বঙ্গ ভোট: লড়াই কঠিন হলেও এখন পর্যন্ত পাল্লাভারী দিদির-ই
বিশেষ প্রতিনিধি
বিভিন্ন ওপিনিয়ন পুল ইতিমধ্যেই একটা ধারনা দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ফলাফল কি হতে পারে । তার বাইরে বাংলার বিভিন্ন পেশার সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে যে ধারনা পাওয়া গেছে খুব সংক্ষেপে তা এখানে তুলে ধরা হলো। কুড়ি ফেব্রুয়ারি থেকে তেইশ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ে কোলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন পেশায় যুক্ত মানুষের মধ্যে প্রতি দিন দশ জন করে মতামত নেওয়া হয়েছে । প্রধান প্রশ্ন ছিল দুটি । নির্বাচনে কি হতে পারে ? কোন দল ক্ষমতায় আসতে পারে ? এর পরে নানা বিষয়ে সাধারন প্রশ্ন ছিল । কুড়ি ফেব্রুয়ারী প্রথম দিন দশ জনের মধ্যে চার জন বলে দেন বিজেপি আসতে পারে। এবং আসলে পশ্চিমবঙ্গের জন্য ভালো হবে । ছয় জন বলে দেন সরকার পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই । টি এম সি পুনরায় আসছে । একুশ ফেব্রুয়ারী নতুন করে দশ জনের মধ্যে তিন জন বিজেপি আসছে বলেন । একজন বলেন কিছু বলতে পারবো না । একজন কংগ্রেস- সিপিএম জোটের কথা বলেন । পাঁচ জন টি এম সি ' ই আবার ক্ষমতায় আসবে বলেন । বাইশ ফেব্রুয়ারি দশ জনের মধ্যে দুই জন সোজাসাপ্টা বলেন বিজেপি চাই । একজন বলেন সিপিএম সরকারে আসার মতো জায়গায় নেই বলে সরকার পরিবর্তনের জন্য বিজেপি চাই । একজন বলেন কিছু বলবো না । ছয়জন সরকার পরিবর্তন চান না । টি এম সি আসবে বলেন । তেইশ ফেব্রুয়ারি চার জন বিজেপির পক্ষে মতামত দিলেও ছয় জন সরকার পরিবর্তন চান না । টি এম সি কেই চান । অর্থাৎ এখন ভোট হলে তৃণমূলের কিছু আসন কমে গেলেও পুনরায় ক্ষমতায় আসবে বলেই মতামতে উঠে আসে। গত বার তৃনমূল পায় ২৯৪ এর মধ্যে ২১১ আসন । এখন ভোট হলে ১৮০ – ১৯০ আসন তৃনমূল পেতে পারে । বিজেপি পেতে পারে ১০০ - ১১৫ আসন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পন্ডিতরা। গত লোকসভার মতো সিপিএমের একাংশ ভোট বিজেপিতে যেতে পারে। তা যদি হয় তাতে বিজেপি আরও সামান্য এগিয়ে যেতে পারে । তবে তার পরও বিজেপি ক্ষমতায় আসবে তা কিন্তু নিশ্চিত ভাবে মতামতে উঠে আসেনি । সি বি আই ব্যবহার করাকে তৃণমূলের প্রতি প্রতিহিংসা মূলক কাজ বলেই অনেকে মনে করছেন । নির্বাচন পর্ব মিটে গেলে সি বি আই কে আর খোঁজ পাওয়া যাবে না বলেই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন । কেন্দ্রীয় সরকারের চাপে ভোট পর্ব আদৌ নিরপেক্ষ হবে কিনা তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন কেউ কেউ। ( কোলকাতা থেকে ঘুরে এসে প্রতিবেদনটি লিখেছেন ত্রিপুরার এক সিনিয়র সাংবাদিক)