ছবিমুড়া ভ্রমণ

ঋত্বিকা দাস

March 13, 2025

ত্রিপুরায় অবস্থিত অন্যতম একটি অসাধারণ স্থান যেখানে বিভিন্ন জায়গা থেকে অনেক লোক আসে ভ্রমণ করতে ।

প্ল্যান ছিল যাব চবিমুড়া

যেতে যেতে দুই আড়াই ঘণ্টা শেষ মেষ পৌঁছলাম ।গাড়ি থেকে নেমে প্রথমে ভেতরটা ঘুরতে গিয়ে দেখি কি সেখানে একটা মন্দির আছে মন্দিরের ভেতর একটি শিবলিঙ্গ আর ছোট্ট একটা দুর্গার মূর্তি আছে তার সঙ্গে লক্ষী গণেশ সরস্বতি কার্তিক। আর আমার বাবা গিয়েছে নৌকার টিকেট কাটতে ।কিছুক্ষন পরেই আমাদের নৌকাটা এসেপরে তারপর আমরা নৌকায় উঠেপরি । নৌকাটা চলছিল গুমতী নদীর উপর দিয়ে আর দুই পাশে পাথরের দেওয়াল ।আমাদের নৌকাটা কিছুদূর যেতেই পাথরের দেওয়ালে কতগুলো ছোট ছোট নিখুদ আদিব মানুষের মূর্তি আকা আছে। তারপর আরো অনেক দূর যেতেই পাথরের তৈরি পথ দেখেছি। তারপর আরো অনেকটা পথ যেতে দেখি কি নৌকা ঘুরিয়ে নিলো ,তখন আমি আমার বাঁ দিকে তাকাতেই আমার চোখ ছানাবড়া হয়ে গেল কারণ পাথরের দেওয়ালে একটি বিরাট বড় করে দুর্গা মূর্তি খুদাই করা আছে আমি হতভম্ব হয়ে কিছুক্ষন সেটার দিকে তাকিয়ে রয়েছি মানে এত সুন্দর পাথরে ক্ষুদাই করা মা দুর্গার মূর্তি । আমি মুগ্ধ হয়ে পড়েছি মা দুর্গাকে দেখে ।এরপর কিছু ছবি তুলে আমরা নৌকায় উঠলাম , নৌকা স্টার্ট করে দিয়েছে কারণ এখন তো যেতে হবে। আমার বাবা বলল , এখানে একটা গুহাতে যাওয়ার পথ আছে সেই পথ যদি পার করা যায় । সেখানে একটা পাথরের তৈরি পথ আছে সেই পাথরের তৈরি পথ পার করলে একটা গুহা আছে সেটার মাধ্যমে শ্রীলঙ্কা এবং মায়ানমার যাওয়া । তো এই গল্প শুনতে শুনতে দেখলাম কি আবার নৌকাটা থামালো তখন বাবা বলল যে এই দেখ গুহাতে যাওয়ার পথ তো বললাম বাবাকে চলো ।আমি আর বাবা গিয়েছি আর মা ঠাম্মা ভাই যায়নি।

আমরা চললাম গুহাতে যাওয়ার পথ ছিল দু পাশে।আমরা যাচ্ছি বাঁ পাশের পথ দিয়ে কারণ ডান পাশের রাস্তাটা ছিল ভাঙ্গা আর সরু।তো দুই পাশে পথ আর তার মধ্য দিয়ে পাথর ধোঁয়া জল পার হচ্ছে।আরো অনেকটা পথ যেতেই দেখি কি ,একটা ছোট্ট শিবলিঙ্গ রাখা আছে পাথরের খোপে তো শিব ঠাকুরকে নমস্কার করে চললাম ,আরো অনেকটা যেতেই দেখি কি একটি শিবলিঙ্গ আকা রয়েছে পাথরের দেওয়ালে। আর কিছুটা যেতেই কয়েকটা শিরি সেটা পার করতেই আমরা একবারে গুহার মুখে এটার ভেতরে গিয়ে দেখি গুহাটা পুরো ভাঙ্গা অবস্থায় ছিল আর এটার ভেতরে ছোট্ট ছোট্ট মাছ ছিল ,আমি অবাক হয়ে গেলাম।তো এই সুন্দর দৃশ্য দেখে চললাম নৌকার দিকে। তো নৌকায় উঠতেই শুনি একজন বলছিলো যে এই গুহা পার করলে একটা ৩০০ বছর পুরোনো বটগাছ আছে , বটগাছটির শিকড় নাকি ৩ কানি জায়গা নিয়ে ঘেরা আর সেটার নিচে একটা শিব ঠাকুরের মূর্তি আছে ।এই গুহা দিয়ে অনেক বছর আগে কয়েকজন লোক গিয়েছিল তারা আর ফিরে আসেনি এবং তাদের আর খুঁজেও পাওয়া যায়নি। আর যারা যারা গিয়েছিল গুহা দেখতে তারাও আসলো। তারপর নৌকা স্টার্ট করা হলো ,ভালো ভাবে আমরা ঘটে এসেছি ,কিন্তু কে বলবে এখন একটা হাস্যকর ঘটনা ঘটবে,

আমাদের নৌকাটা ভালোভাবে ভাবে ঘাটে আসল কিন্তু হঠাৎ করে নৌকাটা বন্ধ হয়ে পড়ল ,নৌকা তো আর স্টার্ট হচ্ছেনা ,আমাদের নৌকার ঠিক পিছনেই ছিল বিরাট জঙ্গল , মানে আমাদের নৌকাটা আর একটু পিছনে গেলেই জঙ্গলে চলে যাব ,, নৌকা স্টার্ট হচ্ছে না আর নৌকা জঙ্গলে চলে যাচ্ছে ,, আর নৌকার মধ্যে জঙ্গলের ডাল পালা ঢুকে যাচ্ছে ।তার পর আমাদের সঙ্গে এক বোটে করে গিয়েছিলেন একজন ব্যক্তি আর কয়েকজন মহিলারা বুদ্ধি করে জঙ্গলের গাছপালার ডালগুলিকে ধরে নৌকাটাকে তো থামালো তার কিছুক্ষন পরে নৌকাও স্টার্ট হয়ে গেলো তারপর আমরা ঘাটে উঠে কিছু ছবি তুলে গাড়িতে উঠে পড়লাম। এবং বাড়ির পথে রওনা দিলাম।

ঋত্বিকা দাস

সপ্তম শ্রেণি

ভবনস্ ত্রিপুরা বিদ্যামন্দির

আগরতলা, ত্রিপুরা

আরও পড়ুন...


Post Your Comments Below

নিচে আপনি আপনার মন্তব্য বাংলাতেও লিখতে পারেন।

বিঃ দ্রঃ
আপনার মন্তব্য বা কমেন্ট ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই লিখতে পারেন। বাংলায় কোন মন্তব্য লিখতে হলে কোন ইউনিকোড বাংলা ফন্টেই লিখতে হবে যেমন আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড (Avro Keyboard)। আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ডের সাহায্যে মাক্রোসফট্ ওয়ার্ডে (Microsoft Word) টাইপ করে সেখান থেকে কপি করে কমেন্ট বা মন্তব্য বক্সে পেস্ট করতে পারেন। আপনার কম্পিউটারে আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড বাংলা সফ্টওয়ার না থাকলে নিম্নে দেয়া লিঙ্কে (Link) ক্লিক করে ফ্রিতে ডাওনলোড করে নিতে পারেন।

Free Download Avro Keyboard

Fields with * are mandatory





Posted comments

Till now no approved comments is available.