মুখ্যমন্ত্রীর ভাষায় লগবগ মডেল রাজ্য ত্রিপুরায় করোনা কেয়ার গিভারদের খোঁজ মিলছেনা !

প্রদীপ চক্রবর্তী

শুধু এরাজ্যে নয় , সর্বত্র প্রশ্ন কিভাবে বাগে আনা যেতে পারে কোভিড সংক্রমন, যদিও টিটিটি বলবৎ রয়েছে। পরিস্থিতি বলছে ত্রিপুরায় সহসাই আক্রান্তের সংখ্যা দশ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। অন্যদিকে শতে পৌঁছে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে মৃত্যুর গ্রাফ। এখন যে দিকেই যাওয়া যাক না কেন সর্বত্রই আক্রান্ত ও হোম কোয়ারেনটাইন।ধলেশ্বর বাজার এলাকায় জাতীয় সড়কের দুপাশে অন্তত আটজন সংক্রমিত হয়েছেন। একজনের মৃত্যু হয়েছে।ওদিক তো বটেই গোটা বাজার এলাকা মঠচৌমুহনী এখন উদ্বেগ অন্চল হয়ে রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে তো বাজার এলাকা পরিত্যক্ত অন্চলে রুপ নিয়েছে।অথচ দিন পাঁচেক আগেও ওই অন্চলে স্বাস্হ্যবিধির অন্তরজলি যাত্রা হয়েছিল। ঠেলায় পরে এখন ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্হা।শহরের বনমালীপুর অন্চলে করোনার সংক্রমন বেশি বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। এমবিবিক্লাব, লোটাস ক্লাব ,জগহরিমড়া,রাম ঠাকুর, চিওরন্জন, পূর্ব শিবনগর অন্চল এখন করোনা সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে।অবাক কান্ড হচ্ছে যে রাজ্য সরকারের বহু ঘোষিত কেয়ার গিভারদের টিকির নাগাল পাচ্ছে না হোম কোয়ারেনটাইনে যারা আছেন তাঁরা। অভিযোগ এঁদেরই। কেন কেয়ার গিভারদের টিকির নাগাল পাওয়া যাবেনা? এদের কামাইতো দুদিকে। সরকারও দিচ্ছে আবার কোয়ারেনটাইনে যারা তাঁরাও দিচ্ছে। আয় নেহাত মন্দ নয়। কিন্তু তবু এদের দর্শন এক ভাগ্যের ব্যাপার।সরকারের উদ্দেশ্য মহৎ। কিন্তু বাস্তবে অনেকটাই ধূ ধূ। অথচ এদের সক্রিয় করে তোলা হলে সংক্রমনের গ্রাফ নিচে নেমে আসতে পারত।এটাই তো এখন কাম্য।এদিকে মঙ্গলবার মৃত্যুর সংখ্যা অপেক্ষাকৃত হ্রাস পেলেও সংক্রমিতদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে সাধারন্যে।

এদিকে করোনা সংক্রমন যখন বেড়েই চলেছে ঠিক তখন নেইবারহুড ক্লাসের নামে শিক্ষক শিক্ষিকা সহ পড়ুয়াদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা শুরু হয়েছে। জঙ্গলে, গাছের তলায়,গাছে উঠে ক্লাস করানো হচ্ছে। সরকার করোনা সংক্রমন যেখানে আয়ত্বে আনতে পারছে না সেখানে কেন এদের সবাইকে ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছেন রতন বাবু, এই প্রশ্ন উঠবেই। কারন এটাতো গুরুতর অবস্হা হয়েছে, ঠিক এমন যে ভাত দেবার মুরোদ নেই কিল মাড়ার গোঁসাইর অবস্হার মত।

এরাজ্যের লোকজন পড়েছেন ফ্যাঁসাদে। এঁরা যে সবাই বেষ্টিত। কোথাও যেতেও পারছেন না আশ্রয়ের জন্য।ডানে, বায়ে, সামনে বিপদ, সর্বত্র বাধা।

এই পোর্টাল অনন্ত দুবার বিস্তৃত ভাবে আভাস দিয়েছিল গোষ্ঠী সংক্রমনের। এখন পারিপার্শ্বিক তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যবস্হাপনা তার বাস্তবতা মেনে নিচ্ছে। কেরালার সমুদ্র উপকূলে যখন গোষ্ঠী সংক্রমনের ইঙ্গিত দেখা দিয়েছিল তখন মুখ্যমন্ত্রী বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ছুটে গিয়েছিলেন। এর পরতো আর গোষ্ঠী সংক্রমনের সংবাদ পাওয়া যায়নি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ভাষায় ত্রিপুরা কাগজে পত্রে লগবগ মডেল রাজ্য হয়ে পড়েছে।


You can post your comments below  
নিচে আপনি আপনার মন্তব্য বাংলাতেও লিখতে পারেন।  
বিঃ দ্রঃ
আপনার মন্তব্য বা কমেন্ট ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই লিখতে পারেন। বাংলায় কোন মন্তব্য লিখতে হলে কোন ইউনিকোড বাংলা ফন্টেই লিখতে হবে যেমন আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড (Avro Keyboard)। আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ডের সাহায্যে মাক্রোসফট্ ওয়ার্ডে (Microsoft Word) টাইপ করে সেখান থেকে কপি করে কমেন্ট বা মন্তব্য বক্সে পেস্ট করতে পারেন। আপনার কম্পিউটারে আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড বাংলা সফ্টওয়ার না থাকলে নিম্নে দেয়া লিঙ্কে (Link) ক্লিক করে ফ্রিতে ডাওনলোড করে নিতে পারেন।
 
Free Download Avro Keyboard  
Name *  
Email *  
Address  
Comments *  
 
 
Posted comments
মন্তব্যের তারিখ (Posted On)মন্তব্যকারির নাম (Name)মন্তব্য (Comment)
27.08.2020প্রদীপ চক্রবর্তীমুখ‍্যমন্ত্রী কবে,কখন কোথায় লগবগ মডেল বলেছেন? জানালে ভাল হয়। আমারতো মনে হয়না,মুখ‍্যমন্ত্রী একথা বলেছেন।