চলো পাল্টাই – ৯ই মার্চ ৩ বছর পূর্ন হচ্ছে, বিজেপি কি শ্বেত পত্র প্রকাশ করবে?

জয়ন্ত দেবনাথ

চলো পাল্টাই-র শ্লোগান দিয়ে শাসন ক্ষমতায় বসেছে বিজেপি-আইপিএফটি-র জোট সরকারের তিন বছর আগামী ৯ই মার্চ পূর্ন হচ্ছে। এই তিন বছরের শাসনকালে বিজেপি-আইপিএফটি জোট রাজ্যের সার্বিক রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিমন্ডলে কোথায় কতটা কি পরিবর্তন আনতে পেরেছে তা এরাজ্যের রাজনৈতিক সচেতন মানুষের কারোরই অজানা নয়। বিজেপি-আইপিএফটি জোট গত বিধানসভা ভোটের মুখে কিসব প্রতিশ্রুতি দিয়ে শাসন ক্ষমতায় এসেছিলেন, আর তিন বছর সময়কালের মধ্যে রাজ্যের সরকারী কর্মচারীদের সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুসারে কেন্দ্রীয় হারে বেতনক্রম প্রদান সহ ভিসন ডকুমেন্টের বিভিন্ন প্রতিশ্রুতির কতটা পূরণ হয়েছে তাও আজ সবার চোখের সামনেই রয়েছে।

অবশ্য বিজেপি-আইপিএফটি জোটের মুখ্যমন্ত্রীর মতে, ভিসন ডকুমেন্টে যা যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল বহু ক্ষেত্রে তাঁর চেয়েও বেশী কাজ করা হয়েছে। কিছু কাজ বাকি রয়েছে। সেগুলিও পাঁচ বছরের মধ্যেই শেষ করা হবে। শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব প্রায়শই এটাও বলেন, ত্রিপুরা দেশের মধ্যে ইতিমধ্যেই একটা মডেল রাজ্য হয়ে গেছে। সাব্রুমের এস ই জেড চালু হয়ে গেলে ত্রিপুরা হবে দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের মানুষের অন্নদাতা। শুধু সাব্রুমের এস ই জেড-কে কেন্দ্র করেই রাজ্যের আড়াই লক্ষ বেকারের কর্মসংস্থান হতে পারে। পাশাপাশি ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দিরের সৌন্দরায়নের কাজে ৯০ কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে। সেই কাজটি হয়ে গেলে সেখানে আরও দেড় লাখ বেকারের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়ে যাবে। অবশ্য তার মতে ত্রিপুরায় এখন বেকারের সংখ্যা সাত লাখ থেকে কমে দুই লাখে নেমে এসেছে।

মুখ্যমন্ত্রীর দাবী, ত্রিপুরায় ইতিমধ্যেই ২৩ হাজার বেকারের বিভিন্ন সরকারী দপ্তরে রেগুলার ও আউটসোর্সিং মিলিয়ে চাকুরী হয়ে গেছে। আর রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে ৯৬ হাজার বেকারের। তাছাড়া ব্যাংক লোন নিয়ে বিভিন্ন ব্যবসা বানিজ্য, পশুপালন, কৃষি, মৎস্য, রাবার, চা শিল্প ইত্যাদি কাজে লক্ষাধিক বেকারের কর্মসংস্থান হয়েছে। বিভিন্ন শিল্প ক্ষেত্রেও প্রচুর লগ্নী এসেছে। এবং গত তিন বছর সময়কালের মধ্যে রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নে এরাজ্যে বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকার যে পরিমাণে উন্নয়নমূলক কাজকর্ম করেছে তা গত ২৫ বছরেও বামফ্রন্ট সরকার করতে পারেনি। মুখ্যমন্ত্রী মতে, গত ২৫ বছরে বামফ্রন্ট সরকার-এর সময়ে রাজ্যে উন্নয়নের অর্থের এন্তার চুরি হয়েছে। তাই গত ২১শে ফেব্রুয়ারী শহরের স্মার্টসিটির পাঁচটি প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন- কত চোর ধরবো? তাই এক্ষণে ঠিক করেছি চোর ও চুরি পরে ধরবো। এক্ষণে আগে কাজ করে নেই। মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, শুধু রাজধানী শহরের স্মার্টসিটি এবং মফস্বলের পুর ও নগর শহর গুলির উন্নয়নে তাঁর সরকার ১৬০০ কোটি টাকা লোন নিয়েছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) থেকে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও বলেছেন, প্রতিটি নগর পঞ্চায়েত ও পুর এলাকায় গড়ে ৮০ থেকে ১০০ কোটি টাকা খরচ করা হবে। সব মিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মতে, ত্রিপুরা ‘হিরা প্লাস’ স্কিমে দ্রুত গতিতে এগুচ্ছে।

কিন্তু চলো পাল্টাই-র শ্লোগান দিয়ে ক্ষমতায় এসে ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশের’ গতি ধারাকে অব্যাহত রাখতে গিয়ে শুরু থেকেই নিজের শরীক দলের কাজিয়ার কারনে যে গ্রাম শহরের মানুষের আজ উষ্ঠাগত প্রান এটা মুখ্যমন্ত্রী মানতে নারাজ। অবশ্য এব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী কোন সভা সমিতিতেই জোর গলায় কিছু বলতেও চাননা। এ ব্যাপারেও কিছু বলতে চান না কেন রাজ্যের সামগ্রিক উন্নয়নের ধারাকে জোর গতিতে এগিয়ে নিয়ে যেতে রাজ্য মন্ত্রীসভায় চারটি শূন্যপদে কোন মন্ত্রী নেওয়া হচ্ছেনা। মুখ্যমন্ত্রীর মুখে এসম্পর্কেও খুব বেশী কথা শোনা যায়না ২০১৮ এর বিধানসভা ভোটের মুখে রাজ্যের পাহাড়ী ও এডিসি এলাকার মানুষের সার্বিক উন্নয়নে আইপিএফটি-র সাথে যে ‘মৌ’ স্বাক্ষরিত হয়েছিল সেই অনুযায়ী এডিসির উন্নয়নে কেন কোন কাজ হচ্ছেনা। মুখ্যমন্ত্রী এব্যাপারেও কিছু বলছেনা নেশামুক্ত ত্রিপুরা গঠনের শ্লোগান দিয়ে এক্ষণে কেন আগে কোনদিনই ছিলনা এমন জায়গাতেও দেশী বিদেশী মদের দোকান খোলার অনুমোদন বা লাইসেন্স প্রদান করা হচ্ছে?

মুখ্যমন্ত্রী এ ব্যাপারেও খুব বেশী কিছু বলছেননা কেন গাঁজা, ইয়াবা, ফেন্সিডিল, হিরোইন, ব্রাউন সুগারের মতো নেশা সামগ্রীর রমরমা গত তিন বছরেও বন্ধ করা গেলনা ? মুখ্যমন্ত্রী এব্যপারেও কিছু বলছেননা কেন- রাজ্যে দু-দুটি মেডিক্যাল কলেজ থাকা সত্ত্বেও এরাজ্যের শত শত গরীব মানুষকে এখনো ভাল চিকিৎসার জন্য বহিঃরাজ্যের হাসপাতালমুখী হতে হয়? উল্টো মুখ্যমন্ত্রীর ভাষায় ত্রিপুরার স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নাকি মুম্বাই-র থেকেও ভালো। আবার তিনিই বলে থাকেন গত ২৫ বছর ধরে বামফ্রন্ট সরকার রাজ্যের উন্নয়নে কিছুই করতে পারেনি। তাই ভোটের আগে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মানুষ বিশ্বাস করেছিল যে বিজেপি-আইপিএফটি-র জোট সরকার ক্ষমতায় এলে এরাজ্যের মানুষকে আর ভালো চিকিৎসার জন্যে বহিঃরাজ্যে ছুটতে হবে না। ত্রিপুরার বেকারদের চাকুরীর জন্যে বাইরের রাজ্যে যেতে হবেনা। গাঁজা, ইয়ারা, হিরোইন, ব্রাউন সুগারের রমরমা কমবে। গঠিত হবে নেশামুক্ত ত্রিপুরা। কিন্তু এখন তো বহুক্ষেত্রে দেখা গেছে আগে যেসব অপরাধ বছরে তিনশতটি হত এক্ষণে তা খুব বেশী কমেনি। তাহলে এই চলো পাল্টাই-র মানে কি হয় ? রাজ্যের মানুষ কিন্তু আজ এই প্রশ্ন তোলেছেন?

অথচ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজে বলে বেড়াচ্ছেন ত্রিপুরা রাজ্য সবক্ষেত্রেই প্রধানমন্ত্রী হীরাপ্লাস স্কিমে দ্রুত গতিতে এগুচ্ছে।

পক্ষান্তরে, মুখ্যমন্ত্রীর শরীক দলের লোকরাই বলছেন- রাজ্যের গ্রাম পাহাড়ের মানুষ আগের মতো রেগার কাজ পাচ্ছেনা। বহু মানুষের ভাতা আটকে দেওয়া হয়েছে। নতুন করে ভাতার তালিকায় নাম ঢোকানো হচ্ছে না। গ্রামগঞ্জে নতুন রাস্তা হচ্ছেনা। পুরানো বহু রাস্তার বেহাল দশা। সারাই করা হচ্ছেনা। বহু স্কুল শিক্ষকের অভাবে বন্ধের মুখে। কলেজ গুলিতে পর্যাপ্ত শিক্ষক/অধ্যাপক নেই। বহু কলেজে স্থায়ী অধ্যক্ষ নেই। বহু হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক, নার্স, চিকিৎসার সারঞ্জাম নেই। বহু ক্ষেত্রে স্থানীয় ঠিকাদার, বেকার উদ্যোগীরা কর্মহীন। বহুক্ষেত্রে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারী করে রাখা হয়েছে ইন্টারভিউ গ্রহণ করা হচ্ছেনা। টিএসআর, পুলিশের কনস্টেবল থেকে শুরু করে চিকিৎসক, নার্স, কৃষি দপ্তর, গ্রামোন্নয়ন দপ্তর, স্বাস্থ্য দপ্তরে শত শত শূন্যপদে স্হায়ী ভাবে লোক নিয়োগ করা হচ্ছেনা। যা কিছু নিয়োগ হচ্ছে তাও হচ্ছে আউট সোর্সিৎ এজেন্সির মাধ্যমে। অথচ বিজেপি আইপিএফটি-র জোট ক্ষমতায় আসার আগে তাঁদের নির্বাচনী ভিসন ডকুমেন্টে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল নয়া জোট সরকার ক্ষমতায় আসার এক বছরের মধ্যেই ৫০ হাজার শূন্যপদে লোক নিয়োগ করা হবে। ভিসন ডকুমেন্টে আরও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল সব চুক্তিবদ্ধ অনিয়মিত সরকারী কর্মচারীদের নিয়মিত করা হবে। যুবকদের স্মার্টফোন দেওয়া হবে বিনামূল্যে। সামাজিক ভাতা নুন্যতম দুই হাজার টাকা করা হবে। কিন্তু দেওয়া হচ্ছে এক হাজার টাকা। প্রতিশ্রুতি ছিল রেগার নুন্যতম মজুরী ৩৪০ টাকা করা হবে। কিন্তু দেওয়া হচ্ছে ২০৫ টাকা। প্রতিশ্রুতি ছিল- রোজভ্যালীর টাকা ফেরতের ব্যবস্থা সহ চিটফান্ড কান্ডে জড়িতদের চিহ্নিত করে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রতিশ্রুতি ছিল সবার বাড়ীতে পাকাঘর বানিয়ে দেওয়া হবে। সব বিপিএলদের ফ্রি ইন্সুরেন্স করে দেওয়া হবে। সবার বাড়ীতে বিনামূল্যে পাইপলাইনে বিশুদ্ধ পানীয়জলের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। সর্বোপরি রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের সপ্তম বেতন কমিশন অনুযায়ী স্কেল ও ভাতা সহ রাজ্যের সব পরিবারে একজনের নিশ্চিত কর্মসংস্থানের মতো প্রতিশ্রুতি ছিল। নেতাদের ভাষণ বক্তৃতা সহ বিজেপি-র ভিসন ডকুমেন্টে কম করেও এরকম ২৯৯টি-র মতো প্রতিশ্রুতি ছিল। তাছাড়া মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ভাষণ বক্তৃতায় ইদানিং একটি কথা বার বার বলছেন গত ২৫ বছরে এ রাজ্যের মানুষকে বোকা বানিয়ে রেখেছিল বাম নেতা মন্ত্রীরা। রাজ্যকে সামগ্রিক ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কোন চিন্তা ভাবনা ছিল না। মুখ্যমন্ত্রীর ভাষায় কোন ‘সেহি সৌচ’ ছিলনা বাম নেতা এবং মন্ত্রী তখনকার সরকারী আমলা, অফিসার কর্মচারীদের। কিন্তু এক্ষণে তিনি নেতামন্ত্রী সরকারী অফিসার, আমলা কর্মচারীদের সেই সৌচকে বদলাতে পেরেছেন। তাই অফিসাররা একসময় ভূমিকম্পের কথা বলে রাজ্যে পাঁচ ছয় তলার বেশী উচ্চতার বিল্ডিং বানানোর অনুমোদন দিতেন না। এখন ‘সৌচ বদল’- এর কারনে সেই একই অফিসার আমলারা ত্রিপুরা ভূমিকম্পের সর্বোচ্চ বিপদ সংকেতের রাজ্য জোন-৫-এ থাকার পরও ত্রিপুরাতে ১৫ তলা বিল্ডিং এর অনুমোদন দিতে দ্বিধা দ্বন্দ প্রকাশ করছেনা। মুখ্যমন্ত্রীর মতে, এর নামই সেহি সৌচ এবং সেহি দিশায় উন্নয়ন। মুখ্যমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোটের প্রচারে গিয়ে সেখানেও এসব কথা বলে এসেছেন। ২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটের আগে ভিসন ডকুমেন্টের অধিকাংশ প্রতিশ্রুতি পূরণ করা হয়ে গেছে বলে তিনি দাবী করছেন।

কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে ক’টি প্রতিশ্রুতি পূরণ করা হয়েছে বা পূরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে? আশা করা হচ্ছে বিজেপি তাদের তৃতীয় বর্ষপূর্তির আগে এনিয়ে একটি শ্বেত পত্র অবশ্যই প্রকাশ করবেন। কেননা, শাসকদলের শরীক আইপিএফটি সহ কংগ্রেস, সিপিএম সহ সবক’টি বিরোধী রাজনৈতিক দলের অভিযোগ রাজ্যের মানুষ বিজেপির তিন বছরের শাসনকালে উন্নয়নমূলক কাজকর্ম কিছুই হয়নি। মানুষ সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে পারছেনা। রাজ্যজুড়েই মানুষ বাক স্বাধীনতা হারিয়েছেন। বিভিন্ন প্রিন্ট, ওয়েব ও ইলেকট্রনিক্স নিউজ মিডিয়াতে তো বটেই, সোশ্যাল মিডিয়াতে পর্যন্ত মানুষ নিজেদের মতামত ব্যক্ত করতে পারছেনা। কম করেও অর্ধ শতাধিক লোকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে শুধু সোশ্যাল মিডিয়াতে মুখ্যমন্ত্রী বা বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরার জন্যে। রাজ্যে এখন পর্যন্ত কম করেও গত তিন বছরে ২১ জনের মতো প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিক রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আক্রান্ত হয়েছে। বেশ কিছু কেবল চ্যানেল ও পত্রিকা ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে।

রাজ্য মিডিয়া কর্মীদের সর্ববৃহৎ সংগঠন এসেম্বলি অব জার্নালিস্টের মতে, রাজ্যের একাংশ মিডিয়াকে যারা সরকারের বিভিন্ন অনৈতিক কাজকর্মের সমালোচনা করতে চায় তাদের সাথে প্রশাসন বৈমাত্রিক সুলভ আচরন করছে। বিনা কারণে বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এক্রিডেশান কার্ড আটকে রাখা হচ্ছে। বর্ষীয়ান বেশ কিছু সাংবাদিক সরকারী নিয়ম মেনে তথ্য দপ্তরের সার্কুলার অনুযায়ী পেনশন পাওয়ার অধিকারী হলেও তাদের পেনশন প্রদান করা হচ্ছেনা।

একই সাথে রাজ্যের সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের সার্বিক কল্যাণে গত বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপি-র তরফে তাদের ভিসন ডকুমেন্টে একাধিক প্রতিশ্রুতি প্রদান করা হলেও খুব কমক্ষেত্রেই এসব প্রতিশ্রুতি পূরণে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মোট কথায় বিরোধীদের ভাষায় রাজ্যে শাসন ক্ষমতায় টিকে থাকতে বিজেপি ও আইপিএফটি-র শরিকী দ্বন্ধ সহ বিজেপি-র অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন কর্মকান্ডের কারণে তিন বছরেই রাজ্য জুড়ে একটি অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গেছে। ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ ও বিশ্বাস’-এর শ্লোগান কার্যকরে আরও আন্তরিক না হলে নিকট দিনে বিজেপি ও বিপ্লব দেব উভয়েই যে আরও কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়বেন তা বলাই বাহুল্য।


You can post your comments below  
নিচে আপনি আপনার মন্তব্য বাংলাতেও লিখতে পারেন।  
বিঃ দ্রঃ
আপনার মন্তব্য বা কমেন্ট ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই লিখতে পারেন। বাংলায় কোন মন্তব্য লিখতে হলে কোন ইউনিকোড বাংলা ফন্টেই লিখতে হবে যেমন আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড (Avro Keyboard)। আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ডের সাহায্যে মাক্রোসফট্ ওয়ার্ডে (Microsoft Word) টাইপ করে সেখান থেকে কপি করে কমেন্ট বা মন্তব্য বক্সে পেস্ট করতে পারেন। আপনার কম্পিউটারে আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড বাংলা সফ্টওয়ার না থাকলে নিম্নে দেয়া লিঙ্কে (Link) ক্লিক করে ফ্রিতে ডাওনলোড করে নিতে পারেন।
 
Free Download Avro Keyboard  
Name *  
Email *  
Address  
Comments *  
 
 
Posted comments
Till now no approved comments is available.