।। লিভার ইজ্ লাইফ ।।
ডাঃ অমিতাভ রায়
লিভার নিয়ে কেন এতো হৈ চৈ? বিশ্ব জুড়ে এই দিনটা লিভার দিবস কেন পালন হয়?
উত্তর: মস্তিষ্কের পর লিভার দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং সবচেয়ে জটিল অঙ্গ। শরীরের হজম ক্রিয়ায় তার প্রধান ভূমিকা। আপনি যা খাচ্ছেন, পান করছেন, এমনকি ওষুধও এই লিভার হয়েই যায়। লিভার ছাড়া আপনি বাঁচবেন না। যত্নে না রাখলে, অবহেলায় সহজে তা খারাপ হয়ে যেতে পারে। এজন্য লিভারকে সুস্থ ও রোগমুক্ত রাখতে বলা হয়।
লিভারের কী কাজ?
উত্তর: লিভার আপনার শরীরের জন্য কঠোর পরিশ্রম করে। শত শত জটিল কাজ তার। অসুস্থতা এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে। শরীর থেকে টক্সিন উপাদান বের করে দেয়। কলেস্ট্রলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। রক্তকে তরল রাখে। লিভার বাইল নির্গমণ করে এটা এমন এক ধরনের তরল যা ফ্যাট ভাঙে এবং হজমে সাহায্য করে।
লিভার খারাপ হওয়া নিয়ে উৎকন্ঠার কারণ কী?
উত্তর: রোগ জাকিয়ে বসার আগে বা লিভার খারাপ হবার আগে পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনও লক্ষণ বা উপসর্গ দেখায় না। তখন দেখা যায় দ্রুত ওজন কমছে, হজম ক্ষমতা কমে যায়, জন্ডিস হয়। দেরীতে রোগ ধরা পড়ে বলে চিকিৎসা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। রোগী হয়তো সম্পূর্ণ সেরে নাও উঠতে পারেন। তাই আগে থেকে সাবধান থাকাই মঙ্গল। নতুন প্রযুক্তির ইলাস্টোগ্রাফি মেশিনের প্রোয়োগে অতি সহজে লিভারের রোগের সুচনা সনাক্ত করা সম্ভব। ডায়েবেটিস, উচ্চ কোলেস্টেরল, মদ্যপানে লিপ্ত ব্যাক্তিদের লিভার রোগ হওয়ার প্রবনতা অধিক থাকে।
লিভারকে পরিষ্কার করার কোনও টিপস দেবেন?
উত্তর: রসুন। আঙ্গুর, গাজর, সবুজ শাক-সবজি, আপেল, আখরোট খান। রান্নায় অলিভ অয়েল ব্যবহার করুন। লেবু, লেবুর শরবত, গ্রীণ টি—এগুলোও লিভার পরিচ্ছন্ন রাখে। বাধাকপি, বাজরাও উপকারি। হলুদও লিভারের জন্য উপকারী।
লিভার সুস্থ রাখতে কী করা দরকার?
উত্তর: একমাত্র উপায় স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইলকে বেছে নিন। স্বাস্থ্যকর খাবার খান। নিয়মিত ব্যায়াম করুন। যোগা করুন, হাঁটুন। সমস্ত রকমের, সমস্ত রঙের ফল ও সবজি খান। আঁশ জাতীয় খাবার খাবেন। মদ্যপান, ধূমপানকে না বলুন। অতিমাত্রা ওষুধেও ক্ষতি করতে পারে। এগুলো লিভারের সেলগুলো নষ্ট করতে পারে। সেজন্য ওষুধ খাবেন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী। ভুল কম্বিনেশনে ওষুধ খেলেও লিভারের ক্ষতি হতে পারে।
সুস্থ থাকুন, সতর্ক থাকুন