কোভিড-১৯ অন্ধকারে নিয়ে গেছে ২৮ কোটি পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ
প্রদীপ চক্রবর্তী
অতিমারী কোভিড-১৯ ইতিমধ্যেই গোটা বিশ্বের জীবনযাত্রা বস্তুত স্তব্দ করে দিয়েছে। নানাপ্রান্তে কেড়ে নিয়েছে লাখো লাখো প্রান। এ মৃত্যু মিছিল চলছে তো চলছেই, এ যেন থামতেই চায় না।
অতিমারী করোনায় দেশের শিক্ষা ব্যবস্হাও প্রায় বিপর্যস্ত। এ দেশের প্রায় ২৮ কোটি পড়ুয়ার পঠন পাঠন বন্ধ,মানেই স্তব। এই পড়ুয়ারা স্কুলের পঠনপাঠন লাগাতার বন্ধ থাকায় ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে গেছে।
ইউনিসেফ বলেছে এই ২৮ কোটি পড়ুয়ারা এখন চোখে মুখে অন্ধকার দেখছে। এদের একটা বড় অংশ ইতিমধ্যে শ্রমিক হয়ে গেছে। শ্রমিক হওয়ার প্রবনতা বেড়েই চলেছে। ইউনিসেফ বলছে ভারতে সব স্কুলই বন্ধ। বন্ধ বালোয়াড়ী কেন্দ্র গুলিও। আশা কর্মীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। এরা কি করবে বা করবে না তা ভেবেই পাচ্ছে না। অথচ এই সংকটময় সময়ে এদের গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করার কথা ছিল। কিন্তূ এরা তা করেনি।
ওড়িষ্যা,গুজরাট সফর করে এসে একজন পদস্থ কর্মকর্তা বলেছেন নাজুক শিক্ষা ব্যবস্হা কবে স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীন। সরাসরি সম্প্রচারিত ওই আলোচনায় ইউনিসেফ আধিকারিক বলেছেন ওড়িষ্যা সরকার স্কুলের পঠনপাঠন চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে। ইতিমধ্যেই সীমিত আকারে স্কুল চালু করতে শুরু করেছে।এই পাঠন পাঠন শুরু করা হয়েছে ছোট ছোট গ্রুপে। ৫/১০ জন করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্কুল মাঠের নানা অংশে পঠন পাঠন করানো হচ্ছে। যেখানে খালি জায়গা আছে সেখানেই তা করা হচ্ছে। এভাবে পঠন পাঠন হলে শিক্ষা ব্যবস্হা হয়ত আগের অবস্থায় ফিরে আসতে পারে হয়তোবা।
এদিকে ভারতে কর্মরত অন্য কর্মকর্তা বলেছেন যদি পঠনপাঠন বন্ধ থাকে আরো কমাস তাহলে ২৮ কোটি পড়ুয়ার আর স্কুলে ফিরে আসা হয়ত হবেনা। এদের অধিকাংশকে হতে হবে ড্রপ আউট। ইতিমধ্যেই অনেক পড়ুয়া নানা জায়গায় কাজ করতে শুরু করে দিয়েছে। এছাড়া বিকল্প ওদের নেই। কেননা ওদের পেটে ভাত জুটে না। এদের অভিভাবকরা কাজ হারিয়েছেন। রোজগারের কোন পথ নেই।তো ওরা খাবে কি? তাই বাধ্য হয়ে কোন না কোন কাজে ঢুকে যাচ্ছে। এটা একটা বড় সমস্যা ।মানেই ড্রপ আউট বেড়ে যাচ্ছে।
এদেশের আরো বড় সমস্যা অপুষ্টি ,স্বাস্হ্য। শিশুরা যেমন অপুষ্টিতে ভুগছেন তেমনি পড়ুয়ারা ও। করোনাকালে অনলাইন বা ভার্চুয়াল শিক্ষা ব্যবস্হা বা ক্লাস রুম শিক্ষা সমস্যার কিছু সমাধান করতে পারে। এই ব্যবস্হা কোন কোন ক্ষেত্রে চালু হয়েছে। অনলাইন শিক্ষা পদ্ধতি মন্দের ভাল। যদিও স্কুলের পরিবেশে পড়ুয়ারা যে আনন্দ পায় সেটা এই ব্যবস্হায় নেই।