এর লাগাম টানতে আমাদের সবাইকেই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে
অনিন্দিতা ভৌমিক
জীবন প্রতি মুহূর্তে কিছু অভিজ্ঞতা দিয়ে যায়। ছবির ভদ্রলোক এই দুই তিনদিনে সবার কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছেন। উনার একখানি ভিডিও প্রায় সবার মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপে পৌঁছে গেছে। উনি কাকে নিয়ে কি বলেছেন, এটা একান্তই উনার ব্যক্তিগত বিষয়।উনার বাচনভঙ্গিমা হয়তো তথাকথিত ঘষামাজা করা, মঞ্চ আলোকিত করা বুদ্ধিজীবীদের মতো নয়। কিন্তু যেটা মুগ্ধ করেছে, সেটা উনার নিজের পেশার প্রতি ভালোবাসা আর আত্মমর্যাদা বোধ। যে পেশা তাকে অন্নের যোগান দেয়, তার উপর কোনরকম আঘাত, তাচ্ছিল্য তিনি মেনে নেননি।
রাজধানীতে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ঘরে বসে কাজ করা, ঝা চকচকে দামি গাড়িতে ঘুরে বেড়ানো তাবড় তাবড় সাংবাদিকরা নিজেদের প্রাপ্তি অপ্রাপ্তি বুঝতে গিয়ে নিজেদের পেশার প্রতি যে সম্মানটুকু দেখাতে পারেননি, ১০০ কিলোমিটার দূরে থাকা ধলাই এর কোন একজন সাংবাদিক ঐ কাজটি করে দেখালেন। আর বিনিময়ে যার বিরুদ্ধে তিনি মুখ খুললেন তার তথাকথিত শুভানুধ্যায়ীরা বাড়ীতে ঢুকে রাতের আধারে তাকে বেদড়ক পেটালেন। হাসপাতালে পাঠালেন।
দিন দিন কি হয়ে যাচ্ছে আমাদের? কোন পথের মডেল বানাচ্ছি ত্রিপুরাকে আমরা? কোথায় নিয়ে যাচ্ছি রাজ্যটাকে? এটাই ত্রিপুরা মডেল? তাহলে এমন মডেল আমরা চাইনা। এর লাগাম টানতে আমাদের সবাইকেই ভাবতে হবে, ঐক্যবদ্ধ হতে হবে যে।