ত্রিপুরায় কি গোস্ঠী সংক্রন আটকানো যাবে?
প্রদীপ চক্রবর্তী
কেরালার উপকলীয় তটে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হয়েছে। এই রাজ্যেও তার আশন্কা প্রবল হয়ে উঠছে। কেননা রাজ্যে যে ভাবে সংক্রামিত রোগী প্রতিদিন বাড়ছে তাতে নানা মহল এই আশন্কা করছে। এ রাজ্যে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হলে কিন্তু ভয়াবহ বিপদ দেখা দিতে পারে। এমনিতেই স্বাস্হ্য পরিষেবা বিপন্ন। সাধারণ মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছেন না। নানা রোগের চিকিৎসার জন্য আক্রান্তরা এদিক ওদিক ঘুরছেন। পাগলপারা অবস্থা।জিবিপি প্রায় বন্ধ।আইজিএমেরও করুন অবস্থা।আজ এ ওয়ার্ড বন্ধ তো কাল অন্য ওয়ার্ড। পজিটিভ সনাক্ত হওয়ায় ওয়ার্ড বন্ধ করে সেনিটাইজ করা হচ্ছে।এ চিত্র রাজ্যের প্রায় সর্বত্র। মানুষ কোথায় সর্দি কাশি জ্বরের ওষুধ পাবেন? অন্য রোগের তো দূরের কথা। কিন্তু চিকিৎসা পরিষেবা তো পেতেই হবে।
কিন্তু হাসপাতাল চত্বর ছেড়ে সাধারণ মানুষ ছুটছেন এদিক ওদিকে। চিকিৎসক তো সহজে পাওয়া যায়না। এখানেও চক্কর কাটতেই হচ্ছে। অধিকাংশ চিকিৎসকের চেম্বার বন্ধ। যদিও কদিন আগে রাজ্য সরকার নির্দেশ দিয়েছে সব চেম্বার খোলার। কিন্তু কে শোনে কার কথা?যে যার ভাবে কাজ করছেন। এখানেই সমস্যা বা বিভ্রাট। সরকারী তদারকী ছাড়া সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়।
করোনায় উদ্বেগজনক চিত্র জেলা বা মহকুমা শহরগুলির। কারন সরকারী চিকিৎসা কেন্দ্র আছে না নেই তা আজ বড় প্রশ্ন। সব হাসপাতাল বা স্বাস্হ্য কেন্দ্র অসুস্থ হয়ে আছে।
এমনিতেই করোনায় প্রান যায় যায় অবস্থা। উদ্বেগ, উৎকণ্ঠায় সবার রক্ত চাপ বাড়ছে।
স্কুল কলেজ বন্ধ।নার্সারীর পড়ুয়ারা মহাবিপাকে। তাদের স্কুল বন্ধ। ওরা ছুটতে পাড়ছে না। বন্ধুরা একে অপরকে পাঁচ্ছে না। বাবা মা পড়েছেন মহাবিপাকে। এদের কি ভাবে ম্যানেজ করবে?
গোষ্ঠী সংক্রমন যদি শুরু হয় তাহলে চিকিৎসা কর্মীরা পড়বেন আরও বিপাকে। এমনিতেই চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মীরা সংকটে। গোষ্ঠী সংক্রমন যদি শুরু হয় তাহলে কিভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করবে এঁরা বা চিকিৎসাই কিভাবে করবে? মনে হচ্ছে এ রাজ্যেও গোষ্ঠী সংক্রমন উদ্বেগ বাড়িয়ে অল্পবিস্তর উঁকি মারছে।
আইএম এ আজ বলেছে দেশে করোনার গোষ্ঠী সংক্রমন আটকানো যায়নি।