অতিমারীতেও পেশার স্বার্থে সাংবাদিকদের আন্দোলন নজীর গড়ছে
প্রদীপ চক্রবর্তী
ভয়াবহ করোনা অতিমারী লাখো লাখো লোকের প্রান ইতিমধ্যে কেড়ে নিয়েছে বিশ্বজুড়ে।নিত্যদিন হাজারো প্রান ঝড়ে পড়ছে।আমাদের বিশাল দেশ ভারতবর্ষেও ব্যতিক্রম নেই।ছোট্ট রাজ্য আমাদের ত্রিপুরায়ও বহু প্রান গেছে। কিন্তু এর মধ্যেই আমাদের রাজ্যে ভিন্নমুখী আবহ তৈরী হয়েছে। অব্যাহত রয়েছে রাজনৈতিক সন্ত্রাস।একদিকে সরকারী ভাবে করোনার দৈনন্দিন তথ্য গোপন, শুভঙ্করী তথ্য, অন্যদিকে সাংবাদিকরা নিজেদের অস্বিত্ব রক্ষায় আন্দোলন করে যাচ্ছে।
সাংবাদিকদের এই লড়াই বেচে থাকার, পেশাগত স্বার্থে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আক্রান্ত হয়েছেন, আহত হয়েছেন, হাসপাতালে নিতে হয়েছে। মোটকথায় সাংবাদিকদের উপর আক্রমণের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। তবে একই সাথে সাংবাদিক সংগঠনের আন্দোলনের তীব্রতা থেমে থেমে জোড়ালো হচ্ছে।এসেম্বলী অব জানালিষ্ট অভিযোগ পাঠিয়েছে প্রেস কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার কাছে।শুধু কি তাই? অভিযোগ গেছে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-র কাছেও। তাদের অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে।অভিযোগে বলা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের হুমকি দিয়েছেন।যদিও মুখ্যমন্ত্রী এই অভিযোগ সরাসরি নাকচ করে দিয়েছেন।এওজে-এর অভিযোগ সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ভাবে যেমন আক্রমন হানা হচ্ছে তেমনি চলছে আক্রমন অর্থনৈতিক ভাবে।এর তীব্রতা এতই বেশি যে সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের এখন উর্দ্ধশ্বাস উঠতে শুরু করেছে।অর্থনৈতিক সংকটে সংস্থা চালানো কঠিন হয়ে উঠেছে। খবর হল আর্থিক কারনে বহু সংবাদ প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত ভাবে বেতন-ভাতা প্রদান কষ্টকর হয়ে পড়েছে। এদিকে আয়ের উৎস সরকারী বা বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন আসছে না।
অনদিকে সাংবাদিকদের উপর যে মাত্রায় দৈহিক আক্রমন হচ্ছে তা মোকাবেলা করা জটিল হয়ে পড়েছে। অথচ অবাক করার ঘটনা আজ যাদের উপর আক্রমন হচ্ছে, বা যাদের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধ করা হচ্ছে এদের অধিকাংশই কিছুদিন আগেও একে অপরের কাছের ছিল।সাংবাদিকদের একটি অংশ সচিবালয়ে সকাল সন্ধ্যায় বসে থাকত। কিন্তু এখন পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে যা কৌরব পান্ডবের যুদ্ধের পর্যায়ে। এমন পরিস্থিতি আগে হয়েছে কিনা তা এই মূহুর্তে বলা যাচ্ছে না। তবে এওজে রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে দাবী দাওয়া অভিযোগ নিয়ে কথা বলেছে। কিন্তু এরা মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করেননি। তেমনি স্মারকলিপিও দেয়নি। কিংবা মুখ্যমন্ত্রী ও এদের ডেকে কথা বলেননি।আন্দোলনকারীদের বক্তব্য তাদের অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। সুতরাং উনাকে স্মারকলিপি দেয়া বা দেখা করার প্রশ্ন উঠেনা। আগামী দিন কেমন যাবে, কিংবা গতিপ্রকৃতি কোনদিকে যাবে এখন তাই দেখার।