সংহতি মেলা নিয়ে কিছু কথা

নিজস্ব প্রতিবেদন



২০০১ সালে কৈলাসহর টাউন হলে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আশ্রয়ের উদ্যোগে সংহতি মেলার জন্ম হয়। প্রথম বারেই এই মেলা প্রবল জনপ্রিয়তা লাভ করে। সেবার পশ্চিমবাংলার জনপ্রিয় লোকগীতির শিল্পী স্বপন বসু টি,আর,টি, সি, অফিস চত্বরে অনুষ্ঠান মঞ্চে গান গেয়ে সকলকে মুগ্ধ করেন। প্রথম বছরেই সাধারণ মানুষের মধ্যে এই মেলাকে নিয়ে দারুন আবেগের সৃষ্টি হয়। এর পরের বছরও মানুষের কাছ থেকে আবার মেলা করার দাবী উঠে। মানুষের দাবীতে, শত অসুবিধা আর্থিক অনটন সত্বেও আবার আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। দলমত নির্বিশেষে কৈলসহরের সকল অংশের মানুষ মেলায় অংশ গ্রহণ করেন। আশ্রয়ের এই মেলা আজ যৌন প্রাপ্ত। এবার মেলার ২১ বছর পূর্ণ হলে। এই ২১ বছরে ক্রমেই মেলাটি কৈলাসহর তথা রাজ্যের ঐতিহ্য হয়ে উঠেছে।

এই মেলার প্রেরণা দাতা হচ্ছেন কমিটি ফর নেশনাল ইন্টিগ্রেশনের (CNI) তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত সুধাংশু শেখর রায় চৌধুরী। ২০০০ সালে আগরতলা টাউন হলে CNI-এর একটি অনুষ্ঠান হয়। বিষয় ছিল জাতীয় সংহতি এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। সেই অনুষ্ঠানে রাজ্যের সবকটি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন প্রয়াত অনিল সরকার, শ্যামা চরণ ত্রিপুরা। উপস্থিত ছিলেন বিজয় রাংখল, তৎকালীন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিংহ। সি এন আই - এর অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন রাজ্যপাল কে এম শেঠ। এই অনুষ্ঠান থেকে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আশ্রয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তথা তৎকালীন পি সি সি সভাপতি বীরজিৎ সিং অনুপ্রাণিত হন। তিনি রাজনৈতিক মতাদর্শগত এবং ব্যক্তিগত ভাবে অসাম্প্রদায়িক মানসিকতার অধিকারী। ২০০০ সালে সি এন আই -এর সৌভ্রাতৃত্ববোধ জাগরূক করার অনুষ্ঠান তাকে তীষণ নাড়া দেয়। তার মনে জাগে চারিদিকে প্রতি বছর নানা থিমের উপর সরকারী বেসরকারী মেলা হচ্ছে। কিন্তু জাতীয় সংহতির উপর মেলা হচ্ছে না। অথচ আমাদের এই ভারতবর্ষ নানা ভাষা, নানা বর্ণ, সম্প্রদায় ও নানা ধর্মের দেশ। সব মিলে মিশে একাকার। বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য, ঠিক এমন উদাহরণ পৃথিবীর আর কোন দেশে খুজে পাওয়া কঠিন। বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য আমাদের ত্রিপুরাতেও বর্তমান। এ থেকেই বীরজিৎ সিংহের মধ্যে তীব্র স্পৃহা জাগে সংহতি মেলা করার এটি স্থায়ী রূপ পাবে কি না এব্যাপারে তার কিছুটা খটকা থাকলেও, আশ্চর্যের বিষয় যে সাধারণ মানুষ এই মেলাকে জোরালো ভাবে বরণ করে নেন এবং মেলাতে স্থায়ী রূপ দিতে উৎসাহ যোগান। ২০০৫ সালে এই মেলা আয়োজিত হয় খাওরাবাবিলের চতুর্দশ দেবতার মন্দির প্রাঙ্গনে। সেই মেলায় রাজ্য রাজধানী ও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের গণমান্য ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন। লক্ষ মানুহের উপস্থিতিতে মেলার সমাপ্তি ঘটে।

২০০৬ সালে সংহতি মেলার পরিধি বৃহৎ আকার ধারণ করে। মেলা স্থানান্তরিত হয় বিশাল বিদ্যানগর স্কুল মাঠে। রাজধানী আগরতলা সহ রাজ্যের বিভিন্ন স্থান থেকে এমনকি দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে স্ব-সহায় দল এবং অন্যান্য বানিজ্যিক সংস্থা তাদের স্টল নিয়ে মেলায় যোগ দিতে শুরু করে। কৈলাসহরে এই মেলা আয়োজিত হলেও ক্রমশঃ রাজাভিত্তিক মেলায় পরিণত হতে থাকে। এ পর্যন্ত দুজন রাজ্যপালের উপস্থিতিতে সমৃদ্ধ হয়েছে সংহতি মেলা। ২০০৭ সালে রাজ্যপাল দিনেশ নন্দন সহ্য এবং ২০১৪ সালে রাজাপাল দেবানন্দ কোনায়ার মেলার উদ্বোধন করেন। মেলার আভ্যন্তরিন সাজসজ্জা, শৃঙ্খলা, সংহতির উপর নানা ধরণের অনুষ্ঠান প্রতিবছর হয জেনে তারা আয়োজকদের ভূয়সী প্রসংশা করেন। এছাড়াও বিভিন্ন সময় রাজ্যের প্রথিতযশা ব্যক্তি যেমন ত্ৰিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অরুনোদয় সাহা (প্ৰাক্তন), রামকৃষ্ণ মিশনের আপারতলার দায়িত্ব প্রাপ্ত সম্পাদক স্বামী হিতাকামানন্দজী মহারাজ, কৈলাসহর রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের প্রয়াত সম্পাদক স্বামী জুষ্টানন্দজী মহারাজ, বি এস এফের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল ডি কে শর্মা (বর্তমান আই জি) সহ আরও কয়েকজন শীর্ষ বি এস এফ আধিকারিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করতে আসেন। গত বছর মেলার উদ্বোধন করেন সর্বধর্মের পণ্ডিতরা। এই মেলাতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দলের জনপ্রতিনিধি, সাংসদ, বিধায়ক অতিথি হিসাবে যোগ দিয়েছেন। প্রখ্যাত সাহিত্যিক বিকচ চৌধুরীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ২০১৯ সালে বিশেষ অতিথি হিসাবে সংহতি মেলার মঞ্চে উপস্থিত হয়েছিলেন সাংসদ জীতেন চৌধুরী। যতদিন যাচ্ছে এভাবেই এই মেলা জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তিত্বের আগমনে সমৃদ্ধ হচ্ছে।

সংহতি মেলা সরকার পরিচালিত কোন মেলা নয়। কিন্তু এই মেলার একটা দিক হচ্ছে মূল থিমের বাইরে বিভিন্ন স্ব-সহায়ক দলকে ব্যবসা করার কাজে উৎসাহিত করা এবং ব্যবসার সুযোগ করে দেওয়া। এই স্ব-সহায়ক দলগুলি সরকারের গ্রামোন্নয়ন দপ্তর কর্তৃক গঠিত। সরকারের বিভিন্ন দল স্ব-সহায়ক দলগুলোকে উৎসাহিত করার জন্য মেলার আয়োজন করে থাকে। কিন্তু সংহতি মেলার বিশেষত্ব হচ্ছে অনুষ্ঠানের বৈচিত্রময়তা। সবার জনা এখানে অনুষ্ঠান হয়। সমাজের সব অংশের মানুষ এজন্য মেলায় ছুটে আসেন। সংহতি মেলার সাংস্কৃতিক মঞ্চ সবার জন্য উন্মুক্ত বলে শুরু থেকেই ঘোষিত হয়েছে। এই মেলার আয়োজকরা সংস্কৃতি নিয়ে যেকোন সংকীর্ণতার উর্দ্ধে। এখানে সবাই স্ব স্ব প্রতিভা অনুযায়ী সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের উপস্থাপনা করতে পারে। এর ফলে মদ্ধের চারপাশ ঘিরে থাকেন নৃত্য, সঙ্গীত শিল্পীরা। এছাড়াও হাজির হন আবৃত্তিকার ও নাট্য অভিনেতারা। ভীর করেন গ্রামীন শিল্পীরাও। আর অনুষ্ঠান উপভোগ করতে আসেন অসংখ্য দর্শক শ্ৰেতা। ফলে মেলা হয়ে উঠে জমজমাট। এর ফলে স্ব-সহায়ক দলগুলো তাদের পসরা ভালোভাবেই বিক্রয় করতে পারেন। শিল্প সংস্কৃতির শহর কৈলাসহরের লেখক, শিল্পী ও সাহিত্যিক প্রতিবছর যেমন সংহতি মেলাকে তাদের প্রতিভায় সমৃদ্ধ করে চলেছেন তেমনি রাজ্য রাজধানীর বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী এমনকি দেশের বিভিন্ন রাজ্যের সংগীত শিল্পী সংহতি মেলার মঞ্চে সংগীত পরিবেশন করে হাজার হাজার দর্শক শ্রোতাকে মুদ্ধ করেছেন এবং আগামী দিনেও করবেন। ২০০৭ সালে জি বাংলা সারেগামাপা চ্যাম্পিয়ান দেবজিৎ সাহা এবং ২০০৮ সালে ইন্ডিয়ান আইডলের রানার্স অমিত পাল সহতি মেলা মঞ্চে গান গেয়ে দর্শকদের মন জয় করেন। এছাড়াও আসাম, পশ্চিমবাংলা, মোম্বাইয়ের খ্যাতনামা শিল্পীরা এই মেলায় সংগীত পরিবেশন করেছেন। এছাড়াও মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, মণিপুর সহ উত্তর পূর্বাঞ্চলের শিল্পী কলা কুশলীরা এই মেলায় তাদের নিজস্ব ঘরানার সংস্কৃতিক কর্মযজ্ঞ প্রদর্শন করে গেছেন। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের লোকগীতি শিল্পী আইরিন মুন্নী সঙ্গীত পরিবেশন করেন।

সংহতি মেলার বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে দশদিন ব্যাপী মেলার প্রতিটি দিনকে একেকটি দিবস হিসাবে পালন করা হয়৷ যে দিনকে যে দিবস হিসাবে পালন করা হয় ওই বিষয়ের উপর প্রাসঙ্গিক অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়। এই বছরও একই নিয়মে দশদিন ব্যাপী মেলার প্রতিটি দিনকে একেকটি দিবস হিসাবে পক্ষা করা হচ্ছে। যেমন উদ্বোধনী দিবস, সৌভ্রাতৃত্ব দিবস- এই দিনে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু সংগ্রামী জীবন নিয়ে আলোচনা চক্র অনুষ্ঠিত হবে। প্ৰবীন দিবস- এই দিবসে প্রবীণকের সংবর্ধনা দেওয়া হবে। সৈনিক দিবসে প্রাক্তন সৈনিকদের সংবর্ধনা প্রদান করা হবে। মহিলা দিবসে অনুষ্ঠিত হয়ে সারাদিন ব্যাপী মহিলাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা মূলক ক্রীড়া অনুষ্ঠান। স্বচ্ছ দিবসে সংহতি মেলার মাঠে সাফাই অভিযান হবে। শিশু, যুব এবং স্বাস্থ্য দিবসে শিশুদের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে অঙ্কন প্রতিযোগিতা, রক্তদান ও স্বাস্থ্য শিবির। প্রকাশ দিবসে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধনা প্রদান করা হবে। সংহতি দিবসে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে জাতীয় সংহতির উপর বক্তৃতা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে, সন্ধ্যয় প্রতিযোগিতা মূলক অনুষ্ঠানগুলোতে অংশ গ্রহনকারীদের পুরস্কৃত করা হবে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় থাকছে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান৷ আশ্রয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বকীয়তা একটা আলাদা দৃষ্টান্ত তৈরী করেছে। উল্লেখ্য সংহতি মেলাকে বিগত বছরগুলোতে স্বামী বিবেকানন্দ, প্রয়াত প্রধান মন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, চৈতন্য মহাপ্রভু, মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহরু, রাজীব গান্ধী, বিজু পট্টনায়ক, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সহ বিভিন্ন মনীষীদের নামে নিবেদন করা হয়েছে। এবছর আশ্রয়ের সংহতি মেলা দেশ নায়ক নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু ১২৫ মে জন্মবর্ষ উপলক্ষ্যে নিবেদিত।

সংহতি মেলা আয়োজনে সামাজিক সংস্থা আশ্রয় কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সমর্থন ও সক্রিয় সহযোগীতা লাভ করেছে। এখানে বিভিন্ন বছর রাজ্যের বিভিন্ন স্থান থেকে স্ব-সহায়ক দলগুলি যেমন স্টল নিয়ে অংশগ্রহন করেছিল তেমনি বিভিন্ন বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, খাবাবের রকমারী আয়োজন করেছিল রেস্তুরাগুলো। এর পাশাপাশি বিভিন্ন বছর কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দপ্তর তাদের স্টল নিয়ে এই মেলায় অংশ গ্রহন করেছিল। ভারত সরকারের রেল মন্ত্রক, বি এ ডি পি, হস্ততাত ও হস্তকারু শিল্প দপ্তর সহ বিভিন্ন দপ্তর অংশ গ্রহন করেছিল। সীমান্ত ঘেষা কৈলাসহরে আয়োজিত এই সংহতি মেলাকে সার্থক করে তুলতে অনবদ্য ভূমিকা রেখে চলেছে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। প্রতি বছর সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর পানিসাগর সেক্টর হেড কোয়ার্টারের পক্ষ থেকে মেলায় আগত সাধারণ মানুষের জন্য অস্থায়ী কেন্টিনের ব্যবস্থা করা হয়। এই কেন্টিন মেলার একটি প্রধান আকর্ষন। এই মেলাকে উপলক্ষ্য করে মেলার পাশেই বসে আনন্দ মেলা-মার্কস। মেলাকে ঘিরে প্রতিবছর মেলার বাইরে গড়ে উঠে আরেকটি মেলা। সংহতি মেলায় দেড় শতাধিক স্টলের ব্যবস্থা করা হয়। ফলে সবার স্থান সংকুলান সম্বৰ হয় না। তাই আরও শতাধিক ছোট ব্যবসায়ী মেলার বাইরে স্বাধীনভাবে স্টল খুলে বসেন। সব মিলে মেলটি বিশাল আকার ই ধারন করে প্রতি বছর। এই মেলাকে ঘিরে কোনও দিন কোন অশান্তির ঘটনা ঘটেনি। দোকানদার থেকে শুরু করে মেলায় অংশ গ্রহনকারীরা সুশৃঙ্খল থেকেছেন।

তবে এবছর একটি বেদনাদায়ক ঘটনা ঘটেছে। ত্রিপুরা ক্রিকেট এসোসিয়েশন রহস্য জনক কারণে আশ্রয়কে বিল্যানগর মাঠে মেলা করার অনুমতি দেয়নি। এই ঘটনায় কৈলাশহরের মানুষ মর্মাহত হয়েছেন। বিশেষ করে পাইতুরবাজার এলাকার ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বিদ্যাগর মাঠটিতে মিনি ক্রিকেট স্টেডিয়াম গড়ে তোলার কথা। বিগত বামফ্রন্ট আমলের সরকার মাঠটি টি সি এ-র হাতে তুলে দেয়। কিন্তু আজ অব্দি ক্রিকেট স্টেডিয়াম গড়ে তোলার কাজ অগ্রসর হয়নি। মঠটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। সামাজিক সংস্থা আশ্রয় এবারও মাঠটি মেলার ব্যবহার করার জন্য লিখিতভাবে আবেদন করেছিল। কিন্তু মৌখিকভাবে বলে দেওয়া হয় বিল্যানার মঠ মেলার জন্য ব্যবহার করার অনুমতি দেবে না টি সি এ। এতে শুধু মেলা কমিটি শয় কৈলাসহগের সাধারণ মানুষ আহত হয়েছেন।

কৈলাসহর তথা রাজ্যের বহু গণ্যমান্য ব্যক্তি আশ্রয়ের এই সংহতি মেলার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন এবং হচ্ছেন। এর মধ্যে মেলা কমিটির সঙ্গে যুক্ত প্রবীন সমাজসেবী সুনীল চন্দ্র দাস, সুব্রত দে এর আবুতাহের জালাল উদ্দিন সম্প্রতি প্রয়াত হয়েছেন। তাদের আত্মার সদহতি কামনা করছে মেলা কমিটি। এই মেলাকে সার্থক করে তুলতে দিন রাত পরিশ্রম করেছেন বহু মানুষ। তাদের মধ্যে রয়েছেন অশ্রয়ের সম্পাদক চন্দ্রশেখর সিনহা, জেলা পরিষদ সদস্য মহম্মদ বদরুজ্জামান, সমাজসেবী রুদ্রেন্দু ভট্টাচার্য্য, অসীম দত্ত, জয়দীপ দে প্রমুখ। কৈলাসহুত্রের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা প্রতি বছর মেলার সংবাদ প্রকাশ করে এই মেলার জনপ্রিয়তাকে বাড়িয়ে তুলেছেন। ২০০৭ সাল থেকে সংহতি মেলার মঞ্চের সবধরণের অনুষ্ঠানের দায়িত্বে এবং সঞ্চালনায় থাকছেন বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী তথা সাংবাদিক সুকান্ত চক্রবর্তী। সংহতি মেলার সফলতায় আড়াল থেকে উৎসাহ ও প্রেরণা জোগাচ্ছেন এবং নানাভাবে সহযােগিতা করছেন আশ্রয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীরজিৎ সিংহের সহধর্মিনী কঞ্চন সিনহা। মেলা কমিটি তার কাছে কৃতজ্ঞ। আসলে এই মেলা একটি উপলক্ষ্য মাত্র। এই মেলাকে ঘিরে যে আয়োজন তার মর্ম কথাই হল সংহতি, যা বহুধা বিস্তৃত এবং বর্ণাঢ্যতায় ভরা। বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য আমাদের সাংস্কৃতিক ধারাকে যুগ যুগ ধরে সমৃদ্ধ করেছে। এই আবেদন হচ্ছে আমাদের মেলার মূল কথা। মেলা কমিটির বিশ্বাস বিগত কুড়ি বছরের মত এবারও সংহতি মেলা মানুষকে আনন্দ দান করবে এবং চেতনায় সমৃদ্ধ করবে।

!!সামাজিক সংস্থা আশ্রয়ের পক্ষে সম্পাদক চন্দ্রশেখর সিনহা কতৃক প্রকাশিত!!


You can post your comments below  
নিচে আপনি আপনার মন্তব্য বাংলাতেও লিখতে পারেন।  
বিঃ দ্রঃ
আপনার মন্তব্য বা কমেন্ট ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই লিখতে পারেন। বাংলায় কোন মন্তব্য লিখতে হলে কোন ইউনিকোড বাংলা ফন্টেই লিখতে হবে যেমন আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড (Avro Keyboard)। আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ডের সাহায্যে মাক্রোসফট্ ওয়ার্ডে (Microsoft Word) টাইপ করে সেখান থেকে কপি করে কমেন্ট বা মন্তব্য বক্সে পেস্ট করতে পারেন। আপনার কম্পিউটারে আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড বাংলা সফ্টওয়ার না থাকলে নিম্নে দেয়া লিঙ্কে (Link) ক্লিক করে ফ্রিতে ডাওনলোড করে নিতে পারেন।
 
Free Download Avro Keyboard  
Name *  
Email *  
Address  
Comments *  
 
 
Posted comments
Till now no approved comments is available.