হোম কোয়ারেনটাইনে জগাখিচুড়ী, কোভিড সেন্টারে হযবরল অবস্থায়ররোগীরা যেতে চাননা
প্রদীপ চক্রবর্তী
মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের সদিচ্ছা, আন্তরিকতা থাকলেও কিছু সংখ্যক তথাকথিত অনুগামী বা প্বার্শচরদের কল্যানে ছোট্ট এরাজ্যে কোভিড রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা যেমন ব্যাহত হচ্ছে, তেমনি অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রোগীদের। মূলতঃ এইসব কারনেই রাজ্যের একটি বড় অংশ কোভিড পরীক্ষা এড়িয়ে চলেছেন।যার ফলশ্রুতিতে করোনা জনিত পরিস্থিতি রাজ্যে জটিল হয়ে উঠতে শুরু করেছে। মৃত্যুর হারও উদ্বেগজনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে।
করোনা চিকিৎসায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভেন্টিলেটর এবং অক্সিজেন। রাজ্যে অধিকাংশ কোভিড কেয়ার সেন্টারে ভেন্টিলেটর নেই।নেই অক্সিজেন এর ব্যবস্হা। অথচ অপেক্ষাকৃত সংকটজনক রোগীকে ভেন্টিলেশনে রেখে অক্সিজেন দিতেই হয়।এজিএমসিতে রোগীর কাছে না গিয়ে অক্সিজেন পাইপের ফূটো দিয়ে হাওয়ায় মিলিয়ে যাচ্ছে। কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও এজিএমসির কুম্ভকর্ন কর্তা ব্যক্তিরা এদিকে আমল দিচ্ছে না।তার খেসারত দিতে হয়েছে এক রোগীকে তার প্রান দিয়ে। এনিয়ে শাসকদলীয় বিধায়ক আশীষ সাহা চিঠির মাধ্যমে কর্তৃপক্ষ এর দৃষ্টিও আকর্ষণ করেছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হবে বলে মনে হয়না।
এজিএমসি তে যে কোভিড কেয়ার সেন্টার রয়েছে সেটি চুড়ান্ত অব্যবস্হার মধ্য দিয়ে চলছে। নানাহ অব্যবস্হা। এগুলি দেখেও কর্তা ব্যক্তিরা দেখেন না বলে অভিযোগ। এর ফলশ্রুতিতে ভোগতে হচ্ছে চিকিৎসাধীনরা। মৃত্যু তো আছেই।
এই সব পাহাড় প্রমান সমস্যা যে কেন সমাধান করা হচ্ছে না সেটা সাধারন্যে বোধগম্য হচ্ছে না। আন্তরিকতা থাকলে সমস্যা সমাধান হয়ে যেতে পারে দ্রুত।
ভগৎসিং কোভিড কেয়ার সেন্টারে এমন অব্যবস্হা ছিল যা ভুক্তভোগীরা বলতে পারেন।অব্যবস্হা দূরীকরণে কারো মাথা ব্যথা ছিল না। কিন্তু সুদীপ রায় বর্মন যেদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোভিড কেয়ার সেন্টারে যান এরপর দিন থেকেই পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন শুরু হয়। বলা হয়ে থাকে ওই সেন্টারের আমূল পরিবর্তন হয়েছে।
এরমধ্যেই এজিএমসি, ভগৎসিং কোভিড কেয়ার সেন্টারের সামনে রোগীর আত্মজনদের জন্য বিশ্রামাগার করা হয়েছে। পানীয় জলের ব্যবস্হা করা হয়েছে।
সবাই বলছেন সমস্যা সমাধানে মুখ্যমন্ত্রী আন্তরিক। তিনি চান না কোন অব্যবস্হা, বেনিয়ম থাকুক।
কিন্তু হলে কি হবে? যে যারভাবে চলে। কাজকর্ম করেননা। আর দূভোগ যত রোগীদের।
ভুললে চলবে না যে করোনা রাজ্যে থাবা বসানোর আগে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের প্রায় বিভিন্ন অঞ্চলে যান, কোয়ারেনটাইন সেন্টারগুলি পরিদর্শন করেন।যথাযথ সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্হা করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। এতে প্রথম কিছুদিন সব ঠিক। তারপর সব প্রায় বেঠিক।
পর্যবেক্ষক মহল বলছেন পঞ্চাশ শতাংশ আন্তরিক হলেও কোভিড চিকিৎসা নিয়ে কোন ধরনের সমস্যা থাকতে পারেনা।
এদিকে গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে উঠেছে হোম কোয়ারেনটাইন নিয়ে। যারা বিমানে বা রেলে আসছেন তাদের এন্ট্রি পয়েন্টে নামকে ওয়াস্তে টেষ্ট করে বাড়ী পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। কিন্তু বাড়ীঘরে কোয়ারেনটাইন বিধি মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। এসব অভিযোগ বেশীর ভাগ শিবনগর, ধলেশ্বর, বনমালীপুর, ইন্দ্রনগর, কুমারীটিলা, প্রতাপগড় ও চেবরীতে। এতে কিন্তু রোগ বিস্তার ঘটার সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে।এব্যাপারে প্রশাসন বিশেষ করে স্বাস্হ্য ও রোগপ্রতিরোধ দপ্তরকে অধিকতর উদ্যোগ নেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।