লকডানের ৩ দিন ১২ ঘন্টা করে চলবে অনলাইন দাবার আসর
নির্মল দাস (পূর্ত দপ্তরের বাস্তুকার)
আবারও নিলাম অভিনব উদ্যোগ। করোনা সংক্রামনের জেরে প্রথমধাপে লকডাউনের সময় শুরু করেছিলাম অনলাইন দাবার আসর। ছোট্ট পরিসরে শুরু করলেও দেখতে দেখতে এর বিস্তার রাজ্য ছেড়ে ভিনরাজ্যে পাড়ি দেয়। শেষে ওই আসর আন্তর্জাতিক রূপ নিয়েছিলো। এখন পর্যন্ত ওই আসরের ৭৭ দেশের দাবাড়ুরা অংশ নিয়েছেন। যা এককথায় ত্রিপুরার দাবার ইতিহাসে নজীর। ওই আসরে ১৫ মে হয়েছিলো ৭৫তম আসর (অংশ নিয়েছিলেন ৯১৯ জন দাবাড়ু) এবং ৯ জুন হয়েছিলো শততম ম্যাচ (অংশ নিয়েছিলেন ২২২৬ জন দাবাড়ু)। এন্ট্রি ফি বিহীন দুটি আসরেই প্রাইজমানি আসর করে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন। শততম ম্যাচে ৫ জন গ্র্যান্ডমাস্টার, ৭ জন আন্তর্জাতিক মাস্টার দাবাড়ু, ১ জন মহিলা আন্তর্জাতিক মাস্টার দাবাড়ু, ১৪ জন ফি ডে মাস্টার দাবাড়ু, জাতীয় মাস্টার ৩ জন এবং ক্যান্ডিডেট মাস্টার ২ জন দাবাড়ু অংশ নিয়ে আসরের গুরুত্ব কয়েকগুন বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। এরপর ১০ জুলাই অনুষ্ঠিত প্রাইজমানি বয়সভিত্তিক দাবার আসর ( অংশ নিয়েছিলেন ২০৯৫ জন দাবাড়ু) করে রীতিমতো সংবাদ শিরোনামে এসে পড়েছিলাম। এবার নিলাম আরও এক অভিনব উদ্যোগ। প্রযুক্তি বিদ্যার সাহায্যে। করোনা সংক্রামনের জন্য ২৭ জুলাই থেকে আবারও তিনদিনের লকডাউন ঘোষনা করেছেন রাজ্য সরকার। ফলে আবারও তিনদিন ঘরবন্দী মানুষ। এমনিতেই খেলার মাঠ শূণ্য। ঘরবন্দী থাকা অবস্থায় দাবাড়ুরা যাতে অবসাদগ্রস্থ না হয় তা মাথায় রেখে ২৭ জুলাই থেকে তিনদিন ১২ ঘন্টা করে অনলাইন দাবার আসর করার উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত হবে ওই আসর। দাবাড়ুরা ওই সময়ের মধ্যে যেকোনও সময় খেলার সুযোগ পাবে। আশাকরি এবারও দাবাপ্রেমীরা আমার আসরে খেলার জন্য ঝাপাবে। ওই খবর ছড়িয়ে পড়তেই রাজ্যের দাবাড়ুরা সাধুবাদ জানায় আমাকে। পাশাপাশি রাজ্যের দাবাড়ুদের কাছে আমার অনুরোধ রাজ্য সরকারের বিধিনিষেধ মেনেই যেনো আগামী তিন দিন ঘরের মধ্যে থাকে।