হোম কোয়ারেইন্টেনে কেয়ার-গিভারের টাকা কে দেবে নয়া বিধামালায় পরিস্কার নয় !

প্রদীপ চক্রবর্তী

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ জনিত রোগের লক্ষণ যুক্তদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার নুতন নীতি নির্দেশিকা জারী করেছে। এই নির্দেশিকায় শর্ত সাপেক্ষে করোনা ভাইরাসের লক্ষণ যুক্তদের বাড়ীতে থাকার সুযোগ সহ চিকিৎসার সুযোগ সম্প্রসারিত করা হয়েছে।

জানাগেছে, মূলতঃ কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র, কোভিড হাসপাতাল সহ কোভিড সম্পর্কিত কেন্দ্র গুলির উপর চাপ কমাতে রাজ্য সরকার 28 জুলাই মঙ্গলবার রাতে নয়া চিকিৎসা পরিষেবা সম্পর্কিত এই বিধি, নির্দেশিকা জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে এখন থেকে যাদের মধ্যে কোভিড সংক্রমনের প্রাথমিক লক্ষণ রয়েছে অর্থাৎ মৃদু শ্বাস কষ্ট, হাফানী, জ্বর রয়েছে তাঁরা বাড়ীতে থাকতে পারবেন।

এছাড়া ৬০ এর উপর যারা উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, লিভার, কিডনি এবং হৃদরোগে ভুগছেন তারা নিজেদের আত্মবিচ্ছিন্ন করে বাড়ীতে থাকতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শে থাকতে হবে। চিকিৎসক সুপারিশ করলেই হোম কোয়ারেনটাইনের সুযোগ পাওয়া যাবে। তবে সংশ্লিষ্ট দের এক্ষেত্রে একটি হলফনামা দিতে হবে। এই হলফনামায় প্রতিশ্রুতি দিতে হবে যে তিনি আত্মবিচ্ছিন্ন হয়ে অর্থাৎ হোম কোয়েরাইনটেইন এর বিধি মেনে চলবেন। কোন অবস্থায় বিধি অমান্য করা হবে না।

তবে এর সব কিছু নির্ভর করবে যদি সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক তাকে বাড়ীতে আত্ম বিচ্ছিন্ন থাকার সুযোগ দেন। একজন পরিষেবা প্রদানকারী সরকারী এই অনুমতি প্রদান করবে। যিনি রোগীর দেখভাল করবেন এবং হাসপাতাল কিংবা চিকিৎসক এর সাথে যোগাযোগ রক্ষা করবেন। যে চিকিৎসক হোম কোয়ারেনটাইনের সুপারিশ করবেন তিনি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক হতে হবে। আত্ম বিচ্ছিন্ন রোগীর দেখভাল তিনিই করবেন এবং তাঁকেও হলফনামা দিতে হবে।

রাজ্য স্বাস্হ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, হোম কোয়ারেনটাইনে থাকা ব্যক্তির যদি বেশি শ্বাসকষ্ট হয়, অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা যায়, বুকে চাপ বা ব্যথা থাকে, মানসিক চাপ থাকে, থাকে অধিক দূর্বলতা, মুখমণ্ডলের রং কিছু পরিবর্তন হয় তাহলে তাকে হাসপাতালে তাৎক্ষণিক ভাবে নিয়ে যেতে হবে।প্রতি এলাকার জন্য থাকবে এম্বুলেন্স।

তবে এই নির্দেশিকায় সুষ্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে হোম কোয়ারেনটাইনে থাকা ব্যক্তিবা তার পরিবারের সদস্যদের হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন প্রোফাইলেকস্সি খেতে হবে। তবে এক্ষেত্রে চিকিৎসকের সুপারিশ থাকতেই হবে।

রাজ্য সরকারের এই নয়া নির্দেশিকায় হোম কোয়ারেনটাইনে থাকা ব্যক্তিদের জন্য একজন কেয়ারগিভারের উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু তাদের কারা নিযুক্তি দেবে তা উল্লেখ করা হয়নি। রোগীকে যদি তার পারিশ্রমিক বহন করতে হয় তাহলে প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের কোথায় পাওয়া যাবে? আর সরকার কেন তাদের নিযুক্তি দেবে না? বা তাদের পারিশ্রমিক সরকার কেন বহন করবে না? এসব প্রশ্ন উঠেছে। কেননা। কোভিডের জন্য কেন্দ্র রাজ্যকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ দিয়েছে, রাজ্যবাসী, বিভিন্ন সংগঠনও দেদার অর্থ প্রদান করেছে। এই বিষয়টি রাজ্য সরকারের মুখ খুলে বলা প্রয়োজন।


You can post your comments below  
নিচে আপনি আপনার মন্তব্য বাংলাতেও লিখতে পারেন।  
বিঃ দ্রঃ
আপনার মন্তব্য বা কমেন্ট ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই লিখতে পারেন। বাংলায় কোন মন্তব্য লিখতে হলে কোন ইউনিকোড বাংলা ফন্টেই লিখতে হবে যেমন আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড (Avro Keyboard)। আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ডের সাহায্যে মাক্রোসফট্ ওয়ার্ডে (Microsoft Word) টাইপ করে সেখান থেকে কপি করে কমেন্ট বা মন্তব্য বক্সে পেস্ট করতে পারেন। আপনার কম্পিউটারে আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড বাংলা সফ্টওয়ার না থাকলে নিম্নে দেয়া লিঙ্কে (Link) ক্লিক করে ফ্রিতে ডাওনলোড করে নিতে পারেন।
 
Free Download Avro Keyboard  
Name *  
Email *  
Address  
Comments *  
 
 
Posted comments
Till now no approved comments is available.