঊনকোটি পরিদর্শন করে লিখে গেছেন প্রথম দর্শনে তিনি যে সব বিগ্রহ দেখেছিলেন পরবর্তী সময়ে দেখেন তার অনেকগুলোই ধ্বংস হয়ে গেছে।১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে ঊনকোটির মূর্তি সমূহের বিস্তর ক্ষতি হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন।প্রায় শতবর্ষ আগেই তিনি লিখেছিলেন-"...পর্ব্বত শৃঙ্গে অবস্হিত প্রস্তর মূর্ত্তিগুলির কতক ভগ্ন হইয়াছে এবং পর্ব্বত গাত্রে খোদিত মূর্ত্তির কোনটি সম্পূর্ণ এবং কোনটি আংশিক ধ্বসিয়া পড়িয়াছে।..."

এইসব বিবরণ থেকে এটা স্পষ্ট যে,সুদীর্ঘকাল আগে থেকেই ঊনকোটির ভাস্কর্য সমূহ ধ্বংস হতে শুরু হয়েছিল। ভূমিকম্পের মতো বড় ধরণের প্রাকৃতিক বিপর্যয় ছাড়াও রোদ বৃষ্টিতে উন্মুক্ত বিগ্রহ সমূহ দীর্ঘদিন ধরে ক্রমেই বিনষ্ট হতে থাকে।এ অবস্থায় সাম্প্রতিক চিত্রটা অনুমান করতে মোটেই অসুবিধা হয় না।ব্যাপক হারে বনাঞ্চল ধ্বংসের প্রভাবও পড়েছে ঊনকোটিতে।ঝর্ণার স্রোত ধারা এখন শীর্ণাকায়।পবিত্র সীতাকুন্ডে জল থাকে না শুখা মরসুমে। সুপ্রাচীন কালে ঊনকোটি কেমন ছিল তা আজ আর আমাদের জানার উপায় নেই, তবে বিংশ শতাব্দীর শুরুতে ঊনকোটির বিবরণ পাওয়া যায় অধুনা দুষ্প্রাপ্য প্রাচীন পুস্তিকায়।

ঊনকোটিতে যেমন অনেক ভাস্কর্য ইতিমধ্যেই বিনষ্ট হয়ে গেছে,তেমনই সন্নিহিত এলাকাতেও আরও কিছু বিগ্রহ মাটির তলায় মুখ লুকিয়ে আছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।সম্প্রতি দেওড়াছড়া এডিসি ভিলেজে বাড়ির কাজ করতে গিয়ে মাটি ধসে পড়ায় একটি বিগ্রহ দেখা যায়।পরে বিগ্রহটি উদ্ধার করে ঊনকোটি নিয়ে যাওয়া হয়।সম্পূর্ণ পাথরে তৈরি দৈর্ঘ্যে ৯৩ সে.মি. এবং প্রস্হে ৫৩ সে.মি. মূর্তিটি ব্রহ্মা মূর্তি বলে জানা গেছে।বিগ্রহটি ঊনকোটির সমসাময়িক কালের সৃষ্টি বলেই ধারণা করা হচ্ছে।আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার(এ এস আই) কৈলাসহর অফিস থেকে অবশ্য বলা হয়েছে এটি অগ্নিদেব বিগ্রহ। ঊনকোটি সন্নিহিত দেওড়া, শিববাড়ি অঞ্চলে এ রকম আরও বিগ্রহ ছড়িয়ে থাকার ধারণা অমূলক নয়।ইতিপূর্বেও এ রকম প্রস্তর বিগ্রহ ঊনকোটি সন্নিহিত এলাকা থেকে আবিষ্কৃত হয়েছে। সম্প্রতি দেওড়াছড়ার যে অঞ্চল থেকে বিগ্রহটি উদ্ধার হয়েছে সেখানে উপযুক্ত খনন কার্যের উপর স্হানীয় ভাবে গুরুত্ব আরোপ করা হচ্ছে।উদ্ধারকৃত বিগ্রহটি সম্পর্কে ত্রিপুরার বিশিষ্ট প্রত্নতত্ত্ববিদ বিপ্রদাস পালিত বললেন, হয়তো প্রাচীনকালে ঊনকোটিতে যে মন্দির ছিল তাতে স্হাপনের উদ্দেশ্যেই বিগ্রহটি নির্মিত হয়েছিল। মন্দিরটি সহ ঊনকোটিতে স্হাপনের উদ্দেশ্যে এ রকম আরও বিগ্রহ সৃষ্টির সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়া যায় না। তবে ঊনকোটির সেই মন্দির কবে নির্মিত হয়েছিল? কে নির্মাণ করিয়েছিলেন? তা নিয়েও ধোঁয়াশা! মহারাজ রাধাকিশোরের সভা পণ্ডিত চন্দ্রোদয় বিদ্যাবিনোদ সোয়াশো বছর আগেই সেই মন্দিরের ধ্বংস চিহ্ন দেখেছিলেন। তাই ধারণা করা যায় তারও অনেক অনেক আগেই নির্মিত হয়েছিল সেই মন্দির।উল্লেখ করা যায় যে,পঞ্চদশ শতকে রচিত ত্রিপুরার রাজকাহিনি নির্ভর কাব্যগাঁথা 'রাজমালা'-তে ঊনকোটির ভাস্কর্য সৃষ্টি বা মন্দিরের কোনও তথ্য নেই।

ঊনকোটির অনেক বিগ্রহ ইতিমধ্যেই বিনষ্ট হয়ে গেছে,হারিয়ে গেছে কালের কবলে।তাই এখনও যা আছে তার যথাযথ সংরক্ষণ সহ এই পর্যটন ক্ষেত্রের উপযুক্ত প্রচার-প্রসার প্রয়োজন। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে যে,সুদূর অতীতকালে সৃষ্ট এই ভাস্কর্যের পাহাড় সুদীর্ঘকাল লোকচক্ষুর অন্তরালে ছিল। পথ ঘাটও ছিল দুর্গম। বর্তমানে অবশ্য পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন ঘটেছে।ঊনকোটির রক্ষণাবেক্ষণে নিয়োজিত রয়েছে এ এস আই।প্রত্নভূমিতে পুণ্যার্থী সহ পর্যটকদের আগমন দিনে দিনে বাড়ছে।তারপরও বলতে হয় ঊনকোটিকে উত্তর পূর্বাঞ্চলের অন্যতম এক প্রত্নতাত্ত্বিক পর্যটন ক্ষেত্র হিসেবে তুলে ধরার যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে।সেই সঙ্গে পীঠভূমির যথাযথ সংরক্ষণের পাশাপাশি মাটির তলায় লুকিয়ে থাকা বিগ্রহের অনুসন্ধানেও আজ স্থানীয়দের পক্ষে গুরুত্ব আরোপ করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন...


Post Your Comments Below

নিচে আপনি আপনার মন্তব্য বাংলাতেও লিখতে পারেন।

বিঃ দ্রঃ
আপনার মন্তব্য বা কমেন্ট ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই লিখতে পারেন। বাংলায় কোন মন্তব্য লিখতে হলে কোন ইউনিকোড বাংলা ফন্টেই লিখতে হবে যেমন আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড (Avro Keyboard)। আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ডের সাহায্যে মাক্রোসফট্ ওয়ার্ডে (Microsoft Word) টাইপ করে সেখান থেকে কপি করে কমেন্ট বা মন্তব্য বক্সে পেস্ট করতে পারেন। আপনার কম্পিউটারে আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড বাংলা সফ্টওয়ার না থাকলে নিম্নে দেয়া লিঙ্কে (Link) ক্লিক করে ফ্রিতে ডাওনলোড করে নিতে পারেন।

Free Download Avro Keyboard

Fields with * are mandatory





Posted comments

Till now no approved comments is available.